আজঃ মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

পাটুরিয়ায় পারের অপেক্ষায় প্রায় ৫শ’ যানবাহন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৩ এপ্রিল ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৩ এপ্রিল ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সম্প্রতি বাংলাদেশে প্রথম লকডাউন শেষ হতে না হতেই আবারও শুরু হতে যাচ্ছে এবছরের দ্বিতীয় লকডাউন। করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ রুখতে কঠোর নিয়ন্ত্রণ কৌশলের দিকেই এগোচ্ছে সরকার। রবিবার কঠোর নিয়ন্ত্রণমূলক পদক্ষেপ নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঁচটি মন্ত্রণালয়ে পৃথক পাঁচটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। তবে কোনো ধরনের সাধারণ ছুটি বা লকডাউনের সিদ্ধান্ত হয়নি, আপাতত এমন কোনো পরিকল্পনাও নেই।

কিন্তু এদিকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে যানবাহনের চাপ যেন চোখে পড়ার মতো। কঠোর লকডাউনের খবরে স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে বাড়ি ফিরছেন অনেকে। শুধুমাত্র পাটুরিয়াতেই প্রায় পাঁচশো যানবাহন পারের অপেক্ষায় রয়েছে।

মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) সকাল সোয়া ৯টার দিকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিটিসি) আরিচা কার্যালয়ের সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মহীউদ্দীন রাসেল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মহীউদ্দীন রাসেল জানান, টার্মিনালে আড়াইশো সাধারণ পণ্যবাহী ট্রাক পারের অপেক্ষায় আছে। এছাড়া, আড়াইশো ছোট গাড়ি এ নৌরুট পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ১৭টি ফেরির মধ্যে ১৬টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।


আরও খবর



বৈশ্বিক পোশাকখাতের পাওয়ার হাউস বাংলাদেশ: ডব্লিউইএফ

প্রকাশিত:শনিবার ২৪ ফেব্রুয়ারী 20২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৪ ফেব্রুয়ারী 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

বাংলাদেশের টেক্সটাইল ও পোশাক শিল্প বৈশ্বিক পোশাকখাতের পাওয়ার হাউসে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব অর্থনৈতিক সংস্থা (ডব্লিউইএফ)।

সম্প্রতি ডব্লিউইএফ বাংলাদেশের দারিদ্র্য থেকে টেক্সটাইল পাওয়ার হাউসে অতিক্রম করণ আফ্রিকার দেশগুলোর জন্য শিক্ষার শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক টেক্সটাইল ও পোশাক শিল্পের পাওয়ার হাউসে পরিণত হওয়ায় বাংলাদেশের দারিদ্র্যের হার অর্ধেকে নেমেছে এবং মোট দেশজ উৎপাদন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বাজারমুখী নীতি, বেসরকারিকরণ, বাণিজ্য উদারীকরণ এবং কৌশলগত বৈদেশিক বিনিয়োগ বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ও শিল্প প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করার মূল চাবিকাঠি ছিল।

