আজঃ রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

পাকিস্তানের অধিনায়কত্ব ফিরে পাচ্ছেন বাবর!

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

ভারতে অনুষ্ঠিত সবশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপে পাকিস্তানের ব্যর্থতার পর রদবদল শুরু পাকিস্তান ক্রিকেটে। যার দরুণ দলের নিয়মিত অধিনায়ক বাবর আজমকে সরিয়ে দেয় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তাতে অবশ্য সাফল্যের দেখা মেলেনি। ফলে আবারও বাবরের দ্বারস্ত হচ্ছে পিসিবি। এমনটাই জানিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম ক্রিকেট পাকিস্তান।

পিসিবির একটি সূত্রের বরাত দিয়ে ক্রিকেট পাকিস্তান জানিয়েছে, শাহীন আফ্রিদিকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পণা করছে পিসিবি। বোর্ড ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে বাবর আজমকে অধিনায়ক হিসেবে পুনর্বহাল করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

জানা গেছে, প্রথমে শাহীনের স্থলাভিষিক্ত হওয়ার জন্য মোহাম্মদ রিজওয়ান বেশ এগিয়ে ছিলেন। বাবর আজমও ছিলেন। তবে পিসিবির সিকিভাগ কর্মকর্তা বাবরকে দায়িত্ব দেওয়ার পক্ষে। তাতে বাবর অধিনায়ক হচ্ছেন, এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।

তবে বাবর এ মেয়াদে অধিনায়ক হওয়া নিয়ে দ্বিধায় ভুগছনে বলে জানিয়েছে সূত্রটি। জানা গেছে, আগেরবার অধিনায়কত্ব থেকে অপসারণ করায় অসন্তুষ্ট ছিলেন বাবর। এর ফলেই আবার দায়িত্ব গ্রহণ করতে দ্বিধা বোধ করছেন তিনি। তবে তিনি বোর্ডকে কিছু শর্ত দিয়েছেন। সেগুলোর নিশ্চয়তা পেলেই কেবল আবার অধিনায়কত্ব করতে রাজি।

উল্লেখ্য, ২০২৩ বিশ্বকাপের পর বাবর আজমকে সীমিত ফরম্যাট থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর শাহীন আফ্রিদি টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে নেতৃত্ব পান। পরবর্তীতে টেস্টের নেতৃত্ব থেকেও সরে দাঁড়ান বাবর। তার জায়গায় দলের নেতৃত্বভার পান শান মাসুদ।

তবে নতুন অধিনায়কদের অধীনে কোনো ফরম্যাটেই ভালো কিছু করতে পারেনি পাকিস্তান। অস্ট্রেলিয়ায় তিনটি টেস্টই হেরেছে তারা। নিউ জিল্যান্ডে গিয়ে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজেও ৪-১ ব্যবধানে হেরে দেশে ফিরতে হয়েছে শাহীনের দলকে।


আরও খবর



দেশবাসীকে জয়ের ঈদ শুভেচ্ছা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। বৃহস্পতিবার সকালে ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই শুভেচ্ছা জানান।

জয় লিখেছেন, সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা। আজকের দিনটি সবার জন্য হোক আনন্দ ও উৎসবের। ঈদ বার্তা বয়ে আনুক শান্তি ও সম্প্রীতির। আনন্দ উদযাপনের পাশাপাশি আজকের দিনে সুবিধাবঞ্চিত সব শ্রেণির মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি সবাই, এটাই ইসলামের শিক্ষা। ঈদ মোবারক!

