আজঃ বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

পাবনায় পদ্মা-যমুনার পানি বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ জুন ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
Image

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি:

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে ও টানা বৃষ্টিতে সিলেট-সুনামগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা এখন পানি নিচে ডুবছে। এর প্রভাবে পাবনার পদ্মা যমুনা নদীরধ পানি বৃদ্ধি হওয়া শুরু করেছে। যেকোনও সময় বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে।

ইতোমধ্যে যমুনার পানি বিপদসীমা ছুঁইছুঁই অবস্থা। পদ্মা যমুনা এলাকায় উঠতি ফসল ও সবজির খেত তলিয়ে যাওয়ার আশংকা করছে স্থানীয়রা ।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উত্তরাঞ্চলীয় পরিমাপ বিভাগের নির্বাহী প্রকেীশলী জাহিদ হোসেন বলেন, পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশীস্থ পদ্মার হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে (১৯ জুন) সোমবার দুপুর ১২ টায় পানির উচ্চতা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার। যুমনা নদীর নগরবাড়ি পয়েন্টে ৯ দশমিক ০৩ সেন্টিমিটার অতিক্রম করছে।

তিনি আরও বলেন, প্রতিদিনই পদ্মা ও যুমনার বিভিন্ন পয়েন্টে ১/২ সেন্টিমিটার করে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।কয়েকদিনের তুলনায় পদ্মা, চলনবিল, বড়াল, গুমানি, চিকনাইসহ বিভিন্ন নদ-নদীতে পানি বাড়তে শুরু করেছে।

তিনি আরও বলেন, ঈশ্বরদীর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পদ্মার পানির বিপদসীমার মাত্র ১ দশমিক ৪৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নগরবাড়ি পয়েন্টে ০ দশমিক ৯৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে আগামী দুই-একদিনের মধ্যে পাবনার দুই পয়েন্টেই পানি বিপদসীমা অতিক্রম করার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

স্থানীয়ভাবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পদ্মা ও যমুনা নদীতে আশঙ্কাজনকভাবে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তীরবর্তী নিচু এলাকাতে কয়েকদিনের মধ্যে উঠতি নানা ধরনের শবজি ও ফসলের খেত ডুবে যেতে পারে। অনেকেই ইতোমধ্যে বাড়িঘর সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছে। নদীপাড়ের বাসিন্দারা উৎকণ্ঠা আর দুশ্চিন্তার মধ্যে দিন পার করছেন।

ঈশ্বরদীর চরকামালপুর, বিলকাদা, চরকুড়লিয়া, বেড়া অঞ্চলের নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়নের হাজারো বাসিন্দা নির্ঘুম দিন কাটাচ্ছে। পুর্বশ্রীকণ্ঠদিয়া, চরশাফুলা, সাঁথিয়ার নাগডেমরা ইউনিয়নে, সদরের চরতারাপুর ইউনিয়নের কয়েকটি এলাকায় নদী ভাঙনের আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা। সুজানগর উপজেলার নাজিরগঞ্জ ইউনিয়নের খলিলপুর, চরখলিলপুর এবং কালিকাপুর এলাকা, পাবনা সদরের আশুতোষপুর, বলরামপুর, রানীনগরে বেড়ার রূপপুর ও মাসুমদিয়া ইউনিয়নের কিছু এলাকায় পানি প্রবেশ করার উপক্রম হয়েছে।

ঈশ্বরদীর সাঁড়া ইউনিয়নের সাঁড়াঘাট এলাকার বাসিন্দা ফজলুল হক মাষ্টার বলেন, পদ্মার পানি দিনদিন বৃদ্ধি পাওয়াতে আমরা নদীপাড়ের বাসিন্দারা আতঙ্কের মধ্যে দিন পার করছি।সেইসঙ্গে আমাদের উঠতি সবজি খেত নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। সরকারের পক্ষ থেকে এখন থেকেই সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করার আহবান জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে এখানে কয়েকদফা জিওব্যাগ ফেলানো হয়েছে। তারপরও আমরা নদীবাঙনের আশঙ্কা করছি।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পাবনা কার্যালয়ের নিবাহী প্রকৌশলী সারোয়ার জাহান সুজন বলেন, পদ্মা নদীর পানি বিপদসীমার ৫ মিটার নিচে অবস্থান করছে। তবে যমুনা নদীর পানি বিপদ সীমা ছুঁইছুঁই অবস্থা। বেড়ার নগরবাড়ি পয়েন্টে বিপদসীমা অতিক্রম করার কাছাকাছি অবস্থান করছে। ইতোমধ্যে নদী ভাঙন এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে। বন্যা দেখা দিলে বা নদী ভাঙন শুরু হলে প্রয়োজন অনুযায়ী বরাদ্ধ দেওয়া হবে।

