আজঃ সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

পাবনার আটঘরিয়ায় শিম চাষে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন কৃষকদের

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | পত্রিকায় প্রকাশিত
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

Image

শিম বাংলাদেশের অন্যতম লতা জাতীয় শীতকালিন সবজি। উপজেলায় গ্রীস্মকালীন সবজি হিসেবে আগাম জাতের শিমের আবাদ হচ্ছে। শিম লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা দিন-দিন এই আবাদের দিকে ঝুঁকছে। ভালো ফলন ও বেশি দামে শিম বিক্রি করতে পেরে খুশি কৃষক।

আটঘরিয়ায় শীতের আগেই বাজারে উঠতে শুরু করেছে শিম। ভালো ফলন ও বেশি দামে শিম বিক্রি করতে পেরে খুশি তারা। অসময়ে শিমের আবাদ সম্পর্কে জানতে গ্রামের মাঠের দিকে তাকালেই দেখা যায় জমি জুড়ে শিম আর শিমের মাঠ। মাটি থেকে সর্বোচ্চ ৪ থেকে ৫ ফুট উচু বাঁশের মাচা তৈরী করে আবাদ করা হয়েছে উচ্চ ফলনশিল অটো জাতের এই শিম।

বিকেল হলেই চাষীরা তাদের পরিবারের লোকজন নিয়ে শিমের পরিচর্যায় ব্যাস্ত থাকেন। কারন বিকেলের দিকে শিমের পরিচর্চার উপযুক্ত সময়। চলতি মৌসুমে আটঘরিয়া উপজেলার ৫ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার চাষিরা বিভিন্ন জাতের শিম চাষ করছেন। এর মধ্যে শিমের উল্লেখ যোগ্য জাত হলো- অটো, রুপবান, চকলেট, কেরালা জাতের শিম আবাদ করেছে বেশি। এছাড়াও স্থানীয় জাতের শিমও আবাদ হয়েছে প্রচুর পরিমাণের। বর্তমানে আবহাওয়া ভালো থাকার কারণে ফলন ভাল হওয়ার আশঙ্কা করছেন চাষিরা । তবে দাম ভালো পাওয়ায় শিম আবাদের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেনতারা।

কৃষকরা জানান, অতিমাত্রায় বৃষ্টি হলে এবং পরে গরমে গাছের ফুলগুলো ঝড়ে পড়ে। একই সঙ্গে গাছে পঁচন দেখা দেয়। উপজেলার সব এলাকায় কমবেশি শিম আবাদ হলেও আটঘরিয়া উপজেলার মাজপাড়া, চাঁদভা, সড়াবাড়িয়া, খিদিরপুর, দেবোত্তর এবং আটঘরিয়ার কিছু এলাকায় বেশি পরিমাণে আগাম জাতের শিম আবাদ হয়েছে। ধলেশ্বর গ্রামের শিম, চাষি (মস্তফা) জানান, তিনি কয়েক বছর ধরে আগাম জাতের শীম চাষ করছেন। ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় খুব খুশি। ভাগ্য বদলে শিম চাষ খুবই ভুমিকা রাখছে।

ওসমান জানান, আগাম জাতের শিম আবাদ করে আসছি। প্রতি বছরই কম বেশি লাভ হচ্ছে। তার এই শিম আবাদ করা দেখে এলাকায় অনেকেই এগিয়ে এসেছেন শিম চাষে। তিনি আরো জানান, আগাম জাতের এই শিমের বীজ জমিতে সাধারণত জুন মাসে বপন করতে হয়। বীজ বপনের ৩৫ থেকে ৪০ দিন পর গাছ গুলোতে ফুল আসতে শুরু করে। বৃষ্টিতে বা গাছগুলো মারা না গেলে দীর্ঘ ৫ থেকে ৬ মাস পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়।

একই এলাকার শিম চাষি রওশন জানান, এবছর আমি আমার ২বিঘা জমিতে শিম চাষ করেছি। ফলন মোটামুটি ভালো। ইতিমধ্যে আমি ১০ হাজার  টাকার শিম বিক্রয় করেছি। আশা করছি আগমী শনিবারে এক চালানেই ৪০ হাজার থেকে ৫০হাজার টাকার শিম বিক্রি করতে পারব ইনশাআল্লাহ।

কৃষক ওসমান জানান, তিনি এবছর ৫ বিঘা জমিতে অটো জাতের শিম চাষ করেছেন। বিঘাপ্রতি ১ লক্ষ টাকা করে শিম বিক্রি হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

