আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

পাবনায় পানিবন্দি ৩ হাজার পরিবার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২১ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

উজানের ঢল আর টানা বর্ষণে পাবনায় যমুনা নদীর পানি আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। এতে জেলার সাঁথিয়া উপজেলার নিম্নাঞ্চলখ্যাত নাগডেমড়া ইউনিয়নের ১৬ গ্রামের তিন হাজার পরিবার দুই মাস ধরে পানিবন্দি রয়েছে। এসব এলাকায় প্রয়োজনীয় খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে।

এদিকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গত কয়েক দিনে ৪০০ পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হলেও বাকি পরিবারগুলো খাবারের জন্য হাহাকার করছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পানিবন্দি সাঁথিয়া উপজেলার নাগডেমড়া ইউনিয়নের বড় সোনাতলা, ছোট সোনাতলা, বৈরাগী সোনা তলা, হাড়িয়া, পাটগাড়ী, চিনানাড়ী, ছোট নারিন্দা, নাগডেমড়া, ছোট পাতাইলহাট, বড় পাতাইলহাট, সেলন্দা, ক্ষিদির গ্রাম, আটিয়া পাড়াসহ প্রায় ১৬টি গ্রাম পানিতে ভাসছে।

প্রায় প্রতিটি ঘরের মধ্যে হাটু সমান পানি। তারা অনেকেই পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। আবার কেউ কেউ ঘরের সঙ্গে বাঁশের সাঁকো বেঁধে কলার ভেলায় বিভিন্ন কাজকর্ম করছে। পানিবন্দি হওয়ায় কর্মহীন হয়ে পড়েছে এসব এলাকার মানুষ। দেখা দিয়ে বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের সংকট।

সাঁথিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মামুন আব্দুল্লাহ বলেন, দীর্ঘ দিন পানিবন্দি থাকার ফলে পানিবাহিত ও মশাবাহিত রোগের প্রকোপ দেখা দিতে পারে। পানিবাহিত রোগের মধ্যে টাইফয়েড, কলেরা, ডায়রিয়া, জন্ডিস হতে পারে। মশাবাহিত রোগের মধ্যে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, ম্যালেরিয়া হতে পারে। এ ছাড়াও জ্বর-ঠান্ডা-কাশি হতে পারে। বন্যাকবলিত এলাকায় জরুরি চিকিৎসাসেবা না দিলে ভয়াবহ অবস্থা তৈরি হতে পারে।

পাবনা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন দফতরের কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, বন্যাকবলিত এলাকার ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুদ রয়েছে। যেকোনো সময় বন্যাকবলিতদের কাছে পৌঁছে যাবে। তাছাড়া গো-খাদ্য ও শিশ খাদ্যের বরাদ্ধ আসছে। সেগুলোরও তালিকা তৈরি হয়ে গেছে। সময়মতো সুবিধাভোগীদের মালামাল বুঝিয়ে দেওয়া হবে।


আরও খবর
কপালের বলিরেখা দূর করার উপায়!

শুক্রবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

অভিযানেও স্বস্তি ফেরেনি চালের বাজারে

শুক্রবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৪




গাজায় অনাহারকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে : ইইউ

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জার পাশাপাশি হামলা হচ্ছে হাসপাতালেও। এতে করে গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ইতোমধ্যেই ভেঙে পড়েছে।

এরসঙ্গে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটিতে দেখা দিয়েছে তীব্র মানবিক সংকট। এমন অবস্থায় গাজায় অনাহারকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে অভিযোগ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। বুধবার (১৩ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় অনাহারকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন ইইউর পররাষ্ট্র নীতি প্রধান জোসেফ বোরেল। তিনি অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে সহায়তার অপ্রতুল প্রবেশকে মানবসৃষ্ট বিপর্যয় হিসাবে বর্ণনা করেছেন।

