আজঃ মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

পাপুলের ৯২টি তফসিলভুক্ত স্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ

প্রকাশিত:রবিবার ২৭ ডিসেম্বর ২০২০ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
এনআরবি কমার্শিয়ালসহ তিনটি ব্যাংকে পাপুলের শ্যালিকা জেসমিন প্রধানের নামে পাঁচটি হিসাবে জমা হয় মোট ১৪৮ কোটি ৪১ লাখ টাকা। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্যক্তি ও অনেকের ব্যাংক হিসাব থেকে পাঁচটি হিসাবে

দুদক ও সিআইডির মামলায় লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি পাপুল, তার পরিবারসহ ৬ ব্যক্তির দুই প্রতিষ্ঠানের সব সম্পদ জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। রবিবার (২৭ ডিসেম্বর) মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে সিআইডি ও দুদকের আইনজীবীর পৃথক পৃথক আবেদনে সম্পদ ও ব্যাংক হিসাব জব্দের আদেশ দেন আদালত।

এ প্রসঙ্গে দুদক আইনজীবী জানান, পাপুল ও তার স্ত্রী সেলিনা ইসলাম অবৈধভাবে পাপুলের শ্যালিকা জেসমিন প্রধান ও মেয়ে ওয়াফা ইসলামের ব্যাংক হিসাব ব্যবহার করতেন। তাদের কোন পেশা না থাকলেও জেসমিন ও ওয়াফার ব্যাংক হিসাবে যেসব লেনদেন হয় তা মূলত পাপুল ও তার স্ত্রীর। এক্ষেত্রে এনআরবিসি প্রাইমসহ বেশকটি ব্যাংকের ৬১৭ হিসাব ব্যবহার করা হয়।

এছাড়া এনআরবি কমার্শিয়ালসহ তিনটি ব্যাংকে পাপুলের শ্যালিকা জেসমিন প্রধানের নামে পাঁচটি হিসাবে জমা হয় মোট ১৪৮ কোটি ৪১ লাখ টাকা। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্যক্তি ও অনেকের ব্যাংক হিসাব থেকে পাঁচটি হিসাবে ওই পরিমাণ টাকা জমা করা হয়। পরে তা থেকে এরই মধ্যে ১৪৮ কোটি ২১ লাখ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয় বলে উল্লেখ করেন আইনজীবী।

আবেদনে তাদের নামে ৯২টি তফসিলে থাকা সম্পদ ক্রোক করারও আদেশ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েস। আবেদনে পাপুল দম্পতির নামে বেনামে ১৪৮ কোটি ২১ লাখ টাকা পাচারের প্রমাণ পেয়েছে দুদকের তদন্ত দল, এমনটাই উল্লেখ করেন আইনজীবী।

অন্য একটি আবেদনে পল্টন থানার সিআইডির মানিলন্ডারিং মামলায় পাপুলসহ ৬ ব্যক্তি ও পাপুলের দুটি প্রতিষ্ঠানের ৫৩টি ব্যাংক একাউন্ট জব্দ করার আদেশ দেন মহানগর মুখ্য হাকিম আদালত। এ আদেশের মাধ্যমে এসব ব্যাংক হিসাব ও সম্পদ কোন ধরনের ক্রয় বিক্রয় বা রূপান্তর করতে পারবেন না আসামীরা।

মানব ও অর্থ পাচারের অভিযোগে চলতি বছরের গত জুনে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি পাপুলকে গ্রেপ্তার করে কুয়েতের সিআইডি। তিনি বর্তমানে দেশটির কারাগারে আছেন। কুয়েতের বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে পাপুলের নামে জমা থাকা ১৩৮ কোটি টাকা জব্দ করা হয়েছে।


আরও খবর



রেকর্ডের দুই দিনের মাথায় কমল সোনার দাম

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের বাজারে ফের কমেছে সোনার দাম। দুদিন আগেই সোনার রেকর্ড দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে বাড়ার চেয়ে কমানোর পরিমাণে তফাৎ অনেক। সবচেয়ে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের সোনার ভরিতে ৮৪০ টাকা কমানো হয়েছে।

শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।

এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে এ দাম কমানো হয়েছে। আজ (শনিবার) বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।

এর আগে ১৮ এপ্রিল ২২ ক্যারেটের সোনার ভরিতে ২ হাজার ২৭৫ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা দাম নির্ধারণ করা হয়। এতে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে সোনার সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়।

নতুন দাম অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ৮৪০ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

২১ ক্যারেটের সোনার ভরিতে ৮০৫ টাকা কমানো হয়েছে। এতে এই মানের এক ভরি সোনার দাম পড়বে ১ লাখ ১৩ হাজার ৩৯৭ টাকা। ১৮ ক্যারেটের সোনার ভরিতে দাম কমানো হয়েছে ৬৮৮ টাকা। এতে এই মানের এক ভরি সোনা কিনতে দাম পড়বে ৯৭ হাজার ১৯৬ টাকা।