ডব্লিউইএফর ব্লগে ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স কর্পোরেশনের (আইএফসি) ম্যানুফ্যাকচারিং ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড ট্রেড সাপ্লায়ার ফাইন্যান্সের গ্লোবাল ম্যানেজার ফেমি আকিনরেবিয়ো বলেছেন, যেহুতু বাংলাদেশ তার অর্থনীতিকে বৈচিত্র্যময় এবং ভ্যালু চেইনে আরোহণ করতে চায়, সে জন্য আফ্রিকা পোশাক শিল্পের পরবর্তী সীমানা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। যা একই ধরনের আন্তর্জাতিক সমর্থন থেকে উপকৃত হচ্ছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সত্তরের দশকের শুরুতে ৯ মাস যুদ্ধের পর পাকিস্তানের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। সে সময় দেশটি অত্যন্ত দরিদ্র ও ঘনবসতিপূর্ণ দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল। তখন দেশেটির অর্থনীতির মুলভিত্তি ছিল পাট, যা জনগণকে খাদ্য যোগাতেও অক্ষম ছিল। এরপর ১৯৭৪ সালে দেশটি এমন একটি ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের কবলে পড়ে যাকে পরমাণু হামলার পরের সকালের মতো বর্ণনা করেছিলেন ওই সময় দেশটিতে সফররত বিশ্বব্যাংকের একজন অর্থনীতিবিদ। এর কিছু বছর পর বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য একটি সরকারী প্রচারণা ফলপ্রসূ হয়েছিল। যা দেশটির কৃষি অর্থনীতিকে টেক্সটাইল এবং পোশাক উৎপাদনে পাওয়ার হাউসে রূপান্তরিত করেছে। এ শিল্পকে এমন একটি অলৌকিক অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রত্যাবর্তন হিসাবে বর্ণনা করা যেতে পারে যা আজ উন্নয়নশীল দেশগুলো অনুকরণ করার চেষ্টা করছে।

আকিনরেবিয়ো বলেন, বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধির মূলে রয়েছে দেশটির শিল্পের বেসরকারিকরণ, বাণিজ্য উদারীকরণ ও বাজারমুখী নীতি। রেডি-টু-ওয়্যার পোশাক বৃদ্ধির ইঞ্জিন হয়ে সুতির টি-শার্ট, প্যান্ট, পুলওভার এবং ডেনিম তার প্রিয় স্পট হয়ে উঠেছে। গত এক দশকে দেশটি তার অর্থনীতিকে বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম দেশে উন্নীত করেছে। লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান করেছে এবং দারিদ্র্যের হার অর্ধেকে নামিয়ে এনেছে। কোভিড-১৯ মহামারীর আগে দেশটির অর্থনীতি বার্ষিক ৭ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছিল, জিডিপি বেড়ে প্রায় ২ হাজার ৫০০ ডলারে উন্নীত হয়েছিল, যা ভারতকেও ছাড়িয়ে গিয়েছিল।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের ৮৪ শতাংশই আসে শুধু পোশাক থেকে। চূড়ান্তভাবে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের লক্ষ্য উচ্চ আয়ের দেশে পরিণত হওয়া। আর এর মুল অস্ত্র দেশটির পোশাক খাত। তবে সফল শিল্পায়ন নীতির জন্য ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য বাংলাদেশ। এগুলোর মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের সঙ্গে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা করা এবং রফতানি অঞ্চলগুলোতে যন্ত্রপাতি আমদানির শুল্কমুক্ত অনুমতি দেওয়া।

আইএফসির এ কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশ ৩ হাজার ৫০০টিরও বেশি কারখানায় ৪০ লাখ লোকের কর্মসংস্থান করেছে। দেশটি ১৬৭টি দেশে ৪৩ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করে। পোশাক কাটা, সেলাই ও একত্রিত করা কঠিন এবং ক্লান্তিকর ও সস্তা শ্রমের ওপর নির্ভর করে সাধারণত রফতানি-নেতৃত্বাধীন বৃদ্ধির মডেলগুলো চিরকাল স্থায়ী হয় না। তবে বাংলাদেশ সাফল্যের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে এবং পরিকল্পনার পরবর্তী ধাপে রয়েছে।