যুদ্ধে জর্জরিত গাজা উপত্যকায় দুর্ভিক্ষের প্রান্তে থাকা ফিলিস্তিনিদের জন্য ২০০ টন খাদ্যদ্রব্যবাহী একটি জাহাজ ভূমধ্যসাগরের উপকূলবর্তী দেশ সাইপ্রাস থেকে রওনা হয়েছে। মঙ্গলবার ভোরের দিকে সাইপ্রাসের লারনাকা বন্দর থেকে রওনা দেয় ওপেন আর্মস নামের সেই ত্রাণবাহী জাহাজটি।

কিন্তু জাতিসংঘ বলেছে, স্থলপথে সাহায্য বিতরণের বিকল্প হতে পারবে না ওই জাহাজ। এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু দক্ষিণ গাজায় আক্রমণ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন।

এই অঞ্চলে সাহায্য সরবরাহের দ্রুততম ও সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো রাস্তা দিয়ে সহায়তা পাঠানো। কিন্তু সাহায্য সংস্থাগুলো বলছে, ইসরায়েলি নিষেধাজ্ঞার মানে হচ্ছে- যে পরিমাণ সাহায্য প্রয়োজন, তার কেবল একটি ভগ্নাংশই সেখানে প্রবেশ করছে। আর তাই সড়ক পথে সহায়তা পাঠানোর পরিবর্তে সমুদ্র এবং আকাশ থেকে সহায়তা সরঞ্জাম নিচে ফেলার মতো বিকল্প বিভিন্ন পন্থার দিকে মনোযোগ দেওয়া হয়েছে। ইসরায়েল বলেছে, গাজার খাদ্য সংকটের জন্য তারা দায়ী নয় কারণ তারা দক্ষিণে দুটি ক্রসিং দিয়ে সাহায্য প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে।

তবে মঙ্গলবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভাষণ দেওয়ার সময় ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতি প্রধান জোসেফ বোরেল বলেন, কার্যকর স্থলপথের অভাবের কারণে এই অঞ্চলে মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। আমরা এখন এমন জনসংখ্যার মুখোমুখি হচ্ছি যারা নিজেদের বেঁচে থাকার জন্য লড়াই করছে। গাজায় মানবিক সহায়তার প্রয়োজন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই সহায়তা সেখানে পাঠাতে যতটা সম্ভব কাজ করছে।

তিনি আরও বলেন, (মানবিক সংকট) মনুষ্যসৃষ্ট এবং যখন আমরা সমুদ্র, আকাশপথে সহায়তা প্রদানের পথ খুঁজি, তখন আমাদের মনে রাখতে হবে, রাস্তার মাধ্যমে সহায়তা প্রদানের প্রাকৃতিক উপায়... কৃত্রিমভাবে বন্ধ। অনাহারকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে এবং যখন আমরা ইউক্রেনে এই ঘটনার নিন্দা করেছি, তখন গাজায় যা ঘটছে তার জন্যও আমাদের একই শব্দ ব্যবহার করতে হবে।

এর আগে গাজা উপত্যকায় কমপক্ষে ৫ লাখ ৭৬ হাজার মানুষ বা ভূখণ্ডটির মোট জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশ দুর্ভিক্ষ থেকে এক ধাপ দূরে রয়েছে বলে জাতিসংঘের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গত ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে জানিয়েছিলেন। একইসঙ্গে তিনি সেসময় সতর্ক করে বলেন, কোনও ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া না হলে গাজায় ব্যাপক দুর্ভিক্ষ প্রায় অনিবার্য হয়ে উঠতে পারে।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণের ফলে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৭০ হাজার মানুষ।

ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। এছাড়া গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, গত দুই সপ্তাহে সেখানকার হাসপাতালে অপুষ্টি ও পানিশূন্যতার কারণে অন্তত ২৭ জন মারা গেছে। অপুষ্টি ও পানিশূন্যতায় মৃতদের মধ্যে অনেক শিশুও রয়েছে।


