আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

পাকিস্তানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও ওষুধ কোম্পানির দ্বন্দ্ব চরমে

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ওষুধের মূল্য নির্ধারণ নিয়ে পাকিস্তানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও ওষুধ কোম্পানিগুলোর দ্বন্দ্বের জেরে সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়েছেন দেশটির জনগণ। প্রাণরক্ষাকারী বিভিন্ন ওষুধ খোলাবাজারে মিলছে না। সাধারণ লোকজনকে নির্ভর করতে হচ্ছে চোরাকারবারি বা কালোবাজারিদের ওপর।

সরকার ও ওষুধ কোম্পানিগুলোর মধ্যকার দ্বন্দ্বের মূল কারণ অবশ্য পাকিস্তানে চলমান তীব্র অর্থনৈতিক সংকট। দেশটির ওষুধ কোম্পানিগুলোর জোট পাকিস্তান কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগস অ্যাসোসিয়েশনের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে তুরস্কভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, ডলারের মজুত তলানিতে নেমে যাওয়া এবং তার জেরে ধারাবাহিকভাবে পাকিস্তানি রুপির দাম পড়তে থাকায় অন্যান্য জিনিসপত্রের মতো ওষুধের বিভিন্ন কাঁচামালের দামও ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

ফলে ওষুধ উৎপাদনের খরচ গেছে বেড়ে। বাড়তি এই উৎপাদন খরচে ভারসাম্য আনতে গত মাসে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে সব ওষুধের দাম গড়ে ৩৮ শতাংশ বাড়ানোর আর্জি জানিয়েছিল পাকিস্তান কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগস অ্যাসোসিয়েশন। কিন্তু মন্ত্রণালয় সেই দাবি পুরোপুরি খারিজ করে দিয়েছে।

সরকারের এই প্রত্যাখ্যানের পর অ্যাসোসিয়েশনভুক্ত কোম্পানিগুলোর একাংশ ওষুধ তৈরি প্রায় পুরোপুরি বন্ধ রেখেছে। অপর কয়েকটি কোম্পানি এখনও ওষুধ প্রস্তুত করছে। তবে একেবারেই সীমিত পরিমাণে এবং খোলাবাজারে সেসব ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না। গোপনে দ্বিগুণ-তিনগুণ দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে সাধারণ ভোক্তাদের।  

কাটা ঘায়ে নুনের ছিটার মতো এই সংকটকে আরও ঘনীভূত করে তুলেছেন আমদানিকারকরা। ডলার সংকটের কারণে সাধারণ অ্যানেস্থেশিয়া, প্লাজমা থেকে প্রস্তুত ওষুধ-টিকা, ক্যান্সারের চিকিৎসা উপকরণ-ওষুধ ও বায়োলজিক্যাল পণ্যসহ প্রায় ১০০ প্রাণরক্ষাকারী ওষুধ আমদানি বন্ধ বা ব্যাপকভাবে কমিয়ে দিয়েছেন আমদানিকারকরা। ফলে বর্তমানে দেশজুড়ে প্রাণরক্ষাকারী বিভিন্ন ওষুধের জন্য প্রায় হাহাকার চলছে পাকিস্তানে।

পাকিস্তান কেমিস্ট এন্ড ড্রাগস অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তা আব্দুল সামাদ এ সম্পর্কে আনাদোলুকে বলেছেন, এসব ওষুধের অনেকগুলোই হয় আমদানি হচ্ছে না অথবা আইনি বাধ্যবাধকতার কারণে খুব অল্প পরিমাণে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে।

পাকিস্তানের আইন অনুযায়ী একজন আমদানিকারক সরকারের তরফ থেকে যেসব ওষুধ আমদানির অনুমতি পান, তিনি সেগুলো আমদানি করা পুরোপুরি বন্ধ করতে পারেন না। এ কারণেই ওষুধগুলো পরিমাণে অল্প হলেও এখনও বাজারে আছে বলে জানিয়েছেন সামাদ।

সামাদ বলেন , অধিকাংশ আমদানিকারকই তাদের লাইসেন্স ধরে রাখতে অপরিহার্য ও অপরিহার্য নয় এমন কিছু ওষুধ সীমিত পরিমাণে আমদানি করে যাচ্ছেন। ডলারের বিপরীতে রুপির ব্যাপক অবমূল্যায়ন হওয়ায় তাদের জন্য এ ব্যবসা আর লাভজনক হচ্ছে না বলেন সামাদ।

করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে আন্তর্জাতিক বাজারে ওষুধের কাঁচামালের দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন সামাদ।

এদিকে, পাকিস্তানের ওষুধ কোম্পানিগুলোর আরেক জোট পাকিস্তান ফার্মাসিউটিক্যাল মেনুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ফারুক বুখারি জানিয়েছেন, কেবল কাঁচামালের দামই নয় ওষুধ প্রস্তুত ও বাজারে তা পৌঁছানোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য উপকরণ; যেমন জ্বালানি, বিদ্যুৎ, পরিবহন ব্যায়, ওষুধ সংরক্ষণ, মোড়কজাত, সরকারি কর এবং অন্যান্য ব্যয়ও গত কয়েক বছরে বেড়েছে ব্যাপকভাবে।

গত কয়েক বছরে পাকিস্তানে ওষুধ প্রস্তুতে খরচ বেড়েছে প্রায় ৬০ শতাংশ; কিন্তু সরকার ওষুধের দাম সংস্কারে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। সরকারের এই উদাসীনতার কারণে পাকিস্তানের ওষুধ শিল্প ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে আছে, আনাদলুকে বলেন বুখারি।

ডলারের বিপরীতে পাকিস্তানি রুপির বিনিময় মূল্য সর্বকালের সর্বনিম্ন অবস্থানে পৌঁছে ২৮৬ রুপিতে দাঁড়িয়েছে, এতে এটি এখন এশিয়ার সবচেয়ে দুর্বল মুদ্রাগুলোর মধ্যে একটি। ২০২২ এর এপ্রিলের আগেও এক ডলারের বিপরীতে ১৮৮ রুপি পাওয়া যেত।

বর্তমানে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মজুতে আছে মাত্র ৪০০ কোটি ডলার। এই পরিমাণ অর্থ দিয়ে দেশটির দু-সপ্তাহের আমদানি ব্যয়ও মেটানো সম্ভব নয়।

তীব্র অর্থনৈতিক সংকটে টালমাটাল পাকিস্তানের সরকার তাই বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ঋণদাতা সংস্থা আইএমএফের কাছে জরুরিভিত্তিতে ঋণ চেয়েছে; কিন্তু আইএমএফ এখনও ঋণের কিস্তি প্রদানের ব্যাপারে পরিষ্কার কোনো সংকেত দেয়নি।

আনাদলুকে বুখারি বলেন, আমরা যখন ওষুধের দাম ৩৮ শতাংশ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছিলাম, তখন এক ডলারের বিনিময়ে পাওয়া যেতো ২৩৫ পাকিস্তানি রুপি। এখন ডলারের বিপরীতে রুপির বিনিময়মূল্য নেমেছে ২৮৬-তে। এই মুহূর্তে ওষুধের দাম যদি ৩৮ শতাংশ বাড়ানো হয়, তাহলেও আমাদের লোকসান দিতে হবে। তবে এখনও আমরা এই নিয়ে যে কোনো সরকারি প্রস্তাবের জন্য অপেক্ষা করছি।

আনাদোলুকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সরকারের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়ে পাকিস্তানের ওষুধ শিল্পের মালিক, উদ্যোক্তা ও আমদানিকারকদের এই নেতা বলেন, সরকার আমাদের দাবিকে রাজনৈতিকভাবে দেখছে, যা খুবই ভুল ও বিপজ্জনক। যখন পাকিস্তানে গমের দাম বাড়ছে, আলু-পেঁয়াজের দাম বাড়ছে তখন ওষুধের দাম বাড়াতে তাদের কোথায় আপত্তি তা আমাদের বোধগম্য হচ্ছে না।

যাই হোক, সরকারের উদ্দেশে বলতে চাই আমাদের হাতে আর মাত্র একমাস সময় আছে। যদি এর মধ্যে দাম বাড়ানো না হয়, তাহলে ওষুধ কারখানাগুলো বন্ধ হয়ে যাবে এবং পাকিস্তানে ১০ লাখেরও বেশি মানুষ তাদের কর্মসংস্থান হারাবে।

