আজঃ শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

পাহাড়ি ঢল সাগরে নামতে যত বাধা

প্রকাশিত:বুধবার ২২ জুন 20২২ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জুন 20২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ভারত থেকে ৫৩টি নদীর মাধ্যমে বাংলাদেশের হাওর, খাল ও নদীতে পানি আসে। সে পানি যায় বঙ্গোপসাগরে। গবেষণায় দেখা গেছে, বঙ্গোপসাগরে যাওয়া পানির ৫৬ ভাগ ভারতের, ৪৪ ভাগ বাংলাদেশের। তবে বাংলাদেশ হয়ে এই পানি সাগরে যেতে পথে পথে পড়ে নানা বাধার মুখে। নদীর নাব্য সংকট, অপরিকল্পিত বাঁধ ও পূর্ব-পশ্চিমে আড়াআড়ি মহাসড়কই পানির প্রবাহে মূল বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তখনই ভারত থেকে আসা অতিবৃষ্টির পানি বাংলাদেশের উত্তর, পশ্চিম ও পূর্ব এলাকায় আটকে বন্যা সৃষ্টি করে।

নদী বিষয়ক সংগঠন রিভারাইন পিপল বাংলাদেশের তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশের তিন পাশ দিয়ে ভারতের ৫৩টি নদী দিয়ে পানি ঢোকে। এরমধ্যে বড় নদীগুলো হলোগঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র ও সুরমা-কুশিয়ারা-মেঘনা। মাঝারি নদীগুলোর মধ্যে আছে মহানন্দা, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমার, ভোগাই, সোমেশ্বরী, যাদুকাটা, গোমতী, মনু, খোয়াই ও ফেনী। ছোট নদী আছে ৩৯টি। এছাড়াও ছোট ঝিরি ও ছরা দিয়েও পানি বাংলাদেশে আসে। কেবল একটি নদী দিয়ে বাংলাদেশ থেকে পানি যায় ভারতে। ওই নদীর নাম কুলিক। সেটি অবশ্য মৃতপ্রায়।

বন্যার পানি প্রবেশের রুট: ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢল বাংলাদেশের ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় তিন শতাধিক নদ-নদী দিয়ে সাগরে মেশে। এই পথগুলোই বাধাগ্রস্ত হয়েছে। ভারত থেকে আসা বন্যার পানি প্রধান তিনটি রুট দিয়ে বাংলাদেশে ঢোকে। এ বিষয়ে রিভারাইন পিপল-এর মহাসচিব শেখ রোকন  বলেন, এর একটি হলো গঙ্গা। যার পানি রাজশাহী দিয়ে বাংলাদেশে ঢোকে। দ্বিতীয়টি ব্রহ্মপুত্র। যার পানি কুড়িগ্রাম দিয়ে প্রবেশ করে। অপরটি হলো মেঘনা। হাওর অঞ্চল, সুরমা, কুশিয়ারা, সোমেশ্বরী, জাদুকাটাসহ ১৭টি নদী আছে, যেগুলোর পানি ভারত থেকে এসে হাওর অঞ্চল দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকছে। এগুলো সব মেঘনার সঙ্গে মিলিত হয়।

