আজঃ বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

পাড়াগাঁয়ে ব্যতিক্রমী এক বিদ্যাপীঠ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১২ মে ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ মে ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

প্রথমে দেখে মনে হবে এটি কোনো জমিদারের বাড়ি বা অভিজাত রিসোর্ট। বাংলাদেশে এমন দৃষ্টিনন্দন বিদ্যাপিঠ তেমন দেখা যায় না। যেখানে ব্যতিক্রম পরিবেশে শিক্ষা দেওয়া হয়। ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার বকুয়া ইউনিয়নের চরভিটা গ্রামে অবস্থিত ব্যতিক্রম এ বিদ্যাপিঠ। নাম চরভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এখানে ছাত্র-ছাত্রীদের আধুনিক সৃজনশীল পদ্ধতিতে পাঠদান করা হয়।

ভারত সংলগ্ন বর্ডারের প্রায় দুই কিলোমিটার আগে দেখা মিলল দৃষ্টিনন্দন একটি বিদ্যাপিঠের। সূর্যের আলোয় বিদ্যাপিঠটি ঝলমল করছে। রাতের জন্য রয়েছে ল্যাম্পশেডও। ২০০১ সালে এরফান আলীর (প্রধান শিক্ষক) বাবা নুরুল ইসলাম নিজ জমিতে স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৩ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়টির সরকারিকরণ করা হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যালয় ভবনের চারপাশ খোলামেলা। শ্রেণিকক্ষসহ বিদ্যালয়ের সবকিছুই রঙিন প্রচ্ছদে ঢাকা। বালক-বালিকাদের জন্য রয়েছে আলাদা আলাদা শৌচাগার, খেলাধুলার জন্য রয়েছে নানান ধরনের সরঞ্জাম। বিদ্যালয়টিতে রয়েছে কারুকার্যখচিত, সুসজ্জিত নান্দনিক ভবন। দ্বিতল ভবনের ছাদে দেওয়া হয়েছে বিদ্যালয়ের নিজ অর্থায়নে কম্পিউটার ল্যাব। ভবনের উত্তরে হাঁস-মুরগির খামার ও বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব লাইব্রেরি এবং পশ্চিম পাশে রয়েছে সিসি ক্যামেরায় মনিটরিং রুম, সততা ক্যান্টিন, মসজিদ, মাছ চাষের পুকুর।

শিক্ষার্থীদের বিনোদনের জন্য রয়েছে শিশুপার্ক ও মিনি চিড়িয়াখানা। খেলার মাঠের এক পাশে আছে দোলনা, গরুর গাড়ি। পুকুরে নৌকা। দেয়ালে আঁকা রয়েছে স্বাধীনতার মহান পুরুষ ও শহীদদের প্রতিকৃতি, কবি-সাহিত্যিকদের ছবি। এ ছাড়া রয়েছে বিভিন্ন প্রাণীর ছবি। মাটিতে ফুলের গাছ দিয়ে বানানো হয়েছে ত্রিভুজ, চতুর্ভুজ ও বৃত্ত। চরভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিজ জমিতে সবজি চাষ করা হয়। তাদের ফলানো সবজি ব্যবহার হয় মিড-ডে মিলে। তা ছাড়া, বিনামূল্যে শেখানো হয় কম্পিউটার, আবৃত্তি, অভিনয়। ভারতের সীমান্তঘেঁষা এ স্কুলে প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হয়। শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ৩৫০। চারজন শিক্ষক ও তিনজন প্যারাশিক্ষক রয়েছেন।

শিক্ষার্থীরা জানায়, বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার ফাঁকে তারা প্রতিদিন একদল খাবার দেয় হাঁস-মুরগিকে, অন্য দল সবজি বাগানের পরিচর্যা করে। এ কাজ করতে ওদের ভালো লাগে। স্কুলের খাবার খেয়ে তারা এখন নিশ্চিন্তে পড়ালেখা করতে পারছে। সমাপনী পরীক্ষার পর স্কুল ছেড়ে চলে যাবে কেউ কেউ। স্কুলের জন্য ভালো কিছু একটা করে যেতে পারলে নিজেরও ভালো লাগবে।

অভিভাবকরা জানান, এখন বাচ্চারা বাড়ির খাবারের থেকে মিড-ডে মিল খেতে বেশি আগ্রহী। ছেলে-মেয়েরা যে চাষাবাদ ও অনেক কিছু শিখছে, তাতে তারা খুশি।

চরভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এরফান আলী বলেন, অভাব-অনটনের কারণে অনেক শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে খুব একটা হাজির হতো না। ২০১৩ সালে বিদ্যালয়ে ১৫০ শিক্ষার্থী ছিল, কিন্তু প্রতিদিন হাজির থাকত ৬০ থেকে ৭০ জন। শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়মুখী করা এবং ঝরে পড়া রোধে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ও অভিভাবকদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করে পড়ালেখায় শিক্ষার্থীদের মনোযোগ ধরে রাখতে বিদ্যালয়ে মিড ডে মিল চালুর ব্যবস্থা করি। প্রতি মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়। এ উদ্যোগ চালু রাখতে বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি নুরুল ইসলাম নিজের ৬ বিঘার একটি পুকুর ও ২ বিঘা জমি বিদ্যালয়কে ব্যবহার করতে দিয়েছেন। এ ছাড়া তিনি প্রতি মাসের লবণ ও তেলের জোগান দেন। সেই পুকুরেই চলছে মাছ চাষ, হাঁস-মুরগির খামার, জমিতে সবজি। মিড ডে মিল চালু করায় স্কুলে শিক্ষার্থী বাড়ছে, সেই সুবাদে তিনি মনে করেন তার স্কুল এখন সেরা।

হরিপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আজিজার রহমান বলেন, চরভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হরিপুর উপজেলার অন্যতম একটি বিদ্যালয়। এখানে শিক্ষার্থীদের মনোযোগ আকর্ষণের জন্য সৃজনশীল অনেক কিছু জিনিস আছে যা শিক্ষার্থীদের মনকে দোলা দেয়। বিদ্যালয়টি দিন দিন উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে, এলাকাবাসী সম্পৃক্ত হচ্ছে।


আরও খবর
১১ মের মধ্যেই এসএসসির ফল প্রকাশ

শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪




পহেলা বৈশাখে ঢাবিতে মানতে হবে যেসব নির্দেশনা

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলা নববর্ষ-১৪৩১ সুষ্ঠুভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আগমনকারীদের জন্য বেশকিছু নির্দেশনা দিয়েছে ঢাবি কর্তৃপক্ষ।

সভায় জানানো হয়, আগামী ১৪ এপ্রিল উদযাপিত হবে বাংলা নববর্ষ-১৪৩১ এর প্রথম দিন পহেলা বৈশাখ। সেদিন সকাল ৯টায় চারুকলা অনুষদের মঙ্গল শোভাযাত্রা দিয়ে শুরু হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্ষবরণের অনুষ্ঠান। গত বছরের মতো এবারও বর্ষবরণের আয়োজন বিকেল ৫টার মধ্যে শেষ করতে বলেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেদিন বিকেল ৫টার পর ক্যাম্পাসে ঢোকা যাবে না, শুধু বের হওয়া যাবে।

রোববার (২৪ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।

সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে আমরা তো তিমিরবিনাশী প্রতিপাদ্য নিয়ে এবছর মঙ্গল শোভাযাত্রা চারুকলা অনুষদ থেকে সকাল ৯টায় বের করা হবে। মঙ্গল শোভাযাত্রা শাহবাগ মোড় হয়ে শিশুপার্কের সামনে থেকে ঘুরে শাহবাগ হয়ে টিএসসিতে শেষ হবে।

পহেলা বৈশাখে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের মুখোশ পরা এবং ব্যাগ বহন করা যাবে না। তবে চারুকলা অনুষদের প্রস্তুত করা মুখোশ হাতে নিয়ে প্রদর্শন করা যাবে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ভুভুজিলা বাঁশি বাজানো ও বিক্রি করা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ক্যাম্পাসে নববর্ষের অনুষ্ঠান বিকাল ৫টার মধ্যে শেষ করতে হবে। নববর্ষের দিন ক্যাম্পাসে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ঢোকা যাবে। এরপর শুধু বের হওয়া যাবে। নববর্ষের আগের দিন ১৩ এপ্রিল (শনিবার) সন্ধ্যা ৭টার পর ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারযুক্ত গাড়ি ছাড়া অন্য কোনো গাড়ি প্রবেশ করতে পারবে না। নববর্ষের দিন ক্যাম্পাসে যানবাহন চালানো যাবে না। মোটরসাইকেল চালানোও সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

নববর্ষের দিন টিএসসির সামনের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেট বন্ধ থাকবে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢুকতে চারুকলা অনুষদের সামনের ছবির হাটের গেট, বাংলা একাডেমির সামনের গেট এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের পাশের গেট ব্যবহার করা যাবে।