এদিকে পাকিস্তানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে ওষুধ কোম্পানিগুলোর দাবি মেনে নেওয়া সম্ভব নয় সরকারের পক্ষে। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাজিদ শাহ আনাদোলুকে এ সম্পর্কে বলেন, ওষুধ শিল্পমালিক ও আমদানিকারকরা যেসব সমস্যা সম্পর্কে বলেছেন, মন্ত্রণালয় এবং সরকারি ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেসবের ব্যাপারে পুরোপুরি সচেতন এবং তাদের অবস্থাও আমরা বুঝতে পারছি। কিন্তু সত্য হলো এই মুহূর্তে পাকিস্তানের ২২ কোটি মানুষের স্বার্থকে সবার আগে বিবেচনায় আনতে হবে।

ওষুধ কোম্পানির মালিকদের প্রতি আমাদের অনুরোধ এই সংকটকালীন পরিস্থিতিতে সরকারকে সহযোগিতা করুন।


আরও খবর



সরকারি খালে ড্রেজার বসিয়ে রমরমা ব্যবসা

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মতলব (চাঁদপুর) প্রতিনিধি

Image

মেঘনা-ধনাগোদা সেচ‌ প্রকল্পের সেচ খালে অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে মাটি উত্তোলন করছে একটি মহল। উপজেলার ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়নের ডি৪ খালের লুধুয়া, নান্দুরকান্দি, সাহবাজকান্দি অংশের বিভিন্ন জায়গায় দীর্ঘদিন ধরে এমন কার্যক্রম চালিয়ে আসছে মহলটি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় সাহবাজকান্দি এলাকার ডি ৪ খালের অংশে ড্রেজার বসিয়ে মাটি উত্তোলন করা হচ্ছে। জানতে চাইলে রসুলপুর গ্রামের রতন মিরের ছেলে রাকিব মির ঘটনাস্থলে এসে তিনি নিজে বালু উত্তোলন করছেন জানিয়ে সংবাদকর্মীদের হুমকি ধামকি প্রদান করেন।

বিষয়টি সম্পর্কে তাৎক্ষণিক মতলব উত্তর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আল ইমরানকে মুঠোফোনে জানালে তিনি বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত অভিজান পরিচালনা করছি। তবে নিয়মিত মামলা প্রক্রিয়া ব্যতিত কোন উপায় নেই।

বিষয়টি সম্পর্কে মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী জয়ন্ত পাল জানান, জেলা প্রশাসক বরাবর আমরা চিঠি দিয়েছি। প্রশাসনের সহযোগিতায় আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিবো। এদিকে চাঁদপুর জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক একরামুল সিদ্দিক বলেন, মতলব উত্তর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা একি চাকমাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশ দিচ্ছি।

সূত্র জানায় গত ২ সপ্তাহে প্রায় ১০ লাখ ৩০ হাজার টাকা সমপরিমাণ মূল্যের মাটি উত্তোলন করেছে চক্রটি। এদিকে গত কয়েক বছরে প্রায় অর্ধ কোটি ঘনফুটের ও বেশি মাটি এই সেচ খাল থেকে উত্তোলন করেছে চক্রের অন্য সদস্যরা। ড্রেজার স্থাপনের আশেপাশে থাকা বসতঘরের শিক্ষার্থী, মধ্যবয়স্ক, বৃদ্ধ, বৃদ্ধা ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন ড্রেজারের বিকট শব্দে শিশু ও বৃদ্ধদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে। অনিদ্রায় মধ্যবয়স্ক সহ বয়স্কদের বাড়ছে উচ্চ রক্তচাপ।

অবৈধ মাটি উত্তোলন বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার মতলব উত্তর উপজেলার সভাপতি আবু সাইফ বলেন, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট‌ করা আইন বহির্ভূত, প্রশাসন আইনগত ব্যবস্থা নিবে বলে আশা করছি। এদিকে খাল সংলগ্ন কৃষি জমি ভাঙ্গনের ফলে কৃষিখাতে মারাত্মক ক্ষতির আশংকা করে ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সালেহ আহমেদ শাকিল বলেন,‌ কৃষির প্রতি গুরুত্বারোপের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর যে নির্দেশ রয়েছে তা একটি মহল ধ্বংস করার পাঁয়তারা করছে।

