আজঃ শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) বৃহস্পতিবার

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বৃহস্পতিবার (১২ রবিউল আউয়াল) পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)। প্রায় দেড় হাজার বছর আগে ৫৭০ সালের এই দিনে মানব জাতির জন্য রহমত হিসেবে প্রেরিত মহানবী হযরত মুহম্মদ (সা.) এর শুভ আবির্ভাব ঘটে।

দিনটি মুসলিম উম্মাহর কাছে পবিত্র ঈদ-এ মিলাদুন্নবী (সা.) নামে পরিচিত। ৫৭০ সালের এই দিনে (১২ রবিউল আউয়াল) আরবের মক্কা নগরীর সভ্রান্ত কুরাইশ বংশে মা আমিনার কোল আলো করে জন্ম নিয়েছিলেন বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)।

মহানবী হযরত মুহম্মদ (সা.) এর জন্মের আগে গোটা আরব অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। ওই সময় আরবের মানুষ মহান আল্লাহকে ভুলে গিয়ে নানা অপকর্মে লিপ্ত ছিল। আরবের সর্বত্র দেখা দিয়েছিল অরাজকতা ও বিশৃংখলা। এ যুগকে বলা হতো আইয়ামে জাহেলিয়াতর যুগ।

তখন মানুষ হানাহানি ও কাটাকাটিতে লিপ্ত ছিল এবং মূর্তিপূজা করতো। এই অন্ধকার যুগ থেকে মানবকুলের মুক্তিসহ তাদের আলোর পথ দেখাতে মহান আল্লাহতাআলা রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে দুনিয়ায় প্রেরণ করেন।

মহানবী (সা.) অতি অল্প বয়সেই আল্লাহর প্রেমে অনুরক্ত হয়ে পড়েন এবং প্রায়ই তিনি হেরা পর্বতের গুহায় ধ্যানমগ্ন থাকতেন। পঁচিশ বছর বয়সে মহানবী বিবি খাদিজার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। মাত্র ৪০ বছর বয়সে তিনি নব্যুয়ত লাভ বা মহান রাব্বুর আলামিনের নৈকট্য লাভ করেন।

পবিত্র কোরআন শরীফে বর্ণিত আছে, মহানবীকে সৃষ্টি না করলে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পৃথিবীই সৃষ্টি করতেন না। এসব কারণে এবং তৎকালীন আরব জাহানের বাস্তবতায় এ দিনের (পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর) গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনেক বেশি। বাংলাদেশসহ বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায় এ দিনটি ঈদে মিলাদুন্নবী হিসেবে পালন করে থাকে।

এদিকে, ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তাঁরা মহানবী (সা.)-এর জীবনাদর্শ অনুসরণ করে ভ্রাতৃত্ববোধ ও মানবকল্যাণে ব্রতী হওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে যথাযথ মর্যাদায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী পালনের জন্য সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এ সকল কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মহানবী (সা.)-এর জীবনের ওপর আলোচনা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল।

এ উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে পক্ষকালব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। আজ বুধবার বাদ মাগরিব বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পূর্ব সাহানে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এই অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করবেন। এর আগে বাদ আসর তিনি বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ চত্ত্বরে মাসব্যাপী ইসলামী বইমেলার উদ্বোধন করবেন।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিসৌধে পবিত্র কোরআনখানি, দোয়া মাহফিল, ১৫ দিনব্যাপী ওয়াজ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, বাংলাদেশ বেতারের সঙ্গে যৌথ প্রযোজনায় সেমিনার, ইসলামী সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, আরবি খুতবা লিখন প্রতিযোগিতা, ক্বিরাত মাহফিল, হামদ-নাত, স্বরচিত কবিতা পাঠের মাহফিল, ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্কুলে নৈতিকতা ও চরিত্র গঠন বিষয়ক সেমিনার, বিশেষ স্মরণিকা ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ।

এছাড়াও পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) ১৪৪৪ হিজরি উদযাপন উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সকল বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, ৫০টি ইসলামিক মিশন ও ৭টি ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমীতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে।

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন উপলক্ষে দেশের সব হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশুসদন, বৃদ্ধ নিবাস, মাদকাসক্তি নিরাময়কেন্দ্রে উন্নত খাবার পরিবেশনেরও ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।


আরও খবর
ভূমিকম্প হলে যে দোয়া পড়তে হয়

শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3

জুমাবারের আমল

শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩




চট্টগ্রামে ইআরডিএফবির আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যদের মিলনমেলা

