আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

পাথরঘাটায় চোখ, নাখ বিহীন শিশুর জন্ম

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ মে ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ১৬ মে ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
Image

বরগুনা প্রতিনিধি:

বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় চোখ, নাখ বিহীন দাঁতের মাড়িসহ এক শিশুর জন্ম হয়েছে। সোমবার (১৬ মে) রাত সাড়ে বারোটার দিকে পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া বাজারের একটি বে-সরকারি সার্জিকেয়ার ক্লিনিকে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে ওই শিশুর জন্ম হয়। তবে নবজাতক শিশুসহ তার মা সুস্থ রয়েছেন বলে জানা গেছে।

ওই হাসপাতালের চিকিৎসক, মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর সহকারী সার্জন ডা: রাকিবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, চোখ বিহীন দাঁতেরমাড়িসহ যে শিশুটি জন্মগ্রহণ করেছে। এটি Anencephaly নামে এক ধরনের রোগ।

চিকিৎসকের ভাষ্যমতে, জীন ও হরমোনের সমস্যার কারণে এ ধরনের রোগ হয়ে থাকে। তার চিকিৎসা জীবনে প্রথমবারেরমত এমন শিশুর দেখা মিলেছে বলে জানান তিনি। তবে উন্নত চিকিৎসা পেলে শিশুটি কিছুটা সুস্থ হতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

ওই হাসপতাল সূত্রে জানা গেছ, উপজেলার উত্তর কাকচিড়া গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ ইদ্রিস আলীর স্ত্রী নাজনীন আক্তার কে নিয়ে সন্তান প্রসবের জন্য রবিবার বিকালে ওই ক্লিনিকে ভর্তি হন। রাত সাড়ে বারোটার দিকে সিজারিয়ান অপারেশন হয়। এটা তাদের দ্বিতীয় সন্তান।

অদ্ভুত আকৃতি নিয়ে জন্ম নেওয়া শিশুটিকে নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন শিশুটির জেলে বাবা। তিনি বলেন, দ্বিতীয় সন্তানকে ঘিরে পরিবার জুড়ে আনন্দ-উদ্দীপনা অপেক্ষা করছিল। কিন্তু শিশুটি জন্মের পর তা অনেকটাই ম্লান হয়ে গেছে। কারণ শিশুটির উন্নত চিকিৎসা করানোর মত আর্থিক অবস্থা তার নেই। কিভাবে ওই শিশুটির চিকিৎসা করাবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন ওই শিশুটির বাবা।

নিউজ ট্যাগ: বরগুনা

আরও খবর



৭ মার্চের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে : তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

৭ মার্চের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে এ প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার আহবান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর বনানীতে বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৫০তম বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ২০২৪ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ আহবান জানান।

এ সময় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাঙালিকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না, বাঙালিকে দাবিয়ে রাখা যায় না, এই চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণে 'সাত কোটি মানুষকে দাবায়ে রাখতে পারবা না'-এই ভবিষ্যৎবাণী করে গেছেন। এ কথাটি বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। আমরা দেখেছি বাঙালিকে বারবার দাবিয়ে রাখার অপচেষ্টা করে ষড়যন্ত্রকারীরা। কিন্তু বাঙালি সব ষড়যন্ত্র থেকে ঠিকই বেরিয়ে আসে, মাথা উঁচু করে দাঁড়ায়।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে এ সময় তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, স্বাধীনতার চেতনা শুধুমাত্র অন্ন,বস্ত্র,বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা এই পাঁচ মৌলিক চাহিদা পূরণ নয়, স্বাধীনতার চেতনা মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো এবং কেউ দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করলে মাথা নত না করা। সেটি হলো স্বাধীনতার মূলমন্ত্র এবং সেই মূলমন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে আজ বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে শুধুমাত্র অর্থনৈতিকভাবে উন্নত করছেন তাই নয়, তার কারণে আজকের বাস্তবতায় বাংলাদেশে আমরা অনেক কিছু দেখছি। আজ থেকে বিশ বছর আগে বাংলাদেশ এরকম ছিল না। এখন তোমারদের বড় স্বপ্ন দেখার সাহস বেড়ে গেছে। তোমরা এখন অনেক বড় বড় চিন্তা করো এবং সামনের দিনে তোমরা আরও এগিয়ে নেবে বাংলাদেশকে।