আর সনাতন পদ্ধতির সোনার ভরিতে ৫৬০ টাকা কমিয়ে ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।


আরও খবর
হাইব্রিডে বিপ্লব এনেছে হীরা ধান

সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪




ঘূর্ণিঝড়ে আলফাডাঙ্গার ২২ গ্রাম লণ্ডভণ্ড

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুনুর রশীদ, ফরিদপুর

Image

ঘূর্ণিঝড়ে আলফাডাঙ্গার দুইটি ইউনিয়নের কমপক্ষে ২০-২২টি গ্রাম বিধ্বস্ত হয়েছে। বুধবার (২৭ মার্চ) দিবাগত রাত দুইটার দিকে উপজেলার পাচুড়িয়া ও বানা ইউনিয়নে ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টি হয়। এতে অসংখ্য গাছপালা ভেঙে পড়ে। অনেক জায়গায় সড়কের ওপরে গাছ পড়ে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে। সেই সঙ্গে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে তার ছিঁড়ে অন্ধকারে ঢেকে যায় ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম।

বানা ইউনিয়নের শিরগ্রামের বাসিন্দা ইউপি সদস্য খোকন শেখ বলেন, বানা ইউনিয়নের শিরগ্রাম, গড়ানিয়া, পাকুড়িয়া, টাবনী, টোনাপাড়া, শিয়ালদি চরপাড়া, জয়দেবপুর, আউশির হাট, কঠুরাকান্দি, মাজপাড়া, আড়পাড়াসহ কমপক্ষে ১৪টি গ্রামে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে।

ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে কাঁচা-আধাপাকা ঘরবাড়ি, গাছপালা, পেঁয়াজ, রসুন, মসুরি, ধনিয়া, ধান, গমসহ কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

পাচুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) মো. আমিনুর রহমান বলেন, ঝড়ে আমার ঘরবাড়ি, ফসলি ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া যুগীবরাট, ভাটপাড়া, চাদড়া, পাচুড়িয়া, দেউলি, চরনারানদিয়া, ধুলজুড়ি, চরভাটপাড়াসহ ১০ গ্রামে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

পাচুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমার পাচুড়িয়া ইউনিয়ন ও পাশের বানা ইউনিয়নে ঝড়ে বেশ কয়েকটি গ্রামে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। খোঁজখবর নিয়ে পরবর্তী সময়ে বিস্তারিত তথ্য জানানো যাবে।

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আলফাডাঙ্গা সাব-জোনাল অফিসের এজিএম ফাহিম হাসান বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের ফলে কয়েকটি গ্রামে বিদ্যুৎ বন্ধ রয়েছে। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে, কয়েকটি খুঁটি ভেঙে আঁকাবাঁকা হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎসংযোগ চালু করতে কাজ চলমান রয়েছে।

আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম জাহিদুল হাসান জাহিদ বলেন, বুধবার রাত ১টার পর ঘূর্ণিঝড়ে দুই ইউনিয়নের কমপক্ষে ২২টি গ্রামের শতাধিক কাঁচাপাকা বাড়িঘর ও কয়েকশ গাছপালা উপড়ে পড়ে। বিস্তীর্ণ জমির ফসল বিনষ্ট হয়েছে। অনেকেই ঘরবাড়ি হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান নেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে কাজ শুরু করা হয়েছে।

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করতে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের সর্বাত্মক সাহায্য-সহযোগিতা করা হবে।


আরও খবর



ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে নেই যানজট

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

এবারের ঈদযাত্রায় ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক দিয়ে যানজট ছাড়াই চলাচল করছেন যাত্রী ও চালকেরা। ঈদের ক‌য়েক‌দিন আগেও যেই মহাসড়কে চরম ভোগান্তি নিয়ে চলাচল কর‌তে হ‌তো সেই পথ দিয়ে নির্বিঘ্নে গাড়ি চলছে।

ঢাকা থে‌কে ছে‌ড়ে আসা উত্তরবঙ্গগামী প‌রিবহনগু‌লো বি‌রতিহীনভা‌বে চলাচল কর‌ছে। ফ‌লে কোনো ভোগা‌ন্তি বা যানজট ছাড়াই অনায়া‌সে বঙ্গবন্ধু সেতু পার হচ্ছে মানুষ। একইভা‌বে উত্তরবঙ্গ থে‌কে ছে‌ড়ে আসা ঢাকাগামী প‌রিবহনগু‌লোও স্বাভা‌বিক গ‌তি‌তে চলাচল কর‌ছে। জেলা প্রশাসন ও পু‌লিশ প্রশাস‌নের সম‌ন্বিত উদ্যো‌গের কার‌ণে এবার স্বস্তি নিয়ে বা‌ড়ি ফির‌ছে সবাই।