পাবনা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন দপ্তরের কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, সিলেট সুনামগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলা বন্যার কবলে পরলেও আমাদের জেলাতে এখন পর্যন্ত কোথায় বন্যার প্রভাব দেখা যায়নি। বন্যা হলেও তেমন ক্ষয়ক্ষতি যাতে না হয় সেজন্য জেলা ত্রাণ দপ্তর সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। উপজেলা পর্যায়ে খাদ্য সামগ্রী দিয়ে রাখা হয়েছে। বিতরণের পক্রিয়া চলছে।


আরও খবর
অস্ত্রসহ কেএনএফের আরও ৮ সদস্য আটক

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

অস্ত্রসহ কেএনএফের আরও ৮ সদস্য আটক

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




পঞ্চবটীতে পল্লীমঙ্গল এনজিওর উদ্যোগে ফ্রি স্বাস্থ্যসেবা ও ঔষধ প্রদান

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

নারায়ণগঞ্জ জেলার পঞ্চবটী থানায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা পল্লীমঙ্গল কর্মসূচি আয়োজন এবং ফ্রি স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করে। পঞ্চবটী পল্লীমঙ্গল বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা কর্মসূচি (পিএমকে) এর উদ্যোগে সাধারণ গরীব দুঃখী অসহায় মানুষদের মাঝে ফ্রী স্বাস্থ্যসেবা এবং বিভিন্ন রোগের সেবা এবং ঔষধ প্রদান করা হয়। এর পাশাপাশি চক্ষু পরীক্ষা করে চশমা প্রদান করা হয়।

বুধবার (২০ মার্চ) পঞ্চবটী শাখা অফিস (পিএমকে) ভবন প্রাঙ্গণে সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত প্রায় ৩ থেকে ৪ শতাধিক রোগীদের মাঝে ফ্রি স্বাস্থ্যসেবা ঔষধ সহ চশমা বিতরণ করা হয়।

এ ব্যাপারে পল্লীমঙ্গল কর্মসূচির প্রোগ্রাম ইনচার্জ  ডা: মো: খায়রুল বাশার বলেন, আমাদের পল্লীমঙ্গল কর্মসূচি (পিএমকে) এর নিজস্ব অর্থায়নে ফ্রি স্বাস্থ্যসেবা ঔষধসহ চশমা প্রদান উপলক্ষে সারাদেশে প্রতিটি শাখা এবং ব্রাঞ্চে আমরা দুইদিন ব্যাপী এ কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। আজ প্রথম দিনে প্রায় ৪ শতাধিক মানুষ চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করেছেন। এই কর্মসূচি আমরা নিয়মিত ভাবে পরিচালনা করছি। তাদের এই ফ্রী স্বাস্থ্যসেবা, ঔষদ এবং চশমা প্রদান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো: জামাল হোসেন, পঞ্চবটী শাখা ব্যবস্থাপক ওমর ফারুক, ডা: জিয়াউল হোসেন এবং ডা: আব্দুল আল মামুন।


আরও খবর
অস্ত্রসহ কেএনএফের আরও ৮ সদস্য আটক

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

অস্ত্রসহ কেএনএফের আরও ৮ সদস্য আটক

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




সোনালী ব্যাংক থেকে ১৫ লাখ, কৃষিব্যাংক থেকে ৭ লাখ টাকা লুট

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বান্দরবান প্রতিনিধি

Image

বান্দরবানের থানচি শাখার সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের স্থানীয় শাখায় ডাকাতির ঘটনায় কত টাকা লুট হয়েছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মামুন। এ সময় ডাকাতরা ব্যাংক দুটির ভল্ট খুলতে পারেনি বলেও জানান তিনি।

বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় এসব তথ্য দেন ইউএনও মামুন।

তিনি বলেন, আজ দুপুরে থানচি শাখার সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে একদল অস্ত্রধারী ডাকাত ডাকাতি করে। এখন পর্যন্ত যতটুকু জানা গেছে, সোনালী ব্যাংক থেকে প্রায় ১৫ লাখ এবং কৃষি ব্যাংক থেকে প্রায় ৫-৭ লাখ টাকা নিয়ে গেছে ডাকাতরা। তবে ডাকাতরা ব্যাংকের ভল্ট খুলতে পারেনি। তারা কাউন্টারে রাখা ও গ্রাহকদের উত্তোলন করা টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে।

এ সময় ভীতি সৃষ্টি করতে ডাকাতরা ব্যাংকের ভেতরে ব্যাপক গোলাগুলি করেছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বান্দরবানের রুমায় উপজেলা প্রশাসন কমপ্লেক্স ভবনে হামলা চালিয়ে সোনালী ব্যাংক থেকে অস্ত্র ও টাকা লুট করে নিয়ে যায় অস্ত্রধারী একদল ডাকাত। এ সময় তারা ব্যাংকের ম্যানেজারকেও অপহরণ করে নিয়ে যায়। এখন পর্যন্ত ম্যানেজারকে উদ্ধার করা যায়নি।


আরও খবর
অস্ত্রসহ কেএনএফের আরও ৮ সদস্য আটক

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

অস্ত্রসহ কেএনএফের আরও ৮ সদস্য আটক

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড্যানিয়েল কাহনেম্যান মারা গেছেন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মনোবিজ্ঞানী ড্যানিয়েল কাহনেম্যান মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। শেষ জীবনে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে অবস্থিত প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির মনোবিদ্যা এবং পাবলিক অ্যাফেয়ার্স বিভাগের প্রফেসার এমেরিটাস হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, বিহেভেরিয়াল ইকোনমিক্স বা আচরণগত অর্থনীতির সমার্থক হয়ে উঠেছিলেন ড্যানিয়েল কাহনেম্যান। যদিও কখনও অর্থনীতির কোর্স করেননি এই নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ। ইউনিভার্সিটি ড্যানিয়েল কাহনেম্যানের মৃত্যুর কথা ঘোষণা করেছে।

মূলত মানুষের অভ্যাস, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ধরন কী ভাবে ব্যয় এবং তার হাত ধরে অর্থনীতিকে প্রভাবিত করে (বিহেভেরিয়াল ইকনমিক্স) তা নিয়ে গবেষণা করেছেন কাহনেম্যান। বিশেষত অনেক কিছুই না জেনে কীভাবে একজন সিদ্ধান্ত নেন বা নেন না, কেমন আয়ের মানুষ বেশি খুশি থাকেন এই সব ঘিরেই আবর্তিত তার কাজ। আর এটিই পাল্টে দিয়েছে অর্থনীতি সম্পর্কে বহু চিরাচরিত ধ্যান-ধারণাকে। প্রসপেক্ট থিয়োরি (অনিশ্চয়তার মধ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া) নিয়ে গবেষণার জন্য ২০০২ সালে নোবেল পান তিনি।

১৯৩৪ সালে কাহনেম্যান ফিলিস্তিনের (বর্তমান ইসরায়েলের) তেল আবিবে জন্মগ্রহণ করেন। নিজের প্রাথমিক জীবনের বেশিরভাগ সময় নাৎসি-অধিকৃত ফ্রান্সে কাটিয়েছিলেন তিনি। সেখানে তার বাবা একটি রাসায়নিক কারখানায় গবেষণার প্রধান হিসেবে কাজ করতেন। তবে ইসরায়েল রাষ্ট্র সৃষ্টির ঠিক আগে ১৯৪৮ সালে কাহনেম্যানের পরিবার ব্রিটিশ শাসিত ফিলিস্তিনে ফিরে আসে।

