আজঃ সোমবার ০৬ মে ২০২৪
শিরোনাম

পাঁচ ব্যাংককে দেওয়া চিঠি ভবিষ্যতের জন্য সতর্কবার্তা: বাংলাদেশ ব্যাংক

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তারল্যসংকটে পড়া শরিয়াহভিত্তিক পাঁচ ব্যাংককে লেনদেন থেকে বিরত রাখার বিষয়ে চিঠি দেওয়ার কথা স্বীকার করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়ের নিয়মিত কাজ বলে জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানটি। তবে লেনদেন থেকে বিরত রাখার বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

নির্ধারিত সময়ের (২৬ ডিসেম্বর) পর পরিস্থিতি কী হয়, সেটা দেখে সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যদিও ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চিঠি পাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন ছেপেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক রোববার দুপুরে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য জানান। সংকটে থাকা পাঁচ ব্যাংক হলো ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংক। সব কটি ব্যাংকই চট্টগ্রামের এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন।

গত শুক্রবার একাধিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি হিসাবে ঘাটতির কারণে এই পাঁচ ব্যাংকের লেনদেন সেবা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এসব ব্যাংকে পাঠানো চিঠিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিস বলেছে, দীর্ঘদিন ধরে ব্যাংকগুলোর সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চলতি হিসাবের স্থিতি ঋণাত্মক। বিষয়টি বারবার অবহিত করার পরও ব্যাংকগুলো উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেয়নি।

তাই বাংলাদেশ ব্যাংক চলতি হিসাবের ঋণাত্মক স্থিতি সমন্বয়ের জন্য ২০ কর্মদিবস সময় বেঁধে দিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, ২০ দিনের মধ্যে চলতি হিসাবের ঋণাত্মক স্থিতি সমন্বয় করা না হলে ক্লিয়ারিং বা নিষ্পত্তির ব্যবস্থা থেকে ব্যাংকগুলোকে বিরত রাখা হবে। ফলে চেক ক্লিয়ারিং, অনলাইন অর্থ স্থানান্তর, এটিএম সেবাসহ তাদের বেশির ভাগ সেবা বন্ধ হয়ে যাবে। এই ২০ কর্মদিবসের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ২৬ ডিসেম্বর।

বাংলাদেশ ব্যাংকের চিঠিতে বলা হয়েছে, মতিঝিল কার্যালয়ের ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট বিভাগে রক্ষিত আপনাদের চলতি হিসাবের মাধ্যমে বিভিন্ন লেনদেন নিষ্পত্তি, যেমন চেক ক্লিয়ারিং সেবা (বিএসিপিএস), অনলাইন অর্থ স্থানান্তর (বিইএফটিএন), এটিএম ও ইন্টারনেট সেবার মাধ্যমে অন্য ব্যাংক থেকে সেবা গ্রহণ (এনপিএসবি) ও তাৎক্ষণিক অর্থ স্থানান্তর (আরটিজিএস) সেবার লেনদেন সম্পন্ন হয়ে থাকে। আপনাদের চলতি হিসাবের স্থিতি পর্যালোচনা করে দেখা যাচ্ছে যে চলতি হিসাবের স্থিতি দীর্ঘদিন যাবৎ ঋণাত্মক, যা স্বাভাবিক ব্যাংকিং প্রক্রিয়ার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মেজবাউল হক বলেন, ২৬ ডিসেম্বরের পর কী হবে, তখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক সেই সিদ্ধান্ত নেবে। মতিঝিল অফিসের চিঠিটি ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এমন চিঠি কেন্দ্রীয় ব্যাংক সব সময় দিয়ে থাকে। এটা ভবিষ্যতের জন্য সতর্কবার্তা।

মেজবাউল হক বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয় এ নিয়ে চিঠি দিলেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগ। ইসলামি ধারার ব্যাংকগুলোর কাঠামোগত সমস্যার কারণে কিছু ব্যাংক তারল্যসংকটে পড়েছে। এ ব্যাপারে ভবিষ্যতে কাজ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র বলেন, দেশের ব্যাংক খাতে আমানতের ২২ শতাংশ পেয়েছে ইসলামি ধারার ব্যাংকগুলো, আর ঋণের ২৬ শতাংশ দিচ্ছে তারা। পাশাপাশি প্রবাসী আয়ের ৪০ শতাংশ এসব ব্যাংক আনছে। ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ ৯ শতাংশের বেশি হলেও ইসলামি ধারার ব্যাংকগুলোয় গড় খেলাপি ৪ শতাংশের মধ্যে। কাঠামোগত সমস্যার কারণে ইসলামি ধারার ব্যাংকগুলোতে কিছু তারল্য সমস্যা হয়েছে।