প্রকাশিত:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রামে ইআরডিএফবির আয়োজনে উপাচার্যদের মিলনমেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন বলেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য উন্নয়ন করলে হবে না, সংস্কৃতি ও উন্নয়ন করতে হবে। ইউরোপের রোমান, গ্রীক সাম্রাজ্য, রোম এরা আমাদের চেয়ে অধিক সমৃদ্ধ ছিলো, তবুও আমরা এগিয়ে গিয়েছি। আজ দেশ এগিয়ে যাচ্ছে সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনকে পিছনে ফেলে।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে সিভাসুর সহযোগিতা ও "এডুকেশন রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট ফোরাম অফ বাংলাদেশে (ইআরডিএফবি) এর আয়োজনে "অপরাজনীতিমুক্ত, দারিদ্রমুক্তও শিক্ষা সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ শীর্ষক" আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শাহদাত হোসেন। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন।

ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, হাজার বছরের ইতিহাস আমাদের। আছে ওয়ারী বটেশ্বর, নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়। পশ্চিমারা যতই বলুন কোন ভাবেই তারা আমাদের চেয়ে উন্নত নয়।বাংলাদেশ বারবার পশ্চিমাদের অপরাজনীতির স্বীকার হয়, পূর্বেও হয়েছে। যার জন্য জাতি বঙ্গবন্ধুকে হারিয়েছে। কিন্তু আমরা প্রধানমন্ত্রীকে হারাতে চাইনা। শেখ হাসিনা এক বিরল নেতৃত্ব। নতুন নতুন উদ্বাভনী প্রযুক্তি আমাদের উৎপাদন বাড়াবে, গবেষণা বাড়াবে। কেস লেস, পেপার লেস সোসাইটি পারবে স্মার্ট সিটিজেন তৈরি করতে।

তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, সকল অপপ্রচার বন্ধ করতে হবে এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।

স্বাগত বক্তব্য প্রদানকালে অনুষ্ঠানের সভাপতি ড. মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু সব সময় শিক্ষা ও গবেষণাকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন।তাই তিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন কুদরাত-ই -খুদা কমিশন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন, বেতবুনিয়া ভূ উপগ্রহ কেন্দ্র সহ সৃষ্টি করেছিলেন আরও অনেক গবেষণার স্বর্ণদার। তারই হাত ধরে এগিয়ে যাচ্ছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখহাসিনা।তিনি প্রতিটি বিভাগে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেছিলেন। 

সিভাসুর উপাচার্য প্রফেসর ড. লুৎফল আহসান বক্তব্য কালে বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ হতে হলে প্রতিটি নাগরিককে জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে স্মার্ট হতে হবে। জনগণ হবে প্রযুক্তি নির্ভর। শিক্ষা ব্যবস্থা হবে যুগোপযোগী তবেই স্মার্ট বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।অপরাজনীতি থেকে শিক্ষার্থীদের দূরে রাখতে হবে, এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর প্রচুর ভূমিকা রয়েছে।

চবি পালি বিভাগের প্রফেসর ড. জীবনবোধী ভিক্ষু বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন জাতির বটবৃক্ষ। আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন। আমাদের সকলের সংশোধন হতে হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হতে হবে। স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে একীভূত হতে হবে। যেভাবে আমরা মুক্তিযদ্ধের বিজয় ছিনিয়ে এনেছিলাম।

চবি উপাচার্য প্রফেসর ড.শিরীন আখতার বলেন, শিক্ষকরা সমাজের আয়না।দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে এটি একটি চমৎকার আয়োজন। আমরা দেখেছি একটি জনপদ কিভাবে সম্মানের জায়গায় চলে গিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু জাতিকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন, জাতিকে সাহস যুগিয়েছিলেন।যার বিনিময়ে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় আমরা স্বাধীনতা পেয়েছিলাম। আজও শেখ হাসিনা নানান দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্রের তোয়াক্কা না করে এগিয়ে যাচ্ছেন।সব বাঁধা পেরিয়ে দেশ এগিয়ে যাবে এটাই প্রত্যাশা।

বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ড. জাহিদ হোসেন শরীফ বলেন, আমেরিকা সহ বিভিন্ন দেশ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ও আমাদের দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র করেছেন,এখনো করছেন, এসব অপরাজনীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া যাবেনা।

প্রফেসর মো: মোজাম্মেল হক বলেন, মূলত আমরা যাই করি তার পিছনে রাজনৈতিক সদিচ্ছা একটি বড় ভূমিকা পালন করে।তাই সুস্থ রাজনৈতিক ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।