১৯৫৪ সালে ইসরায়েলের জেরুজালেমে হিব্রু ইউনিভার্সিটি থেকে মনস্তত্ত্ববিদ্যা নিয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন কাহনেম্যান। পরে তিনি যোগ দেন ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সে। সেখানে সেনা নিয়োগে মানসিকতা যাচাই করতে তৈরি করেন বিশেষ ব্যবস্থা। পরে আমেরিকার বার্কলেতে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফর্নিয়া থেকে পিএইচডি করার পরে ফের হিব্রু ইউনিভার্টিসিতে যোগ দেন অধ্যাপক হিসেবে। ২০১১ সালে প্রকাশিত হয় কাহনেম্যানের বিখ্যাত বই থিংকিং ফাস্ট অ্যান্ড স্লো


আরও খবর
তানজানিয়ায় বন্যা: নিহত ৫৮

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




আট জেলায় শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টির শঙ্কা

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চট্টগ্রাম বিভাগের সব জেলার ওপর দিয়ে কালবৈশাখী ঝড়, শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাত অতিক্রমের প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি জেলায় শক্তিশালী ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টি হবে বলেও জানানো হয়েছে।

রোববার (২৪ মার্চ) রাতে কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ তার ফেসবুক পোস্টে জানান, আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পর থেকে রাত ১২টার মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগের ৮ জেলার ওপর দিয়ে শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টির প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।

এর আগে, শনিবার রাত ২টার দিকে ঢাকায় ঘন ঘন বজ্রপাতের সঙ্গে শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। এছাড়া রংপুর, সিলেট, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গাতেও ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির জানান, রাজধানীতে রাতে ঝড়-বৃষ্টির সময়ে বাতাসের সর্বোচ্চ গতি ছিল ঘণ্টায় ৯২ কিলোমিটার।

রোববার সকাল ৬টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ২৮ মিলিমিটার। এই সময়ে সর্বোচ্চ ৬৩ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয় কিশোরগঞ্জের নিকলিতে।

আবহাওয়ার পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকাসহ বৃষ্টি হতে পারে। চলতি সপ্তাহেই দেশের বিভিন্ন এলাকায় ঝড়বৃষ্টির এমন আভাস রয়েছে।

মার্চ মাসের দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দুই-তিন দিন বজ্রসহ বৃষ্টি ও কালবৈশাখী ছাড়াও মাসের শেষ দিকে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।


আরও খবর



ঈদের আগে এলো না জিম্মি নাবিকদের মুক্তির প্রহর

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদের দিনও কাটাতে হবে জাহাজেই জিম্মি অবস্থায়। বিষণ্নতা, অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা তাই আরও জেঁকে বসেছে জিম্মি নাবিক ও পরিবারের সদস্যদের মধ্যে। উল্লেখ্য ভারত মহাসাগরে গত ১২ মার্চ জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর ২৩ নাবিকের ঈদের আগেও মুক্তি মিলছে না। এ পরিস্থিতিতে জিম্মি পরিবারের সদস্যরা কাঁদছেন স্বজনদের ঈদের আগেও ফিরে না পেয়ে। আর জিম্মিরা মন খারাপ করে আছেন এক মাসেও মুক্তি না পেয়ে।

জিম্মি নাবিক ও স্বজনদের মন খারাপ করা ঈদের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে, এমনটি চায়নি এমভি আব্দুল্লাহর মালিকপক্ষ। নাবিকদের জিম্মিদশা শুরুর ৯ দিন পর জলদস্যুরা যোগাযোগ শুরু করার পর থেকেই মালিকপক্ষ ঈদের আগেই এ-সংক্রান্ত আলোচনা শেষ করার আশা নিয়ে তৎপর হয়েছিল। বিভিন্ন সময় জাহাজ মালিকপক্ষ এবং সরকারপক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে যে আশার আলো দেখা যাচ্ছে। সর্বশেষ গতকাল শনিবারও চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ পুনরায় বলেন, এম ভি আব্দুল্লাহ উদ্ধারে আলোচনার বেশ অগগ্রতি হয়েছে।

