
‘তেরে বিন’ নামের এক পাকিস্তানি
টিভি ধারাবাহিক নিয়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। গত বছরের ডিসেম্বরে
জিও টিভিতে প্রচার শুরুর পর দর্শকমহলে সাড়া ফেলেছে ধারাবাহিকটি। পাকিস্তানের গণ্ডি
পেরিয়ে ভারতেও আলোচিত হয়েছে ধারাবাহিকটি।
এতে মুরতাসিম ও মেরাব নামে স্বামী-স্ত্রীর
চরিত্রে অভিনয় করেছেন ওয়াহাজ আলী ও ইয়ুমুনা জায়েদি; দুজনের দাম্পত্যজীবনের টানাপোড়েনে
এগিয়ে যেতে থাকে ধারাবাহিকটির গল্প। গল্পের বাঁকবদলে একসময় দুজনের মধ্যে রসায়ন জমে
ওঠে, দর্শকেরাও তা উপভোগ করছিলেন।
আরও পড়ুন<< শাকিব খানের ক্যারিশমা দেখেই আসছি বিশ বছর ধরে: আসিফ
তবে দিন তিনেক আগে ৪৬তম পর্ব প্রচারে আসার
পর ধারাবাহিকটি নিয়ে বিতর্কের ঝড় ওঠে। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের এক খবরে বলা
হয়, কথা–কাটাকাটির জেরে
মুরতাসিমকে (ওয়াহাজ আলী) চড় মারেন ও তাঁর মুখে থুতু দেন তাঁর স্ত্রী মেরাব (ইয়ুমুনা
জায়েদি) । এরপর উত্তেজিত হয়ে মেরাবকে বিছানায় ফেলে দিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন মুরতাসিম।
যে দৃশ্য নিয়ে বিতর্ক উঠেছে সেই দৃশ্যে বৈবাহিক ধর্ষণ কিংবা নিপীড়নকে ইঙ্গিত করা হয়েছে, যেটি সামনের পর্বে খোলাসা করা হবে। দৃশ্যটি মোটেই ভালোভাবে নেননি দর্শকেরা। টুইটারে ‘শেম অন তেরে বিন’ হ্যাশট্যাগে অনেকেই ধারাবাহিকটি নিয়ে লিখছেন। কেউ কেউ বলছেন, এমন দৃশ্য না রাখলেও চলত। অনেকে বলছেন, অভিনয়শিল্পীদেরও সমালোচনা করছেন।
আরও পড়ুন<< বিদেশ যাওয়ার অনুমতি পেলেন জ্যাকলিন
সমালোচনার মধ্যে ধারাবাহিকের লেখক নুরান
মাখদুম বলেন, ধারাবাহিকের চিত্রনাট্যের প্রয়োজনেই দৃশ্যটির প্রয়োজন ছিল। দর্শকেরা বিষয়টি
গ্রহণ না করলেও সেটি পরিবর্তন করতে পারি না। এটি শুধুই একটি নাটক। পুরো ধারাবাহিকটি
প্রচারের জন্য অপেক্ষায় থাকতে হবে।সিরিজটি নির্মাণ করেছেন সিরাজ উল হক।