কুচক্রী মহলের এমন কার্যক্রম শিঘ্রই বন্ধ না হলে মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের পুরো পরিকল্পনা ক্ষতির সম্মুখীন হবে বলে আশঙ্কা করেন তিনি।

এদিকে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ৪ ও ৫ ধারায় বর্ণিত বালু ও মাটি উত্তোলন নিষিদ্ধ সংক্রান্ত বিধান অমান্য করলে কমপক্ষে ২ বছরের কারাদণ্ড বা সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা বা উভয় দন্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়াও এ আইনে ব্যবহৃত ড্রেজার, বালু বা মাটি সহ যানবাহন ও যন্ত্রপাতি সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত হবে বলে উল্লেখ আছে।


আরও খবর



ঈদযাত্রায় গাজীপুরের চন্দ্রায় গাড়ির জটলা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

প্রিয়জনের সাথে ঈদ উদযাপনে শেষ সময়ে ঘরে ফিরছে মানুষ। ভোর থেকে রাজধানী ছাড়ার বিভিন্ন পয়েন্টে তৈরি হয়েছে গাড়ির জটলা। চালক-যাত্রীদের অভিযোগ ঢাকায় ঢুকতে বা বের হতে লম্বা সময় ধরে সিগন্যালে আটকে থাকতে হচ্ছে, যাত্রাবাড়ী, দোলাইপাড়সহ বিভিন্ন জায়গায়। যদিও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা।

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকায়ও আছে যানবাহনের দীর্ঘ সারি। সোমবার দুপুরের পর গাজীপুরের বিভিন্ন পোশাক কারখানা ছুটি হওয়ায় বিকেলের দিকে শ্রমিকদের স্রোত নামে মহাসড়কে। যাত্রীদের পাশাপাশি সড়কে বাসের সংখ্যাও বাড়তে থাকে, বাড়তে থাকে যানজটও।

এরপর থেকেই অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে শুরু হয়েছে যানজট। চন্দ্রা ত্রিমোড় থেকে নবীনগর ও সফিপুর সড়কে দুই কিলোমিটারের বেশি দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়েছে। চন্দ্রা থেকে কালিয়াকৈর পর্যন্ত থেমে থেমে যানবাহন চলাচল করছে। ফলে গাড়ি চলছে ধীরগতিতে।

এদিকে যাত্রীদের কাছ থেকে মিলছে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগও। ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ও টাঙ্গাইল অংশেও রয়েছে যানবাহনের চাপ। আজ সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব মহাস‌ড়কের টাঙ্গাইল সদরের আশেকপুর বাইপাস থেকে সেতু টোলপ্লাজা পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃ‌ষ্টি হয়েছে। এর আগে ভোরে সেতুর উপর ২২ নম্বর পিলারের কাছে এক‌টি ডাবল ডেকার বাস বিকল হয়ে যাওয়ার পর সে‌টি উদ্ধারে ৫‌ মি‌নিট টোল আদায় বন্ধ ছিল। এতে মহাসড়কে প‌রিবহনের চাপ আরও বেড়ে যায়।


আরও খবর



ইরানের হামলার পর কমেছে তেলের দাম

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরায়েলের ওপর ইরানের হামলার পর বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়ে যাবে, এমন ধারণাই স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু বাস্তবে ঘটেছে বিপরীত ঘটনা। সামান্য হলেও কমে গেছে তেলের দাম। সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকালে এশিয়ান ট্রেডে এই কম মূল্যের প্রবণতাই দেখা গেছে, যদিও সেটা প্রতি ব্যারেল ৯০ ডলারের কাছাকাছিই ছিল। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

তবে এটাও ঠিক, ইসরায়েলের ওপর ইরান আক্রমণের ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই তেলের দাম ওর নেতিবাচক প্রভাব দেখা যাচ্ছিল। গত ছয় মাসের মধ্যে গত সপ্তাহে তেলে দাম ছিল সর্বোচ্চ। গত সপ্তাহের শেষে প্রতি ব্যারেল তেলের দাম ৯২ দশমিক ১৮ ডলার পর্যন্ত হয়েছিল। গতবছরের অক্টোবরের পর থেকে ধরলে সেটা ছিল সর্বোচ্চ। এর পর থেকে কমতে কমতে সেটা ৯০ দশমিক ৪৫ ডলারে নেমেছিল। সোমবার সকালে সেটা আরও ২০ থেকে ৩০ সেন্ট কমেছে।