এছাড়া, টিএসসির সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের হেল্প ডেস্ক, কন্ট্রোল রুম এবং অস্থায়ী মেডিকেল ক্যাম্প থাকবে। হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল মাঠ সংলগ্ন এলাকা, টিএসসি সংলগ্ন এলাকা, দোয়েল চত্বরের আশ-পাশের এলাকা ও কার্জন হল এলাকায় মোবাইল পাবলিক টয়লেট স্থাপন করা হবে।


আরও খবর
১১ মের মধ্যেই এসএসসির ফল প্রকাশ

শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪




আড়াই ঘণ্টায় পশ্চিমাঞ্চল রেলের ১১ হাজার টিকিট বিক্রি

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে আজ। বিক্রি শুরুর আড়াই ঘণ্টার মধ্যেই পশ্চিমাঞ্চল রেলের ১১ হাজার টিকিট বিক্রি শেষ হয়েছে।

রোববার (২৪ মার্চ) বেলা পৌনে ১১টায় কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আজ সকাল ৮টায় ঢাকা থেকে পশ্চিমাঞ্চলের টিকিটগুলো ওপেন হয়েছে। দুপুর ২টায় পূর্বাঞ্চলের টিকিটগুলো বিক্রি শুরু হবে। পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনগুলোতে প্রায় ১৬ হাজার আসন সংখ্যা ছিল। সর্বশেষ সাড়ে ১০টায় যে তথ্য পেয়েছি তাতে ১১ হাজার টিকিট বিক্রি হয়েছে। এই ১১ হাজার টিকিট নেওয়ার জন্য সকাল সাড়ে ৮টায় প্রায় ১৫ লাখ সাবস্ক্রাইবার আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করেছে।

তিনি আরও বলেন, আজ ৩ এপ্রিলের টিকিট দেওয়া হয়েছে। এ বছর ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া আন্তঃনগর ৪২ জোড়া ট্রেনের টিকিট দুই পর্যায়ে দেওয়া হচ্ছে। ঈদ উপলক্ষে এই অগ্রিম টিকিট সম্পূর্ণ অনলাইনে বিক্রি হবে। এবার মোবাইলে ওটিপি ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে টিকিট দেওয়া হচ্ছে। স্বস্তির ঈদযাত্রা নিশ্চিতের জন্য সব ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।


আরও খবর



তিনটি নতুন সমঝোতা স্মারক সই, নবায়ন হলো একটি

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুকের উপস্থিতিতে বাংলাদেশ-ভুটানের মধ্যে তিনটি নতুন সমঝোতা স্মারক সই এবং পুরোনো একটি চুক্তি নবায়ন করা হয়েছে।

সোমবার (২৫ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এই দুই নেতার মধ্যে বৈঠক শেষে তিনটি সমঝোতা স্মারক সই ও একটি চুক্তি নবায়ন করা হয়। পরে দুই দেশের পক্ষে বইয়ে সই করেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

সমঝোতাগুলো হলো, ভুটানের রাজধানীতে থিম্পুতে একটি বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট প্রতিষ্ঠা সংক্রান্ত, কুড়িগ্রামে ভুটানের বিনিয়োগে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা এবং ভোক্তা সুরক্ষায় প্রযুক্তিগত সহযোগিতা সংক্রান্ত চুক্তি। এছাড়া, নবায়ন হয়েছে সাংস্কৃতিক সহযোগিতা সংক্রান্ত চুক্তি।

চারদিনের বাংলাদেশ সফরের প্রথম দিনেই রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে বসেন ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক। দুপুর ১টার কিছু পরে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছান ভুটানের রাজা। এ সময়, টাইগারগেটে রাষ্ট্রীয় অতিথিকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পরে দুই শীর্ষ নেতা একান্ত বৈঠকে বসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভুটানের রানি জেতসুন পেমা। পরে, প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠক সেখানেই অনুষ্ঠিত হয়। সবশেষ, দুই নেতার উপস্থিতিতে বাংলাদেশ-ভুটানের মধ্যে তিনটি সমঝোতা সই এবং একটি চুক্তি নবায়ন করা হয়।


আরও খবর



উপজেলা চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করলেন আজকের দর্পণের সম্পাদক

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মশিউর রহমান রাহাত, পিরোজপুর

Image

পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন আজকের দর্পণের সম্পাদক ও প্রকাশক এস এম নুরে আলম সিদ্দিকী (শাহীন)। সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে নাজিরপুর উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলিমুজ্জামানের হাতে মনোনয়ন পত্র তুলে দেন।

