আজঃ বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4
শিরোনাম

পাবনায় ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:সোমবার ৩১ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ৩১ জুলাই ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মামুন হোসেন, পাবনা

Image

পাবনায় পূর্ব বিরোধের জেরে ইলিয়াস (২৮) নামের এক তাঁত ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার সকালে সদরের গয়েশপুর ইউনিয়নের ঘোপাঘাটা গ্রাম থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত ইলিয়াস পাবনার জালালপুর নতুন পাড়া মহল্লার আব্দুল মান্নানের ছেলে। তিনি তাঁত ব্যবসা করতেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রোববার দুপুরে পাবনা শহরে ব্যবসায়ী কাজের কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর গভীর রাত হয়ে গেলেও বাড়িতে না আসায় পরিবার বিভিন্ন আত্মীয় স্বজন ও পাড়া মহল্লায় খোঁজাখুঁজি করেও কোন সন্ধান পাওয়া যায় না। এরপর সকালে গয়েশপুর ইউনিয়নের ধোপাঘাটা মোড়ে মরদেহ পরে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, নিহতের ভাতিজা সোহাগের সঙ্গে স্থানীয় এক ব্যাক্তির গত ৯ জুলাই একটি ঝামেলা হয়। সেই থেকে এই ঘটনা নাকি এর পেছনে অন্য কিছু আছে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


আরও খবর



ঈদে ৬ দিন ছুটি পেলেন গণমাধ্যমকর্মীরা

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

এবারের পবিত্র ঈদুল ফিতরে টানা ৬ দিনের ছুটি পেয়েছেন সংবাদপত্রে কর্মরত সাংবাদিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

প্রচলিত রেওয়াজ অনুযায়ী প্রতিবছর ২৯ রমজান থেকে ঈদে তিন দিনের ছুটি ভোগ করেন সংবাদকর্মীরা। রোজা ৩০টি পূর্ণ হলে এই ছুটি চার দিনে পরিণত হয়। সে হিসাবে ৯ থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত সর্বোচ্চ ছুটি হওয়ার কথা।

কিন্তু এবার ঈদের ছুটির এক দিন পর ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ হওয়ায় ফের সরকার নির্ধারিত ছুটির ফাঁদে পড়তে যাচ্ছে সংবাদমাধ্যম। এ জন্য ১৩ এপ্রিল বিশেষ ছুটি ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)।

শনিবার (৬ এপ্রিল) নোয়াবের বৈঠক শেষে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়। ফলে ৯ থেকে ১৪ এপ্রিল টানা ৬ দিন ছুটি পেয়েছেন গণমাধ্যমকর্মীরা।

তবে এবার ঈদের ছুটি ৬ দিন একটি অনন্য রেকর্ড। কারণ স্বাধীনতার পর আর কখনো সংবাদমাধ্যম ৬ দিন বন্ধ থাকেনি।

জানতে চাইলে নোয়াবের কোষাধ্যক্ষ ও মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন, এবার ঈদের ছুটির মাঝে এক দিনের ব্যবধানে যেহেতু পহেলা বৈশাখ পড়েছে, তাই মাঝের এক দিন বিশেষ ছুটি দেওয়া হচ্ছে।


আরও খবর



বাংলাদেশি শ্রমিকরা মালয়েশিয়ায় শোষণের শিকার: জাতিসংঘ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি অভিবাসীদের অবস্থা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি বলেছে, কর্মসংস্থানের আশায় সরকারি নিয়ম মেনে দেশটিতে গিয়ে চরম দুরবস্থায় পড়তে হয় অনেক বাংলাদেশি অভিবাসীকে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিগত কয়েক মাস ধরেই দেশটিতে বাংলাদেশি অভিবাসীরা অসম্মানজনক অবস্থায় বাস করছেন।

এসব শ্রমিকদের ওপর যেন কোন শোষণ, অন্যান্য মানবাধিকার লঙ্ঘন না করা হয় সেজন্যে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতি জোর দেওয়া হয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তিতে।

এতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, বেশিরভাগ অভিবাসী মালয়েশিয়ায় পৌঁছে দেখেন যে তাদের প্রতিশ্রুত অনুযায়ী কর্মসংস্থান নেই। এমন অবস্থায় প্রায়শই তাদের ভিসা শেষ করতে বাধ্য করা হয়। ফলস্বরূপ এ অভিবাসীরা গ্রেফতার, আটক, দুর্ব্যবহার এবং নির্বাসনের ঝুঁকিতে রয়েছে। এমন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে ব্যবস্থা নিতে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন।