ইরান বর্তমানে প্রতিদিন ৩০ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল উৎপাদন করে থাকে। তেল উৎপাদনের ক্ষেত্রে ওপেকভূক্ত দেশগুলোর মধ্যে ইরানের অবস্থান চতুর্থ। বিশ্বের মধ্যে সপ্তম। ইসরায়েলে হামলার পর থেকে সবসময়ই একটা পাল্টা আঘাতের আশঙ্কায় রয়েছে ইরান। সে আঘাত ইরানের তেলক্ষেত্রের ওপরও হতে পারে। এসব বিবেচনায় তেল সরবরাহের ক্ষেত্রে ইরান এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি সতর্কতা অবলম্বন করবে।

বিশ্লেষকদের মতে, বিশ্ববাজারে তেলে দাম বাড়া-কমার ক্ষেত্রে হরমুজ প্রণালী একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিশ্বের ২০ শতাংশ তেলবাহী জাহাজ এই সমুদ্রপথ দিয়েই চলাচল করে। ওপেকভূক্ত দেশ সৌদি আরব, ইরান, আরব আমিরাত, কুয়েত এবং ইরাক তাদের বেশির ভাগ তেল এই পথেই রপ্তানি করে। ওমান ও ইরানের মধ্যেকার সংবেদনশীল এই সমুদ্রপথটি শান্তিপূর্ণ থাকলে কমে যায় তেলের দাম।

গত শনিবার ইরান হরমুজ প্রণালী দিয়ে যাওয়ার সময় একটি বাণিজ্যিক জাহাজকে আটক করে। তাদের অভিযোগ ছিল জাহাজটি ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কিত। ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেলে এই হরমুজ প্রণালী কতটুকু নিরাপদ থাকবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে বিশেষজ্ঞদের।

এসব কারণেই, সোমবার হঠাৎ করেই তেলের দামে এই সামান্য মূল্যহ্রাসকে বিশেষজ্ঞরা অবশ্য অত বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন না। তাদের মতে, ইসরায়েলের পক্ষ থেকে পাল্টা হামলা হলেই তেলের দাম আশঙ্কাজনকভাবেই বেড়ে যাবে।


আরও খবর



ফাঁকা বাড়িতে প্রেমিককে ডেকে ফেঁসে যান অনন্যা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বলিউড অভিনেত্রী অনন্যা পাণ্ডে। তার আরেকটি পরিচয় তিনি জনপ্রিয় অভিনেতা চাঙ্কি পাণ্ডের মেয়ে। ছোট বেলা থেকেই ভীতু প্রকৃতির মেয়ে তিনি। বলা যায়, বাবা-মাকে একটু বেশিই ভয় পেতেন অনন্যা। তবে একবার বাবা-মায়ের অনুপস্থিতিতে ফাঁকা বাড়িতে নিজের প্রেমিককে ডেকে ফেঁসে যান এই অভিনেত্রী।

ফাঁকা বাড়িতে নিজের প্রেমিককে ডাকার বিষয়টি টের পেয়ে যান বাবা চাঙ্কি। নিজের জীবনে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত এই ঘটনা নিয়ে প্রথমবার মুখ খুললেন অনন্যা।

অনন্যা বলেন, আমার বাবা লিভিং রুমে ক্যামেরা বসিয়েছিলেন। আমি ভেবেছিলাম, আমাকে ভয় দেখানোর জন্য এটা করেছেন তিনি। আমি খুব ভীতু প্রকৃতির মেয়ে। কখনও বাবা-মায়ের সঙ্গে মিথ্যা বলি না।

আমার যখন বয়স আরও কম ছিল, তখন আমি প্রথম একটি ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়াই। ওই সময়ে মাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম— আমি কি তার প্রস্তাবে রাজি হব?