এদিকে, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


আরও খবর



রিজার্ভ বেড়ে ফের ২০ বিলিয়ন ডলারের উপরে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

আমদানির চাহিদা অনুযায়ী বৈদেশিক মুদ্রা না থাকায় বাজারে ডলার বিক্রির ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমে আসছিল। তবে ঈদের আগে কিছুটা চাঙা ছিল রেমিট্যান্স প্রবাহ। তাই ফের কিছুটা বেড়েছে রিজার্ভ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আইএমএফের গণনা পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী- রিজার্ভ এখন ২ হাজার ১০ কোটি ডলারে (২০ দশমকি ১০  বিলিয়ন) পৌঁছেছে। যেখানে গত মাসের ২৭ মার্চেও ছিল ১ হাজার ৯৪৫ কোটি ডলার।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ঈদের আগে প্রবাসীরা বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এছাড়া রপ্তানি প্রবাহও বেড়েছে। এসব কারণেই মূলত রিজার্ভ কিছুটা চাঙ্গা।

তবে এর বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে, যা শুধু আইএমএফকে দেওয়া হয়। এটি প্রকাশ করা হয় না। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সেই হিসাবে দেশের ব্যয়যোগ্য প্রকৃত রিজার্ভ এখন ১৫ বিলিয়ন ডলারের ঘরে।

প্রতি মাসে প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার হিসেবে এ রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটাতে কষ্টসাধ্য হবে বাংলাদেশের জন্য। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সেই মানদণ্ডে বাংলাদেশ এখন অনেকটা শেষ প্রান্তে রয়েছে।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের শুরুতে গ্রোস রিজার্ভ ছিল ২৯ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলার। আর বিপিএম-৬ অনুযায়ী ছিল, ২৩ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, সংকটের কারণে রিজার্ভ থেকে বাজারে প্রচুর ডলার বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া গত মাসে আকুর বিলও পরিশোধ হয়েছে। রপ্তানি ও রেমিট্যান্স প্রবাহ কম। এসব কারণেই মূলত রিজার্ভ কমছে।


আরও খবর



প্লাস্টিক দূষণের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী কোকা-কোলা ও পেপসিকো: গবেষণা

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বিশ্বব্যাপী প্লাস্টিক দূষণের অর্ধেকের জন্য দায়ী মাত্র ৫৬টি কোম্পানি। এর মধ্যে কোকা-কোলা একাই মোট ১১ শতাংশ প্লাস্টিক দূষণের জন্য দায়ী। সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। কোকা-কোলা ছাড়াও ব্র্যান্ডেড প্লাস্টিক দূষণের জন্য দায়ী শীর্ষ কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে (শনাক্তকৃত) পেপসিকো, নেসলে এবং ড্যানোন।

দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, বুধবার (২৪ এপ্রিল) 'সায়েন্স অ্যাডভান্স' জার্নালে প্রকাশিত একটি নতুন গবেষণায় ছয়টি মহাদেশের বেশ কিছু বড় কোম্পানি বা ব্র্যান্ড এর নাম উঠে এসেছে, যারা ব্র্যান্ডেড প্লাস্টিক দূষণের সাথে জড়িত। গবেষকরা এক লাখের বেশী স্বেচ্ছাসেবীদের সহায়তায় ১ দশমিক ৮ মিলিয়নের বেশি প্লাস্টিক বর্জ্য তাদের গবেষণার জন্য আলাদা করেছেন।

প্রতি বছর বিভিন্ন কোম্পানি সাড়া পৃথিবীতে প্রায় ৪০০ মিলিয়ন মেট্রিক টন প্লাস্টিক উৎপাদন করে। এই প্লাস্টিকের কিছু নদী বা সমুদ্র সৈকতে জমা হয়ে পানির স্বাভাবিক স্রোতে বাধা সৃষ্টি করে। আবার কিছু প্লাস্টিক ভেঙ্গে অতিক্ষুদ্র মাইক্রোপ্লাস্টিক বা ন্যানোপ্লাস্টিকেও পরিণত হয়। এ ধরনের অতিক্ষুদ্র প্লাস্টিক বাতাসে ভাসতে পারে। এমনকি মানুষের ফুসফুস ও রক্তসহ অন্যান্য অঙ্গে প্রবেশ করতে পারে।