২০২৩ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশ আসেন ফেমি আকিনরেবিয়ো। সেই অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে মূলত নারী শ্রমশক্তির আধিপত্য রয়েছে, যাদের কাজে কারখানার ফ্লোর থেকে অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি উপকৃত হয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স কর্পোরেশন (আইএফসি) এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএফসি) কর্মসূচি কারখানায় কাজের পরিবেশ উন্নত করেছে, লিঙ্গ বৈচিত্র্যকে উন্নত করেছে এবং নারীদের জন্য ব্যবস্থাপনার সুযোগ তৈরি করেছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের এই অভিন্ন সমৃদ্ধির সামাজিক প্রভাব সুদূরপ্রসারী। প্রতিবেশি দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের নারীরা বেশি শিক্ষিত, দেশটির তিন-চতুর্থাংশ নারী শিক্ষিত। প্রতিবেশিদের তুলনায় দেশটির নারীদের শিক্ষা গ্রহণ, উচ্চ বেতনের চাকরি এবং স্বাস্থ্যবান সন্তান ধারণের সম্ভাবনা বেশি। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সামান্য সহায়তায় উন্নয়নের সামাজিক ও টেকসই সুফল পোশাক উৎপাদনকারী দেশগুলোর পরবর্তী ক্লাস্টারে স্থানান্তরিত হবে।


আরও খবর



মামলা জট নিরসনে ডিসিদের সহযোগিতা চাইলেন আইনমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মামলা জট নিরসনে জেলা প্রশাসকদের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। মঙ্গলবার (০৫ মার্চ) ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ডিসি সম্মেলনের তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় কার্য-অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, মোবাইল কোর্ট অ্যাক্টের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে একটা মামলা আছে। সেটা দ্রুত নিষ্পত্তির বিষয়ে উদ্যোগ নেয়া হবে। অনেক সময় হাইকোট বিভাগে কেউ যদি মামলা করে তখন হাইকোর্ট একটা আবেদন নিষ্পত্তির জন্য একটা আদেশ দেন। সে ক্ষেত্রে অনেক সময় জটিলতা দেখা দেয় যে, হাইকোর্টের আদেশ না বুঝে অনেক দেরি করা হয়। সে বিষয়ে স্পষ্টকরণ করে দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ডিসিরা কিছু সুনির্দিষ্ট প্রশ্ন করেছেন এবং আমাদের আইন সচিব সে প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন। যে-সব মাল জব্দ করা হয়, সেসব মাল নিষ্পত্তির বিষয়ে কী করা উচিত এবং আধুনিকায়নের বিষয়ে কিছু প্রস্তাব এসেছে আমরা ই-জুডিসিয়ারির কথা বলেছি। সেখানে কতটুকু সুবিধা হবে সে কথা বলেছি।

আগুন লাগার ঘটনায় মামলা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই, এই মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করার জন্য আমাদের প্রসিকিউশনকে যে নির্দেশনা দেয়া দরকার সেটি দেয়া হবে।


আরও খবর
খালেদা জিয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত আজ

মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪




রোজা শুরুর তারিখ ঘোষণা করল অস্ট্রেলিয়া

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

ওশেনিয়া অঞ্চলের দেশ অস্ট্রেলিয়া পবিত্র মাহে রমজান শুরুর তারিখ ঘোষণা করেছে। দেশটি আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে, কাল সোমবার শাবান মাসের শেষ দিন হবে। আর মঙ্গলবার (১২ মার্চ) থেকে শুরু হবে পবিত্র রমজান মাস।

ইমামদের ফেডারেল কাউন্সিল, ফতোয়া ও শরীয়াহ বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে অস্ট্রেলিয়ার গ্র্যান্ড মুফতি জানিয়েছেন, সোমবার শাবান মাস শেষ হবে আর মঙ্গলবার শুরু হবে রোজা। ভৌগলিক অবস্থান এবং চাঁদ ওঠার কারণে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে রোজার তারিখ ঘোষণা করে থাকে।

অস্ট্রেলিয়া পূর্ব গোলার্ধে অবস্থিত এবং অন্যান্য দেশের তুলনায় সময়ের দিক দিয়ে এগিয়ে রয়েছে দেশটি। পশ্চিম গোলার্ধে যেসব দেশ রয়েছে সেগুলোর তুলনায় আগে অস্ট্রেলিয়ায় ইসলামিক চন্দ্র মাস শুরু হয়।