আরও খবর



রুফটপ রেস্টুরেন্টগুলো পরিচালনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হাইকোর্ট

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

ঢাকার রেস্টুরেন্টগুলোর অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে রুফটপ রেস্টুরেন্টগুলো পরিচালনা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন আদালত।

আজ সোমবার (৪ মার্চ) বিচারপতি নাঈমা হায়দারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ বলেন, যেভাবে একের পর এক রুফটপ রেস্টুরেন্ট হচ্ছে তাতে আমরা অবাক হচ্ছি। এসব রেস্টুরেন্ট একটা ফ্যান লাগিয়ে চালু করে দিচ্ছে। কি একটা অবস্থা চলছে।

এ সময় রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজভবনে ভয়াবহ আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যুর ঘটনা বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়ে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক, রাজউক, ফায়ার সার্ভিস, বুয়েটের বিশেষজ্ঞের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করতে বলেছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে ঝুঁকিপূর্ণ বিল্ডিংয়ের বিষয়ে কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা চার মাসের মধ্যে জানানোর নির্দেশও দেন হাইকোর্ট।

গতকাল (৩ মার্চ) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইসরাত জাহান সান্ত্বনা জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করেন। বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটির অনুমতি নেওয়া হয়।

এর আগে রোববার সকালে রাজধানীর বেইলি রোডসহ সব আবাসিক স্থাপনায় রেস্টুরেন্ট বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়েছে। একই সঙ্গে রিটে বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে প্রকৃত দায়ীদের গ্রেপ্তার ছাড়াও আহত, নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এছাড়া বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজি, রাজউকের চেয়ারম্যান, ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত গ্রিন কোজি কটেজভবনে লাগা আগুনে এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪৪ জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে পরিবারের কাছে। দুজনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেলে রয়েছে। গতকাল তাদের ডিএনএ নমুনা নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ১৪ জনের মধ্যে বাসায় ফিরেছেন ১১ জন। এখনো ভর্তি আছেন তিনজন। আর ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন আছেন আরও দুজন।


আরও খবর



ঈশ্বরদীর ট্রেন দুর্ঘটনায় ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

Image

পাবনার ঈশ্বরদীতে ২ ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা তদন্ত করতে ৪ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে কার্যালয়।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দিবাগত রাত ৩টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের ব্যবস্থাপক শাহ সূফী নুর মোহাম্মদ।

তিনি জানান, ঈশ্বরদীর ট্রেন দুর্ঘটনা গভীরভাবে তদন্ত করতে সিনিয়র সহকারী সংকেত প্রকৌশলী, সহকারী পরিবহণ কর্মকর্তা, সহকারী যান্ত্রিক প্রকৌশলী ও সহকারী প্রকৌশলীর সমন্বয়ে ৪ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ৩ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে এ ঘটনায় ট্রেনের চালক, সহকারী চালক এবং অন-ডিউটি সহকারী স্টেশন মাস্টারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাত পৌনে ১২টার দিকে পাবনার ঈশ্বরদীতে মালবাহী দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে একটি ইঞ্জিন ও দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এ ঘটনায় ঢাকা-খুলনা রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।


আরও খবর



সোনার নিলামেও সিন্ডিকেটের থাবা

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

স্থায়ী খাতের প্রায় ২৫ কেজি সোনা বিক্রি করতে চায় বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে নিলাম ডেকেও কাঙ্ক্ষিত দাম মেলেনি। এই সোনা বিক্রি করতে গত বছরের অক্টোবরে দ্বিতীয় দফায় নিলাম ডাকা হয়। সন্তোষজনক দাম না পাওয়ায় বিক্রির সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট টিমের এক সভায় বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, সর্বশেষ নিলামের সর্বোচ্চ দরদাতা প্রতিষ্ঠানকে দাম আরও বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত সপ্তাহে ওই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বৈঠক করে দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানটি প্রাথমিক সম্মতি দিয়েছে বলে জানা গেছে। তবে চূড়ান্তভাবে প্রতিষ্ঠানটি রাজি না হলে পুনরায় নিলাম ডাকার সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

