আজঃ বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

পাট চাষ: কোন পোকা দমনে কী করণীয়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
কৃষি ডেস্ক

Image

পাটকে বলা হয় সোনালি আঁশ। খুবই গুরুত্বপূর্ণ এ ফসল চাষে বিভিন্ন পোকামাকড় ও রোগ আক্রান্তের সম্ভাবনা থাকে। এসব পোকা দমনে ১ মে থেকে ১৫ মে পর্যন্ত করণীয় জানিয়েছে কৃষি তথ্য সার্ভিস।

উড়চুংগা: যে জমিতে প্রায় প্রতি বছর পাট অথবা অন্য ফসলের আবাদ হয়, সেখানে উড়চুংগা দেখা দেয়। ওই জমিতে পাটবীজ বপনের পূর্বে জমি শেষবারের মতো ভালো করে চাষ দিয়ে প্রতি লিটার পানিতে কীটনাশক ক্লোরোপাইরিফস ৫এমএল মিশিয়ে প্রতি একর পাটের জমিতে প্রয়োগ করতে হবে। এরপর নিয়ম মাফিক বীজ বপন করতে হবে। যদি ওষুধ প্রয়োগ সম্ভব না হয় তবে বীজের পরিমাণ একটু বাড়িয়ে বপন করা ভালো। যাতে জমিতে যথেষ্ট পরিমাণ চারাগাছ থাকার কারণে উড়চুংগা কিছু গাছ কেটে ফেললেও ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া যায়। যদি সম্ভব হয় তবে দেরিতে পাট বপন করলে উড়চুংগার আক্রমণ এড়ানো যায়। খরা মৌসুমে উড়চুংগা পোকা চারা পাট গাছের বিশেষ ক্ষতি করে। এ সময় সেচের ব্যবস্থা করলে উড়-চুংগার উপদ্রব থেকে ফসল রক্ষা করা যায়।

চেলেপোকা: এপ্রিলের মাঝামঝি থেকে (বৈশাখের প্রথম থেকে) চারা পাটে চেলেপোকার আক্রমণ দেখা দেয়। যা ফসল কাটা পর্যন্ত স্থায়ী হয়। পাটক্ষেতের পাশে বনওকড়া গাছ এবং অন্যান্য আগাছা পরিষ্কার রাখলে এ পোকার আক্রমণ কম হয়। মৌসুমের প্রথমেই পাটের পরিচর্যার সময় ওইসব ডগা আক্রান্ত গাছগুলি তুলে ধ্বংস করতে হবে। এতে পোকার উপদ্রব কমে যাবে। গাছের উচ্চতা ১২-১৪ সেন্টিমিটার লম্বা হওয়ার পর চেলে পোকার আক্রমণ বেশি হলে কীটনাশক ছিটিয়ে দিলে ভালো ফল পাওয়া যায়। এক মৌসুমে তিনবার কীটনাশক ছিটিয়ে প্রায় সম্পূর্ণরূপে পোকা দমন করা যায়। সাইপামেথ্রিন ১০ ইসি শূন্য দশমিক ৫ মিলি অথবা ডায়জিনন ৬০ ইসি প্রতি লিটারে এক দশমিক ৫ মিলি পরিমাণ মিশিয়ে আক্রান্ত পাটক্ষেতে ছিটিয়ে দিলে ভালো ফল পাওয়া যায়।

হলুদ বা সাদা মাকড়: এ মাকড় পাট গাছের কচি পাতার উল্টো দিকে বসে পাতার রস চুষে খায়। পাতা তামাটে রং ধারণ করে। একটানা অনাবৃষ্টির ফলে আক্রমণ ব্যাপক হয়। ক্রমে পাতা ঝরে যায় ও ডগা মরে যায়। তাই হলুদ বা সাদা মাকড়ের আক্রমণ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে একর প্রতি এবামেকটিন এক দশমিক ইসি ১এমএল প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে মেশিনের সাহায্যে এমনভাবে ছিটাতে হবে যেন ডগার উপরের কচি পাতাগুলো (১০ম পাতা পর্যন্ত) ভালোভাবে ভিজে যায়। অথবা আধা কেজি নিম পাতা ১০ কেজি গরম পানিতে ৫ থেকে ১০ মিনিট ভিজিয়ে রেখে ১০ মিনিট পর নিম পাতার নির্যাস ছেকে ঠান্ডা করতে হবে। এ নির্যাস (ডগার ১০ম পাতা পর্যন্ত) পাট গাছে ছিটিয়ে হলুদ মাকড় দমন করা যায়।