একই গ্রামের শিমচাষী নজরুল জানান, বিঘা প্রতি খরচ বাদে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা লাভ হয়। বর্তমানে শিমের আবাদে নানা উপকরণের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় উৎপাদন ব্যয় কিছুটা বেশি। বীজ লাগানোর পর থেকে এক বিঘা জমিতে শিম আবাদ করতে বীজ, সার, বাঁশ, তার, শ্রমিক, সেচ খরচ হয় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা।

শিমের গাছ মাচায় উঠে গেলে ফুল এবং ফল ধরার সময় পোকা দমন এবং পচন রোধে প্রায় প্রতিদিন ওষুধ প্রয়োগ করতে হয়। ৫০ থেকে ৫৫ দিনে গাছে ফুল ও ফল ধরে। এছাড়াও এ এলাকার অনেকেই আগাম শিম চাষ করছেন তারা হলো- ওসমান ৫বিঘা, মুকুল ২ বিঘা, রওশন আড়াই বিঘা, সিরাজুল দেড় বিঘা, নজরুল ১ বিঘা, নুরুল ১ বিঘা, মকছেদ ১ বিঘা, মান্নান ১ বিঘা এবং মোস্তফা ২ বিঘা শিমের চাষ করছেন। প্রতি কেজি শিম ২০২ থেকে ২০০,২২০,২৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। উপজেলার মাজপাড়া চাঁদভা, খিদিরপুর, সড়াবাড়িয়া, মুলাডুলিতে এবং

ধলেশ্বর মাদ্রাসার মার্কেটে শিমের আড়ৎ বসে। পাইকারি বাজারের একাধিক ব্যবসায়ী জানান, এবছরের প্রথম দিকে প্রতি কেজি শিম ২০০ থেকে ২৩০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। দীর্ঘসময় ধরে এই দামটা চলমান আছে। তারা ঢাকায় পাঠানোর জন্য এই এলাকার শিম সরবরাহ করে থাকেন।

আটঘরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সজিব আল মারুফ জানান, বাংলাদেশে যে কয়টি উপজেলা আছে শিম চাষে তার মধ্যে আটঘরিয়া উপজেলা উন্নতম। গ্রীষ্মকালীন আগাম শিম হওয়ার কারনে কৃষক লাভবান হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি যে, গ্রীষ্মকালীন এই শিম নিরাপদ ভাবে উৎপাদন করে নিজেদের চাহিদা পুরণ করে দেশের বাহিরে নিয়ে যেতে পারবো উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এই চেষ্টা করছে।আগাম শিম আবাদে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। কৃষকদের নানা ভাবে মাঠ পর্যায়ে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

গত বছর এই উপজেলায় আগাম জাতের শিম চাষ করা হয়েছিলো ১৫'শ হেক্টর। আর এবছরে চলতি মৌসুমে ১৫'শ ৫৩ হেক্টর জমিতে শিম চাষ করা হয়েছে। যা আগের তুলনায় ৫৩ হেক্ট বেশি।

নিউজ ট্যাগ: ঈশ্বরদী শিম

আরও খবর
সুন্দরগঞ্জে ত্রাণের ৩ টন চাল জব্দ

সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪




আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিলে রিটের শুনানি বৃহস্পতিবার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ আগস্ট ২০24 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ আগস্ট ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

ছাত্র-জনতাকে নির্বিচারে হত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিল চেয়ে দায়ের করা রিটের শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মো. মাহবুবুল উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানির জন্য এ দিন ধার্য করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে রিটকারী আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া নিজেই শুনানি করেন। তিনি বলেন, রিটের এই বিষয়গুলোতে রুল ও আদেশ চাওয়া হয়েছে।

এর আগে, সোমবার মানবাধিকার সংগঠন সারডা সোসাইটির পক্ষে নির্বাহী পরিচালক আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া রিটটি দায়ের করেন। এছাড়া রিটে যেসব প্রতিষ্ঠান শেখ হাসিনার নামে রয়েছে সেগুলোর নাম পরিবর্তনও চাওয়া হয়েছে।

রিটে দেশ সংস্কারের লক্ষ্যে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ সর্বনিম্ন ৩ বছর চাওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে বিদেশে পাচার করা ১১ লাখ কোটি টাকা ফেরত আনতে এবং বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের বদলি চাওয়া হয়েছে।


