আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

পাথরঘাটায় মাদক কারবারীদের হামলায় ডিবি পুলিশসহ আহত তিন

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
অলিউল্লাহ্ ইমরান, বরগুনা

Image

বরগুনার পাথরঘাটায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনার সময় বরগুনা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সদস্যসহ ৩ জনকে কুপিয়ে আহত মাদক ব্যবসায়ীরা। শনিবার দুপুর পৌনে ৩টার দিকে পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ানী ইউনিয়নের মুন্সিরহাট এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনার সময় এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় অভিযুক্তরা হলো চরদুয়ানী ইউনিয়নের মুন্সিরহাট এলাকার সৈকত ও আব্দুর রবসহ কয়েকজন স্থানীয় বখাটে। এদের মধ্যে সৈকতের পিতা নাম দেলোয়ার হোসেন।

আহতরা হলো, বরগুনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সদস্য মো. প্রিন্স (৩০), ডিবি সোর্স রিপন ও সাগর। তাদের মধ্যে রিপনের একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ আলম হাওলাদার।

জানা গেছে, শনিবার দুপুরে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী সৈকতকে ধরতে বরগুনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পাথরঘাটা উপজেলার মুন্সিরহাট বাজার এলাকায় জাকারিয়ার চায়ের দোকানের আসেপাশে অবস্থান নেয়। এসময় সৈকত ঐ দোকানেই মাদক বেচাকেনা করছিল। তখন দুজন গোয়েন্দা পুলিশ সৈকতকে ঝাপটে ধরলে আত্মরক্ষার জন্য পকেট থেকে ছুরি বের করে গোয়েন্দা পুলিশ সদস্যদের উপর এলোপাতাড়ি ভাবে আঘাত করে। তখন অন্য সদস্যরা দৈড়ে আসলে সৈকত পালিয়ে যায়। পরে আহতদের উদ্ধার করে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়।

স্থানীয়দের জানা যায়, সৈকতের নেতৃত্বে কিছু কিশোর গ্যাং মাদক ব্যবসায়ের সাথে সরাসরি জড়িত। এদের বিরুদ্ধে পাথরঘাটা থানায় মাদক, মারামারি, কিশোরী অপহরণের হুমকি, ইভটিজিং সহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। সৈকতের ভয়ে তার বিরুদ্ধে কেহ মুখ খুলতে চায় না।

পাথরঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম জানান, পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ানী ইউনিয়নের মুন্সিরহাট এলাকার জাকারিয়ার চায়ের দোকানে আসামী আছে কিনা এটা যাচাই করতে গেলে তারা গোয়েন্দা পুলিশের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এঘটনায় জিঙ্গাসাবাদ এর জন্য চায়ের দোকানিকে আটক করা হয়েছে।


আরও খবর



হিজাব নিয়ে কটাক্ষকারী সেই শিক্ষককে ৫ বছরের জন্য অব্যাহতি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আসিক আদনান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

Image

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. হাফিজুর রহমানকে আগামী পাঁচবছরের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। হিজাব-নিকাব পরায় ছাত্রীদের কটাক্ষ ও হেনস্তা করা এবং মেসেঞ্জারে আপত্তিকর মেসেজ পাঠানোর অপরাধে তার বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

আজ মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মো. আশরাফ-উজ-জামান।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিভাগের একাডেমিক কমিটির একটি সভা করা হয়েছে। সভায় অভিযোগটি যাচাই-বাছাই করে অভিযুক্ত শিক্ষককে বিভাগের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে পাঁচবছরের জন্য অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ থেকেই অব্যাহতি কার্যকর হবে। তিনি অভিযোগ স্বীকার করায় কোনো তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়নি।

এর আগে, গতকাল সোমবার সকালে ইসলামিক স্টাডিজ পরিবার (রাবি) নামে একটি ফেসবুক গ্রুপে সিদরাতুল মুনতাহা নামে একটি আইডি থেকে পোস্ট করা হয়। ওই পোস্টে বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে শ্রেণিকক্ষে হিজাব-নিকাব পরে যাওয়ায় কটাক্ষ ও হেনস্তা করার অভিযোগ করা হয়।

পরবর্তীকালে মেসেঞ্জারে ছাত্রীদের সঙ্গে করা আপত্তিকর কিছু কথপোকথনের স্কিনশটও পোস্ট করা হয় ওই গ্রুপে। এরপর বিকেলে ওই শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে মানববন্ধন করে বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী। এছাড়া, ওই শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে গতকালই বিভাগের সকল শিক্ষার্থীর পক্ষ থেকে সভাপতি বরাবর লিখিত আবেদন জানানো হয়।

আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় অভিযুক্ত শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করে স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশন।


আরও খবর



ভিকারুননিসায় ভর্তি বাতিল চ্যালেঞ্জ করে ১৬৯ শিক্ষার্থীর আবেদন

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রথম শ্রেণির ১৬৯ ছাত্রীর ভর্তি বাতিল করে চ্যালেঞ্জ করে চেম্বার আদালতে আবেদন করা হয়েছে।