এদিকে আজ রোববার ১০ মার্চ সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশে পবিত্র রমজানের চাঁদ দেখার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। দেশটির রয়্যাল কোর্ট সাধারণ মানুষকে চাঁদ দেখার আহ্বান জানিয়েছে। এছাড়া আরব আমিরাতও তাদের জনগণকে একই আহ্বান জানিয়েছে।

তবে ১০ মার্চ রমজানের চাঁদ দেখা যাবে না বলে জানিয়েছে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা আন্তর্জাতিক জোতির্বিদ্যা কেন্দ্র। এর বদলে পরের দিন ১১ মার্চ চাঁদ দেখা যাবে এবং ১২ মার্চ থেকে মুসল্লিরা রোজা রাখা শুরু করবেন।

আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিদ্যা কেন্দ্র জানিয়েছে, ১০ মার্চ গ্রিনিচ সময় অনুযায়ী, সকাল ৯টায় চাঁদ ও সূর্যের সংযোগ হবে।

কিন্তু এদিন আরব বিশ্বের কোনো অঞ্চল থেকে খালি চোখে অথবা টেলিস্কোপ দিয়ে চাঁদ দেখা সম্ভব নয়। ওইদিন চাঁদটি ইসলামিক বিশ্বের শহরগুলো থেকে সূর্যাস্তের পরপরই অস্ত যাবে।

কেন আজ চাঁদ দেখা যাবে না?

সৌদি আরবের মক্কা শহরে আজ সূর্যাস্তের ১৩ মিনিট পর নতুন অর্ধচন্দ্রটি অস্ত যাবে। তখন চাঁদটির বয়স থাকবে ৬ ঘণ্টা ২২ মিনিট। অপরদিকে মিসরের রাজধানী কায়রোতে সূর্যাস্তের ১৪ মিনিট পর চাঁদ অস্ত যাবে। তখন চাঁদটির বয়স থাকবে ৭ ঘণ্টা ২ মিনিট।

আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিদ্যা কেন্দ্রের পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ শওকত ওদেহ বলেছেন, নতুন জন্ম হওয়া চাঁদ দেখতে হলে সূর্যাস্তের পর কমপক্ষে ২৯ মিনিট এটি আকাশে থাকতে হবে, চাঁদটির বয়স হতে হবে ১৫ ঘণ্টা ৩৩ মিনিটের বেশি এবং সূর্য ও চাঁদের মধ্যে দূরত্ব থাকতে হবে ৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি। আগামী ১০ মার্চ এর কোনোটিরই সম্ভাবনা নেই।


আরও খবর
রমজানের প্রথম ১০ দিন যে দোয়া পড়বেন

বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪

প্রথম ১০ রোজায় যেসব দোয়া পড়বেন

মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪




ফের ক্লাস বর্জনের ঘোষণা কুবি শিক্ষকদের

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

শিক্ষকদের দাবি না মানায় পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ১৯ মার্চ থেকে ২৭ মার্চ পর্যন্ত ৬ কর্মদিবস ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়(কুবি) শিক্ষক সমিতি।

সোমবার (১৮ মার্চ) বেলা ৩টায় প্রশাসনিক ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক নেতারা এ কথা জানান।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ড. মাহমুদুল হাসান খান বলেন, শিক্ষক সমিতি গত ফেব্রুয়ারি মাসের ১৯ তারিখ গঠিত হয়। এরপর পাঁচবার লিখিতভাবে আমাদের দাবিগুলো প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। কিন্তু আজ উপাচার্য মহোদয় জানান, তিনি নাকি আমাদের দাবি পড়ার সময় পাননি। আমরা দাবি আদায়ে ১৩ ও ১৪ মার্চ ক্লাস বর্জন করি এবং লিখিত দিই। তাও তিনি ভ্রূক্ষেপ করেনি। আজ আমরা আবারো যখন উপাচার্যের কার্যালয়ে দেখা করে বলি, স্যার আপনি চাইলে আমাদের সংকট এক ঘণ্টায় সমাধান হবে, আর না চাইলে তা সম্ভব না। তখন তিনি উত্তরে বলেন 'আমি এ পরিস্থিতিকে কোন সংকট মনে করি না, তোমাদের যা ইচ্ছে করতে পারো। যদি কোর্টে যেতে চাও, যেতে পারো।'

