১৯৯৮ সালের পর
আবার পাকিস্তানের মাটিতে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল। পূর্ণাঙ্গ সিরিজ শুরু হচ্ছে আগামী
৪ মার্চ। নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে গত বছর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে না খেলে দেশে ফিরে গিয়েছিল
নিউজিল্যান্ড। নিউজিল্যান্ডের দেখানো পথে পাকিস্তান সফর বাতিল করে ইংল্যান্ড। পাকিস্তান
ক্রিকেটে যখন আবার অন্ধকার নেমে আসার পথে, তখনই ভরসার হাত এগিয়ে দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা
পর্যবেক্ষন করে পাকিস্তান সফরের সবুজ সংকেত দেয় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। জানা যায়, বোর্ডের
এই সিদ্ধান্ত নাকি মেনে নিতে পারেননি অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা। এমনকি অনেকেই পাকিস্তান
সফরে যেতে চাননি। তবে সেই সব তথ্য মিথ্যা বলে দাবি করেছিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। পূর্ণ
শক্তির দল নিয়ে গত সপ্তাহেই পাকিস্তান পৌঁছে যায় অস্ট্রেলিয়া। প্রথমে শুরু হচ্ছে টেস্ট
সিরিজ। কিন্তু সিরিজ শুরুর আগেই অস্ট্রেলিয়ার স্পিনার অ্যাস্টন অ্যাগারকে সোশ্যাল মিডিয়ায়
হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। আবার কাঁপুনি ওঠে অজি শিবিরের অন্দরে। এই অবস্থায়, সাংবাদিকদের
মুখোমুখি স্টিভ স্মিথ।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে
আসতেই, তদন্ত শুরু করে দুই দেশের বোর্ড। তদন্ত শুরু করে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এজেন্সিও।
তদন্তের পর সবারই মনে হয়েছে ফাঁকা আওয়াজ দেওয়া হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার এই হুমকি নিয়ে
তেমন মাথা ব্যথার কিছু নেই। পাকিস্তান সরকারের আয়োজন করা নিরাপত্তা ব্যবস্থায় খুশি
অস্ট্রেলিয়া দল। রাওয়ালপিণ্ডিতে সাংবাদিক সম্মেলনে অস্ট্রেলিয়া দলের সহ-অধিনায়ক স্টিভ
স্মিথ জানান, সোশ্যাল মিডিয়ার কার্যকলাপ নিয়ে আমরা অবগত। এই ধরণের ঘটনা কাঙ্খিত নয়।
অনেক মানুষ এখানে আমাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থার
ওপর বিশ্বাস আছে। পাকিস্তানে আমরা নিরাপদ। আমাদের অনেকের কাছে এটাই প্রথম পাকিস্তান
সফর। আমার সবাই এ দেশে খেলতে মুখিয়ে আছি। পাকিস্তানের মানুষ ক্রিকেট ভালোবাসেন।
পাকিস্তানে ইতোমধ্যে
অনুশীলন শুরু করে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া দল। পেস বোলিংয়ের পাশাপাশি পাকিস্তানে সফল হতে
স্পিন সামলাতে হবে। সেটা নিয়েও প্রস্তুতি তুঙ্গে অজি শিবিরের। শুক্রবার (৪ মার্চ) থেকে
রাওয়ালপিণ্ডিতে শুরু হচ্ছে প্রথম টেস্ট। তিন ম্যাচের সিরজের পরের দুইটি টেস্ট হবে করাচি
ও লাহোরে। সেখান থেকে আবার রাওয়ালপিণ্ডিতে ফিরে আসবে অস্ট্রেলিয়া দল। সেখানেই হবে তিন
ম্যাচের একদিনের সিরিজ ও একটি টি-২০ ম্যাচ।