এ সময় তিনি আরো যোগ করেন, এ দেশে আজ থেকে বিশ বছর আগে মেট্রোরেল ছিল না, নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট ছিল না। এ দেশে আজ থেকে দশ বছর আগেও পুরো বাংলাদেশ বিদ্যুতের সাথে সংযুক্ত ছিল না, আজ থেকে দশ-পনেরো বছর আগেও এ দেশে নদীর তলদেশে টানেল ছিল না। আজ বাংলাদেশ স্যাটেলাইট নিয়ে আন্তরীক্ষে পৌঁছে গেছে, সমুদ্রের তলদেশে পৌঁছে গেছে সাবমেরিন নিয়ে, নিজের টাকায় আমরা পদ্মা সেতুর মতো বিশাল একটি সেতু আমরা বানিয়েছি। পৃথিবীর খুব কম দেশেই একইসাথে এসব কিছু আছে। এটা থেকেই বোঝা যায় বঙ্গবন্ধু কন্যা বাংলাদেশকে কত অল্পসংখ্যক দেশের মর্যাদায় নিয়ে গেছে। পৃথিবীর বুকে আমাদের মর্যাদা বদলে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।

বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল এন্ড কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শবনম জাহান শিলা, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার রিফাত রহমান শামীম প্রমুখ।


আরও খবর



পাউবোর নতুন মহাপরিচালক হলেন মুহাম্মদ আমিরুল হক ভূঞা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Image

আজ বৃহস্পতিবার প্রকৌশলী মুহাম্মদ আমিরুল হক ভূঞা বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডে মহাপরিচালক পদে যোগদান করেছেন।

বর্তমান পদে যোগদানের পূর্বে তিনি অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পশ্চিম রিজিয়ন) পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি ১৯৮৭ সালে তৎকালীন বিআইটি, রাজশাহী (বর্তমানে রুয়েট) থেকে বিএসসি ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রী অর্জন করেন।

তিনি ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডে সহকারী প্রকৌশলী (পুর) পদে যোগদান করে বিভিন্ন পদে দক্ষতার সহিত দায়িত্ব পালন করেন। চাকরিজীবনে তিনি তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্প, হাইড্রলোজী, প্রসেসিং অ্যান্ড ফ্লাড ফোরকাস্টিং সার্কেল, বিভিন্ন নদী তীর সংরক্ষণ প্রকল্প ও মাঠ পর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তরে সাফল্য ও দক্ষতার সহিত দায়িত্ব পালন করেন।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডে দীর্ঘ ৩২ বছর চাকরিকালীন তিনি ইতালী, জার্মানী ও ভারতে বিভিন্ন সেমিনার ও প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করে কৃতিত্বের সাথে সাফল্য অর্জন করেন এবং অর্জিত জ্ঞান বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উন্নয়নে সফলভাবে প্রয়োগ করেন।

প্রকৌশলী মুহাম্মদ আমিরুল হক ভূঞা ১৯৬৬ সালে সিরাজগঞ্জ জেলার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে  জন্মগ্রহণ করেন।


আরও খবর



সুগন্ধি চালের দাম বৃদ্ধির কোনো কারণ নেই : খাদ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ফয়সাল আহম্মেদ, নওগাঁ প্রতিনিধি

Image

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন সুগন্ধি জাতের চালের দাম বাড়ার কোন সুযোগ নেই। সুগন্ধি জাতের চাল আগে বিদেশে রপ্তানি হতো এখন বিদেশে রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণে সুগন্ধি চালের মজুদ আছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার দুপুরে নওগাঁ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে খাদ্য নিয়ন্ত্রকের নতুন ভবন উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন।

