আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

পাকিস্তানে শপিংমলে অগ্নিকাণ্ড, নিহত ৯

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পাকিস্তানে একটি শপিংমলে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এতে অন্তত ৯ জন নিহত হয়েছে। শনিবার (২৫ নভেম্বর) স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

স্থানীয় সংবাদামাধ্যমে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলের শহর করাচির একটি শপিংমলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

জিও নিউজ জানিয়েছে, শনিবার সকালে জনপ্রিয় এ শহরের বহুতলবিশিষ্ট আরজে শপিংমলে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এ ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিস অন্তত ৫০ জনকে ভেতর থেকে উদ্ধার করেছে। এ ছাড়া অনেকে এখনও ভবনের ভেতরে আটকা রয়েছেন। 

আরও পড়ুন>> নিজেদের তৈরি যুদ্ধবিমানে উড়লেন মোদি

করাচির মেয়র মুর্তাজা ওয়াব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এ খবর নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, অগ্নিকাণ্ডের পর নয়জনের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

তিনি জানান, এখনও পর্যন্ত উদ্ধারকাজ চলমান রয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের কারণ তাৎক্ষণিক জানা যায়নি। এ ছাড়া এ ঘটনায় আহত বেশ কয়েকজনকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



নাবিকদের উদ্ধারের বিষয়ে যা বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সোমালিয়ার জলদস্যুদের কাছে আটক জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও নাবিকদের উদ্ধার প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জলদস্যুদের হাত থেকে নাবিক এবং জাহাজ দুটোই উদ্ধার করার ক্ষেত্রেই অল্প সময়ের মধ্যে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। আশা করছি শিগগির তাদেরকে মুক্ত করতে পারবো। তবে উদ্ধারের দিনক্ষণ বলাটা কঠিন।

তিনি বলেন, আমরা নাবিকদের পরিবারকে আশ্বস্ত করতে চাই, সরকার সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা করছে। প্রথমত যারা অপহরণ করেছে তাদের সঙ্গে বিভিন্ন পক্ষের মাধ্যমে আলোচনা চলছে। দ্বিতীয়ত তাদের ওপর মনস্তাত্ত্বিক প্রচুর চাপ তৈরি করা হয়েছে। নাবিকরা ভালো আছেন, নিয়মিতভাবে তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন, এমনকি ভিডিও কলেও কথা বলছেন। সুতরাং যে উদ্বেগটা কিছুদিন আগে ছিল সেটি এই মুহূর্তে নেই। আমরা আশা করছি তাদেরকে শিগগির মুক্ত করতে পারবো। বুধবার (১০ এপ্রিল) চট্টগ্রাম নগরের দেওয়ানজি পুকুর লেন ওয়াইএনটি সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি দেশে সবসময় গণতন্ত্র হরণ করার জন্য অপচেষ্টা চালিয়েছে এবং এখনো চালিয়ে যাচ্ছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর বিডিআর বিদ্রোহের পেছনে তাদের হাত ছিল। নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত এবং গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যেই সেটি ঘটানো হয়েছে। ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে ১৩ সালে কি ধরণের সন্ত্রাসী ও জঘন্য মানুষ পোড়ানোর মহোৎসব করে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার অপচেষ্টা তারা চালিয়েছিল। ১৪ সালের নির্বাচনে পাঁচশ নির্বাচনী কেন্দ্র জ্বালিয়ে দিয়েছিল এবং নির্বাচনী কর্মকর্তা ও বিদ্যুৎ কর্মকর্তাদের হত্যা করা হয়েছিল। সেটির উদ্দেশ্য ছিল নির্বাচনকে ভণ্ডুল করা, গণতন্ত্রকে ধ্বংস করা। ১৮ সালের নির্বাচনেও একই প্রচেষ্টা ছিল। সর্বশেষ ২৪ সালের বিগত নির্বাচন বর্জন করার মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার অপচেষ্টা চালানো হয়।

চট্টগ্রামে কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা বৃদ্ধি এবং হামলায় একব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, গত মন্ত্রীসভার মিটিংয়ে অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় কিশোর গ্যাং নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে বিভিন্ন জেলা শহরে এই কিশোর গ্যাং তৈরি হচ্ছে। তাদের ব্যাপারে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যাতে যথাযথ পদক্ষেপ নেয় সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন।

তিনি বলেন, কিশোর গ্যাংদের গ্রেপ্তারের পর স্বাভাবিক জেলে না রেখে সংশোধনাগারে পাঠানোর জন্য পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কারণ, সাধারণ জেলে যদি তাদেরকে পাঠানো হয় সেখানে থাকা অন্যান্য সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তারা আরো ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী হয়ে উঠতে পারে। দেশে এটি নতুন সমস্যা, এটিকে দূর করতে সরকার কাজ করছে। কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে নেপথ্যে যেই থাকুক, সে যেই দলেরই হোক তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং হচ্ছে।

দেশবাসীকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আপনারা জানেন আমাদের দেশে রমজান আসার আগে এবং রমজানের সময় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করার জন্য একটি অসাধু চক্র ও কিছু মজুতদার সবসময় সক্রিয় হয়। এবারও তা হয়েছে। সেটির সঙ্গে নতুনভাবে যুক্ত হয়েছিল বিএনপির ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক। তাদের উদ্দেশ্য ছিল বাজারকে অস্থিতিশীল করা, পণ্যের মূল্য যাতে বাড়ে। কিন্তু সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার প্রেক্ষিতে এবার রমজানের সময় বাজার স্থিতিশীল ছিল এবং অনেক পণ্যের দাম কমেছে। 


আরও খবর



ঢাকার বাতাস আজও সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকার বাতাসের মান আজও সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ৮টা ৫৯ মিনিটে ১৯৯ এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শহরটির অবস্থান ১৫তম।

ভারতের দিল্লি, মিসরের কায়রো ও নেপালের কাঠমান্ডু যথাক্রমে ৩৮৫, ১৮৭ ও ১৭১ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।

১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে বাতাসের মান সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর, ১৫১ থেকে ২০০-এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে অস্বাস্থ্যকর বিবেচনা করা হয়। এ ছাড়া ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে খুব অস্বাস্থ্যকর এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।

২০১৯ সালের মার্চে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ুদূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যানসার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।


আরও খবর



শনিবারও চলবে ক্লাস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্ধ অ্যাসেম্বলি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রমজান, ঈদুল ফিতর, নববর্ষের সঙ্গে তীব্র গরমে ঘোষিত ছুটি শেষে আগামী ২৮ এপ্রিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে। অর্থাৎ দাবদাহের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আর বাড়াচ্ছে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এদিকে ঘাটতি পূরণ করতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারও শ্রেণি কার্যক্রম চলবে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। প্রজ্ঞাপনে সই করেছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব মোসাম্মৎ রহিমা আক্তার।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটির ধারাবাহিকতায় তাপপ্রবাহের কারণে গত ২০ এপ্রিল মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের ঘোষিত ছুটি শেষ হওয়ার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে শ্রেণি কার্যক্রম চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

প্রজ্ঞাপণে ২৮ এপ্রিল রবিবার থেকে যথারীতি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে এবং শ্রেণি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে। এ সময় তাপপ্রবাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে।

শ্রেণি কার্যক্রমের যে অংশটুকু শ্রেণিকক্ষের বাইরে পরিচালিত হয়ে থাকে এবং শিক্ষার্থীদের সূর্যের সংস্পর্শে আসতে হয়, সেসব কার্যক্রম সীমিত থাকবে। তাপপ্রবাহ এবং অন্যান্য কারণে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকার ফলে যে শিখন ঘাটতি তৈরি হয়েছে, তা পূরণ এবং নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী শিখন ফল অর্জনের জন্য পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত প্রতি সপ্তাহের শনিবারও শ্রেণি কার্যক্রম চলবে।


আরও খবর



গাজায় প্রবেশ করেছে ৪০০ ত্রাণবাহী ট্রাক

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

গাজায় ৪০০ ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার (২ মে) ইসরায়েলি সরকারি কার্যক্রমের সমন্বয়কারী সংস্থা ট্রাকগুলো গাজায় প্রবেশের অনুমোদন দেয়।

এক এক্স বার্তায় সংস্থাটি জানায়, উত্তর গাজায় বিমান থেকে মানবিক সহায়তা দেওয় হয়েছে। পাশাপাশি ২২ ট্রাক ত্রাণ উত্তর গাজায় সরবরাহ করা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।

গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, এপ্রিলে প্রতিদিন গড়ে ১৬৩টি ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশের অনুমোদন দিয়েছে ইসরায়েল।

তবে ইসরায়েল যে সংখ্যক ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশের অনুমোদন দিয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত কম। কারণ অবরুদ্ধ এলাকায় প্রতিদিন এক হাজার ত্রাণবাহী ট্রাক দরকার।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেছেন, মার্কিন সেনাদের ওপর হামলার পরিকল্পনা হামাসের নেই। অর্থাৎ এরকম কোনো ইঙ্গিত তিনি পাননি।

বর্তমানে গাজা উপকূলে সাময়িকভাবে জেটি নির্মাণ করছে যুক্তরাষ্ট্র। যেখানে এক হাজারের মতো মার্কিন সেনা কাজ করছে। মূলত গাজায় ত্রাণ সহায়তা সরবরাহ করতেই এমন জেটি নির্মাণ করা হচ্ছে।