দুই ধরনের বন্যা: একসময় বাংলাদেশে পাঁচ ধরনের বন্যায় সমতল ভূমি প্লাবিত হতো বলে গবেষকরা জানিয়েছেন। তবে এখন দুই ধরনের বন্যা বেশি পরিচিত। শেখ রোকন বলেন, একটি উপকূলীয় বন্যা। এটি দক্ষিণাঞ্চলে হয় ঘূর্ণিঝড় বা জলোচ্ছ্বাসের সময়। আরেকটি পাহাড়ি ঢল। পাহাড়ি এলাকার বৃষ্টি গড়িয়ে নিম্নভূমিতে চলে আসে। এটি আকস্মিক বন্যা। দূরে কোথাও বা প্রতিবেশী দেশে প্রচুর বৃষ্টি হলে সেই পানি নদীপথে নিচের দিকে আসতে থাকে। এতে বেশি ক্ষতি হয় বাংলাদেশের। সাধারণত এ ধরনের পাহাড়ি ঢল দেখা যায় মে মাসে। যা ইতোমধ্যে তিনবার হয়েছে। আরেকটি আছে মৌসুমি বন্যা। যখন মেঘগুলো হিমালয়ে ধাক্কা খায়, তখন প্রচুর বৃষ্টি হয়। সেই পানি গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনা অববাহিকা দিয়ে বঙ্গোপসাগরে যায়। এই বন্যা তিন অববাহিকাতেই হয়। তিন অববাহিকায় যদি আলাদা আলাদা সময়ে হয় তখন বাংলাদেশের তেমন বিপদ হয় না। পানি নেমে যাওয়ার সময় পায়। কিন্তু একই সময় তিন অববাহিকায় বন্যা হলে দেশের উত্তর, পশ্চিম ও পূর্ব দিক প্লাবিত হয়। বেশি দিন পানি আটকে থাকে। এবারও তাই হচ্ছে।

শেখ রোকন বলেন, মেঘনায় যখন পানি আসে তখন যমুনার পানি নামতে পারে না। আবার একই সময় যদি গঙ্গা দিয়ে পানি আসে, তখন মেঘনা ও যমুনার পানি নামতে পারে না। এবার মেঘালয়, আসাম, অরুণাচল, সিকিম, ভুটান, নেপালে বৃষ্টি হয়েছে। তাই মেঘনা ও যমুনায় বন্যা দেখা দিয়েছে। এরপর বিহার ও পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টি হওয়ায় গঙ্গাতেও বন্যা হয়েছে। এতে বাংলাদেশ প্লাবিত হয়েছে।

বন্যা-চক্র: শেখ রোকন জানালেন, বন্যা একটি চক্র মেনে চলে। পাঁচ থেকে সাত বছর পর পর বড় বন্যা হয়। ২০১৭, ২০১৪, ২০০৭-০৮, ২০০৪, ১৯৯৮, ১৯৯৪ এবং ১৯৮৮ সালে ভয়াবহ বন্যা হয়েছে। এই সাইকেলটা মেনে এবারও বন্যা হয়েছে।

পানি কেন সাগরে যেতে পারছে না: বাংলাদেশের মোট আয়তনের প্রায় ৮০ ভাগ ভূমিই নদ-নদী অববাহিকায় পড়ে। ছোট বড় মিলিয়ে নদ-নদী আছে তিন শতাধিক। এগুলোর কোথাও না কোথাও সারা বছর ভাঙন লেগেই থাকে। বর্ষায় ভারত থেকে আসা ঢলে এ ভাঙন আরও তীব্র হয়। যে পরিমাণ পানি আসে তা বাংলাদেশের বড় নদীগুলো ধারণ করতে পারে না।

বন্যা বড় হওয়ার বিষয়ে শেখ রোকন বলেন, ভারতের মেঘালয় ও আসামে অনেক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলছে। তারা হাইওয়ে করছে। বন উজাড় করছে। বিভিন্ন খনিতে কাজ চলছে। পাহাড়ে যখন গাছপালা থাকে তখন পলিমাটি ধুয়ে নদীতে আসে না। কিন্তু যখন গাছ না থাকে তখন সব ধুয়ে নদীতে যায়। এতে বাংলাদেশের নদীর গভীরতা কমছে ও পানি সমতলে চলে আসছে। সুরমা নদীর তলদেশে বর্জ্য ও পলিথিনের স্তর পেয়েছি আমরা। এ কারণেও নদী পানি ধরে রাখতে পারছে না। এছাড়া যেসব ছরা দিয়ে হাওরে পানি যেত সেগুলোও দখল হয়েছে, সংকুচিত হয়েছে। পানি প্রতিবন্ধকতার আরও কিছু বড় কারণ আছে, যেমননাব্য সংকট, প্লাবন ভূমিতে বাঁধ, সড়ক ও স্থাপনা। এসব জায়গা আগে পানি ধারণ করতো। কিন্তু সেগুলো বন্ধ হয়েছে। জনবসতি হয়েছে। পানি যাওয়ার জায়গা পাচ্ছে না। আমাদের মহাসড়কগুলো পূর্ব-পশ্চিম দিকে আড়াআড়ি করে নির্মাণ করা হয়েছে। এগুলো হওয়া উচিত ছিল উত্তর-দক্ষিণে। পূর্ব-পশ্চিমে মহাসড়ক হওয়ায় পানি সহজে নামতে পারে না।