তিনি আরও বলেন, আমরা শিক্ষকদের কাজ কি কোর্টে কোর্টে দৌড়ানো। আমরা প্রধানমন্ত্রী, ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে অনুরোধ করছি, আপনারা এসে তদন্ত করুন। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংকট নিরসনে আপনাদের সাহায্য প্রার্থনা করছি। উপাচার্যের এমন অসহযোগিতামূলক আচরণ ও দাবি আদায়ে অনিচ্ছা থাকায় আমরা পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আগামী ১৯ থেকে ২৭ তারিখ পর্যন্ত সকল ক্লাস বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. আবু তাহের বলেন, আমরা শিক্ষক সমিতি যে দাবিগুলো দিয়ে ছিলাম আমরা মনে করেছি ভিসি আমাদেরকে ডাকবে। ওনি এসব নিয়ে আমাদের সাথে বসে নাই। আমাদের ছাত্রদের কাছ থেকে দূরে থাকতে কষ্ট লাগে তাই আমরা সদয় হয়ে ওনার কাছে গিয়েছি। আমরা চাই না বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা সংকটে পড়ে ক্লাস না করে সেশন জট আটকে যাক। কিন্তু ভিসি এসবকে কোন সংকটই মনে করেন না। ওনি এতদিন আমরা যে চিঠির পর চিঠি দিয়েছি এসব দেখনি। এর মাধ্যমে প্রতীয়মান হয় যে ওনি এসব সংকট সমাধান করতে চাচ্ছেন না।

ক্লাস বর্জনের বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম. আবদুল মঈন বলেন, শিক্ষক সমিতি আমার কাছে একটা চিঠি দিয়েছিল। চিঠির বিষয়ে আমি তাদের সাথে কার্যালয়ে বসে কথা বলি। তাদের পক্ষ থেকে শুধু সভাপতি, সেক্রেটারি কথা বলবে। কিন্তু তারা সাইড টক শুরু করে দিয়েছিল। এক পর্যায়ে তারা বলেন আমরা এখানে কথা বলতে না পারলে এখানে কেন আসছি? পরে তারা চলে যায়।

তাদের দাবির বিষয়ে উপাচার্য বলেন, তাদের বলেছি আপনাদের দাবি আইনসম্মত হলে আমি মেনে নেব। ক্লাস বর্জনের বিষয়ের আমি তাদের রিকোয়েস্ট করেছি। আপনারা ক্লাস বর্জন করবেন না। এতে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হবে।

উল্লেখ্য, গত ১৩ ও ১৪ মার্চ ৭ দফা দাবিয়ে ক্লাস বর্জন করেছিল শিক্ষক সমিতি।


আরও খবর



গাজায় অনাহারকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে : ইইউ

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জার পাশাপাশি হামলা হচ্ছে হাসপাতালেও। এতে করে গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ইতোমধ্যেই ভেঙে পড়েছে।

এরসঙ্গে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটিতে দেখা দিয়েছে তীব্র মানবিক সংকট। এমন অবস্থায় গাজায় অনাহারকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে অভিযোগ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। বুধবার (১৩ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় অনাহারকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন ইইউর পররাষ্ট্র নীতি প্রধান জোসেফ বোরেল। তিনি অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে সহায়তার অপ্রতুল প্রবেশকে মানবসৃষ্ট বিপর্যয় হিসাবে বর্ণনা করেছেন।