প্রথমবার স্প্রে করার দ্বিতীয় দিন একইভাবে ওষুধ আবার ছিটালে ভালো ফল পাওয়া যায়। মনে রাখতে হবে যে ডগার পাতায় ওষুধ ছিটালেই যথেষ্ট।

নিউজ ট্যাগ: পাট দিবস পাট

আরও খবর
দাম কমলো সোনার

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪




বাজারে ক্রেতা কমেছে গরুর মাংসের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাজারে ক্রেতা কমেছে গরুর মাংসের। দোকানগুলোতে আগের মতো খুব একটা ভিড় নেই বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এমন পরিস্থিতির জন্য পণ্যটির অযৌক্তিক মূল্য নির্ধারণকে দায়ী করছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, ভোক্তার আমিষের জোগানে প্রয়োজনে আমদানি করা হোক গরুর মাংস।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ একটি গাড়িকে ঘিরে নারী-পুরুষের দীর্ঘ সারি। কারণ, সেখানে সুলভ মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে দুধ, ডিম আর মাংস। এই দৃশ্য রাজধানীর খামারবাড়ির বঙ্গবন্ধু চত্বরের। এই গাড়িতে ৪ ধরনের পণ্য পাওয়া গেলেও ক্রেতারা আসেন মূলত গরুর মাংস কিনতে। কেননা বাজারের তুলনায় সাশ্রয় হয় ১৫০ টাকা। তবে সবার ভাগ্যে তা জোটে না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও বেশিরভাগেরি ফিরতে হয় খালি হাতে। চাহিদার তুলনায় জোগান কম হওয়াই এর মূল কারণ।

এক ক্রেতা বলেন, সকাল থেকে অপেক্ষা করছি। কিন্তু গাড়ি এসেছে বেলা ১১টায়। ইতোমধ্যে লম্বা লাইন হয়েছে। এই অবস্থায় গরুর মাংস বিক্রি শুরু করেছে। আরেক ক্রেতা বলেন, এখানে কষ্ট করে লাইন ধরা লাগে। এর মধ্যে কেউ পায়, কেউ পায় না। কারণ, অনেক মানুষ হয়। খামারবাড়ি থেকে মাত্র দেড় কিলোমিটার দূরে কারওয়ান বাজার। এখানকার মাংসের দোকানগুলোর চিত্র বঙ্গবন্ধু চত্বরের ঠিক বিপরীত। গরুর মাংসের পসরা সাজিয়ে বসলেও দেখা মিলছে না কাঙ্ক্ষিত ক্রেতার।

বিক্রেতারা বলছেন, পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও নেই চাহিদা। কারণ ৭৫০ টাকা কেজিতে মাংস কিনতে নারাজ ভোক্তারা। এক বিক্রেতা বলেন, ক্রেতারা কম দামে মাংস চায়। ফলে বেচাকেনা তেমন হচ্ছে না। কারণ, সস্তায় গরু পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে কম দরে মাংস বিক্রি করতে পারছি না।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাবে দেশে চাহিদার তুলনায় ১০-১১ লাখ টন গরুর মাংস উদ্বৃত্ত থাকে প্রতিবছর। তাই বাজারের এই অস্বাভাবিক দাম কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে মনে করেন প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক। তার মতে, গরুর মাংসের দর হওয়া উচিত ৬০০ টাকার নিচে।

তিনি বলেন, গরুর উৎপাদন খরচ ৬০০ টাকার কম। ফলে এই দামে বিক্রি করেও লাভ থাকে। তাই ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা কাম্য নয়। এই দরে যারা বিক্রি তারা আমাদের তালিকাভুক্ত ব্যবসায়ী নয়। তাদের আমরা চিনি না।

