আজঃ রবিবার ১২ মে ২০২৪
শিরোনাম

পাল্টা মামলা করব: রোজিনার স্বামী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৮ মে ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মে ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিবের একান্ত সচিব মো. সাইফুল ইসলাম ভূঞার কক্ষে রোজিনাকে আটক করার পর প্রায় সাড়ে ৫ ঘণ্টা সেখানে তাকে আটকে রাখা হয়। রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায় পুলিশ

সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে সচিবালয়ে প্রায় ছয় ঘণ্টা আটকে রেখে হেনস্তা করার অভিযোগ এনে তাতে জড়িত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করতে চান তার স্বামী মনিরুল ইসলাম মিঠু।

প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনাকে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি নথি চুরির চেষ্টা এবং মোবাইলে ছবি তোলার অভিযোগে গ্রেপ্তার দেখানোর পর সোমবার গভীর রাতে শাহবাগ থানায় এ কথা বলেন তার স্বামী।

সচিবালয়ে রোজিনাকে হেনস্তা করার ঘটনা বর্ণনা করে মিঠু বলেন, আমরা আইনি পদক্ষেপ নেব আমরা কাউন্টার মামলা করব একটা।

মামলায় কী অভিযোগ করবেন- এই প্রশ্নে তিনি বলেন, তার ব্যাগের ভেতরে কত কিছু ছিল। টাকাপয়সা ছুঁড়ে ফেলে দিছে। শারীরিকভাবে হেনস্তা হয়েছে। এখানে ওখানে চামড়া উঠে গেছে। তাকে গলা চেপে ধরেছে, তাকে ফেলে দিয়েছে। তার ব্যাগ যখন কেড়ে নিয়েছে, হাত মোচড় দিয়েছে, এখানে (হাতে) লাল হয়ে আছে।

সোমবার দুপুরের পর স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিবের একান্ত সচিব মো. সাইফুল ইসলাম ভূঞার কক্ষে রোজিনাকে আটক করার পর প্রায় সাড়ে ৫ ঘণ্টা সেখানে তাকে আটকে রাখা হয়। রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিব শিব্বির আহমেদ বাদী হয়ে অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে মামলা করেন তার বিরুদ্ধে।

রোজিনার বরাতে মিঠু জানান, সচিবালয়ের ওই কক্ষে সে সময় তিনজন পুরুষ এবং একজন নারী ছিলেন, যারা হেনস্তায় জড়িত। 

সচিবালয়ে আটক অবস্থায় সোমবার সন্ধ্যায় রোজিনা অসুস্থ হয়ে পড়লে সাংবাদিকরা তাকে হাসপাতালে নিতে বলেছিলেন, তবে কর্মকর্তারা তাতে সাড়া দেননি। পরে রাতে রোজিনাকে থানায় নেওয়ার পর তার ছোট বোন সাবিনা পারভীন সুমী সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ও অসুস্থ। ওর শরীর ভালো না। গায়ে জ্বর। সকালে টিকা নিয়েছে। ওর শারীরিক অবস্থা নিয়ে আমরা শঙ্কিত।

এরপর রাত পৌনে ১২টার দিকে মামলা করার খবর দিয়ে পুলিশ রোজিনাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিতে চাইলেও পরিবার তাতে আপত্তি জানিয়ে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে নেওয়ার দাবি জানান। পুলিশ তাতে রাজি না হওয়ায় রাতে থানাতেই থাকতে হয় প্রথম আলোর এই জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদককে।

ঢাকা মেডিকেলে নেওয়ার বিষয়ে আপত্তির কারণ জানতে চাইলে মিঠু বলেন, রোজিনার ছয়টা অসুখ, ১৪টা ওষুধ খায়। এখন ওর শরীরের অবস্থা ভালো না। কিন্তু ওরা যেখানে নিতে চাচ্ছে, ঢাকা মেডিকেলে। আমি ঢাকা মেডিকেলের বিষয়ে অবজেকশন দিয়েছি, কারণ ওখানে করোনা। নেবে জরুরি বিভাগে। ওখানে যারা রোগী যায়, পজিটিভরা ভর্তি হয়, আর যারা কাটাছেঁড়া বা হালকা উপসর্গ নিয়ে আসে, তারা জরুরি বিভাগে যায়।