বিদ্যুতের দাম বাড়ার সাথে কৃষকের উৎপাদনে কোন প্রভাব পড়বে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, কৃষক ভর্তুকি মূল্যে বিদ্যুৎ পাচ্ছে তাই বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির কোন প্রভাব কৃষিক্ষেত্রে পড়বে না সুতরাং কৃষকের উপর কোন ধরনের প্রভাব পড়বে না বলেও জানান তিনি।

নতুন ভবন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব মিল্টন চন্দ্র রায় এর সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসমাইল হোসেন এনডিসি সহ জেলা ও উপজেলার খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ ।


আরও খবর



টংক আন্দোলনের নেত্রী কুমুদিনী হাজং আর নেই

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নেত্রকোনার পাহাড়ি সীমান্তবর্তী দুর্গাপুর উপজেলা স্মৃতি নিয়ে বেঁচে থাকা শেষ স্বাক্ষী কুমুদিনী হাজং মারা গেছেন। শনিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে উপজেলার সীমান্ত গ্রাম বহেরাতলীতে স্বামীর ভিটায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। দুর্গাপুর কালচারাল একাডেমির পরিচালক সুজন হাজং এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বার্ধক্যজনিত কারণে দীর্ঘদিন মত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। ভারতের মেঘালয় রাজ্যের তলদেশে বিজয়পুর সীমান্তের দুর্গাপুর উপজেলার কুল্লাগড়া ইউনিয়নের বহেরাতলি গ্রাম। যে গ্রাম থেকে খাজনা প্রথা বিলুপ্তিতে আন্দোলনের গণজাগরণ হয়েছিল যার মৃত্যুতে সেই রাশি মণি হাজংয়ের স্মৃতি ধরে রেখেছিলেন কুমুদিনী হাজং।

রাশিমণির সমাপ্তিতে খাজনা বিদ্রোহে প্রজা আন্দোলনের ইতিহাস ঐহিত্যর বীরত্বগাঁথা মনিষীদেরও চারণভূমিও বলা চলে। এ এলাকায় কুমুদিনী হাজংয়ের কাছে মানুষ শুনতে আসতেন টংক প্রথা বিলুপ্তির ইতিকথা। কিন্তু তিনি মৃত্যুর কয়েক বছর আগে থেকে কথা বলতে পারেন না। তবে যাদের চেনেন। তাদের সন্মান করতেন। বসিয়ে রাখতে চাইতেন পাশে। বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি শয্যাশায়ী থাকাকালীন মেঝো ছেলে ও ছেলে বউ দেখভাল করেছেন। রাশিমণি স্মৃতিসৌধ দেখতে গিয়েই সকলে কুমুদিনী হাজংয়ের খোঁজ নেন সবাই। তার তিন ছেলে দুই মেয়ের মধ্যে বড় ছেলে কয়েক বছর আগেই মারা যান। কুমুদিনী হাজংয়ের মেঝো ছেলে অর্জুন হাজং জানায়- রবিবার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।

১৯৪৬ সনের কথা। কমরেড মণিসিংহ ভারত থেকে দুর্গাপুর মামা বাড়িতে চলে আসেন। শুরু করেন টংক প্রথা বা ধান কড়াড়ি খাজনা বাতিল আন্দোলন। আন্দেলনে যোগ দেন সীমন্তের কুল্লাগড়া ইউনিয়নের লঙ্কেশ্বর হাজং, রাশিমণি হাজংসহ আদিবাসীরা। এরই জেরে সে বছরের ৩১ জানুয়ারী লঙ্কেশ্বর হাজংসহ বেশ ক’জন হাজং বিদ্রোহী নেতাকে ধরে নিতে ব্রিটিশ ফন্ট্রিয়ার পুলিশ আসে বহেরাতলী গ্রামে। তাদের না পেয়ে লঙ্কেশ্বর হাজংয়ের সদ্য বিয়ে করা স্ত্রী কুমুদিনী হাজংকে তুলে নিয়ে যায়।