তথ্য সংগ্রহের জন্য বিশ্বব্যাপী হাজার হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্লাস্টিক 'নিরীক্ষা' পরিচালনা করেছেন। তারা সতর্কতার সাথে সমুদ্র সৈকত, পার্ক, নদী এবং অন্যান্য এলাকায় অনুসন্ধান চালিয়ে প্লাস্টিকের ধ্বংসাবশেষ সংগ্রহ করেছেন। তারা প্লাস্টিক বর্জ্যের প্রতিটি অংশ পরীক্ষা করে দৃশ্যমান ব্র্যান্ড বা ট্রেডমার্ক চিহ্নিত করেছে। ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ব্রেক ফ্রি ফ্রম প্লাস্টিক নামের সংস্থাটি এক হাজার ৫৭৬টি নিরীক্ষা সমন্বয় করেছে।

পরীক্ষা চালানো ১ দশমিক ৮ মিলিয়নেরও বেশি প্লাস্টিকের মধ্যে প্রায় ৯ লাখ ১০ হাজার প্লাস্টিকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দৃশ্যমান চিহ্ন পাওয়া গেছে। [সূর্যালোক এবং আবহাওয়ার সংস্পর্শে আসার কারণে প্লাস্টিক তার ব্র্যান্ড মার্কারগুলো (চিহ্ন) হারাতে পারে।]  ব্র্যান্ডের দৃশ্যমান চিহ্নের ওপর ভিত্তি করে ব্র্যান্ডেড প্লাস্টিক দূষণের জন্য দায়ী শীর্ষ কোম্পানিগুলো (শনাক্তকৃত) হলো কোকা-কোলা, পেপসিকো, নেসলে এবং ড্যানোন।

কোকা-কোলার একজন মুখপাত্র মেইলে কোম্পানিটির 'ওয়ার্ল্ড উইদাউট ওয়েস্ট' নামক কৌশলের কথা উল্লেখ করে জানান, কোকা-কোলা ২০২৫ সালের মধ্যেই বিশ্বব্যাপী শতভাগ পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্যাকেজিং ব্যবস্থা চালু করার চেষ্টা করছে। পাশাপাশি ২০৩০ সালের মধ্যে কোম্পানিটি প্যাকেজিংয়ের জন্য ৫০ শতাংশ পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপাদান ব্যবহার করতে চায়।

এ ছাড়া নেসলে জানিয়েছে, নতুন প্লাস্টিকের ব্যবহার এক-তৃতীয়াংশ কমিয়ে আনা এবং প্যাকেজিংয়ের জন্য আরো বেশি করে পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপাদান ব্যবহার করা কোম্পানির মূল লক্ষ্য। আর পেপসিকো ইমেইলের মাধ্যমে জানিয়েছে, কোম্পানিটি প্লাস্টিক দূষণ মোকাবেলায় একটি বৈশ্বিক নীতি কাঠামোর পক্ষে এবং এমন একটি অর্থনীতি গড়ে তুলতে কাজ করছে যেখানে প্লাস্টিক পুনরায় ব্যবহার করা সম্ভব।

এদিকে বিশ্বব্যাপী প্লাস্টিক সমস্যা সমাধানে একটি চুক্তি করার ব্যাপারে আলোচনার জন্য এই সপ্তাহে অটোয়াতে বিশ্ব নেতারা এবং মধ্যস্ততাকারীরা একত্রিত হবেন। অনেক পরিবেশগত সংস্থা এবং দেশগুলো এমন একটি চুক্তি চায় যা প্লাস্টিক উৎপাদন হ্রাস করবে যা মার্কিন মধ্যস্ততাকারীরা প্রতিরোধ করে আসছে। শিল্প গোষ্ঠী এবং সংস্থাগুলো যুক্তি দিয়েছে, বারবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক উৎপাদন, উন্নত রিসাইকেল ব্যবস্থা এবং উন্নত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্লাস্টিক উৎপাদন ব্যাহত না করেই এ সমস্যাটির সমাধান করতে পারে।