আগের শারীরিক অসুস্থতার মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে রোজিনার অবস্থা বাজে হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন মিঠু।


আরও খবর



উন্নয়ননের অপর নাম শেখ হাসিনা : মাহবুবুর রহমান

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নাজনীন শিকদার (দোহার-নবাবগঞ্জ)

Image

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে উন্নয়ন হয় এটা সকলের জানা। সরকারের কাজ উন্নয়ন করা আর উন্নয়নের অপর নাম শেখ হাসিনা।

শনিবার ঢাকার দোহার উপজেলায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুর রহমান এ মন্তব্য করেন।

মাহবুবুর রহমান বলেন, আমার রাজনীতির জীবনে স্বপ্ন ছিলো তৃণমূলের মানুষদের সেবা করবো। মহান আল্লাহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে আমাকে সেই দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি আমাকে দেওয়া দায়িত্ব অক্ষরে অক্ষরে পালন করে যাচ্ছি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।

চেয়ারম্যান বলেন, আমি কারো মুখের কথায় কোনো উন্নয়ন কাজ করি না। আমি সরাসরি ওই এলাকায় গিয়ে যেসকল উন্নয়ন প্রয়োজন তাই করে দিচ্ছি।

এসময় দিনব্যাপি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুর রহমান প্রায় ১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ২টি আরসিসি রাস্তা, একটি ড্রেন ও একটি মসজিদের উন্নয়ন ফলক উদ্বোধন করেন।

উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল রাজ্জাক, উপসহকারী প্রকৌশলী মোতালেব হোসেন, নারিশা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি শেখ শাহাবুদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব, সাজ্জাদ হোসেন সাজু, মোস্তফা মোল্লা, আজাদ খান, চঞ্চল মোল্লা, মুক্তার হোসেন, মেহেদী হাসান সাদ্দামসহ বিভিন্ন স্তরের নেতা কর্মীরা।

নিউজ ট্যাগ: দোহার

আরও খবর



খোলাবাজারে ডলার ১২৫ টাকা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ডলারের দাম ১১০ থেকে ১১৭ টাকা বেঁধে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন থেকে ক্রলিং পেগ নামের নতুন পদ্ধতিতে ডলার কেনাবেচা হবে। এই পদ্ধতিতে ডলারের রেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১১৭ টাকা। এর সঙ্গে এক টাকা যোগ বা বিয়োগ করতে পারবে ব্যাংকগুলো। সেক্ষেত্রে ডলারের দাম আরও বেড়ে হতে পারে ১১৮ টাকা।

অন্যদিকে ডলারের দাম ব্যাংকে ৭ টাকা বাড়লেও মানি এক্সচেঞ্জলোতে বেড়েছে ৯ টাকা পর্যন্ত। বর্তমানে মানি এক্সচেঞ্জগুলোতে প্রতি ডলার বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকা। ডলারের সঙ্গে অন্য মুদ্রায়ও এর প্রভাব পড়েছে কার্ব মার্কেটে (খোলাবাজার)। বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাজধানীর ফকিরাপুল, পল্টন, মতিঝিল এলাকার মানি এক্সচেঞ্জগুলো ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।

খোলাবাজারের পাশাপাশি ব্যাংকের এলসি খোলার দামও বেড়েছে। বুধবার (৮ মে) ১১৫ টাকায় এলসি খুলেছিল যেসব ব্যাংক তারাও আজ বৃহস্পতিবার ১১৭ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১১৮ টাকা দর নিচ্ছে বলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে।