একই সঙ্গে মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের অপরাধ নেটওয়ার্ক দ্বারা অভিবাসী শ্রমিকদের প্রতারণামূলক নিয়োগের মাধ্যমে প্রচুর অর্থ উপার্জন অভিযোগ গুরুত্বের সঙ্গে তদন্তের আহবান করেছে। যদি এতে কোনো সরকারি কর্মকর্তা জড়িত থাকে তাদের শাস্তির আওতায় আনা হোক।


আরও খবর



ঈদুল ফিতরে নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে দেশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন ঈদুল ফিতরে যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় সারা দেশ নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পুলিশ, র‌্যাব ছাড়াও আনসার সদস্যরা এ সময় মাঠে থাকবে। ইতোমধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ সদর দপ্তর থেকে জেলার পুলিশ সুপারসহ (এসপি) সব অপারেশনাল ইউনিটকে ৩৪ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ সতর্ক ও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ সদর দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, এবার ঈদকেন্দ্রিক নিরাপত্তায় সর্বোচ্চসংখ্যক পুলিশ সদস্য দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে। এজন্য পুলিশ সদস্যদের ছুটিও সীমিত করা হয়েছে।

এছাড়া র‌্যাব দেশের অপরাধপ্রবণ এলাকা চিহ্নিত করে রেড ও ইয়েলো জোনে ভাগ করে নিরাপত্তা পরিকল্পনা প্রস্তুত করেছে। র‌্যাবের অন্তত ৮ হাজার সদস্য ঈদকেন্দ্রিক নিরাপত্তায় মাঠে থাকবে। এছাড়া বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রায় ৬৫ হাজার সদস্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহায়তায় মাঠে থাকবে। রাজধানীকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আলাদা নিরাপত্তা ছক এঁকেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

পুলিশ সদর দপ্তরের দেওয়া ৩৪ নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ঈদ ও বাংলা নববর্ষসহ টানা পাঁচ দিনের সরকারি ছুটিতে বিপুল সংখ্যক মানুষ রাজধানী ছেড়ে গ্রামমুখী হবেন। এ সময়ে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, অজ্ঞান ও মলম পার্টির তৎপরতা, চাঁদাবাজি ও জাল টাকার ব্যবহারের আশঙ্কা রয়েছে। সার্বিক নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি (অপারেশনস; অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ঈদের ছুটির সময় সার্বিক নিরাপত্তায় বিশেষ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ সময় মানুষ গ্রামে চলে যাওয়ায় বাসাবাড়ি ফাঁকা হয়ে যাবে। এই সুযোগে চোর ও ছিনতাইকারীরা সক্রিয় হয়। এ বিষয়েও বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঈদের পরই পহেলা বৈশাখ। এদিন মঙ্গল শোভাযাত্রাগুলো যাতে নির্বিঘ্নে হতে পারে সে লক্ষ্যে পুলিশ কাজ করছে। ঢাকার রমনা বটমূল, বিআইসিসিসহ যেখানে যেখানে বর্ষবরণকেন্দ্রিক অনুষ্ঠান হবে প্রত্যেকটা জায়গাতে স্যুইপিং করা, আর্চওয়ে, মেটাল ডিটেকটর দিয়ে চেক করাসহ সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

