আজঃ রবিবার ০৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে সুবিধা দেওয়া অনৈতিক : সিপিডি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ জুন ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বাজেটে বিদেশে পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনতে সুবিধা দেওয়ার যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তা অনৈতিক বলে মনে করছে বেসরকারি উন্নয়ন গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। সংস্থাটি বলছে, বিদেশ থেকে অর্থ আনার বিষয়টি সম্পূর্ণ অনৈতিক। আর একটি বিষয় হচ্ছে, এটা কখনই বাস্তবায়নযোগ্য নয়। তার চেয়ে বড় কথা হলো, এটা অনৈতিক।

আজ শুক্রবার রাজধানীর গুলশানের লেকশোর হোটেলে জাতীয় বাজেট ২০২২-২৩ এবং সিপিডির পর্যালোচনা শীর্ষক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।

তিনি বলেন, একদিকে অর্থপাচারের সুযোগ দিয়ে আবার অর্থ ফিরিয়ে আনার সুযোগ করে দেব; অন্যদিকে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য করছাড় থাকবে না। সেটা সামাজিক ন্যায় বিচারের জন্য গ্রহণযোগ্য নয়। নিত্যপণ্যের দাম কমাতে বাজেটে পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

সংস্থাটির মতে, ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে চাল, ডালসহ ২৯টি নিত্যপণ্যের দাম কমানোর দরকার ছিল। কিন্তু তা করা হয়নি। সিপিডির পক্ষ থেকে নিত্যপণ্যের দাম কমাতে কর কমানোর সুপারিশ করা হয়েছিল। কিন্তু সেটিও রাখা হয়নি।

সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান, গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম এবং সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, বর্তমানে মূল্যস্ফীতি রয়েছে ৬ দশমিক ২৯ শতাংশ। এ অবস্থায় প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। আগামী এক বছরে মূল্যস্ফীতি কীভাবে কমবে? কারণ, পৃথিবীর অনেক দেশ অর্থনৈতিক মন্দায় চলে যাবে। তাহলে কীভাবে মূল্যস্ফীতি কমবে, এটাই বড় প্রশ্ন।

তিনি বলেন, বর্তমানে জনজীবনের ওপর চাপ রয়েছে। বাজেটে প্রত্যাশা ছিল নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষকে স্বস্তি দেওয়া হবে, কিন্তু দেওয়া হয়নি। উল্টো বিত্তবানদের কর কমানো হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: সিপিডি বাজেট

আরও খবর



ট্রেনে নাশকতার তথ্য নেই: র‌্যাব

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঈদযাত্রাকে কেন্দ্র করে ট্রেনে নাশকতা বা সহিংসতার কোনো তথ্য নেই বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি বলেন, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে আমরা সমন্বয় করে কাজ করছি। কোনো ধরনের নাশকতা বা সহিংসতার তথ্য যদি থাকে বা আশঙ্কা থাকে তা যেন আমরা যথাসময়ে জানতে পারি সে বিষয়ে আমাদের মেকানিজমও কাজ করছে। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে এবং অন্য যারা কাজ করছে সবার সঙ্গে সমন্বয় করে বলছি, কোনো ধরনের নাশকতা বা সহিংসতার তথ্য আমাদের কাছে নেই।

সোমবার (৮ এপ্রিল) সকাল ৯টায় ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, যাত্রীদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা যেন নিশ্চিত হয় সেজন্য বেশ কিছু কার্যক্রম নিয়েছি। স্টেশনভিত্তিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেছি। সাদা পোশাকে গোয়েন্দারাও এখানে আছেন। বিভিন্ন স্টেশনে বিপুল সংখ্যক র‌্যাব সদস্য নিয়োজিত করেছি। গোয়েন্দারাও কাজ করছেন, আমরা সাইবার ওয়ার্ল্ডও নজরদারি করছি। আমরা বসে নেই, প্রস্তুত আছি যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করে যাত্রীদের নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে।