ইসলামি ধারার শুধু এই পাঁচ ব্যাংকই কেন সংকটে, এই প্রশ্নের জবাবে মেজবাউল হক বলেন, এগুলোর ব্যবসার ধরন একই রকম। আর সব ব্যাংক একই সময়ে সমস্যায় পড়বে, এটাও কোনো কথা না। আজকে যেই ব্যাংক ভালো, কাল সেটা খারাপ হতে পারে। আবার সংকটে পড়া ইস্টার্ণ ব্যাংক এখন ভালো ব্যাংকগুলোর একটি। ওরিয়েন্টাল ব্যাংককেও ঠিক করতে মূলধন বিনিয়োগ করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংক খাতের জন্য যখন যা প্রয়োজন, সেই পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এই পাঁচ ব্যাংককে বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা ছাপিয়ে দিচ্ছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে মেজবাউল হক বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক নানা

উপায়ে ব্যাংকগুলোকে টাকা ধার দিয়ে থাকে। এটা নিয়মিত প্রক্রিয়া। মুদ্রানীতিতে টাকার সরবরাহ বাড়ানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। এবারের নীতিতে ৩৪ হাজার কোটি টাকার সরবরাহ বাড়ানোর লক্ষ্য আছে। ইতিমধ্যে ১৮ হাজার কোটি টাকা সরবরাহ করা হয়েছে।

শুধুই কাঠামোগত নাকি এসব ব্যাংকে সুশাসনের সমস্যাও আছে, আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পদক্ষেপ কী হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে মেজবাউল হক বলেন, এর মধ্যে দুটি ব্যাংকে পর্যবেক্ষক (ইসলামী ও ফার্স্ট সিকিউরিটি) নিয়োগ দেওয়া আছে। তাঁরা ব্যাংকগুলো গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন।

মুখপাত্র আরও জানান, এখন মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান লক্ষ্য। এরপর বহিস্থ চাপ থেকে বের হয়ে এলে সংকটে পড়া ব্যাংকের সুশাসন ফেরাতে কাজ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।


আরও খবর



ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে নিহত ৯

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভূমধ্যসাগরের ল্যাম্পেডুসা দ্বীপে চোরাকারবারিদের নৌকা ডুবে ৯ জন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার ওই দুর্ঘটনার কবলে পড়া ২২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইতালীয় উপকূলরক্ষী। মার্কিন সংবাদমাধ্যম এপি এ খবর জানিয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখনও ১৫ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

জীবিতদের বরাত দিয়ে জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) জানিয়েছে, স্টিল-বটম বোটটি গিনি, বুর্কিনা ফাসো, মালি ও আইভরি কোস্ট থেকে ৪৬ জন মানুষকে নিয়ে রোববার রাতে তিউনিসিয়ার স্ফ্যাক্স থেকে যাত্রা শুরু করেছিল। তারা বলেন, বুধবার সকালে নৌকাটি ডুবে যায়।

সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে একটি ৬ মাস বয়সি শিশু ও আটজন পুরুষ রয়েছেন। বেঁচে থাকা ছয়জনকে গুরুতর হাইপোথার্মিয়া ও ডিহাইড্রেশনের জন্য চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। আর দুইজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সাধারণত গ্রীষ্মের কাছাকাছি সময় আফ্রিকা থেকে ইউরোপে আসার প্রবণতা বেড়ে যায়। তখন নৌকাডুবির উদ্বেগও বাড়ে। তাই ইতালীয় বন্দরের নিয়ম অনুযায়ী দাতব্য সংস্থার উদ্ধারকারী নৌকার  কার্যক্রম সীমাবদ্ধ করে দেয়।