আরও খবর



‘গুলি করি মরে একটা, বাকিডি যায় না স্যার’ সেই ডিসি ডিবি হেফাজতে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ আগস্ট ২০24 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ আগস্ট ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গুলি করে করে লাশ নামানো লাগছে, স্যার। গুলি করি, মরে একটা, আহত হয় একটা। একটাই যায় স্যার, বাকিডি যায় না। এইটা হলো স্যার সবচেয়ে বড় আতঙ্কের এবং দুশ্চিন্তার বিষয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আন্দোলনকারীদের গুলি করা নিয়ে এভাবেই সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খান কামালকে জানাচ্ছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) এক সদস্য। এমন একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

পরে জানা গেছে, ভিডিওতে কথা বলা ওই পুলিশ কর্মকর্তা ডিএমপির ওয়ারি বিভাগে উপ-কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মাদ ইকবাল। তাকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।

সোমবার (১৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় নরসিংদীর নিজ বাড়ি থেকে ডিসি ইকবালকে তুলে নেওয়া হয়। তিনি এখন ডিএমপির ডিবি হেফাজতে আছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিও ক্লিপে দেখা গেছে, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামানকে ঘিরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা। ইকবাল সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে মোবাইল ফোন থেকে একটি ভিডিও দেখাচ্ছেন।

ওই ভিডিওতে ইকবালকে বলতে শোনা যায়, গুলি করে লাশ নামানো লাগছে, স্যার। গুলি করি, মরে একটা, আহত হয় একটা। একটাই যায়, স্যার, বাকিডি যায় না। এইটা হলো, স্যার, সবচেয়ে বড় আতঙ্কের এবং দুশ্চিন্তার বিষয়।

এ সময় সেখানে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনও উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে কমপক্ষে ৮১৯ জন নিহত: এইচআরএসএস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ আগস্ট ২০24 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ আগস্ট ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতার আন্দোলনের সময় কমপক্ষে ৮১৯ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি (এইচআরএসএস)। এর মধ্যে ৬৩০ জনের নাম জানা গেলেও ১৮৯ জনের নাম জানতে পারেনি তারা।

সংস্থাটির মানবাধিকার পর্যবেক্ষণবিষয়ক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এইচআরএসএস জানায়, নিহতদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মারা গেছে ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সী তরুণ ও যুবক। তাদের সংখ্যা ২৪০ জন। আর শিশু নিহত হয়েছে ৮৩ জন। এ ছাড়া সারাদেশে আহত হয়েছেন প্রায় ২৫ হাজার মানুষ। এ সময় স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠনসহ বিচার প্রক্রিয়া সংস্কার ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার আহবান জানায় এইচআরএসএস।

সংস্থাটি জানিয়েছে, বিভিন্ন গণমাধ্যম, হাসপাতাল, প্রত্যক্ষ্যদর্শী ও ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে তারা প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।

গত জুলাইয়ের শুরুতে শুধু ঢাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলন হলেও ১৬ তারিখ থেকে তা ছড়িয়ে পরে সারাদেশে। ওই দিন সহিংসতায় নিহত হন ৬ জন।

দিন যত বাড়তে থাকে, তত বাড়তে থাকে সহিংসতা, বাড়তে থাকে নিহতের সংখ্যা। হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি জানায়, সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছে সরকার পতনের দিন। ওই দিন নিহত হয়েছেন ২০৫ জন। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, নিহতদের মধ্যে ৩০ বছরের কম বয়সী রয়েছেন ৬৯ শতাংশ।

হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির গবেষণা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, নিহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশের পাশাপাশি জাতিসংঘের সঙ্গে সমন্বয় করে এসব হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত বিচার করতে হবে।

মানবাধিকারকর্মী নূর খান লিটন বলেন, সরাসরি হত্যার সঙ্গে জড়িত ও নির্দেশদাতাদের পাশাপাশি রাজনৈতিকভাবে যারা কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময়ের হত্যাকাণ্ডকে সমর্থন করেছেন, তাদেরও বিচারের আওতায় আনা উচিত।

এ ছাড়া সহিংসতায় যেসব নিষিদ্ধ অস্ত্র ব্যবহার করে হত্যা করা হয়েছে, তা কোথা থেকে দেশে এসেছে, সেটিও খুঁজে বের করার তাগিদ দিয়েছেন মানবাধিকারকর্মীরা।


আরও খবর



‘বন্যায় প্রাণিসম্পদ খাতে ক্ষতির পরিমাণ ১ হাজার ৫০০ কোটি’