ড. সেলিনা আখতার বলেন, এক সাগর রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পাই।বঙ্গবন্ধু কন্যা সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে যাচ্ছেন। তিনি নারীর ক্ষমতায়নে বিভিন্ন ভাতা চালু করেছেন।জাতি আজ চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে পা রেখেছেন।এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর ভূমিকাও অনেক।

ডা. ইসমাইল খান বলেন, তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন কেউ কেউ আসে ইতিহাস হয়ে।বঙ্গবন্ধুও এসেছিলেন,ভালো স্বাস্থ্য না থাকলে ভালো শিক্ষা অর্জন করা যায় না।তবে অভাব ও দূর করা সম্ভব নয়।

বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ অভিন্ন শব্দ। এদের ছাড়া বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে আগামী নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রীকে আবারো জয়যুক্ত করি এবং তার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।

প্রফেসর ড. মো: রফিকুল আলম বলেন, পরাশক্তিরা যতই চোখ রাঙিয়ে যাক,আমাদের মাথা নোয়ালে চলবে না। তাই আগামী নির্বাচনে সকলের অংশগ্রহনে নৌকাকে জয়যুক্ত করে উপযুক্ত জবাব দিতে হবে।

এছাড়া ও বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রফেসর আকিবা রুবি, মহসিন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর কামরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো: মুজাহিদুল ইসলাম, প্রাক্তন ছাত্র ড. রাকিব, ড.সুমন গাঙ্গুলি, চবি বাংলা বিভাগের, ড.আনোয়ার সাইদ, মেরিন সাইন্সের ড. ওয়াহিদ, মেরিন সাইন্সের শিক্ষক সাইদুল ইসলাম, ড. মোরশেদ, ইঞ্জিনিয়ার ইনিস্টিউটের সাবেক সভাপতি মো: শহীদ, ড. নূর হোসেন, প্রফেসর ড. সজীব কুমার, প্রফেসর ড. জামাল উদ্দিনসহ আরও অনেকে।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শিরিন আখতার, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড.মোহাম্মদ রফিকুল আলম, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা.ইসমাইল খান, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য প্রফেসর ড. সেলিনা আখতার, চট্টগ্রাম ভেটিরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এএসএম লুৎফুল আহসান, বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এফ এম আওরঙ্গজেব, সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের উপাচার্য প্রফেসর ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক,ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেক  নোলজি চিটাগাং এর উপাচার্য প্রফেসর ড. জাহেদ হোসেন শরীফ। অনুষ্ঠানের মিডিয়া পার্টনার ছিলো প্রেস এক্সপ্রেস অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করেন।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর



এখনও আ.লীগের দিকে তাকিয়ে ১৪ দলের শরিকরা

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ যখন মহা উৎসবে প্রায় সব আসনে প্রার্থী ঘোষণা করছে, এরপরও দলটির দিকে তাকিয়ে আছেন ১৪ দলের শরিক দলগুলোর নেতারা।

সরকার পতন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের একদফা দাবি নিয়ে আন্দোলনে বিএনপি ও তার সমমনা দলগুলো। এর বিপরীতে আওয়ামী লীগ কর্মসূচি পালন করে রাজপথে অবস্থান নিচ্ছে। তবে দলটির নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটকে রাজপথে সেভাবে সক্রিয় থাকতে দেখা যাচ্ছে না। এমনকি অন্যতম বিরোধীরা ভোটে না আসায় ক্ষমতায় যেতে জোট গড়ার প্রয়োজন আছে কিনা সেই প্রশ্ন সামনে এনে ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৮টি আসনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে। দলটির জোট শরিকরা বলছেন, তাদের সঙ্গে আসন সমঝোতা তো দূরের কথা, আসন বণ্টন নিয়ে কোনও আলোচনাই হয়নি। তবে আগামী দুই দিনের মধ্যে এ সংক্রান্ত আলোচনা হওয়ার আশা করছেন তারা।

রবিবার (২৬ নভেম্বর) বিকালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৮টিতে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বাকি দুইটি আসনে প্রার্থী পরে ঘোষণা করা হবে বলে জানান তিনি। এর মধ্যে একটি আসন ১৪ দলের অন্যতম শরিক দল জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনুর। অপরটিতে জাতীয় পার্টির (এরশাদ) এ কে এম সেলিম ওসমান বর্তমান সংসদ সদস্য।