ওয়ার্ল্ড প্লাস্টিক কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বেনি মারম্যানস বলেন, "আমাদের সদস্যরা বারবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের সরবরাহ বাড়াতে বিভিন্ন অবকাঠামোতে বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে যাতে ব্যবহৃত প্লাস্টিকগুলো বর্জ্য, ভূমি বা পুড়িয়ে ফেলার মাধ্যমে পরিবেশে প্রবেশ করতে না পারে।" তবে প্লাস্টিক শিল্পের সাথে জড়িত সংশ্লিষ্টদের দাবি, প্লাস্টিক বিশ্ব অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে। এর উৎপাদন কমালে তা নিম্ন আয়ের মানুষের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।

গবেষকরা শুধু পুনর্ব্যবহার বাড়ানো বা বৃত্তাকার অর্থনীতির গুরুত্বের উপর জোর না দিয়ে প্লাস্টিক উৎপাদন কমানোর বিষয়টিকেও গুরুত্ব দিচ্ছেন। তেল ও গ্যাস উৎপাদনকে লক্ষ্য করে জলবায়ু নীতি থাকা সত্ত্বেও জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে তৈরি হওয়া প্লাস্টিক এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখছে। আন্তর্জাতিক শক্তি সংস্থা ধারণা করছে, প্লাস্টিকের জন্য এ শতাব্দীর মাঝামাঝি তেলের চাহিদা অর্ধেক বৃদ্ধি পাবে। আর বিজ্ঞানীরা ইতোমধ্যেই জানিয়েছেন, প্লাস্টিক উৎপাদনে বিধিনিষেধ না থাকায় সেটি পরিবেশের ক্ষতি করার পাশাপাশি মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।


আরও খবর



নতুন গাড়ি কিনে আলোচনায় নীতা আম্বানি

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

নীতা মুকেশ আম্বানি একজন ভারতীয় ব্যবসায়ী ও জনহিতৈষী। তিনি রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন, ধীরুভাই আম্বানি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের চেয়ারপার্সন ও প্রতিষ্ঠাতা এবং রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের একজন পরিচালক। তিনি রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুকেশ আম্বানির স্ত্রী।

বিলাসবহুল জীবনযাত্রার জন্য সুপরিচিত নীতা আম্বানি। দামি শাড়ি, গয়না, জিনিসপত্র, বিমান, জুতা, ঘড়ি সব কিছুর প্রতি বিশেষ আকর্ষণ রয়েছে নীতা আম্বানির। সম্প্রতি ছোট ছেলে অনন্ত আম্বানির বিবাহ অনুষ্ঠানের পর ফের আলোচনায় এলেন তিনি।

সম্প্রতি বিলাসবহুল রোজ কোয়ার্টজ শেডের Rolls Royce Phantom VIII EWB গাড়ি কিনেছেন নীতা আম্বানি। প্রায় ১২ কোটি টাকা দামের গাড়িটির ডিজাইনেও রয়েছে বিশেষত্ব। সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল চর্চা চলছে এই গাড়ি নিয়ে। গাড়িটি কাস্টোমাইজ করা, তাই আসলে কত দাম পড়েছে সেটা এই মুহূর্ত অনুমান করা যাচ্ছে না।

ভারতে এই বিলাসবহুল সেডানের গাড়ির দাম প্রায় ১২ কোটি টাকা (অন-রোড)। কাস্টমাইজেশন বিকল্পগুলির জন্য আলাদা মূল্য দিতে হবে। নীতা আম্বানি যে বিলাসবহুল সেডানটি কিনেছেন সেটিক সবচেয়ে বিশেষ জিনিস হল এর রং। এর লোয়ার বডি রোজ কোয়ার্টজ এবং আপার বডি ভেলভেট অর্কিড।