অতিমুনাফালোভীরা সিন্ডিকেট করে বাড়াচ্ছে মাংসের দাম। তাই প্রয়োজনে পণ্যটি আমদানি করে বাজার স্থিতিশীল রাখার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। অর্থনীতিবিদ ড. মাহবুব আলী বলেন, ডিম আমদানির খবরে মূল্য হ্রাস পেয়েছে। আমার মনে হয়, গরু আমদানি করলে এর মাংসের দাম কমে যাবে। এক্ষেত্রে ব্রাজিল, মেক্সিকো থেকে তা আনা যায়।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার তথ্যমতে, দেশে জনপ্রতি মাংসের চাহিদা দৈনিক ১২০ গ্রাম।


আরও খবর
দাম কমলো সোনার

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪




ভারতে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ চলছে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতে চলছে ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। স্থানীয় সময় সকাল সাতটা থেকে এই ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। সাত দফার এই নির্বাচনে আজ প্রথম দফায় ২১টি রাজ্য এবং‌ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলিয়ে দেশের ১০২টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।

এই রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোর মধ্যে রয়েছে অরুণাচল, আসাম, বিহার, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, মণিপুর, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, রাজস্থান, সিকিম, তামিলনাড়ু, ত্রিপুরা, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং পশ্চিমবঙ্গ।

নির্বাচন কমিশন ১ লাখ ৮৭ হাজার ভোটকেন্দ্র জুড়ে ১৮ লাখেরও বেশি ভোটকর্মী মোতায়েন করেছে। নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৬ কোটি ৬৩ লাখ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে ৮ কোটি ৪০ লাখ পুরুষ, ৮ কোটি ২৩ লাখ নারী এবং ১১ হাজার ৩৭১ জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন।

২০ থেকে ২৯ বছর বয়সী ৩ কোটি ৫১ লাখ তরুণ ভোটার ছাড়াও প্রথমবারের মতো ভোট দেবেন ৩৫ লাখ ৬৭ হাজার ভোটার।


আরও খবর



চট্টগ্রামে বস্তিতে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১১ ইউনিট

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম নগরীর ফিশারিঘাট এলাকার লইট্যার ঘাট বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের চট্টগ্রামের উপপরিচালক দিনমণি শর্মা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, দুপুর দেড়টার দিকে ওই বস্তিতে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। খবর পেয়ে আমাদের পাঁচটি স্টেশনের ১১টি ইউনিট গিয়ে অগ্নিনির্বাপণে কাজ করছে। আগুন এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি।

এখন পর্যন্ত আগুনে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি বলেও তিনি জানান।


আরও খবর



১৯ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৪০৯৬ কোটি টাকা

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলতি এপ্রিল মাসের প্রথম ১৯ দিনে বৈধ পথে দেশে ১২৮ কোটি ১৫ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দেশীয় মুদ্রায় যার (প্রতি এক ডলার সমান ১১০ টাকা ধরে) পরিমাণ প্রায় ১৪ হাজার ৯৬ কোটি টাকার বেশি। এ হিসাবে গত ১৯ দিনে দৈনিক গড়ে ৬ কোটি ৭৪ লাখ ডলার বা ৭৪১ কোটি টাকার বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। প্রবাসী আয়ের এ ধারা অব্যাহত থাকলে পুরো মাস শেষে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় দুই বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি এপ্রিল মাসের ১৯ দিনে ব্যাংকিং চ্যানেলে ১২৮ কোটি ১৫ লাখ ১০ হাজার ডলার এসেছে। তার মধ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১১ কোটি ৩২ হাজার ডলার, বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে একটি ব্যাংকের (কৃষি ব্যাংক) মাধ্যমে ৭ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১০৮ কোটি ৮১ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩৯ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার।

অন্যদিকে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা রয়েছে ৯টি। যার মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন্স ব্যাংক ও আইসিবি ইসলামী ব্যাংক। বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এবং উরি ব্যাংক।

এর আগে বিদায়ী মার্চ মাসের পুরো সময়ে বৈধ পথে প্রায় দুই বিলিয়ন (১ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স আসে। ওই মাসটির পুরো সময়ে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন্স ব্যাংক, বিদেশি খাতের হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার মাধ্যমে।

এর আগে চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ২১০ কোটি বা ২ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল এবং দ্বিতীয় মাস ফেব্রুয়ারিতে এসেছিল ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার। ২০২৩ সালের শেষ মাস ডিসেম্বরে এসেছিল ১৯৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স।