রাষ্ট্র এবং জাহাজ মালিকপক্ষ আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে বলে জানালেও তা কতদূর হয়েছে, সে ব্যাপারে স্পষ্ট কিছুই জানানো হচ্ছে না। জাহাজ মালিকপক্ষ জানাচ্ছে, মুক্তিপণের টাকা দিয়ে নাবিক ও জাহাজ মুক্তি করতে হবে। কিন্তু মুক্তিপণ কত? কোথায়, কীভাবে তা দিতে হবে? এ ধরনের প্রশ্নগুলোর কোনো উত্তর মিলছে না। রাষ্ট্রের পক্ষ থেকেও কোনো তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে না। ফলে একধরনের তথ্য ঘাটতির মধ্যে রয়েছেন এমভি আব্দুল্লাহর ২৩ নাবিকের পারিবারিক সদস্যরা

তবে ঈদের আগে নাবিকসহ জাহাজ মুক্ত হচ্ছে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, ঈদের আগে নাবিকসহ জাহাজটি মুক্ত হচ্ছে না। এটা প্রায় নিশ্চিত। তবে ঈদের পরপরই দ্রুত সময়ের মধ্যে মুক্তি পাওয়ার জোরালো সম্ভাবনা আছে। সেই লক্ষ্যে কাজ এগিয়ে নিচ্ছে কোম্পানি।

এখন আলোচনা কত দূর গিয়ে আটকে গেছে? যার কারণে ঈদের আগেই মুক্তি মিলছে না? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আলোচনা আটকে নেই। থেমে যায়নি। চলছে। বেশ অগ্রগতিও ঘটেছে। কিন্তু এখানে অনেকগুলো ধাপ পার হতে হচ্ছে। তাই সময় লাগছে। তিনি বলেন, জাহাজে নাবিকরা ভালো আছে। কিছুটা পানির সংকট থাকলেও তা ক্যাপ্টেন রেশনিং পদ্ধতিতে ব্যবস্থা করে নিচ্ছেন। নাবিকদের সঙ্গে পরিবার ও জাহাজ মালিকপক্ষের নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে।

সাধারণ সময়ে নাবিকরা জাহাজ নিয়ে ঈদের সময়ে গভীর সমুদ্রে থাকলে ঈদের নামাজ কীভাবে পড়েন? এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশে কর্মরত ক্যাপ্টেন নূর মোহাম্মদ বলেন, গভীর সমুদ্রে নামাজ কসর পড়লে হয়। নাবিকরা সেভাবেই পড়েন। তবে ঈদের সময়ে সাধারণত নিজেদের মধ্যে একজন খুতবা পড়েন এবং জামায়াতে নামাজ আদায় করেন। জাহাজের সহকর্মীরা কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করেন। আর সুযোগ থাকলে পার্টির আয়োজন হয়। জিম্মি জাহাজে বন্দি নাবিকদের ঈদ কেমন হতে পারে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জলদস্যুরা সদয় হয়ে যদি তাদের ঈদের নামাজ পড়তে দেয়, তাহলে তো ভালো কথা। তবে জিম্মি অবস্থায় জাহাজে তো পার্টি করার সুযোগ নিশ্চয়ই পাওয়া যাবে না। নিজেরা কোলাকুলি করে আনন্দ ভাগাভাগি হয়তো করতে পারবেন। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে তাদের মুক্তিই আমাদের কাছে প্রধান বিষয়।

জিম্মি নাবিকদের একজনের পরিবারের সদস্য জানিয়েছেন, এখন দুই-তিন দিন পরপরই নাবিকরা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছেন। তারা ভালো আছেন। জলদস্যুরা সশস্ত্র পাহারা দিচ্ছে। নাবিকরা নিয়মিত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। গত কয়েক দিনের মধ্যে জাহাজটির নোঙর আর তোলা হয়নি। একই স্থানে আছে। তিনি বলেন, নাবিকরা বুঝতে পারছেন, মালিকপক্ষ জলদস্যুদের সঙ্গে আলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। তবে অর্থ লেনদেন শেষ না হওয়া পর্যন্ত মুক্তি মিলবে না সেটাও তারা বোঝেন। তাই মানসিকভাবে শক্ত থেকে জিম্মিজীবন শেষ করার প্রহর গুনছেন তারা।


আরও খবর