বালু উত্তোলন: শেখ রোকন বলেন, দেশের সবকটি নদী দিয়ে বালু উত্তোলন করা হয়। নির্বিচারে বালু উত্তোলন করায় নদীর গতিবেগ নষ্ট হয়। ভাটিতে গিয়ে নদীর কোথাও চর পড়ে। এতে পানি প্রবাহও ঠিক থাকে না। এ ছাড়া উজান থেকে প্রবাহ স্বল্পতার কারণেও নদী ভাঙছে। প্রবাহ কমায় উজান থেকে আসা মাটি ও বালু মাঝপথে আটকে যাচ্ছে। তখন তীরে পানির চাপ বাড়ে, বন্যা হয়।

পাহাড়ি ঢল দ্রুত সাগরে নামাতে হলে: হাওর মাস্টারপ্ল্যানে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বুক চিরে যাওয়া নদীগুলো দিয়ে ১ লাখ ৫৯ হাজার কিউসেক (এক কিউসেক মানে প্রতি সেকেন্ডে এক ঘনমিটার পানির প্রবাহ) সাগরে যায়। মোট যত পানি সাগরে নামে তার ৫৬ ভাগ ভারত থেকে আসে। ৪৪ ভাগ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বৃষ্টিপাতের। আর তাই পাহাড়ি ঢল দ্রুত সাগরে নামাতে হলে বাংলাদেশের নদীর প্রবাহ ঠিক রাখতে হবে বলে জানান শেখ রোকন। এছাড়া, প্লাবন ভূমিতে উন্নয়ন কাজ না করা, হাওর অঞ্চলের নদীগুলোর নাব্য ফিরিয়ে আনা এবং নির্বিচারে বালু উত্তোলন বন্ধের পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।


আরও খবর



যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাসের পরও গাজায় বিরামহীন বোমা হামলা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

গাজায় অব্যাহত বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাস হওয়া যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব বাস্তবায়নেরও কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এতে চরম হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন ঘরবাড়ি হারানো লাখ লাখ ফিলিস্তিনি। অর্ধহারে-অনাহারে প্রায় খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাচ্ছেন তারা।

ইউনিসেফের মুখমাত্র জেমস এল্ডার জানিয়েছেন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হওয়ার পরেও গত দুইদিন ধরে গাজায় ভয়াবহ হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এতে চরম হতাশ গাজাবাসী।

তিনি বলেন, নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হওয়ার পর আশায় জেগেছিলেন ক্ষুধার্ত গাজাবাসী। কিন্তু ইসরায়েলের বিরামহীন হামলায় সবকিছু নিরাশায় রূপ নিয়েছে।

গত ৭ অক্টোবরের পর ইসরায়েলের হামলায় গাজায় ৩২ হাজার ৪৯০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৭৪ হাজার ৮৮৯ জন।

গত সোমবার (২৫ মার্চ) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় জরুরিভিত্তিতে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হয়। পাস হওয়া এই প্রস্তাবে গাজায় যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির শর্ত রাখা হয়।

প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত ছিল ইসরায়েলের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। তবে নিরাপত্তা পরিষদের বাকি ১৪টি দেশ প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দেয়।


আরও খবর



নওগাঁয় সন্ত্রাসী বাহিনীর শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ফয়সাল আহম্মেদ, নওগাঁ প্রতিনিধি

Image

নওগাঁয় মোশারফ হোসেন শান্ত ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় শহরের বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকা আদালতের সামনের সড়কে বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকাবাসীর আয়োজনে এ কর্মসূচী পালিত হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা আবুল কালাম আজাদ কবিরাজ এর সভাপতিত্বে পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জামেদ আলীসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন।