অভিনেত্রী আরও বলেন, আমি সেদিন কিছুটা ঝুঁকির মধ্যে ছিলাম। কিন্তু নিজেকে সাহসী মনে হচ্ছিল। তবে খুব শান্ত ছিলাম। সেদিন লিভিং রুমে বসে আমার প্রেমিকের সঙ্গে শুধু কথাই বলেছিলাম। যেহেতু লিভিং রুমে ক্যামেরা বসানো ছিল, তাই বাবা আমাদের ভিডিও দেখেছিলেন।

পরবর্তীতে বাবা আমাকে বলেছিলেন— তুমি আমাকে হতাশ করেছ। এ ঘটনার পর বাবা-মাকে ৫ পৃষ্ঠার চিঠি লিখে ক্ষমা চেয়েছিলাম আমি।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে অভিনেতা আদিত্য রায় কাপুরের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে রয়েছেন অনন্যা। যদিও এখন পর্যন্ত বিষয়টি তারা সরাসরি স্বীকার করেননি। তবে প্রকাশ না করলেও নানান জায়গায় একসঙ্গে দেখা যায় তাদের। এমনকি বিদেশেও একসঙ্গে ছুটি কাটান এই প্রেমিকযুগল।


আরও খবর



রোজায় ত্বক ভালো রাখতে যা করবেন

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

রোজায় আমাদের খাদ্যাভ্যাসে বড় পরিবর্তন আসে। তাই এর প্রভাবও পড়ে শরীরে। যে কারণে এসময় শরীরের জন্য সর্বোচ্চ উপকারী খাবার বেছে নিতে পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। রোজায় পানি কম পান করা হলে এবং ভাজাপোড়া ও মসলাদার খাবাার বেশি খাওয়া হলে তার প্রভাব পড়ে আমাদের ত্বকেও। এসময় ত্বক নির্জীব ও শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। তাই রোজায়ও ত্বকের যত্ন নেওয়া জরুরি। চলুন জেনে নেওয়া যাক, রোজায় ত্বক ভালো রাখতে কী করবেন-

ক্লিনজিং : আমাদের ত্বকের উপর মরা চামড়া জমে লোমকূপ বন্ধ করে দিতে পারে। তাই ত্বক সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে। বাইরে থেকে ফিরে ক্লিনজিং ব্যবহার করুন। ভালো মানের ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নেবেন। মুখে বারবার পানির ঝাপটা দেওয়ার চেষ্টা করুন। এতে ত্বক আরাম পাবে।

বরফ ব্যবহার : সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর একটি পরিষ্কার সুতির কাপড়ে এক টুকরা বরফ নিয়ে মুখে ঘষতে পারেন। তবে বরফ কখনোই সরাসরি মুখে লাগাবেন না। এতে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। এভাবে বরফ ব্যবহারের ফলে মুখের ফোলাভাব অনেকটাই কমে যাবে। চোখের নিচের ফোলাভাব দূর করার জন্য ফ্রিজে একটি চা চামচ রেখে দিতে পারেন। এরপর সেই ঠান্ডা চামচ বের করে চোখের নিচে ধরে থাকলে আরাম পাবেন এবং চোখের ফোলাভাবও অনেকটাই দূর হবে।

স্ক্র্যাব করুন : সপ্তাহে দুইদিন ব্যবহার করতে পারেন স্ক্র্যাব। নিয়মিত ক্লিনজিং এর পরও অনেক সময় ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার হয় না। এক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করতে পারে স্ক্র্যাব। বাইরে থেকে না কিনে ঘরেই তৈরি করতে পারেন স্ক্র্যাব। যেমন ধরুন কফি আর মধু দিয়েই আপনি একটি স্ক্যাব তৈরি করে নিতে পারেন। অথবা চালের গুড়া, দুধের সর আর মধু দিয়েও হতে পারে স্ক্র্যাব। তবে এটি বেছে নিতে হবে আপনার ত্বকের ধরন বুঝে।

পাকা পেঁপের প্যাক : রোজায় ইফতারের সময় অনেকেই পাকা পেঁপে খেতে পছন্দ করেন। এটি কিন্তু এসময় আপনার ত্বক ভালো রাখতেও কাজ করবে। সেজন্য আপনার প্রয়োজন হবে দুই চা চামচ পাকা পেঁপের পেস্ট এবং দুই চা চামচ মধু। এবার এই দুই উপকরণ একসঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। মিশ্রণটি ত্বকে ব্যবহার করতে হবে মিনিট পনেরো। এরপর শুকিয়ে গেলে ধুয়ে নিতে হবে। এতে উপকার পাবেন।


আরও খবর