বুধবার (১৩ মার্চ) ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান আবেদন করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত ৬ মার্চ প্রথম শ্রেণির ১৬৯ ছাত্রীর ভর্তি বাতিলের পর এসব শূন্য আসনে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি করে তার তালিকা আদালতে দাখিল করতে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। আগামী ১৪ মার্চের মধ্যে এই ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে।

১৬৯ ছাত্রীর ভর্তি বাতিলের প্রতিবেদন অ্যাফিডেভিট আকারে আদালতে দাখিলের পর বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এদিকে এই রিট মামলায় ভর্তি বাতিল হওয়া ১৬৯ শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের মধ্যে ৩৬ জন পক্ষভুক্তির আবেদন করেছেন। আদালতে স্কুলের পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট রাফিউল ইসলাম ও রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাইনুল হাসান উপস্থিত ছিলেন। কাজী মাইনুল হাসান বলেন, শূন্য আসনে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি করে তার তালিকা হাইকোর্টে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

গত ৪ মার্চ ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রথম শ্রেণির ১৬৯ ছাত্রীর ভর্তি বাতিল করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। প্রত্যেক শিক্ষার্থীর অভিভাবককে পৃথক পৃথক চিঠি দিয়ে ভর্তি বাতিলের এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়। একইসঙ্গে ভর্তি বাতিলের বিষয়টি চিঠি দিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদকে অবহিত করেন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরী। চলতি বছর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রথম শ্রেণিতে বিধি বহির্ভূতভাবে ১৬৯ জন শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হয়েছিল। যাদের জন্মসাল ছিল ২০১৫ ও ২০১৬ সাল। কিন্তু মাউশি প্রজ্ঞাপন দিয়ে বলেছিল ২০১৭ সালে জন্মসনদ রয়েছে এমন শিক্ষার্থীরাই প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন করতে পারবে। কিন্তু এই ১৬৯ শিক্ষার্থীর অভিভাবক ২০১৫ ও ২০১৬ সালের জন্মসনদ দিয়ে তাদের সন্তানদের ভর্তির জন্য আবেদন করেন। পরে তদন্তে বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৫ সালে সালে জন্মগ্রহণকারী ১০ জন এবং ২০১৬ সালে জন্মগ্রহণকারী ১৫৯ জন শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করা হলো।

চলতি শিক্ষাবর্ষে ভিকারুননিসা স্কুলে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তিতে অনিয়ম হয়েছে এবং এই অনিয়মের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে মাউশির মহাপরিচালক বরাবর একটি আবেদন দেন পারভীন আক্তার নামে একজন অভিভাবক। কিন্তু আবেদন নিষ্পত্তি না করায় হাইকোর্টে রিট করেন তিনি। হাইকোর্ট পারভীন আক্তারের আবেদনটি নিষ্পত্তি করতে মাউশির মহাপরিচালককে নির্দেশ দেন। উচ্চ আদালতের ওই নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৪ সালে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া সব শিক্ষার্থীর তথ্য চাওয়া হয়। ওই তথ্য পর্যালোচনা করে মাউশি জানতে পারে যে ভিকারুননিসায় ১৬৯ জন শিক্ষার্থী বিধি বহির্ভূতভাবে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছেন। এরপরই এসব শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিলের জন্য ভিকারুননিসার অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরীকে ২২ ফেব্রুয়ারি চিঠি দেন মাউশির মহাপরিচালক।


আরও খবর



বেইলি রোডে আগুনে নিহত বেড়ে ৩৩ জন

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বেইলি রোডে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের ভবনে লাগা আগুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৩ জন মারা গেছেন।

এরমধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে ২২ জনের মরদেহ এবং শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে রয়েছে ১১ জনের মরদেহ।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. আলাউদ্দিন রাত দেড়টার দিকে বলেন, নারী ও শিশুসহ এখন পর্যন্ত ২২ জনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আনা হয়েছে।

অন্যদিকে, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট থেকে বলা হয়েছে, সেখানে ১১ জনের মরদেহ রয়েছে।

তবে ফায়ার সার্ভিসের সর্বশেষ তথ্য বলছে, আগুনের ঘটনায় তিনজনের মরদেহ এবং অবচেতন অবস্থায় ৪২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। অবচেতন অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো ৪২ জনের মধ্যে চার শিশু ও ২১ নারী রয়েছেন। বাকিরা পুরুষ। পাশাপাশি জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ৭৫ জনকে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন বেইলি রোডে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের সামনে উপস্থিত সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, তিনজনের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে, ৪২ জনকে অবচেতন অবস্থায় পাওয়া গেছে। তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের মৃত্যুর বিষয়টি চিকিৎসক নিশ্চিত করবেন।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত দেড়টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁরির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ১১ জনের মরদেহ এসেছে। অন্যদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২২ জনের মরদেহ রয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে পৌনে ১০টার দিকে গ্রিন কজি কটেজ নামের সাততলা ওই ভবনের দ্বিতীয় তলায় কাচ্চিভাই রেস্টুরেন্টে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুন লাগার কিছু সময় পরই একটি গ্যাস সিলেন্ডার বিস্ফোরিত হওয়া আগুন ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। ২ ঘণ্টার চেষ্টা চালিয়ে রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। রাত দেড়টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উদ্ধার তৎপরতা চলছিল। আগুনে হতাহতদের বেশিরভাগই রেস্টুরেন্টেটির ক্রেতা ও স্টাফ।