জানা গেছে, বিভিন্ন সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়া সোনা বাংলাদেশ ব্যাংকের অস্থায়ী খাতে জমা করা হয়। এর পর মামলা নিষ্পত্তি হলে তা স্থায়ী খাতে নেওয়া হয়। স্থায়ী খাতে নেওয়া স্বর্ণ আন্তর্জাতিক মানের হলে তা কেন্দ্রীয় ব্যাংক কিনে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে যোগ করে। আর আন্তর্জাতিক মানের না হলে সেটি নিলাম করে বিক্রি করে দেওয়া হয়।

২৫ কেজি সোনা বিক্রির সবশেষ নিলামে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড, ভেনাস জুয়েলার্সসহ মাত্র তিনটি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। তবে কোনো প্রতিষ্ঠানই বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি হারের কাছাকাছি দাম প্রস্তাব করেনি। অর্থাৎ বৈধ সোনাও কাক্সিক্ষত দামে কিনতে নারাজ ব্যবসায়ীরা। সূত্রগুলো বলছে, ব্যবসায়ীদের মধ্যে সিন্ডিকেটের কারণে নিলামে প্রত্যাশিত দামের দেখা পাচ্ছে না বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে বিক্রিরও সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না।

তবে ব্যবসায়ীদের কোনো সিন্ডিকেট থাকার কথা জানা নেই বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির (বাজুস) নির্বাহী সদস্য ও মুখপাত্র ডা. দেওয়ান আমিনুল ইসলাম। তিনি আমাদের সময়কে বলেন, ব্যাংক বেশি দামে বিক্রি করতে চাইবে, আর ক্রেতা যতটা কমে সম্ভব কিনতে চাইবে। ফলে আমরা নিজেদের প্রফিটের দিক খেয়াল করেই সেটা কিনব।

নিলাম প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করার পরামর্শ দিয়ে এই ব্যবসায়ী বলেন, বিশ্ববাজারে প্রতিনিয়ত সোনার দাম ওঠানামা করছে। ফলে স্বল্প সময়ের মধ্যে নিলাম প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা না গেলে ব্যবসায়ীদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সোনা বিক্রির নির্ধারিত একটা প্রক্রিয়া আছে। সেই প্রক্রিয়ায় একটা প্রজেকশন প্রাইস থাকে। সেই প্রাইস যদি আমরা না পাই, তাহলে সেক্ষেত্রে রি-অকশন করা হয়। এ ধরনের অকশন আগেও একবার হয়েছিল।

জানা গেছে, স্থায়ী খাতে নেওয়া সোনার প্রায় ২ হাজার ৪২৯ কেজি ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক কিনে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে যোগ করেছে। এ ছাড়া এখন পর্যন্ত মালিককে ফেরত বা নিলামে বিক্রি করা হয়েছে ১ হাজার ৮৭ কেজি ৪০০ গ্রাম। সর্বশেষ ২০০৮ সালের জুলাই মাসে প্রায় ২২ কেজি সোনা নিলামে বিক্রি করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এর পর ২০২২ সালের নভেম্বরে স্থায়ী খাতের আরও ২৫ কেজি ৩১২ গ্রাম সোনা বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়। বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষে ওই বছরের নভেম্বরে নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এ নিলামে অংশ নিলেও অপেক্ষাকৃত কম দর প্রস্তাব করে। যে কারণে সে সময় বিক্রি না করে আবার নিলামের উদ্যোগ নেওয়া হয় গত বছরের মে মাসে। এর পর বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষে গত অক্টোবরে নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। এতে মাত্র ৩টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। প্রতিষ্ঠাগুলোর প্রস্তাবিত দর গত মাসে মূল্যায়ন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে সর্বোচ্চ দরদাতা প্রতিষ্ঠান যে দামের প্রস্তাব করেছে, তাতে ২৫ কেজি সোনার মূল্য দাঁড়িয়েছে ১৭ কোটি টাকার কিছু বেশি। কিন্তু এই দাম কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রজেকশন রেটের চেয়ে কম হওয়ায় বিক্রির সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি নিলাম কমিটি। এর পর বিষয়টি নিয়ে গত মাসে সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট টিমের সভায় বিস্তারিত আলোচনা হলেও বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়নি।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) প্রদত্ত রেটের (বাজার রেট) চেয়ে অন্তত ১০ থেকে ২০ শতাংশ কম ধরে সোনা বিক্রির প্রজেকশন রেট ঠিক করে বাংলাদেশ ব্যাংক। যদি নিলামে ওই রেটের সমান বা বেশি পাওয়া যায়, তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ সংক্রান্ত কমিটি সোনা বিক্রি করে দেয়।