ঈদে ফাঁকা ঢাকার নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, ঈদে নাড়ির টানে ঢাকাবাসীর অনেকেই বাড়ি চলে যান। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হিসেবে সেই শূন্য ঢাকার নিরাপত্তার দায়িত্ব অবশ্যই আমাদের ওপর বর্তায়। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের মোটরসাইকেল পেট্রোলের সংখ্যা অনেকটাই বাড়ানো হয়। এছাড়া যারা জনপ্রতিনিধি আছেন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করি, যাতে কোথাও কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলে আমরা যেন সঙ্গে সঙ্গে তথ্য পাই।

র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক বলেন, কমলাপুর রেলস্টেশন এলাকায় র‌্যাব-৩ সার্বক্ষণিক বেশ কিছুদিন ধরে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে আমরা অনেক চেষ্টা করেছি দালাল বা টিকিট কালোবাজারি চক্রের সদস্যদের খুঁজে বের করার জন্য। কিন্তু আমরা দেখেছি তারা কেউই প্রকাশ্যে নেই।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের সহযোগিতায় আমরা সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু অভিযান পরিচালনা করেছি। যারা দুষ্কৃতকারী এবং ট্রেনের টিকিট কালোবাজারে জড়িত ছিল, যারা এই টিকিটকে কেন্দ্র করে হাজার হাজার টিকিট কালোবাজারির পরিকল্পনা করছিল, আমরা তাদের আইনের আওতায় নিয়ে এসেছি। আমরা কাউকে ছাড় দেইনি। যাত্রীদের অনুরোধ করবো আপনার প্রতারিত হবেন না। নিয়ম মেনে ট্রেনের টিকিট ক্রয় করে নিরাপদ যাত্রা উপভোগ করুন।


আরও খবর



কারাগার থেকে সরিয়ে সু চিকে গৃহবন্দি করল মিয়ানমারের জান্তা

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে কারাবন্দি থাকা মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চিকে কারাগার থেকে সরিয়ে গৃহবন্দি করা হয়েছে। চলমান গরম আবহাওয়ার কারণে বাড়তি সতর্কতা হিসেবে এই পদক্ষেপ নিয়েছে মিয়ানমারের জান্তা।

সামরিক সরকারের বরাত দিয়ে বুধবার (১৭ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারে আটক দেশটির সাবেক নেতা ও নোবেল বিজয়ী অং সান সু চিকে কারাগার থেকে সরিয়ে গৃহবন্দি করা হয়েছে বলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটির সামরিক সরকারের একজন মুখপাত্র গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।

জান্তার মুখপাত্র মেজর জেনারেল জাও মিন তুন বলেন, যেহেতু আবহাওয়া এখন অত্যন্ত গরম, তাই এটি শুধুমাত্র অং সান সুচির জন্য নয়... যাদের জন্য প্রয়োজনীয় সতর্কতা প্রয়োজন, বিশেষ করে বয়স্ক বন্দিদের, আমরা তাদের হিটস্ট্রোক থেকে রক্ষা করার জন্য কাজ করছি।'

মিয়ানমারের চারটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে একথা বলা হয়েছে। জাও মিন তুন অবশ্য মন্তব্যের জন্য রয়টার্সের অনুরোধে সাড়া দেননি।

২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ৭৮ বছর বয়সী সু চির সরকারকে উৎখাত করা হয় এবং এরপর থেকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী তাকে আটক করে রেখেছে। রাষ্ট্রদ্রোহ এবং ঘুষ থেকে শুরু করে টেলিকমিউনিকেশন আইন লঙ্ঘন পর্যন্ত অপরাধের দায়ে নোবেলজয়ী এই নেত্রীকে ২৭ বছরের কারাদণ্ডের সম্মুখীন হতে হয়েছে। যদিও তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগই অস্বীকার করেছেন অং সান সু চি। এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সু চির ছেলে কিম অ্যারিস বলেছিলেন, তাকে (অং সান সু চি) নির্জন কারাগারে রাখা হয়েছে।

বিশ্ব নেতারা এবং গণতন্ত্রপন্থি কর্মীরা বারবার সু চির মুক্তির আহ্বান জানিয়েছেন। মিয়ানমারের এনইউজি ছায়া সরকারের একজন মুখপাত্র সু চি এবং দেশটির ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট ইউ উইন মিন্টের নিঃশর্ত মুক্তির আহ্বান জানিয়েছেন।

