চরম আর্থিক
সংকটে ভুগতে থাকা পাকিস্তান এক ধাক্কায় ডিজেল-পেট্রোলের দাম ৩৫ রুপি বাড়িয়ে দিয়েছে।
দেশটিতে এখন এক লিটার ডিজেলের দাম ২৬২ রুপি ৮০ পয়সা। আর এক লিটার পেট্রোলের দাম বেড়ে
হয়েছে লিটারপ্রতি ২৪৯ রুপি ৮০ পয়সা। দাম বেড়েছে কেরোসিন ও লাইট ডিজেল অয়েলেরও। কেরোসিনের
দাম হয়েছে লিটারপ্রতি ১৮৯ রুপি ৮৩ পয়সা এবং লাইট ডিজেল ১৮৭ রুপি। গতকাল রোববার (২৯
জানুয়ারি) নতুন দাম চালু করার ১০ মিনিট আগে পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী এই সিদ্ধান্তের
কথা জানান।
সংবাদপত্র ডন
জানাচ্ছে, পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম অনেকটা বেড়েছে। ডলারের তুলনায় রুপির দাম
কমেছে। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে যতটা কম সম্ভব দাম বাড়ানো হয়েছে। গত
চার মাসে পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়েনি।’
হঠাৎ এই ঘোষণা করার কারণ ব্যাখ্যা দিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘তেল ও গ্যাস সংক্রান্ত রেগুলেটরি কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই দাম বাড়ানোর সুপারিশ করেছে। তারপর কিছু জায়গা পেট্রোল-ডিজেল মজুদ করে রাখার রিপোর্ট পাওয়া গেছে। তাই তাড়াতাড়ি দাম বাড়ানো হয়েছে।’ গত বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের রুপির দাম ৩৪ পয়সা কমেছে। এতে পাকিস্তান আরও কঠিন পরিস্থিতিতে পড়েছে।
ডন জানাচ্ছে,
পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়ার পরও সব জায়গায় তা পাওয়া যাচ্ছে না। যেহেতু পাকিস্তানের
হাতে বিদেশি মুদ্রা কম আছে, তাই যথেষ্ট পরিমাণ তেল আমদানি করা যাচ্ছে না। পাকিস্তানে
এভাবে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বাড়ানোর ফলে দুইটি রেকর্ড হয়েছে। পেট্রোলের দাম কখনো
আগে এত বেশি ছিল না। আর একধাক্কায় পেট্রোল ও ডিজেলের দাম ৩৫ রুপি বাড়ানোও রেকর্ড।
গত এপ্রিলে যখন এই সরকার দায়িত্ব নেয় তখন পেট্রোলের দাম ছিল লিটারপ্রতি ১৫০ রুপি ও
ডিজেল ১৪৫ রুপি।
পাকিস্তানের
হাতে এখন দুই লাখ ৬৬ হাজার টন পেট্রোল মজুত আছে। যা দিয়ে ১২ দিনের চাহিদা মেটানো যাবে।
তবে, পাঞ্জাব ও খাইবার পাখতুনখোয়ার অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। সেখানে সাত ও পাঁচদিনের পেট্রোল-ডিজেল
মজুত আছে। গত কয়েক মাস ধরেই পাকিস্তানের তেল সংস্থা ও রেগুলেটরি অথরিটি জানাচ্ছিল,
সেন্ট্রাল ব্যাংক বিদেশি মুদ্রা খরচের ক্ষেত্রে রীতিমতো টানাটানি করায় তারা উপযুক্ত
পরিমাণে তেল কিনতে পারছে না। ফলে দেশে তেল-সংকট থাকবে।