আরও খবর



ঢাকায় পৌঁছেছে ভূমধ্যসাগরে নিহত ৮ বাংলাদেশির মৃতদেহ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ভূমধ্যসাগরে নিহত ৮ বাংলাদেশির মৃতদেহ ঢাকায় পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিউনিসিয়া থেকে সৌদি এয়ারলাইন্সের এসভি ৮০৮ বিমানে দেশে পৌঁছে ওই আট বাংলাদেশির মৃতদেহ। বিমানবন্দর কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) লিবিয়ায় নিযুক্ত ও তিউনিসিয়ার অনাবাসিক দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল অব আবুল হাসনাত মুহাম্মাদ খায়রুল বাশারের উপস্থিতিতে মিশনের কর্মকর্তারা মৃতদেহগুলো তিউনিস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করেন।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি একটি অভিবাসী দল স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১১টায় নৌকায় লিবিয়ার জোয়ারা উপকূল থেকে ইউরোপের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। যাত্রাপথে তিউনিসিয়া উপকূলে গেলে ভোর সাড়ে ৪টার দিকে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। নৌকায় মোট ৫২ জন যাত্রী এবং একজন চালক ছিলেন। দুর্ঘটনার পর ৪৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। তাদের মধ্যে ২৭ জন বাংলাদেশি নাগরিক। বাকিদের মধ্যে পাকিস্তানের আট জন, সিরিয়ার পাঁচ জন, মিসরের তিন জন এবং নৌকা চালক রয়েছেন।

ওই ঘটনায় নৌকায় থাকা ৯ জন যাত্রী মারা যান। তাদের মধ্যে আট জন বাংলাদেশি এবং একজন পাকিস্তানের নাগরিক। নিহত বাংলাদেশিরা হলেন মামুন শেখ, সজল বৈরাগী, নয়ন বিশ্বাস, রিফাত শেখ, সজীব কাজী, ইমরুল কায়েস আপন, মো. কায়সার ও রাসেল শেখ। তাদের মধ্যে পাঁচ জন মাদারীপুরের এবং তিন জন গোপালগঞ্জের।

ব্র্যাকের সহযোগী পরিচালক (মাইগ্রেশন ও ইয়ুথ প্ল্যাটফর্ম) শরিফুল হাসান বলেন, ওই নৌকায় থাকা আরও ১১ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। তাদের মধ্যে মাদারীপুর রাজৈর উপজেলার দুই জন ব্র্যাকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তারা অভিযোগ করেন, ওই আট জন বাংলাদেশিকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় যেহেতু একটা মামলা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্তে বিস্তারিত উঠে আসবে বলে আশা করছি‌।

পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় ১৯ এপ্রিল ঢাকার বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা করেন নিহত সজল বৈরাগীর বাবা সুনীল বৈরাগী। মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সংঘবদ্ধভাবে খুনের ৩০২ এর ৩৪ ধারা এবং মানবপাচার প্রতিরোধ আইনে মামলা দায়ের দুদিন পর তাদের আটক করা হয়।

মামলার এজাহারে সুনীল বৈরাগী অভিযোগ করেন, তার ছেলে সজল বৈরাগী উন্নত জীবনের আশায় ইতালি যেতে ইচ্ছুক ছিলেন। পূর্ব পরিচিত যুবরাজ কাজী (২৪) এবং লিবিয়ায় অবস্থানরত মোশারফ কাজী ১৪ লাখ টাকার বিনিময়ে সজলকে বৈধ পথে ইতালি পাঠানোর প্রস্তাব দেন। সজল ও তার পরিবার এই প্রস্তাবে রাজি হন। গত বছর ১৭ নভেম্বর গোপালগঞ্জের বাসায় যুবরাজ কাজীর হাতে আড়াই লাখ টাকা এবং পাসপোর্ট দেন সজল। ৩০ ডিসেম্বর সজলকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেওয়া হয়। বিমানবন্দরে প্রবেশের আগেই আরও ৫ লাখ টাকা নেন যুবরাজ কাজী। ৩১ ডিসেম্বর সকাল ৬টায় দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা দেন সজল।

৮ জানুয়ারি গোপালগঞ্জের বাসায় গিয়ে যুবরাজ কাজীর হাতে আরও সাড়ে ৬ লাখ টাকা দেন সুনীল বৈরাগী। এরপর থেকে ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি তিনি। পরে গণমাধ্যমে জানতে পারেন, ১৪ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত সাড়ে ১১টা থেকে ভোর ৪টার মধ্যে লিবিয়া থেকে ইতালি অভিমুখে যাত্রা করা একটি ট্রলারে যে আট বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন তার মধ্যে সজল রয়েছেন।

তিনি অভিযোগ করেন, ২০ জনের একটা চক্র পারস্পরিক যোগসাজশে উন্নত জীবনের প্রলোভন দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে অবৈধভাবে ওই আট জনকে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে পাচার করেন।


আরও খবর