মুখপাত্র কিয়াও জাও বলেন, তাদেরকে কারাগার থেকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া ভালো, কারণ কারাগারের চেয়ে ঘরগুলো ভালো। তবে তাদের অবশ্যই নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। তাদের অবশ্যই অং সান সু চি এবং ইউ উইন মিন্টের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিতে হবে।


আরও খবর



ইরাকে সমকামী সম্পর্কে জড়ালেই ১৫ বছরের কারাদণ্ড

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সমকামী সম্পর্কে জড়ালে হবে সর্বোচ্চ ১৫ বছরের কারাদণ্ড। এমনই এক আইন পাশ হয়ে গেল ইরাকের পার্লামেন্টে। দেশটির সরকারের দাবি, ধর্মীয় মূল্যবোধকে রক্ষা করার লক্ষ্যে এই নতুন আইন পাশ করা হলো।

ইরাকে আগে প্রস্তাব আনা হয়েছিল, সমকামীদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে। কিন্তু ইউরোপীয় দেশগুলো ও আমেরিকার বিরোধিতায় সর্বোচ্চ সাজা ১৫ বছরের কারাদণ্ডই রাখা হয়েছে। কেবল সমকামী সম্পর্ক নয়, আইনে শাস্তির বিধান রয়েছে রূপান্তরকামীদের জন্যও। বলা হয়েছে, লিঙ্গ বদলকারী কিংবা নারীদের বেশ ধারণকারীদের এক থেকে তিন বছরের কারাবাস বা ৭৭০০ ইউরো জরিমানা হবে।

নতুন আইনে বলা হয়েছে, ইরাকের সমাজকে নৈতিক অবক্ষয় ও সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া সমকামিতা থেকে রক্ষা করতেই এই আইন আনা হয়েছে। সমকামিতা ও দেহব্যবসা রুখতে আনা এই আইনে জানানো হয়েছে, কেউ সমকামী সম্পর্কে জড়ালে সর্বোচ্চ ১৫ ও সর্বনিম্ন ১০ বছরের সাজা হবে তার। সমকামিতা কিংবা দেহ ব্যবসার প্রচার করলে কমপক্ষে ৭ বছরের জন্য যেতে হবে কারাগারে।

এতদিন পর্যন্ত ইরাকের আইনে সমকামিতাকে অপরাধ বলা হয়নি। কেবলমাত্র দণ্ডবিধির উল্লেখে অল্প করে নৈতিকতার দিকটি আনা হয়েছিল। সেটাকেই অস্ত্র করে এলজিবিটি মানুষদের আক্রমণ করত সশস্ত্র দলগুলো। এবার সমকামিতাকে অপরাধ ঘোষণা করে শাস্তির বিধান দিল নতুন আইন।


আরও খবর



সুন্দরগঞ্জে তীব্র গরমে বাড়ছে শিশু রোগীর চাপ ওষুধের তীব্র সংকট

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
জুয়েল রানা, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি

Image

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে তীব্র গরমের কারণে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চাপ বাড়ছে শিশু রোগীর। ৫০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিনেই চার থেকে পাঁচজন শিশু রোগী ভর্তি হচ্ছে। চিকিৎসক ও নার্সরা চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। ভর্তি থাকা রোগীর পাশাপাশি বহির বিভাগে গরমজনিত কারণে নতুন নতুন রোগীর চাপ দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন তিন থেকে চারজন ডাক্তার বহির বিভাগে তিন থেকে চার'শ রোগীকে সেবা প্রদান করছেন। তারপরেও চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীর স্বজনদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রচন্ড গরমে স্বাভাবিক জনজীবনে ভোগান্তি নেমেছে। গত ১৪/১৫ দিন ধরে তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৪২ সেলসিয়াসে ডিগ্রি ওঠানামা করছে। ফলে বিভিন্ন বয়সি রোগীর পাশাপাশি শিশুরা জ্বর, সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায়সহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসছেন। এদের মধ্যে কেউ ভর্তি হচ্ছে কেউ আবার চিকিৎসা নিয়ে বাসায় চলে যাচ্ছে। ৫০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একসঙ্গে এত শিশু রোগীকে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্মরত ডাক্তার ও নার্সদের।