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৫ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলমান বন্যায় গবাদিপশু ও হাঁস- মুরগির খাদ্য এবং অন্যান্য পশুখাদ্য বিনষ্টসহ এই খাতে এখন পর্যন্ত আনুমানিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১ হাজার ৫৯০ কোটি ৩৬ লাখ টাকা বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা মিজ ফরিদা আখতার৷

রোববার (২৫ আগস্ট) আকস্মিক বন্যায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ উপলক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার ব্রিফিং শেষে এসব কথা বলেন তিনি৷

তিনি বলেন, দেশের ক্রমবর্ধমান জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি চাহিদা পূরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র্য বিমোচনে মৎস্য খাত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, জাতীয় অর্থনীতিতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের অবদান, রপ্তানি আয় বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন এবং দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের গুরুত্ব অপরিসীম।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম, সিলেট ও খুলনা বিভাগে সাম্প্রতিককালে আকস্মিক বন্যায় ১২টি জেলার ৮৬টি উপজেলা বন্যা কবলিত হয়। স্মরণকালের ভয়াবহ এ বন্যায় জানমালের ক্ষতিসহ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়। ফলে অনেক গবাদি পশুর মৃত্যু এবং ভেসে যাওয়াসহ অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হয়। তাছাড়া, গবাদিপশু ও হাঁস- মুরগির খাদ্য এবং অন্যান্য পশুখাদ্য বিনষ্ট হয়। এই খাতে এখন পর্যন্ত আনুমানিক ক্ষতির পরিমাণ দুধ, ডিমসহ প্রায় ৪১১ কোটি টাকা। ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে, জরুরি পশুখাদ্য সরবরাহ ও বিতরণ, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির রোগ প্রতিরোধে টিকা প্রদান এবং ঘাসের কাটিং বিতরণ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, একইভাবে মৎস্য খাতেও চট্টগ্রাম, সিলেট ও খুলনা বিভাগের ১২টি জেলার ৮৬টি উপজেলায় আকস্মিক বন্যার কারণে অপূরণীয় ক্ষতি সাধিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পুকুর/দিঘি/খামারের সংখ্যা ১ লাখ ৮০ হাজার ৮৯৯টি, ক্ষতিগ্রস্ত মাছ ও চিংড়ি পরিমাণ ৯০ হাজার ৭৬৮ টন, ক্ষতিগ্রস্ত মাছের পোনা ও চিংড়ির পোস্ট লার্ভা ৩ হাজার ৭৪৬ লক্ষটি, অবকাঠামোগতসহ মোট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১ হাজার ৫৩৯ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।

ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যচাষিদের জন্য পুনর্বাসন কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, সহজ শর্তে ঋণ প্রদান, বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কতা ব্যবস্থা উন্নয়ন, মৎস্যচাষিদের জন্য বন্যা পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রশিক্ষণ ও সচেতনতা কার্যক্রম চালানো, মৎস্য খামারগুলোকে সুরক্ষিত করার জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত সহায়তা প্রদান করা মুক্ত জলাশয়ে পোনা অবমুক্ত কার্যক্রমের অব্যয়িত অর্থ ব্যয়ে বন্যাকবলিত এলাকার চাষিদের মাঝে পোনা বিতরণ করা যেতে পারে।


আরও খবর



১৫ আগস্ট শ্রদ্ধা জানাতে অনুমতি চেয়েছে আওয়ামী লীগ

প্রকাশিত:সোমবার ১২ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১২ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আগামী ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুতি নিচ্ছে আওয়ামী লীগ।

এ জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছে বলে বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।

গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর আত্নগোপনে চলে যায় আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাসহ দলটির তৃণমূলের নেতাকর্মীদের অনেকে।

এমন অবস্থায় ১৫ আগস্ট ঘিরে আওয়ামী লীগের পরিকল্পনা নিয়ে বিবিসি দলের শীর্ষ কয়েকজন নেতার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে।

এই কর্মসূচিকে ঘিরে দলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নতুন সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।

হানিফ বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, ওই এলাকার নিরাপত্তার জন্য দলের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। আমরা আশা করি সেই অনুমতি দেওয়া হবে।

এর আগে রোববার রাতে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এক ভিডিও বার্তায় শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে দলীয় নেতাকর্মীদের ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর অনুরোধ জানান।


আরও খবর
ঢাকায় এসেছেন কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান

শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