চাপের মুখে অসাধারণ এক সেঞ্চুরি
তুলে নিয়েছিলেন আরিফুল ইসলাম। কিন্তু অন্যদের ব্যর্থতায় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের
পুঁজিটা বড় হয়নি। তাই পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে হার মানতে হয়েছে যুবাদের।
অ্যান্টিগায় সোমবার অনূর্ধ্ব-১৯
বিশ্বকাপের পঞ্চম স্থান প্লে-অফ সেমিফাইনালে ৬ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। রাকিবুল হাসানদের
দেওয়া ১৭৬ রানের লক্ষ্য ২১ বল বাকি থাকতেই ছুঁয়ে ফেলে পাকিস্তানের যুবারা।
টস জিতে ব্যাট করতে নামা
বাংলাদেশের শুরুটাই ভালো ছিল না। ১১.৩ ওভারে ২৩ রান খরচায় তিন উইকেট হারায় তারা। পথ
হারা দলকে আশা দেখান পাঁচে নামা আরিফুল। ওপেনার ইফতেখার হোসেনের সঙ্গে ৫০ রানের জুটি
উপহার দেন।
ইফতেখান ২৫ রান করেন। তিনি
ছাড়া দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেন কেবল মেহরব। ১৪ রান করেন তিনি।
১২২ রানে ৮ উইকেট পড়ে যায়
বাংলাদেশের, আরিফুল তখন ৫৯ রানে উইকেটে। সেখান থেকে একপ্রান্তে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরি
তুলে নেন আরিফুল।
সেঞ্চুরি তুলে নেওয়ার পর
পরই আরিফুল ফিরলে বাংলাদেশের গুটিয়ে যেতে সময় লাগেনি। ৪ বল বাকি থাকতেই বাংলাদেশের
ইনিংস শেষ হয় ১৭৫ রানে।
আরিফুলের ১১৯ বলে ১০০ রানের
ইনিংসে ছিল ৫টি চার ও ৪ ছক্কা। পাকিস্তানের পক্ষে আওয়াইস আলি ও মেহরান মুমতাজ সর্বাধিক
৩টি করে উইকেট নেন।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম
১২ ওভারে ৬২ রান তুলে ফেলে পাকিস্তানের দুই ওপেনার হাসিবউল্লাহ খান ও মোহাম্মদ শেহজাদ।
৩৬ রান করা শেহজাদকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন নাঈমুর রহমান। তবে ইরফান খানকে নিয়ে দ্বিতীয়
উইকেটে আরো একটি ভালো জুটি উপহার দেন হাসিবউল্লাহ। বাংলাদেশও ম্যাচ থেকে ছিটকে যায়
পুরোপুরি।
হাসিবউল্লাহ ১০৭ বলে ৪টি
করে চার ও ছক্কায় ৭৯ রান করে ফেরেন। ইরফান ৫৪ বলে ২৪ রান করেন। চারে নামা আব্দুল ফাসেহ
অপরাজিত ২২ রানের ইনিংসে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।
বাংলাদেশ হারলেও ম্যাচসেরা
হয়েছেন সেঞ্চুরিয়ান আরিফুল। যুব বিশ্বকাপের চলতি আসরে বাংলাদেশের পক্ষে তিনিই প্রথম
সেঞ্চুরিয়ান। এই মঞ্চে সব আসর মিলে বাংলাদেশের সপ্তম ব্যাটার হিসেবে সেঞ্চুরির কীর্তি
তার।
এই ম্যাচ হারায় গত আসরের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের পঞ্চম বা ষষ্ঠ হওয়ার আশাও শেষ হয়ে গেল। বৃহস্পতিবার সপ্তম স্থান নির্ধারণী ম্যাচে রাকিবুলরা খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। একই দিন পঞ্চম স্থান নির্ধারণী ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলবে পাকিস্তান।