উল্লিখিত এলাকাগুলোতে বুধবার প্রতি ডলার কেনার রেট ছিল ১১৪ টাকা ৫০ পয়সা, বিক্রি হয়েছে ১১৬ টাকায়। বৃহস্পতিবার বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকা। আর কেনার ক্ষেত্রে এক্সচেঞ্জ হাউজগুলো যে যার মতো করে দর ঠিক করে দিচ্ছে।

এদিন পল্টন এলাকায় মিলন নামে একজনের সঙ্গে কথা হয়। একটি মানি এক্সচেঞ্জের নির্বাহী হিসেবে আছেন তিনি। ক্রেতা সেজে মিলনের কাছে ডলার কিনতে চাইলে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত হয়েছে বিকেলে। এখনো সিদ্ধান্তই নিতে পারিনি কত দামে বিক্রি করবো। বিকেলের দিকে ভিসা-পাসপোর্ট নিয়ে আসেন দেখি কী করা যায়।

পরে চলে আসার সময় পেছন থেকে ডাক দেন তিনি। বলেন, মামা যদি কিনতে চান এক দাম লাগবে ১২৫ টাকা। যদি নিতে চান তাহলে ওই চায়ের দোকানে আসেন।

সাইদুল নামে অন্য একজন বলেন, মামা এখন গোয়েন্দা-এনএসআই-ডিজিএফআই আছে। আপনি সত্যিকারের ক্রেতা নাকি গোয়েন্দা বুঝি কেমনে। এখনো বিক্রি শুরু করিনি, অল্প পরিমাণ আছে, সন্ধ্যায় কল দিয়ে আসবেন। দোকানের বাইরে গিয়ে দিয়ে আসবো।

তবে দাম কত নেবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগে আসেন, তারপর বাধবে না (দাম নিয়ে)। তবে ১২৫ টাকার নিচে দেওয়া যাবে না।

এদিকে ডলারের সঙ্গে অন্য মুদ্রা বিনিময় দামও বেশি চাওয়া হচ্ছে। বেশিরভাগ মানি একচেঞ্জের কর্মকর্তারা বলেন, ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় অন্য মুদ্রার দামও বেড়েছে। বুধবার পর্যন্ত ভারতীয় মুদ্রা এক টাকা ৪০ পয়সা ছিল, আজ (বৃহস্পতিবার) এক টাকা ৫০ পয়সা দরে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। অন্য দেশের মুদ্রার দামও বাড়িয়েছেন তারা।


আরও খবর



এবার ভরিতে ১৮৭৮ টাকা কমল স্বর্ণের দাম

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের বাজারে ফের কমল স্বর্ণের দাম। সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৮৭৮ টাকা কমানো হয়েছে। এর ফলে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম হয়েছে ১ লাখ ৯ হাজার ১৬৩ টাকা।

আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে এ দাম কমানো হয়েছে। আগামীকাল শুক্রবার থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।

নতুন দাম অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৯ হাজার ১৬৩ টাকা। ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪ হাজার ১৯৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৮৯ হাজার ৩১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৪ হাজার ২৭৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

অবশ্য স্বর্ণের গহনা কিনতে ক্রেতাদের এর থেকে বেশি অর্থ গুনতে হবে। কারণ বাজুস নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে স্বর্ণের গহনা বিক্রি করা হয়। সেইসঙ্গে ভরি প্রতি মজুরি ধরা হয় ন্যূনতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা।

স্বর্ণে দাম কমানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ক্যাটেগরি ভেদে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের রুপা ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপা ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপা ১ হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এর আগে গত ৩০ এপ্রিল, ২৯ এপ্রিল, ২৮ এপ্রিল, ২৭ এপ্রিল, ২৫ এপ্রিল, ২৪ এপ্রিল ও ২৩ এপ্রিল সাত দফা স্বর্ণের দাম কমানো হয়। সবশেষ গত ৩০ এপ্রিল ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের ৪২০ টাকা কমানো হয়।