সোমবার (৮ এপ্রিল) সকাল‌ থে‌কে মহাসড়‌কের কোথাও কোনো প‌রিবহ‌নের ধীরগ‌তি বা চাপ দেখা যায়‌নি। ত‌বে গভীররা‌তে প‌রিবহ‌নের চাপ ছিল। এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ১৩ কি‌লো‌মিটারের দুই লে‌নের সড়‌ক নি‌য়ে সবার দু‌শ্চিন্তা থাক‌লেও এতে যান চলাচ‌লে এখন পর্যন্ত কোনো সমস্যা হয়‌নি। ওই সড়ক দিয়ে শুধুমাত্র ঢাকা থে‌কে ছেড়ে আসা প‌রিবহনগু‌লো উত্তরব‌ঙ্গের দি‌কে চলাচল কর‌ছে। তবে উত্তরবঙ্গ থে‌কে ছে‌ড়ে আসা ঢাকাগামী প‌রিবহনগু‌লো এলেঙ্গা-বঙ্গবন্ধু সেতুর ১৩ কি‌লো‌মিটার সড়‌কে প্রবেশ কর‌তে দেওয়া হয়‌নি। ঢাকাগামী ওই সব প‌রিবহনগু‌লো ভুঞাপুর-এলেঙ্গা আঞ্চ‌লিক বিকল্প সড়ক ব্যবহার ক‌রে ঢাকার দি‌কে চলাচল কর‌ছে। এতে য‌দিও প‌রিবহনগু‌লো‌র বাড়‌তি ১৫ কি‌লো‌মিটার সড়ক ঘু‌রে যে‌তে হ‌চ্ছে।

এদি‌কে গত ২৪ ঘণ্টায় বঙ্গবন্ধু সেতু‌তে টোল আদায় বে‌ড়ে‌ছে। গেল ২৪ ঘণ্টায় সেতু‌তে ২৯ হাজার ৭৮০‌টি প‌রিবহ‌নের থেকে ২ কো‌টি ৫০ লাখ ৮৯ হাজার ২০০ টাকা টোল আদায় হ‌য়ে‌ছে ব‌লে জা‌নি‌য়ে‌ছে বঙ্গবন্ধু সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পা‌ভেল।

যাত্রীরা বলেন, টাঙ্গাইল অং‌শের মহাসড়‌কে কোথাও কোনো যানজট পাইনি। চির‌চেনা মহাসড়ক এবার ঈদযাত্রায় স্বস্তি দি‌য়েছে। ত‌বে আরও দুইদিন বা‌কি র‌য়ে‌ছে ঈদের। এখনও প্রচুর মানুষ আস‌ছে। মহাসড়‌কের যে অবস্থা তা‌তে যানজট হওয়ার আশঙ্কা খুবই কম।

বগুড়াগামী এসআই প‌রিবহ‌নের চালক ইয়াকুব আলী বলেন, ঈদের আগে এই সময় মহাসড়‌কে ব্যাপক যানজট থাক‌তো। কিন্তু সড়ক উন্নয়ন আর প্রশাস‌নের হস্ত‌ক্ষে‌পে এবার যানজটমুক্ত। কোথাও কোনো সমস্যা হ‌চ্ছে না। স্বাভাবিক গ‌তি‌তেই গাড়ি চালা‌চ্ছি।

দিনাজপুরগামী হা‌নিফ প‌রিবহ‌নের সুপারভাইজার মোবারক বলেন, যাওয়া এবং আসা‌তে কোথায় কোনো যানজট পাইনি। এলেঙ্গা হ‌তে কিছু অংশ এবং সেতুর আগে কিছু অংশ বাড়‌তি লেন করায় মহাসড়‌কে যানজট হয়‌নি। ত‌বে সেতু‌র টোল প্লাজায় একটু ধীরগ‌তি তৈ‌রি হ‌লেও সেতু পার হ‌তে তেমন সময় লা‌গে‌নি।

বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর আশরাফ বলেন, এলেঙ্গা থেকে সেতু পর্যন্ত কোথাও কোনো পরিবহ‌নের চাপ নেই। স্বাভা‌বিক গ‌তি‌তেই প‌রিবহনগু‌লো চলাচল কর‌ছে মহাসড়‌কে। প‌রিবহন চলাচল স্বাভাবিক রাখ‌তে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দা‌য়িত্ব পালন কর‌ছে।


আরও খবর



পাহাড়ের বৈসাবির আয়োজন রাজধানীতে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকায় পাহাড়িদের বৈসাবি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার রাজধানীর রমনাপার্ক লেকে ফুল ভাসিয়ে তিন পার্বত্য জেলার নারী-পুরুষেরা এ অনুষ্ঠান উদযাপন করেন। এর আগে সকালে রাজধানীর বেইলি রোডে আনুষ্ঠানিকভাবে বৈসাবি উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মশিউর রহমান এনডিসি। অনুষ্ঠানে ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি বিধান ত্রিপুরাসহ সরকারের অন্যান্য পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