আরও খবর



গাজায় দুর্ভিক্ষ, ২৪ ঘণ্টায় নিহত ৭৫ ফিলিস্তিনি

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরায়েলের অবিরাম গণহত্যা অভিযানে তছনছ হয়ে যাওয়া ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে দুর্ভিক্ষ হানা দিয়েছে। সেখানে ভিক্ষা দেওয়ার মতো মানুষ নেই। অনাহারে মারা যাচ্ছে শিশুরা। খাবারের অভাবে অপুষ্টির কারণে এরই মধ্যে শিশুসহ ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ হচ্ছে। তবে ইসরায়েল অসহায় ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা-হাঙ্গামা জারি রেখেছে। শুক্রবার (২৯ মার্চ) জুমা দিনে মসজিদসহ বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালিয়ে অন্তত ৭৫ জনকে হত্যা করেছে। এসব ঘটনায় প্রায় দেড়শ মানুষ আহত হয়েছে। এ নিয়ে ৭ অক্টোবর থেকে গতকাল পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩২ হাজার ৬০০ ছড়িয়ে গেছে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, ইতোমধ্যে উত্তর গাজায় দুর্ভিক্ষ শুরু হয়েছে, যা সম্ভবত সম্পূর্ণরূপে বিরাজমান।’

জাতিসংঘ বারবার সতর্ক করে বলছে, মে মাসে পুরো গাজায় দুর্ভিক্ষ ছড়িয়ে পড়বে। এ অব্স্থায় গাজায় বাধাহীন ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দিতে গত বৃহস্পতিবার ইসরায়েলকে নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)। পরদিন শুক্ররার মার্কিন এক কর্মকর্তা উত্তর গাজার দুর্ভিক্ষ নিয়ে মুখ খুললেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই মার্কিন কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, গাজার মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলে এখনও দুর্ভিক্ষ শুরু হয়নি, তবে ঝুঁকি রয়েছে। ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতির অর্থ হলো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই জরুরিভাবে’ উত্তর গাজায় খাবার পাঠাতে হবে।

ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের নিয়ে কাজ করা জাতিসংঘের বিশেষ সংস্থা-ইউএনআরডব্লিউএর মুখপাত্র তামারা আলরিফাই এর আগে আলজাজিরাকে বলেছিলেন, প্রতিদিন গড়ে ১৫৫ ট্রাক গাজায় প্রবেশ করছে, সেখানে ফিলিস্তিনিদের চাহিদা মেটাতে ন্যূনতম ৫০০ ট্রাক খাবার প্রয়োজন।

গতকাল জাতিসংঘ শিশু তহবিলের মুখপাত্র জেমস এলডার বলেছেন, গাজায় যার সঙ্গেই কথা হচ্ছে, তিনি বলছেন; আমাদের খাদ্য প্রয়োজন। সব কথার আগে তারা এটিই বলছেন।’

গত সপ্তাহে জাতিসংঘ-সমর্থিত একটি প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছিল, মার্চের মাঝামাঝি থেকে মে মাসের মধ্যে যে কোনো সময় উত্তর গাজা দুর্ভিক্ষের শিকার হতে পারে। এতে আরও বলা হয়, গাজার ২৩ লাখ জনসংখ্যার ৭০ শতাংশেরও বেশি মানুষ বিপর্যয়কর ক্ষুধার সম্মুখীন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার গণহত্যা অভিযান থামাতে তেমন কোনো উদ্যোগ নেননি। গত বৃহস্পতিবার রাতে জো বাইডেনের একটি তহবিল সংগ্রহ অনুষ্ঠানে তার বিরুদ্ধে স্লোগান দেন একদল মানুষ। তাদের বলতে শোনা যায়, মিস্টার প্রেসিডেন্ট, আপনার হাতে ফিলিস্তিনিদের রক্ত। ইসরায়েলকে ফিলিস্তিনে গণহত্যা থামাতে বলুন।’ এ সময় অনুষ্ঠান মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সাবেক দুই প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন ও বারাক ওবামা।

পবিত্র রজমান মাসে গাজায় যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল, তা নজিরবিহীন। গাজার এক বাসিন্দা আলজাজিরাকে বলেছেন, আমরা মৃত্যু মুখেও রোজা রাখছি।’


আরও খবর