আরও খবর



ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের সাজা মৃত্যুদণ্ড করার মত হাইকোর্টের

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

কোরআন শরিফ, নবী-রাসুলসহ সকল ধর্মীয় বিষয়ে কটূক্তি করলে সাইবার নিরাপত্তা আইনে জামিন অযোগ্যসহ সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান করতে মতামত দিয়েছেন হাইকোর্ট। হজরত মোহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে ফেসবুকে অবমাননাকর মন্তব্য করার ঘটনায় করা মামলায় এক আসামির জামিন আদেশে মঙ্গলবার (১২ মার্চ) এমন মত দেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের বেঞ্চ রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেন, পূর্ববর্তী আইনে জামিন অযোগ্য ধারা ছিল। বর্তমান আইনে ধর্মীয় অনুভূতির বিষয়ে কটূক্তি করলে জামিনযোগ্য ধারা হওয়ায় অপরাধপ্রবণতা বাড়ছে। আদালত বলেছেন, এটি একটি সংঘবদ্ধ অপরাধ এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল। কোরআন শরিফ ও হজরত মোহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে বিজ্ঞানী নিউটন, আইনস্টাইনসহ কেউ কখনো প্রশ্ন তোলেননি। এ সময় আদালত পবিত্র কোরআন শরিফের সুরা আশশুরার কয়েকটি আয়াতের বিষয়ে অবতারণা করেন।

শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাহাব উদ্দিন আহমেদ টিপু ও মো. মজিবুর রহমান মুজিব। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের মামলায় ২৫ লাখ টাকা ব্যাংক গ্যারান্টির বিনিময়ে রুল নিষ্পত্তি করে আসামি সেলিমের জামিন মঞ্জুর করেছেন। আর আসামি নাফিসা চৌধুরীকে সম্পূরক চার্জশিট করে অন্তর্ভুক্ত করতে বলেছেন।

রাষ্ট্রপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে গত বছরের ২ নভেম্বর ফেসবুকে নাফিসা চৌধুরী একটি পোস্ট দেন। তাতে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার সেলিম খান নামে এক ব্যক্তি হজরত মোহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন। ওই ঘটনায় কুষ্টিয়ার হানিফ শাহ ৪ নভেম্বর ভেড়ামারা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পর গ্রেপ্তার হন সেলিম খান। তিনি জেলা আদালতে জামিন না পেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করলে রুল জারি করা হয়। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) ওই রুল নিষ্পত্তি করে জামিন দেন হাইকোর্ট।

তদন্তকারী কর্মকর্তা গত ৩১ ডিসেম্বর ওই মামলায় অভিযোগপত্র দেন। যাতে আসামি সেলিম খানকে অভিযুক্ত করা হয়। তবে পোস্টকারী নাফিসা চৌধুরীকে অভিযোগপত্রে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। হাইকোর্ট বলেছেন, তার বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ থাকায় সম্পূরক চার্জশিটের মাধ্যমে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।


আরও খবর



অসুস্থ খালেদা জিয়া, চার্জ শুনানি পেছালো

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলার চার্জ গঠনের বিষয়ে শুনানির তারিখ আগামী ২৮ মে ধার্য করেছেন আদালত।

রোববার (২৪ মার্চ) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-২ এর বিচারক মো. আক্তারুজ্জামানের আদালতে মামলাটি চার্জ শুনানির দিন ধার্য ছিল। তবে এদিন মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি।

আদালতে তার পক্ষে মাসুদ আহমেদ তালুকদার হাজিরা দেন। অন্য আসামিদের পক্ষে আইনজীবীরা চার্জ শুনানি পেছানোর আবেদন করেন। পরে আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে শুনানির পরবর্তী তারিখ ঠিক করেন। খালেদা জিয়ার আইনজীবী আব্দুল হান্নান ভূঁইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ঠিকাদার নিয়োগে অনিয়ম ও ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সংস্থার সহকারী পরিচালক মো. নাজমুল আলম শাহবাগ থানায় এ মামলা করেন। মামলায় অভিযুক্ত আসামির সংখ্যা ১৩ জন। বিভিন্ন সময় ছয় আসামি মারা যান। বর্তমানে এ মামলায় আসামির সংখ্যা সাত জন।


আরও খবর