দেশকে খাদ্যে
স্বয়ংসর্ম্পূন করতে কৃষি বিভাগ নানান পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন। দেশের মানুষের প্রয়োজনীয়
খাদ্য উৎপাদনে সরকারি অর্থায়নে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার, কীটনাশক, উন্নতমানের দেশী-বিদেশী
জাতের বীজ,নগদ অর্থ প্রদানসহ কৃষি প্রদর্শনী গ্রহন করছেন।বিদেশী নারিকেল চারার কথা
বলে দেশীয় প্রদান করেন এমন অভিযোগ কৃষি-বিভাগের বিরুদ্ধে।
জয়পুরহাটের
পাঁচবিবি উপজেলার বড়মানিক গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক (মুকুল) ২০১৭
সালে ৩ বিঘা জমিতে ভিয়েত নামে খাটো জাতের ১০৯টি নারিকেল চারা রোপন করে।
কৃষক মুকুলের
অভিযোগ চারাগুলো জেলার জামালগঞ্জ হার্টিকালচার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে সরকারি
প্রনোদণা হিসাবে পেলেও প্রতিটি চারা ৫’শ টাকা মূল্যে কিনতে হয়েছে। চারা রোপনের ২-৩ বছরের মাথায় নারিকেল ধরার
কথা থাকলেও ৫ বছর অতিবাহিত হলেও সব গাছে নারিকেল ধরেনি।
সরেজমিন বাগান
ঘুরে দেখা যায়, ১০ থেকে ১২টি গাছে প্রচুর পরিমানের ছোট এবং গোলাকার নারিকেল ধরেছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর অফিসের লোকেরা বিদেশীর কথা বলে দেশীয় নারিকেল চারা দিয়েছে।
বাগান করতে জমি,সার, ঔষধ ও শ্রমিক খরচ বাবদ এ পর্যন্ত আমার প্রায় ৫ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে।
সবগুলো গাছে যদি নারিকেল ধরত তাহলে আমি অনেক লাভবান হতাম। আমার নারিকেল বাগান দেখে
অনেক শিক্ষিত যুবক চাকুরীর আশায় বসে না থেকে বাগান করতেন। যে গাছগুলোতে নারিকেল ধরছে
না সে গাছগুলো কেটে অন্য ফসলও ফলাতে পারছি না পরে যদি আবার নারিকেল ধরে। পরর্বতীতে
যদি নাই ধরে তাহলে এতগুলো জমিতে আমি গত ৫ বছরে অন্য ফসল লাগালে অনেক আয় হত বলেও হতাশায়
রয়েছে ওই কৃষক মুকুল। কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর অফিস আমার সঙ্গে প্রতারনা করেছেন বলে
তিনি অভিযোগ করছেন।
জয়পুরহাট জেলার জামালঞ্জ হার্টিকালচার সেন্টারের উপ-পরিচালক ড. রবিআহ নূর আহম্মেদ বলেন, প্রর্দশনীর চারা কৃষককে টাকা দিয়ে কিনতে হয় না।চাষীরা নিয়মিত অফিসে যোগাযোগ করলে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হয় বলেও তিনি জানান।