যুদ্ধে জর্জরিত গাজা উপত্যকায় দুর্ভিক্ষের প্রান্তে থাকা ফিলিস্তিনিদের জন্য ২০০ টন খাদ্যদ্রব্যবাহী একটি জাহাজ ভূমধ্যসাগরের উপকূলবর্তী দেশ সাইপ্রাস থেকে রওনা হয়েছে। মঙ্গলবার ভোরের দিকে সাইপ্রাসের লারনাকা বন্দর থেকে রওনা দেয় ওপেন আর্মস নামের সেই ত্রাণবাহী জাহাজটি।

কিন্তু জাতিসংঘ বলেছে, স্থলপথে সাহায্য বিতরণের বিকল্প হতে পারবে না ওই জাহাজ। এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু দক্ষিণ গাজায় আক্রমণ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন।

এই অঞ্চলে সাহায্য সরবরাহের দ্রুততম ও সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো রাস্তা দিয়ে সহায়তা পাঠানো। কিন্তু সাহায্য সংস্থাগুলো বলছে, ইসরায়েলি নিষেধাজ্ঞার মানে হচ্ছে- যে পরিমাণ সাহায্য প্রয়োজন, তার কেবল একটি ভগ্নাংশই সেখানে প্রবেশ করছে। আর তাই সড়ক পথে সহায়তা পাঠানোর পরিবর্তে সমুদ্র এবং আকাশ থেকে সহায়তা সরঞ্জাম নিচে ফেলার মতো বিকল্প বিভিন্ন পন্থার দিকে মনোযোগ দেওয়া হয়েছে। ইসরায়েল বলেছে, গাজার খাদ্য সংকটের জন্য তারা দায়ী নয় কারণ তারা দক্ষিণে দুটি ক্রসিং দিয়ে সাহায্য প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে।

তবে মঙ্গলবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভাষণ দেওয়ার সময় ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতি প্রধান জোসেফ বোরেল বলেন, কার্যকর স্থলপথের অভাবের কারণে এই অঞ্চলে মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। আমরা এখন এমন জনসংখ্যার মুখোমুখি হচ্ছি যারা নিজেদের বেঁচে থাকার জন্য লড়াই করছে। গাজায় মানবিক সহায়তার প্রয়োজন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই সহায়তা সেখানে পাঠাতে যতটা সম্ভব কাজ করছে।

তিনি আরও বলেন, (মানবিক সংকট) মনুষ্যসৃষ্ট এবং যখন আমরা সমুদ্র, আকাশপথে সহায়তা প্রদানের পথ খুঁজি, তখন আমাদের মনে রাখতে হবে, রাস্তার মাধ্যমে সহায়তা প্রদানের প্রাকৃতিক উপায়... কৃত্রিমভাবে বন্ধ। অনাহারকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে এবং যখন আমরা ইউক্রেনে এই ঘটনার নিন্দা করেছি, তখন গাজায় যা ঘটছে তার জন্যও আমাদের একই শব্দ ব্যবহার করতে হবে।

এর আগে গাজা উপত্যকায় কমপক্ষে ৫ লাখ ৭৬ হাজার মানুষ বা ভূখণ্ডটির মোট জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশ দুর্ভিক্ষ থেকে এক ধাপ দূরে রয়েছে বলে জাতিসংঘের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গত ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে জানিয়েছিলেন। একইসঙ্গে তিনি সেসময় সতর্ক করে বলেন, কোনও ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া না হলে গাজায় ব্যাপক দুর্ভিক্ষ প্রায় অনিবার্য হয়ে উঠতে পারে।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণের ফলে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৭০ হাজার মানুষ।

ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। এছাড়া গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, গত দুই সপ্তাহে সেখানকার হাসপাতালে অপুষ্টি ও পানিশূন্যতার কারণে অন্তত ২৭ জন মারা গেছে। অপুষ্টি ও পানিশূন্যতায় মৃতদের মধ্যে অনেক শিশুও রয়েছে।


আরও খবর