শিশু রোগীর বাবা আল-আমিন বলেন, প্রচন্ড গরমে গতকাল আমার মেয়ে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে আমি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এসে ভর্তি করি। এখানে এসে দেখি শিশু রোগীর সংখ্যায় বেশি। ডাক্তার নার্সরা রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে কিন্তু সব ওষুধ বাহীর থেকে আনতে হচ্ছে নার্সদের কাছে ওষুধ চাইলে ওষুধ নেই ওষুধ সংকট বলে ওষুধের টোকেন দিয়ে কিনে আনতে বলছে বাধ্য হয়ে কিনে আনতেছি।

তিনি বলেন, তবে এত বড় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিদ্যুৎ চলে গেলে জেনারেটর বা বিকল্প কোন ব্যবস্থা না থাকায় গরমে রোগী ও রোগীর স্বজনদের হাসফাঁস অবস্থা। রাতে বিদ্যুৎ না থাকালে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভূতুড়ে পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

নবজাতক শিশুর টিকা নিতে আসা এক মা শারমিন আক্তার বলেন, শিশুর টিকা দিতে আসতেছি কয়েকদিন থেকে শুধু ঘুরে যাচ্ছি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকা শেষ হয়েছে কখন আসবে তাও জানেন না।

টিকাপ্রদানকারি নার্স জানান, প্রায় ১ মাস থেকে ডিপিটি, পিসিভি ও বিওপিভি টিকার সংকট দেখা দিয়েছে টিকা না থাকলে আমাদের কিছু করার নাই।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ তারিকুল ইসলাম জানান, সারা দেশের মতো সুন্দরগঞ্জে দাবদাহ বেশি হচ্ছে। ফলে রোগীর সংখ্যা একটু বেশি। তবে এখনো হিট স্ট্রোকে কেউ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়নি। তবে গরমের কারণে শিশু ও বৃদ্ধরাই বেশি অসুস্থ ভর্তি হচ্ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ রেজয়ানুর রহমান জানান, প্রচন্ড গরমের কারণে শিশু ও বয়স্করা বেশি অসুস্থ হচ্ছে ফলে রোগীর চাপ একটু বেশি।

ওষুধের বিষয় জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, বছর শেষে কিছু ওষুধ ও শিশুদের টিকার সংকট দেখা দিয়েছে আমরা চাহিদা পাঠানো হয়েছে আশাকরি দ্রুত ওধুষ ও টিকা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসবে।

এবিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সায়্যিদ মুহাম্মদ আমরুল্লাহ সাথে মোবাইলে অনেক বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।


আরও খবর



নির্বাচনে প্রভাব খাটালেই ব্যবস্থা: ইসি রাশেদা

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাজশাহী প্রতিনিধি

Image

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রভাবশালীরা প্রভাব খাটালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা।

শনিবার (৪ মে) সকালে রাজশাহীতে উপজেলা নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। রাজশাহী বিভাগীয় প্রশাসন জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।

রাশেদা সুলতানা বলেন, উপজেলা নির্বাচন হবে প্রভাবমুক্ত। প্রভাবশালীরা এই নির্বাচনে প্রভাব খাটালে কমিশন প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে বিধিবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।

স্থানীয় সংসদ সদস্যদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি আরও বলেন, আপনারা দয়া করে আপনাদের জায়গায় থাকেন। আপনার মান ইজ্জত, মর্যাদা আপনি রক্ষা করবেন। প্রার্থীরা সংসদ সদস্যদের আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে কারো সুবিধা নিলে দয়া করে সরে আসেন। এ রকম অবস্থা যদি দাঁড়ায়, যদি অভিযোগ আসে, তাহলে প্রার্থীতা বাতিলও হতে পারে।

বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আনিসুর রহমান, রাজশাহী নগর পুলিশের কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন।


আরও খবর