এ খবর এক কৃষক বিদ্রোহ সভায় রাশি মণি হাজংয়ের কাছে পৌঁছে। ছুটে যান তিনি। নারীকে নিয়ে যাওয়া মানে মান নিয়ে যাওয়া উল্লেখ করে তিনি ঝাপিয়ে পড়েন। হাতে থাকা দা দিয়েই পুলিশের উপর হামলা চালান। পরে পুলিশের বন্দুকের গুলিতে তিনিসহ দুজন হাজং নেতার প্রয়াণ ঘটে। তবে রক্ষা হয় গৃহবধূ কুমুদিনী হাজং।


আরও খবর



অর্জিত হচ্ছে না রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

চলতি অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) রাজস্ব ঘাটতি ১৮ হাজার ২২১ কোটি টাকা। লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ ৪৪ হাজার ৮০৮ কোটি টাকার বিপরীতে রাজস্ব পাওয়া গেছে ২ লাখ ২৬ হাজার ৫৮৬ কোটি টাকা। যদিও গেল বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি ১৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এনবিআরের সাময়িক হিসাব অনুসারে, ৮ মাসে আয়কর আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭৯ হাজার ১৫৫ কোটি টাকা। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ৭২ হাজার ৩১১ কোটি টাকা। পাশাপাশি মূল্য সংযোজন কর (মূসক) আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯২ হাজার ৩৬৮ কোটি টাকা। বিপরীতে আয় হয়েছে ৮৮ হাজার ৭০১ কোটি টাকা। এছাড়া শুল্ক আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭৩ হাজার কোটি টাকা। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ৬৫ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা।

চলতি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছর শেষে ৮২ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি হতে পারে বলে মনে করছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। গত ১৬ মার্চ জাতীয় বাজেট ২০২৪-২৫ এর প্রস্তাবনা উপস্থাপন অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, এমন একটা সময় বাজেট প্রণয়ন হতে যাচ্ছে যখন সামষ্টিক অর্থনীতি নেতিবাচক ধারায় রয়েছে। দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি, ব্যাংকের তারল্য সংকট, বাজেট বাস্তবায়নে নিম্ন ও শ্লথ গতি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিম্নগামী এবং রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স নিচের দিকে। এই পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা যেটা আমরা দেখতে চাই বিশেষ করে উচ্চ প্রবৃদ্ধি ও নিম্ন মূল্যস্ফীতিসহ অন্যান্য সূচক যেখানে থাকার কথা সেটা নেই। বরং চরমভাবে চাপের মুখে পড়েছে। এর কারণ আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ দুটোই।

ফাহমিদা খাতুন বলেন, আগামী ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের মূল বাজেটই হবে কীভাবে সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা যায়। ওই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করে কীভাবে অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করা যায়, সেটা বড় বিষয়। যেমন: গত ছয় মাসের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৩ শতাংশ। কিন্তু ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রাপ্তি মাত্র ১৩ দশমিক ৯ শতাংশ। আমরা যদি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে চাই, তাহলে বাকি ৬ মাসে রাজস্ব আহরণে ৫৪ দশমিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হবে। যা অত্যন্ত কঠিন বিষয়। বিগত দিনের ধারা লক্ষ্য করলে দেখা যায় রাজস্ব ঘটতি আগের মতোই চলমান থাকবে। যার পরিমাণ ৮২ হাজার কোটি টাকা হবে বলে মনে করছি।

মূল্যস্ফীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা দেখতে পাচ্ছি মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের বেশি ছিল। যেখানে খাদ্য মূল্যস্ফীতি শহর ও গ্রামে দুটোই জায়গায় বেশি ছিল। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংকের পদক্ষেপ খুব বেশি প্রভাবে ফেলতে পারিনি।

গত ৬ মাসের রাজস্ব আহরণের চিত্র বিশ্লেষণ করে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) পর্যবেক্ষণ বলছে, চলতি অর্থবছরে সরকার বড় অঙ্কের রাজস্ব ঘাটতির মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। সিপিডি মনে করে, অর্থবছর শেষে ৮২ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি হবে।


আরও খবর