এসময় স্থানীয় বাসিন্দা চাঁন মোহাম্মদ চান্দু, আব্দুস ছালাম, গোলাম রব্বানী, সন্ত্রাসী হামলায় আহত ঠিকাদার সাজ্জাদ হোসেন ও তার পরিবারের সদস্যসহ এলাকার প্রায় দুই শতাধিক এলাকাবাসী ঝাঁড়ু হাতে উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন- গত ১৪ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯ টায় শহরের বালুডাঙ্গা বাসস্টান্ড এলাকায় দেশীয় অস্ত্র রামদা, চাপাতি ও হাসুয়াসহ বিভিন্ন অস্ত্র সজ্জিত হয়ে মোশারফ হোসেন শান্ত ১০-১২ জনকে সঙ্গে নিয়ে প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ এর ঠিকাদার সাজ্জাদ হোসেন এর কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেওয়ায় সাজ্জাদকে কুপিয়ে জখম করে মোশারফ হোসেন শান্ত সহ তার সন্ত্রাসী বাহিনীরা। পরে থানায় মামলা হলে মোশারফ হোসেন শান্তসহ তিনজনকে আটক করে আদালতে পাঠায় থানা পুলিশ। ব্যবসায়ীরা ভয়ে ঠিকমতো ব্যবসা পরিচালনা করতে পারছে না। মোশারফ হোসেন শান্তর অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ট। তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান এলাকাবাসী।


আরও খবর



টাঙ্গাইলের এমপির ভাইয়ের বিরুদ্ধে আবারও ধর্ষণের অভিযোগ

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সূত্র ধরে গত দুই মাস আগে টাঙ্গাইলের সংসদ সদস্য তানভির হাসান ছোট মনিরের বড় ভাই গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনিরের সাথে পরিচয় হয় ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রীর। গত বৃহস্পতিবার তাদের প্রথম দেখা হয় উত্তরায়। এর একদিন পর শুক্রবার রাতে আবারো সেখানকার একটি রেস্টুরেন্টে দেখা করার কথা বলে তরুণীকে ডেকে নেন বড় মনির। এরপর তুরাগ থানর প্রিয়াঙ্কা সিটিতে একটি ফ্ল্যাটে নিয়ে যান মেয়েটিকে।

ভুক্তভোগীর অভিযোগ, এই বাসাটিতেই অস্ত্রের মুখে তাকে ধর্ষণ করে বড় মনির। পরে তাকে ফেলে চলে যায় বড় মনির। এরপর ভুক্তভোগী ট্রিপল নাইনে কল করলে, তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ফ্ল্যাটটিতে পরিবারসহ বড় মনিরের বেশ কিছু ছবিও পাওয়া যায়। পাসওয়ার্ড না থাকায় ফ্ল্যাটের সিসিটিভি ফুটেজ তাৎক্ষনিক দেখতে পারেনি পুলিশ। তবে জব্দ করা হয় ডিবিআর মেশিন।

পুলিশ বলছে, আসামী যেই হোক তদন্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে। তুরাগ থানার ওসি আবু সাঈদ মিয়া বলেন, অপরাধ যে করবে তাকে সাজা পেতেই হবে। আমরা আইনগত ভাবেই এগিয়ে যাবো। এখানে বাঁধার কিছু নেই।

এর আগেও ২০২২ সালে ধর্ষণ মামলার আসামী ছিলেন টাঙ্গাইলের এই বড় মনি।
নিউজ ট্যাগ: বড় মনির

আরও খবর



‘নির্বাচনে খরচ ১ কোটি ২৬ লাখ, যেভাবেই হোক তুলবো’

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নাটোর প্রতিনিধি

Image

নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনের সংসদ সদস্য মো. আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, নির্বাচনে আমি ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা খরচ করেছি, এটা তুলবো। এটা যেভাবেই হোক আমি তুলবো। এটুকু অন্যায় করবো, আর করবো না।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে সংসদ সদস্য আজাদকে এমন বক্তব্য দিতে দেখা গেছে। ভিডিওটি গত মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) লালপুর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের। এ নিয়ে জেলাজুড়ে ব্যাপক আলোচনা–সমালোচনা হচ্ছে।