র‌্যাবের পক্ষ থেকেও ছয় স্তরের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ঈদে মানুষের নিরাপত্তায় এলাকাভিত্তিক গোয়েন্দা কার্যক্রম ও টহল জোরদার করা হয়েছে। এ সময় ইউনিফর্মের পাশাপাশি সাদা পোশাকে র‌্যাবের মোট আট হাজার সদস্য তৎপর থাকবে। কিছু কিছু এলাকাকে আমরা রেড জোন ও ইয়েলো জোনে ভাগ করেছি। নির্জন এলাকাগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, রাজধানীর রেড জোনের মধ্যে রয়েছে-রামপুরা, বাড্ডা, মোহাম্মদপুর, তেজগাঁওসহ বেশ কিছু এলাকা। র‌্যাবের ৬ স্তরের নিরাপত্তা থাকবে। সেগুলো হলো-গোয়েন্দা, ফুট প্যাট্রোল, মোবাইল প্যাট্রোল (মোটরসাইকেল বা পিকআপ নিয়ে), সাইবার ওয়ার্ল্ডের নজরদারি, স্পেশাল ফোর্স ও যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় হেলিকপ্টার প্রস্তুত থাকবে। ফাঁকা ঢাকায় অনেকে উৎসব করতে গিয়ে মাদক সেবন করে। এগুলো ঠেকাতে র‌্যাবের মোবাইল টিম কাজ করবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঈদের নিরাপত্তায় ৬০ থেকে ৬৫ হাজার সাধারণ ও ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্য সারা দেশে মোতায়েন থাকবে। বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল একেএম আমিনুল হক বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের অপারেশনে আমরা ব্যস্ত আছি। এরপরও ঈদের নিরাপত্তায় জেলা প্রশাসকের কাছে আমাদের যে সাধারণ আনসার ও ব্যাটালিয়ন আনসার আছে তারা সার্বক্ষণিক প্রস্তুত আছে।

রাজধানীতে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ছক তৈরি করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপির অপারেশন্স বিভাগ প্রণীত এ ছকে প্রাধান্য পাচ্ছে ঈদগাহ, বিপণিবিতান, মার্কেট, ব্যাংক এবং এটিএম বুথ। এছাড়া গোয়েন্দা বিভাগের পক্ষ থেকে তৈরি করা হয়েছে আলাদা নিরাপত্তা ছক। নিরাপত্তা পরিকল্পনার অংশ হিসাবে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের দেহ ও অন্যান্য বস্তু তল্লাশি করবেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ঈদগাহ প্রাঙ্গণ এবং আশপাশের এলাকায় যাতে ভিক্ষুক বা হকার ঢুকতে না পারে, সে ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে পুলিশ কন্ট্রোলরুম বা হাইকোর্ট অভ্যন্তরে স্থাপিত সাব-কন্ট্রোলরুমে যোগাযোগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঈদের দিন থেকে বিপণিবিতান এবং স্বর্ণের দোকানে নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। ব্যাংক এবং এটিএম বুথের নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হবে। আবাসিক এলাকায় পুলিশের মোবাইল প্যাট্রোল লোকজনের গমনাগমনে দৃষ্টি রাখাসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকাকে ফুট প্যাট্রোলের আওতায় আনবে। মোটরসাইকেলবিরোধী অভিযান জোরদার করা হবে। চেকপোস্ট, তল্লাশি ও গাড়ি চেকিং কার্যক্রম পরিচালনা করবে ট্রাফিক বিভাগ। এছাড়া ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানের পক্ষ থেকে রাজধানীবাসীকে ১৪ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে-গ্যাস সিলিন্ডার অথবা গ্যাসের লাইন, পানির লাইনসহ সব ধরনের লাইট, ফ্যানের সুইচ, বৈদ্যুতিক প্লাগ বন্ধ করে বাসা থেকে বের হওয়া। বাসাবাড়িতে সিসি ক্যামেরা বসাতে এবং পূর্বে বসানো সিসি ক্যামেরা সচল আছে কিনা পরীক্ষা করা। রাতে কিংবা দিনে একসঙ্গে মুখে মাস্ক এবং মাথায় ক্যাপ পরিহিত অপরিচিত সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের গতিবিধি নজরদারি করা এবং প্রয়োজনে ৯৯৯ ফোন দেওয়া।


আরও খবর



চট্টগ্রামের এয়াকুবনগর বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে, পুড়ল ২০০ ঘর

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালি থানার ফিরিঙ্গিবাজার এলাকায় এয়াকুবনগর বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর সোয়া ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় প্রায় দুইশ ঘর পুড়ে গেছে।

ফায়ার সার্ভিসের চট্টগ্রাম অঞ্চলের ডিএডি আব্দুর রাজ্জাক জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৪টি স্টেশনের ১১টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ শুরু করে। পরে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের দেড় ঘণ্টার অক্লান্ত প্রচেষ্টায় বিকেল পৌনে ৩টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