গত বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলার, ফেব্রুয়ারিতে আসে ১৫৬ কোটি ডলার, মার্চে ২০২ কোটি, এপ্রিলে ১৬৮ কোটি, মে মাসে ১৬৯ কোটি, জুনে ২২০ কোটি, জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ, সেপ্টেম্বর মাসে ১৩৩ কোটি, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি, নভেম্বর মাসে এসেছিল ১৯৩ কোটি ডলার এবং শেষ মাস ডিসেম্বরে আসে ১৯৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স।

২০২০ সালে হুন্ডি বন্ধ থাকায় ব্যাংকিং চ্যানেলে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল। বিদায়ী ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ২ হাজার ১৬১ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স। এটি এ যাবৎকালের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে করোনাকালীন ২০২০-২০২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলারের রেমিটেন্স এসেছিল দেশে।


আরও খবর
দাম কমলো সোনার

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪




সিলেটে কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে প্রকৌশলীকে মারধরের অভিযোগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
সিলেট প্রতিনিধি

Image

সিলেটে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখায় কন্ট্রোল রুমে ঢুকে প্রকৌশলী মো. মাসুদ রানাকে সিসিক কাউন্সিলর কর্তৃক মারধরের অভিযোগ ওঠেছে। মো. মাসুদ রানা সিলেট বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-৩ এর সহকারী প্রকৌশলী। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের (সিসিক) ২৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রায়হান হোসেনসহ আরও দুইজনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগে মামলা হয়েছে।

গত রোববার রাতে দক্ষিণ সুরমার বরইকান্দি এলাকার বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-৩ এর কেপিআইভুক্ত কন্ট্রোল রুমে এ ঘটনা ঘটে। তবে কাউন্সিলর মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

কাউন্সিলরের ভাষ্য, ঝড়ে বিদ্যুতের লাইন রাস্তায় পড়ে যাওয়ার পর তিনি সেটা রাতেই সরাতে অনুরোধ করতে কন্ট্রোল রুমে ঢুকেছিলেন।

জানা যায়, শিলাবৃষ্টি ও ঝড়-তুফানে ১১ কেভি ফিডার ফল্টের কারণে বিদ্যুৎ বন্ধ রাখা হয়। এই বন্ধ লাইন চালু করতে কাউন্সিলর রায়হান হোসেন দুইজনকে নিয়ে কেপিআইভুক্ত কন্ট্রোল রুমে ঢুকে মাসুদ রানাকে মারধর করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার সকালে দক্ষিণ সুরমা থানায় মামলা করেছেন মারধরের শিকার প্রকৌশলী মাসুদ রানা।

মামলায় প্রধান আসামি করা হয় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রায়হান হোসেনকে। মামলায় ওই এলাকার আরো দুজনকে আসামি করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে সহকারী প্রকৌশলী মাসুদ রানা বলেন, 'ফল্টের কারণে বন্ধ হওয়া ১১ কেভি বরইকান্দি ফিডার জোরপূর্বক চালু করতে চাইছিলেন কাউন্সিলর। কিন্তু এভাবে এই ফিডার চালু করলে অনেক সমস্যা হবে। মানুষের জানমালের ক্ষতি হবে। তাই আমি তাকে বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করি। কিন্তু তিন আমার কোনো কথা না শুনে আমার উপর আক্রমণ করেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেছি।

এ বিষয়ে কাউন্সিলর রায়হান হোসেন বলেন, মারামারি বা হামলার কোন ঘটনা ঘটেনি। বিদ্যুতের লাইন ছিড়ে রাস্তায় পড়েছিলো। সেই ছেড়া লাইন সরানোর জন্য আমরা তাদের বলি। কিন্তু তারা সেটা রাতে সরাতে রাজি হয়নি।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল কাদির বলেন, বিদ্যুৎ চলে গেলেই দপ্তরে এসে প্রকৌশলী কর্মকর্তাদের মারধর করা যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। রাতে এটা খুব বাজে কাজ করেছেন স্থানীয় কাউন্সিলর। তিনি দায়িত্বশীল পদে থেকে দায়িত্ব জ্ঞানহীনের মতো কাজ করেছেন। আমরা তো রাজনৈতিক ও সামাজিক কারণে এসব ব্যাপারে কঠোর হতে পারিনা। কিন্তু এবার আমরা এসব কঠোর হস্তে দমন করবো।


আরও খবর