এর আগে হাজার হাজার জনগনের উপস্থিতিতে তিনি দোয়া কামনা করে উপজেলা নির্বাচন অফিসে যান। এসময় তাঁর সাথে ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা।

এস এম নুরেআলম পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও আজকের দর্পণের প্রতিষ্ঠাতা শ ম রেজাউল করিমের ছোট ভাই। তিনি দির্ঘদিন ধরে এলাকায় জনগনের কল্যানে কাজ করে যাচ্ছেন। এতে এলাকায় জনপ্রিয়তার তুঙ্গে আছেন তিনি।

এদিকে ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের প্রথম দফা কেন্দ্র করে পিরোজপুরের তিনটি উপজেলায় আনন্দমুখর পরিবেশে প্রার্থীরা মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ জেলার পিরোজপুর সদর, নাজিরপুর ও ইন্দুরকানী উপজেলায় মনোনয়ন পত্র জমা দেন প্রার্থীরা। পিরোজপুর সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে এস এম বায়েজিদ হোসেন ও সাংবাদিক শফিউল হক মিঠু মনোনয়ন পত্র জমা দেন।

এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন ও সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন মনোনয়ন পত্র জমা দেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান কাছে।

এছাড়া নাজিরপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে এস এম নুরে আলম সিদ্দিকী, মোহাম্মাদ আলী শিকদার, দিপঙ্কর নাগ, দীপ্তিষ হালদার মনোনয়ন পত্র দেন। এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন ও সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন মনোনয়ন পত্র উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলিমুজ্জামানের কাছে জমা দেন।

ইন্দুরকানী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বর্তমান চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এম মতিউর রহমান, মো. জিয়াউল আহসান গাজী ও ফায়জুল কবির তালুকদার পত্র জমা দেন। এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন ও সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২জন মনোনয়ন পত্র জমা দেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তারিকুল ইসলামের কাছে।


আরও খবর



৭ ঘণ্টা পর ঢাকা-খুলনা রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

Image

৭ ঘণ্টা পর পাবনার ঈশ্বরদীতে তেলবাহী ও মালবাহী ট্রেনের লাইনচ্যুত দুটি বগি উদ্ধার করা হয়েছে। তারপর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। পাকশী পশ্চিমাঞ্চল বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) শাহ সূফী নুর মোহাম্মদ বুধবার (২৭ মার্চ) সকাল পৌনে সাতটার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, প্রায় সাত ঘণ্টা পর লাইনচ্যুত হওয়া দুটি টেনের দুই বগি উদ্ধার করা হয়। এরপর ঈশ্বরদী থেকে ঢাকা ও খুলনার সঙ্গে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এর আগে রাত ১১টা ৫০ মিনিটে পাবনার ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে তেলবাহী ট্রেনে মালবাহী ট্রেনের ধাক্কায় দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এতে ঢাকার সঙ্গে খুলনা রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

পশ্চিমাঞ্চল পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের বাণিজ্যিক কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন জানান, একটি তেলবাহী ট্রেন পার্বতীপুরে তেল নামিয়ে দিয়ে খুলনার দিকে যাবার পথে ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে এসে দাঁড়ায়। ঘটনার সময় পাথর বোঝাই একটি মালবাহী ট্রেন ভারত থেকে ঢাকা যাবার পথে একই স্টেশনে দাঁড়ায়। এ সময় পাথর বোঝাই ট্রেনটি শানটিং করার সময় (বগি এক লাইন থেকে আরেক লাইনে নেয়ার সময়) তেলবাহী ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। তখন তেলবাহী ট্রেনের ইঞ্জিন ও মালবাহী ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়। তারপর ঈশ্বরদী লোকোমোটিভ থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন গিয়ে বগি উদ্ধারে কাজ করে।

পাকশী পশ্চিমাঞ্চল বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক শাহ সুফি নূর মোহাম্মদ জানান, ট্রেন লাইনচ্যুতির ঘটনা খতিয়ে দেখতে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা হলেন, বিভাগীয় সিনিয়র সহকারী সংকেত প্রকৌশলী, সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা, সহকারী যান্ত্রিক প্রকৌশলী ও সহকারী প্রকৌশলী।

কমিটিকে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া প্রাথমিকভাবে মালবাহী ট্রেনের চালক, সহকারী চালক এবং অন-ডিউটি সহকারী স্টেশন মাস্টারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: ঈশ্বরদী

আরও খবর