ফিরিঙ্গি বাজারের মেরিনার্স রোড সংলগ্ন টেকপাড়া বস্তিতে কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হল, তা জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। আগুন লাগার পর দূর থেকেও কালো ধোঁয়া উড়তে দেখা যাচ্ছিল।

ফিরিঙ্গি বাজার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ছুটে এসেছি। স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। টেকপাড়া বস্তি আর এয়াকুব নগরের পিছনের অংশ জুড়ে কিছু ঘর আছে, সেগুলোতেও আগুন লেগেছে।

তিনি আরো জানান, মেয়র মহোদয়, জেলা প্রশাসক ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কথা হয়েছে। কত লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা তালিকা করে জানাতে বলেছেন উনারা। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য রাতে খাবারের ব্যবস্থা করা হবে। তাদের ক্ষতিপূরণের বিষয়টি দেখা হবে।

কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব জানান, এখনো পূর্ণাঙ্গ তথ্য না মিললেও প্রায় দুইশ ঘর পুড়েছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আগুনে বস্তির বেশ কয়েকটি কাঁচাঘর পুড়ে গেছে। এসব বাড়ির কোনোটির বাসিন্দারা এখনো ঈদ শেষে বাড়ি থেকে ফেরেননি। অর্থাৎ বন্ধ অবস্থায় মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে অনেকেন। আর যারা আছেন চোখের সামনে নিজের বসতি পুড়তে দেখে বিলাপ করছেন বাসিন্দারা।


আরও খবর



বাংলাদেশের প্রথম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

২০২৪ সালের ৩০ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ২৭তম বছরে পদার্পণ করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সবাইকে জানাই আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। প্রথমেই আমি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, বিশ্বের মহান নেতা স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যার জন্ম না হলে বাংলাদেশ নামক দেশের জন্ম হতো না। কৃতজ্ঞতা জানাই রাষ্ট্রনায়ক প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে- যিনি জনগণের মৌলিক অধিকার স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত এবং দেশের চিকিৎসা, শিক্ষা, গবেষণা ও সেবার মান উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে ১৯৯৮ সালের ৩০ এপ্রিল জাতীয় সংসদে আইন পাসের মাধ্যমে তৎকালীন আইপিজিএমএন্ডআরকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে উন্নীত করার মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের প্রথম স্বতন্ত্র পাবলিক মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।

ঢাকার প্রথম তিন তারকা হোটেল ছিল হোটেল শাহবাগ। নবাব সলিমুল্লাহ ১৯০৬ সালের ১৪ ও ১৫ এপ্রিল ভবনটি নিখিল ভারত মুসলিম শিক্ষা সম্মেলনের স্থান হিসেবে নির্বাচন করেন। ১৯০৬ সালের ৩০ ডিসেম্বরে এ ভবনেই অল ইন্ডিয়া মুসলিম লিগ প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তী সময়ে এটিকে সংস্করণ করে হোটেলে রূপান্তর করা হয়, যা ঢাকার প্রথম আন্তর্জাতিক হোটেল। পঞ্চাশের দশকে বিদেশি অতিথিদের আবাস ও আহারের ব্যবস্থা, বড় আকারের অভ্যর্থনা সবই এখানে হতো। এটিই বর্তমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)। আগে এর নাম ছিল ইনস্টিটিউট অব পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিসিন অ্যান্ড রিসার্চ। সাধারণ মানুষের কাছে পিজি হাসপাতাল নামে পরিচিত। ইতিহাসবিদ শরীফ উদ্দিন আহমেদ সম্পাদিত ঢাকা কোষ” এবং ইফতিখার-উল-আউয়াল সম্পাদিত ঐতিহাসিক ঢাকা মহানগরী: বিবর্তন ও সম্ভাবনা বইটিতে এই হাসপাতাল তৈরির ইতিহাস লেখা রয়েছে।

এতে বলা হয়, ১৯৬৫ সালে ইনস্টিটিউট অব পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিসিন অ্যান্ড রিসার্চের জন্য শাহবাগের এই জায়গা অধিগ্রহণ করে সরকার। পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠীর ব্যাপক বিরোধিতা সত্ত্বেও ১৯৬৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তিনজন সার্বক্ষণিক বিশেষজ্ঞ ব্রিটিশ কাউন্সিলের উপদেষ্টা স্যার জেমস ডি এস কেমেরন, অধ্যাপক নুরুল ইসলাম এবং অধ্যাপক এ কে এস আহম্মদকে নিয়ে এই ইনস্টিটিউট গড়ে ওঠে। পরে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিষ্ঠিত স্কুল অব ট্রপিকাল মেডিসিনের সঙ্গে এটি যুক্ত হয়।