আরও খবর



ব্যাংকক পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে ছয় দিনের সরকারি সফরে স্থানীয় সময় বুধবার দুপুর ১টা ০৮ মিনিটের দিকে ব্যাংকক পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ সময় ব্যাংককের ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে থাই উপপ্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল তাকে স্বাগত জানান। বিমানবন্দরে তাকে স্ট্যাটিক গার্ড অব অনার এবং ১৯ বার গান স্যালুট দেওয়া হয়।

থাইল্যান্ডের মিনিস্টার ইন অ্যাটেনডেন্স পুয়াংপেত চুনলাইয়েদ, বাংলাদেশে থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিতমোর এবং থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল হাই বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, প্রধানমন্ত্রী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে সকাল ১০টা ১৩ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।

১৯৭২ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর এই প্রথম বাংলাদেশ থেকে থাইল্যান্ডে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে সফর। ২৪ থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত সফরকালে থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী এবং জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (এসকাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেবেন।


আরও খবর



বাংলাদেশের জলসীমায় এমভি আবদুল্লাহ

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জলদস্যুর কবল থেকে মুক্ত হওয়া বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ বাংলাদেশের জলসীমায় পৌঁছেছে। সোমবার (১৩ মে) বিকেলে কুতুবদিয়া পৌঁছাবে জাহাজটি। সেখানে কিছু চুনাপাথর খালাস করা হবে। এর দুদিন পর (১৫ মে) জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছাবে। সেখানে বাকি মালামাল খালাস করা হবে।

শনিবার (১১ মে) দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএমের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম। তিনি বলেন, ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর বোঝাই করে গত ২৯ এপ্রিল জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের মিনা সাকার বন্দর ত্যাগ করে। গত বৃহস্পতিবার (৯ মে) এটি বঙ্গোপসাগরের জলসীমায় পৌঁছে।

কার্গো নিয়ে আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত যাওয়ার পথে গত ১২ মার্চ দুপুরে এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। অস্ত্রের মুখে দস্যুরা সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখে। আটকের পর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জিম্মিকালীন মালিকপক্ষের তৎপরতায় সমঝোতা হয় জলদস্যুদের সঙ্গে।

১৩ এপ্রিল বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ৩টা ৮ মিনিটের দিকে এমভি আবদুল্লাহ থেকে দস্যুরা নেমে যায়। এর আগে একই দিন বিকেলে দস্যুরা তাদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ বুঝে নেন। একটি বিশেষ উড়োজাহাজে মুক্তিপণ বাবদ ৩ ব্যাগ ডলার এমভি আবদুল্লাহর পাশে সাগরে ছুড়ে ফেলা হয়। স্পিড বোট দিয়ে দস্যুরা ব্যাগ ৩টি কুড়িয়ে নেন। দস্যুমুক্ত হয়ে ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাতে সোমালিয়ার উপকূল থেকে আরব আমিরাতের পথে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ।

২১ এপ্রিল এমভি আবদুল্লাহ সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়াহ পৌঁছে। সেখানে কার্গো খালাস করে জাহাজটি একই দেশের মিনা সাকার থেকে কার্গো লোড করে দেশের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।

কবির গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন এমভি আবদুল্লাহ আগে গোল্ডেন হক নামে পরিচিত ছিল। ২০১৬ সালে তৈরি বাল্ক কেরিয়ারটির দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার এবং প্রস্থ ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। গত বছর জাহাজটি এসআর শিপিং কিনে নেয়। বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলকারী এরকম মোট ২৩টি জাহাজ আছে কবির গ্রুপের বহরে।

২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল বাংলাদেশি জাহাজ জাহান মণি। ওই সময় জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়। নানাভাবে চেষ্টার পর ১০০ দিনের চেষ্টায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা।


আরও খবর