সংসদ সদস্য আবুল কালাম বলেন, আপনার টাকা আমার প্রকল্প থেকে দিয়েছি। আমি তো বাড়ির জমি বিক্রি করে দেইনি। আমার বেতন-ভাতার টাকাটাও দেইনি। আমার ৫ বছরের বেতন-ভাতার ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা ছাড়া আমার কোনো সম্পদ ছিল না। আগামীতেও থাকবে না। তবে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা আমি খরচ করেছি, এটা তুলবো। এটা আমি যেভাবেই হোক তুলবো। এটুকু অন্যায় করবো, আর করবো না।’

তিনি বলেন, ২৫ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা দিয়েছি। ট্যাক্স ফ্রি গাড়ি কিনেছিলাম ২৭ লাখ টাকা দিয়ে। আমি চাইলে ১ কোটি টাকা দিয়ে কিনতে পারতাম। যেহেতু আমার টাকা নেই, আমি ২৭ লাখ টাকা দিয়ে কিনেছিলাম। এবার আমি ওই টাকা দিয়ে কিনব। ওই টাকা, আমি তুলে নেবো এবার। নিয়ে আর কিছু করবো না। খালি এই এক কোটি ২৬ লাখ টাকা তুলব। আমার প্রকল্প থেকে আগে সাইকেল দিয়েছি, দরকার হলে মোটরসাইকেল দেবো, অসুবিধা নেই। আমি অন্যায় করবো না। যার টাকা তাকে দেবো।’

এ বিষয়ে লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন আখতারকে একাধিকবার কল করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে সংসদ সদস্য মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমি তো তা বলিনি। আমি বলেছি, মানুষের তো নির্বাচনে খরচ হয়। সেই খরচের কথা এমনিতে যুক্তি হিসেবে বলেছি। আমি মানুষের উন্নয়নে ও কল্যাণে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করছি।’


আরও খবর



মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকাই সবচেয়ে বড় বিজয়: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকায় সবচেয়ে বড় বিজয়। কখনও পরাজিত মনোভাব নিবেন না কারণ দেশের মানুষ আপনাদের সঙ্গে আছে। একদিন এই মানুষই প্রতিরোধ করে দাঁড়াবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বুধবার (৩ এপ্রিল) বিকেলে  সদর উপজেলার রুহিয়ায় ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির প্রয়াত সভাপতি তৈমুর রহমানের কবর জিয়ারত শেষে পরিবার পরিজনদের সঙ্গে সাক্ষাত শেষে উপস্থিত নেতাকর্মী ও জনতার উদ্দেশ্যে উপরোক্ত কথা বলেন তিনি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমীন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনছারুল হক, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হামিদ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো: কায়েস প্রমুখ।

তিনি বলেন, সারাদেশে একটা ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে। এখানে সাধারণ মানুষের অধিকার বলতে কিছু নেই। গণতন্ত্র বলতে কিছু নেই। সংগ্রাম করে আমরা বেঁচে আছি। আমরা বিশ্বাস করি, আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তারেক রহমানের নেতৃত্বে একদিন এই সরকারকে বিতারিত করতে সক্ষম হবো।

মির্জা ফখরুল বলেন, পৃথিবীতে কোন স্বৈরাচারী শক্তি বেশিদিন টিকতে পারেনি। হিটলার ও নমরুদ ধ্বংস হয়ে গেছে। মানুষের পক্ষে না থাকলে বা তার কল্যাণে কাজ না করলে টিকে থাকা যায় না। এ সরকারও বেশিদিন টিকে থাকতে পারবে না।

বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, প্রশাসন আপনাদের নির্যাতন করছে। আপনারা বিভিন্নভাবে নির্যাতিত হচ্ছেন। বিভিন্ন মামলায় আপনাদের আদালতে হাজিরা দিতে হয়। তারপরও আপনারা মাথা উচু করে দাড়িয়ে আছেন।


আরও খবর
বিএনপির ৭৫ নেতাকে বহিষ্কার

শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