রাজধানীর রমনা লেকে ফুল ভাসিয়ে বৈসাবি বরণ শেষে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মশিউর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, বৈসাবি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠীর মধ্যে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন আরও দৃঢ় হবে। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামবাসীদের আমি আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। বৈসাবি মূলত বর্ষবরণ ও পাহাড়িদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সম্মিলন। বৈসাবির ঐতিহ্য সমতলের মানুষের কাছে তুলে ধরার জন্য প্রতিবছর ঢাকায় এই আয়োজন করা হয়ে থাকে।

তিনি বলেন, এই অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ববোধ ও আস্থা সুদৃঢ় হয়। যার মাধ্যমে পার্বত্যাঞ্চলের শান্তি আরও সুদৃঢ় হবে। পক্ষান্তরে এটি দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।

এডিশনাল ডিআইজি বিধান ত্রিপুরা সাংবাদিকদের বলেন, ত্রিপুরাদের বৈসু, মারমাদের সাংগ্রাই ও চাকমাদের বিজু- এই তিন সম্প্রদায়ের সমন্বয়ে বৈসাবি। ত্রিপুরা, মারমা ও চাকমারা ধর্মীয়ভাবে সংখ্যাধিক্য। এই তিন ধর্মাবলম্বীদের পাহাড়ের অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে ধর্মীয় ও সামাজিক জীবন-যাপনের মিল রয়েছে বিধায় পাহাড়ের সবাই মিলে এই অনুষ্ঠানটি উদযাপন করে থাকেন। পাহাড়িদের যারা ঢাকায় অবস্থান করেন তারা রমনার লেকে ফুল ভাসিয়া অনুষ্ঠানটি উদযাপন করে থাকেন। অধিকাংশরা নাড়ির টানে নিজ এলাকায় চলে যান।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক পার্বত্য চট্টগ্রামবাসীর প্রধান উৎসব বৈসাবি উদযাপন উপলক্ষে ঢাকার বেইলি রোডের পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স হতে রমনা লেক পর্যন্ত পার্বত্য তিন জেলার পাহাড়ি ও বাঙালিদের সমন্বয়ে নানান সাজে সজ্জিত ব্যানার, ফেস্টুনসহ এক বর্ণিল শোভাযাত্রা র‍্যালির আয়োজন করা হয়। শোভাযাত্রা র‍্যালি শেষে রমনা লেকের জলে ফুল ভাসিয়ে বৈসাবি উৎসব পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মশিউর রহমান। পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার প্রধান তিনটি জাতি-গোষ্ঠীর বর্ষবরণ ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান বৈসাবি। এটি তাদের প্রধান সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোর একটি।


আরও খবর



১১ মের মধ্যেই এসএসসির ফল প্রকাশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষার ফল মে মাসের ৯ থেকে ১১ তারিখের মধ্যে প্রকাশ করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার।

তিনি বলেন, মূল পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হয়ে থাকে। এবারও একই সময়সীমার মধ্যে ফল প্রকাশিত হবে। আমরা ১১ মের মধ্যে ফল প্রকাশের প্রস্তুতি নিচ্ছি। চূড়ান্ত তারিখ নির্ধারণ করতে প্রধানমন্ত্রীর সময়সূচির প্রয়োজন।

এদিকে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির একজন সদস্য ও একটি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ১২ মার্চ এসএসসির লিখিত পরীক্ষা শেষ হয়েছে। সেই হিসাবে ১২ মের মধ্যেই ফল প্রকাশ করতে হবে।

তিনি বলেন, উত্তরপত্র মূল্যায়নের কাজ শুরু হয়ে গেছে। পরীক্ষকদের একটি নির্দিষ্ট সময়সীমাও দেওয়া হয়েছে উত্তরপত্র মূল্যায়নের জন্য। তারা মূল্যায়ন শেষে বোর্ডে পাঠাবেন। তার পর সম্ভাব্য তারিখ ঠিক করে ফল প্রকাশের জন্য প্রস্তাবনা পাঠাবে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি। সেটা ১১ মের মধ্যেই হওয়ার সম্ভাবনা শতভাগ।

চলতি বছর ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। এতে সারাদেশের ৩ হাজার ৭০০টি কেন্দ্রে ২৯ হাজার ৭৩৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেন। এ বছর মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন।

প্রথম দিনে বৃহস্পতিবার বাংলা প্রথমপত্র দিয়ে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয়। লিখিত পরীক্ষা শেষ হয় ১২ মার্চ। এর পর ১৩-২০ মার্চের মধ্যে নেওয়া হয় ব্যবহারিক পরীক্ষা।


আরও খবর