বাংলাদেশ স্বাধীন হলে ১৯৭২ সালে অধ্যাপক নুরুল ইসলামের অনুরোধে তৎকালীন মন্ত্রী জহুর আহমেদ চৌধুরী মুসলিম লীগের পরিত্যক্ত ভবনটি (ব্লক-এ) পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের ব্যবস্থা করেন। এরপর থেকে এখানেই পিজি হাসপাতালের কার্যক্রম চলে। তবে ১৯৯৮ সালের ৩০ এপ্রিল মহান জাতীয় সংসদে আইন পাসের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়। উচ্চতর মেডিকেল শিক্ষা এবং গবেষণার লক্ষ্য নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির যাত্রা শুরু হয়েছিল পিজি হাসপাতালে। এখন এই প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ চিকিৎসা শিক্ষাকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আগে তৎকালীন সময়ে দেশের ১৩টি সরকারি ও পাঁচটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ এবং নিপসমসহ পাঁচটি পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দেশের চিকিৎসা শিক্ষা, গবেষণা ও সেবার মান উন্নয়নে যথেষ্ট ভূমিকা পালনে সক্ষম হচ্ছিল না। বাংলাদেশের চিকিৎসা শিক্ষা বিশেষ করে উচ্চশিক্ষা উন্নয়নের লক্ষ্যে স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকেই বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন দেশে একটি স্বতন্ত্র ও গবেষণা সমৃদ্ধ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ও সব মেডিকেল কলেজের স্বায়ত্বশাসন দাবি করে আসছিল।

এখানে উল্লেখ্য যে, ৬৯-এর ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের দেওয়া ১১দফার মধ্যেও চিকিৎসকদের দাবির কথা উল্লেখ ছিল। বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ মেডিকেল শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন ও আইপিজিএমআর শিক্ষক সমিতি একটি স্বতন্ত্র ও গবেষণা সমৃদ্ধ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছে।

জাতির পিতার নামে প্রতিষ্ঠিত দেশের প্রথম পাবলিক মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের চিকিৎসক সমাজ আন্তর্জাতিক মান অর্জন করে দেশের আপামর জনসাধারণের সুচিকিৎসায় নিয়োজিত হবেন এ আকাঙ্ক্ষা নিয়ে যে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় যাত্রা শুরু করেছিল প্রতিষ্ঠার মাত্র তিন বছরের মাথায় ২০০১ সালে সরকার পরিবর্তনের পর কেবলমাত্র হীন রাজনৈতিক সংকীর্ণতায় বিশ্ববিদ্যালয়টি বন্ধ করে আবারও আইপিজিএমআর করার উদ্যোগ নেয় বিএনপি-জামাত জোট সরকার। এমনকি তারা এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ঢাকা থেকে গাজীপুর, টুঙ্গিপাড়া বা অন্য কোথাও সরিয়ে নেওয়ার হীন উদ্যোগ গ্রহণ করে।

জনসাধারণের বিপুল জনসমর্থন নিয়ে আবারও ২০০৮ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পান এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়কে সেন্টার অব এক্সিলেন্সে পরিণত করার উদ্যোগ নেন।

বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১০৫টি পোস্ট গ্রাজুয়েট কোর্স পরিচালনা করা হচ্ছে এবং অন্যান্য ৫১টি অধিভুক্ত মেডিকেল/নার্সিং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭০টি রেসিডেন্সি কোর্স রয়েছে। চালু হয়েছে এমএসসি নার্সিং কোর্স। বাংলাদেশের ছাত্রদের বাইরেও ভারত, ভুটান, নেপাল, মালদ্বীপ, সোমালিয়া, কানাডা, ইয়েমেন, যুক্তরাষ্ট্র, ইরান, বতসোয়ানা এবং অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের ১১টি দেশের প্রায় ১০০ বিদেশি ছাত্র বিভিন্ন কোর্সে লেখাপড়া করছেন। প্রতিদিন বহির্বিভাগে প্রায় ১০ হাজার নতুন ও পুরাতন রোগী চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করে সন্তুষ্টি নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে এখন আটটি অনুষদসহ ৫৭টি পূর্ণাঙ্গ বিভাগ। আরও সুশৃঙ্খল এবং ডিজিটাল করা হয়েছে আর্থিক ব্যবস্থাপনা। আমাদের হাসপাতালে এখন সমাজের সর্বস্তরের মানুষ ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করছেন। সাবেক রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রী, সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা, সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা এখানে প্রতিনিয়ত চিকিৎসা নিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এখন দেশের সকল মানুষের কাছে পরিগণিত হয়েছে চিকিৎসার নির্ভরযোগ্য ভরসাস্থল হিসেবে।

রোগীদের আরও উন্নত চিকিৎসা দিতে ইতোমধ্যেই চালু হয়েছে ভিট্রিও রেটিনা, গ্লুকোমা, কর্নিয়া, অকুলোপ্লাস্টি, ক্যাটারেক্ট ও রিফ্রেকটিভ সার্জারি, অর্থোস্কোপিক সার্জারী ও অর্থোপ্লাস্টি, হ্যান্ড এন্ড রিকনস্ট্রাকটিভ সার্জারি, শিশু এন্ডোক্রাইনোলজি, জেনারেল রিউম্যাটোলজি ও ইউমিনো রিউম্যাটোলজি।

মেডিকেল শিক্ষা ব্যবস্থায় গবেষণাকে জোরদার করার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা কেন্দ্র।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৪ ঘণ্টা ল্যাবরেটরি সার্ভিস চালু আছে। এছাড়া কয়েকটি বিভাগে রোগীর ল্যাবরেটরি রিপোর্ট অনলাইনে মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ ও কোরিয়া সরকারের যৌথ অর্থায়নে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল চালু করা হয়েছে। ফলে দেশের মানুষ চিকিৎসার জন্য বিদেশে না গিয়ে কম খরচে উন্নতমানের চিকিৎসাসেবা পাবে। এছাড়া দেশে প্রথমবারের মতো পরপর দুটি ক্যাডাভেরিক কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট সফলভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে। কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট, বোনম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট, লিভারসহ অন্যান্য অর্গান ট্রান্সপ্ল্যান্ট কার্যক্রমও সমান্তরালভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।

অনেক সীমাবদ্ধতা নিয়ে আমরা এখানে কার্যক্রম পরিচালনা করি। তারপরও সকল শিক্ষক, ছাত্র, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, সেবা ও গবেষণা কার্যক্রম এগিয়ে যাচ্ছে সাফল্য নিয়ে। প্রতিনিয়ত অনুষ্ঠিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলন, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, ওয়ার্কশপ- দেশি-বিদেশি চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের উপস্থিতিতে। আমাদের ছাত্র এবং তরুণ চিকিৎসকরা এ সুযোগ নিয়ে নিজেদেরকে সমৃদ্ধ করছে নতুন নতুন জ্ঞান/অভিজ্ঞতা নিয়ে।

চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিভিন্ন সোসাইটির সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের চিকিৎসা বিজ্ঞান চর্চার প্রাণকেন্দ্র।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা এদেশের চিকিৎসক সমাজের দীর্ঘদিনের ন্যায্য দাবি যেমন বাস্তবায়ন করছেন, তেমনি এদেশের উচ্চতর চিকিৎসা শিক্ষাক্ষেত্রে এক যুগান্তকারী অগ্রযাত্রার সূচনা করেছেন। বাংলাদেশের প্রথম স্বতন্ত্র পাবলিক মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার অবদান চিকিৎসক সমাজ কৃতজ্ঞতার সাথে চিরদিন স্মরণ করবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের বুকে একটা রোল মডেল প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবে এবং উন্নত চিকিৎসা সেবা, শিক্ষা ও গবেষণায় আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক সংযুক্তির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড়াবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এই প্রত্যাশা আমাদের সবার।

রাষ্ট্রনায়ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক সহযোগিতা এবং সবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে সাফল্যের সর্বোচ্চ শিখরে নিয়ে যাব, ইনশাল্লাহ।


আরও খবর