চলতি বছরও বাংলাদেশে সোনার দামে আরও রেকর্ড হয়েছে। বাজুসের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দেশের বাজারে বর্তমানে ভালো মানের প্রতি ভরি সোনা বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ ১০ হাজার ৬৯১ টাকা।


আরও খবর
দেশে এলো এক হাজার টন আলু

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




প্রকাশ্যে ভারতের বিরোধিতায় বিএনপি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নিজেদের স্বার্থে ভারত আবারও আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় এনেছে বলে দাবি করে দেশটির পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনের শরিকরা। তবে এ জোয়ারে গাঁ ভাসায়নি বিএনপি। কিন্তু ভেতরে ভেতরে ভারতবিদ্বেষী মনোভাব দেখালেও, এবার দেশটির বিরোধিতা করে প্রকাশ্যে সরব হয়েছেন দলটির নেতারা। তারা বলছেন, দেশের সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দিয়ে ভারতকে খুশি করে ক্ষমতায় এসেছে আওয়ামী লীগ।

দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরাম ও বাংলাদেশ ছাত্র ফোরাম আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ অভিযোগ করেন বিএনপির সিনিয়র নেতা রুহুল কবির রিজভী।

একই অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বাংলাদেশের গুরুত্ব থাকলেও দেশের মানুষের গুরুত্ব নেই। যারা দেশকে গুরুত্ব দিচ্ছে তারা দেশের মানুষকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। নিজের দেশে গণতন্ত্র থাকলেও অন্য দেশে গণতন্ত্র থাক সেটা চায় না ভারত। তাই সেসব দেশের গণতন্ত্র নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে দেশটি।

গণতান্ত্রিক বিশ্বের গণতন্ত্রের কথায় গলা ভেজে তবে তৃষ্ণা মেটে না। নিজেদের সমস্যা নিজেদের সমাধান করতে রূপরেখা থাকা দরকার। ওয়ান ইলেভেনের ষড়যন্ত্র থেকে দলকে রক্ষা করা গেলেও গণতন্ত্র এখনও ফিরিয়ে আনা যায়নি, যোগ করেন তিনি।

গয়েশ্বর অরও বলেন, বাংলাদেশের অধিকার রক্ষা না করলেও ভারতের আবদার মেটানো হচ্ছে। বিরোধী দলকে বাদ দিয়ে সমকামী নির্বাচন করেছে আওয়ামী লীগ। এটি তৃতীয় লিঙ্গের সরকার। জনগণের অংশ হিসেবে দেশের মালিক বিএনপি, আওয়ামী লীগ নয়। স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করতে ক্ষমতাসীনদের বিদায় করা জরুরি।

সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে এবং শত ত্যাগের পরও আওয়ামী লীগের কাছে মাথা নত করবে না বলেও হুঁশিয়ার করেন বিএনপি নেতারা।

নিউজ ট্যাগ: বিএনপি

আরও খবর