ইতালির অতি-ডান-নেতৃত্বাধীন সরকার সম্প্রতি দাতব্য নৌকাগুলোকে উদ্ধারের পর উত্তর বন্দরে যাওয়ার নির্দেশ দিচ্ছে। তাদের কার্যক্রম কমিয়েছে। নিয়ম লঙ্ঘন করার অভিযোগে নৌকাগুলোকে আটক করছে।

ইউএনএইচসিআর-এর মুখপাত্র ফেদেরিকো ফসি বলেন, গ্রীষ্মকাল আসার সঙ্গে সঙ্গে এমন ঘটনা আরও ঘটতে পারে। কারণ এ সময় আরও বেশি সংখ্যক মানুষ সম্পূর্ণ অপ্রস্তুত নৌকা নিয়ে ইতালি যাচ্ছে।

ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন জানিয়েছে, এই বছর এ পর্যন্ত উত্তর আফ্রিকা থেকে ইতালিতে আসার পথে ভূমধ্যসাগরে ৩৮৫ জন নিখোঁজ হয়েছেন। ২০১৪ সালে নিখোঁজ অভিবাসী প্রকল্প চালু করার পর থেকে ২৩ হাজার ১০৯ জন নিখোঁজ হয়েছে।


আরও খবর



তৃতীয় ধাপের উপজেলা ভোটের তফসিল হতে পারে আজ

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপের নির্বাচনের তফসিল হতে পারে আজ। নির্বাচন কমিশনের সভায় সুনির্দিষ্ট এ একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) কমিশনের ৩১তম বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল সভাপতিত্ব করবেন। রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে বিকেল ৩টায় কমিশন সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভার আলোচ্য সূচিতে উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের তফসিলের বিষয়টি রাখা হয়েছে। বৈঠকে কমিশন যদি সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল আজ ঘোষণা হতে পারে।

এর আগে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের তফসিল ঘোষণা করে ইসি। আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে ১৫০টি উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে আর দ্বিতীয় ধাপের ১৬১ উপজেলার ভোট গ্রহণ করা হবে ২১ মে। আগামী ২৩ মে প্রথম ধাপের ভোট অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছিল কমিশন। এইবারের উপজেলা নির্বাচনে বাধ্যতামূলকভাবে অনলাইনে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার বিধান রেখে নতুন বিধিমালা করেছে ইসি। সেই অনুযায়ী প্রথম ধাপের মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ আজ।


আরও খবর



পহেলা বৈশাখ : পথের বাঁকে বাঁকে নিরাপত্তার আঁচ

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নতুন সূর্য ওঠার মধ্য দিয়ে ১৪৩১ বঙ্গাব্দের প্রথম প্রভাতেই শুরু হয়েছে বর্ষবরণ। এদিন ভোর থেকে রমনার বটমূল থেকে গান, কবিতায় বরণ করা শুরু হয় বাংলা নতুন বছর ১৪৩১।

এদিকে সকালে সোয়া ৯টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা থেকে বেরোয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। বর্ষবরণ ও মঙ্গল শোভাযাত্রায় নিরাপত্তা দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পথের বাঁকে বাঁকে নিরাপত্তার আঁচ তৈরি করেছে।

রোববার (১৪ এপ্রিল) নববর্ষের প্রথম দিন সকালে রাজধানী শাহবাগ মোড়কে কেন্দ্র করে বাংলামোটর, মৎস ভবন মোড়, টিএসসি রোড এবং কাটাবনের দিকে যাওয়ার প্রতিটি প্রধান সড়কের বাইরে পাশের রোডগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

গুরুত্বপূর্ণ রোডগুলোতে দৃশ্যমান আইনশৃঙ্খলা সদস্যদের মোতায়েন করে রাখা হয়েছে। এছাড়া সার্বিক নিরাপত্তা দিতে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা সাদা পোশাকে দায়িত্ব পালন করছেন। র‍্যাবকেও দৃশ্যমান টহল দিতে দেখা গেছে। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ শাহবাগ মোড়ে প্রায় শতাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। তৈরি করা হয়েছে ওয়াচ টাওয়ার।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একজন সদস্য বলেন, সার্বিক বিষয় নিরাপত্তা দিতেই বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

এদিকে গতকাল শনিবার (১৩ এপ্রিল) রমনা বটমূলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, পহেলা বৈশাখ বাঙালি জাতিসত্তার অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রকাশ। এ কারণে বার বার এ আয়োজনে আঘাত হানা হয়েছে, জঙ্গি হামলা হয়েছে। তাই সবকিছু মাথায় রেখেই আমাদের নিরাপত্তা পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোনো হামলার শঙ্কা নেই।

তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে দিনটি সারাদেশে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় পালিত হবে। প্রধান অনুষ্ঠান ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রমনা বটমূল, সংসদ ভবন এলাকা, হাতিরঝিল, রবীন্দ্র সরোবরসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। ডিএমপির পক্ষ থেকে সব অনুষ্ঠান ঘিরেই ব্যাপক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

যেসব জায়গায় অনুষ্ঠান হবে সিসিটিভি দিয়ে পুরো এলাকার নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ করা হবে। এছাড়া, ওয়াচ টাওয়ার, ড্রোনের মাধ্যমে আশে-পাশের এলাকায় নজরদারি করা হবে। পুরো এলাকা এসবির ইক্যুইপমেন্ট ও ডিএমপির ডগ স্কোয়াডের মাধ্যমে সুইপিং করা হবে, এরইমধ্যে এসব কাজ শুরু হয়েছে। বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট স্ট্যান্ডবাই থাকবে।


আরও খবর



চবির অধিভুক্ত হলো আরও চারটি কলেজ

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রামের আরও চার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) অধিভুক্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে চবি অধিভুক্ত কলেজের সংখ্যা দাঁড়ালো ৯টি। রোববার (২১ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব রোখছানা বেগম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশনা ও অনুশাসন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নিম্নোক্ত নয়টি (পুরাতন পাঁচটিসহ) কলেজকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করার জন্য এ বিভাগ থেকে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

এ অবস্থায়, উক্ত অনুশাসন যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় কার্যকরী পদক্ষেপ সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে এ বিভাগে প্রেরণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখিত নতুন চারটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান  হলো- সরকারি সিটি কলেজ, গাছবাড়ীয়া সরকারি কলেজ, চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজ ও পটিয়া সরকারি কলেজ।

এর আগে চট্টগ্রামের ৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়েছিল। কলেজগুলো হলো- চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ, হাজী মুহম্মদ মহসিন সরকারি কলেজ, স্যার আশুতোষ সরকারি কলেজ, সরকারি কমার্স কলেজ ও সাতকানিয়া সরকারি কলেজ।


আরও খবর



তীব্র গরম থেকে রক্ষা পাওয়ার ১০ উপায়

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

এ বছর বাংলা নতুন বছরের প্রথম মাস অর্থাৎ বৈশাখ শুরুর আগেই হয়েছে দাবদাহ। ইতোমধ্যে দেশের কোথাও কোথাও তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছে। আবহাওয়া অফিস থেকেও জানানো হয়েছে আগামী দুই দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।

পূর্বাভাস বলছে, চলমান দাবদাহ আরও চার দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। এমন গরমে দীর্ঘ সময় রোদে থাকলে হিটস্ট্রোক হয়ে অসুস্থ হয়ে যেতে পারে লোকজন। শিশু ও বয়স্কদের জন্য এই ঝুঁকি আরও বেশি। তীব্র গরম থেকে রক্ষা পেতে যা করবেন

১. পাতলা ও হালকা রঙের পোশাক পরুন

২. বাড়ির বাইরে থাকার সময় সরাসরি রোদ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন

৩. শরীরে পানিশূন্যতা এড়াতে অতিরিক্ত পানি ও শরবত পান করতে হবে

৪. স্যালাইন পানিতে থাকা সোডিয়াম, পটাশিয়াম ও চিনি শরীর সজীব রাখতে বিশেষভাবে কার্যকর। দীর্ঘ সময় গরমে থাকলে স্যালাইন পান করুন।

৫. গ্রীষ্মকালীন ফল দিয়ে তৈরি তাজা জুস পান করুন

৬. মাংস এড়িয়ে বেশি করে ফল ও সবজী খান

৭. প্রস্রাবের রঙ খেয়াল করুন। প্রস্রাবের গাঢ় রঙ পানি স্বল্পতার লক্ষণ।

৮. সব সময় ছাতা বা টুপি সাথে রাখুন

৯. ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করতে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন

১০. চেষ্টা করুন যেন দিনে কম বাইরে যেতে হয়


আরও খবর