এছাড়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বচনে ১৪ দলীয় জোট ও মহাজোটকে (বিকল্প ধারা, জাতীয় পার্টি) ছেড়ে দেওয়া ৩১টি আসনে নিজেদের প্রার্থী দিয়েছে আওয়ামী লীগ।

জাতীয় পার্টি-জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশাহ ও জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আকতারসহ জোট শরিকদের আসনগুলোতে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে। অবশ্য জোটের একাধিক দলের নেতা এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম নিলেও তাদের প্রার্থী করেনি আওয়ামী লীগ।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ যখন মহা উৎসবে প্রায় সব আসনে প্রার্থী ঘোষণা করছে, এরপরও দলটির দিকে তাকিয়ে আছেন ১৪ দলের শরিক দলগুলোর নেতারা। এবার বেশি আসন ছাড়ের আশা করে আসলেও এখন খোদ আসন সমঝোতা নিয়েই শঙ্কায় থাকার কথা জানিয়েছেন কয়েকজন নেতা। এই শঙ্কার মূলে রয়েছে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের অতি সাম্প্রতিক জোট নিয়ে দেওয়া বক্তব্য।

আওয়ামী লীগের প্রার্থী বাইছাইয়ের মধ্যেই শনিবার (২৫ নভেম্বর) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ওবায়দুল কাদের বলেন, শরিক সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত আমাদের এখনও হয়নি। আমরা এখনও ঠিক করিনি শরিকদের আসলে আমাদের প্রয়োজন আছে কিনা। জোটের বিপরীতে জোট, আমাদের প্রতিপক্ষ যদি বড় জোট করতো, তাহলে তার বিপরীতে আমাদের জোট হতো। তাছাড়া আমরা কেন অহেতুক জোট করতে যাবো? প্রয়োজন না থাকলে তো জোট করবো না। আর জোট করবো যাদের নিয়ে, তাদের তো মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা থাকতে হবে।

এমতাবস্থায় ১৪ দলের বড় কয়েকটি শরিক দলের শীর্ষ নেতারা বলেন, তারা ১৪ দলীয় জোটগতভাবেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে চান। জোটের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমুও ১৪ দল জোটগতভাবে নির্বাচন করবেন বলে জানিয়েছেন।

দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অবস্থা ও বৈশ্বিক চাপের মধ্যে এই নির্বাচনকে আওয়ামী লীগও 'অগ্নিপরীক্ষা' হিসেবে দেখার কথা বলছে। এই কারণে জোট শরিকরা এখনও আওয়ামী লীগের দিকে তাকিয়ে আছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মিলন বলেন, আসন সমঝোতার বিষয়ে আমাদের সঙ্গে এখনও কোনও আলোচনা হয়নি। তবে তারা আশ্বস্ত করেছে আমাদের সঙ্গে সমঝোতা করবে। তারা দলীয় মনোনয়ন ঘোষণার পরই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। তারা জানিয়েছে সমঝোতার পথ আছে। দেখা যাক কী হয়।

জাসদ সাধারণ সম্পাদক শিরিন আকতার বলেন, দেখলাম তারা নমিনেশন ঘোষণা করেছে। আওয়ামী লীগ থেকে জানানো হয়েছে দুই একদিনের মধ্যে ১৪ দলের সভা হবে। সেখানে হয়তো সমঝোতা হবে। আমরা সেই পর্যন্ত অপেক্ষা করি।

জাতীয় পার্টির জেপি মহাসচিব শেখ শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরাও দেখলাম আওয়ামী লীগ ২৯৮ আসনে মনোনয়ন দিয়েছে। গত তিন টার্ম সমঝোতার পরে মনোনয়ন ঘোষণা হলেও এবার কেন এককভাবে আগেই ঘোষণা করলেন সেটার কারণ উনারাই বলতে পারবেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন শিগগিরই তিনি ১৪ দলের সঙ্গে বসবেন। উনার সঙ্গে বসলে হয়তো এটার একটা নতুন সমাধান হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাদের প্রার্থিতা ঘোষণায় আশা-হতাশা কোনটাই দেখছি না। তবে কিছুটা হতাশ এই কারণেই যে, উনারা যেভাবে নমিনেশন দিয়েছেন সেভাবে নির্বাচন হলে যে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রত্যাশা করা হচ্ছে সেটা সম্ভব হবে না। আর ওই নির্বাচনের পরে যে সরকার হবে সেখানে বিরোধী দলের অবস্থান-শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে।

এক প্রশ্নের জবাবে শেখ শহিদুল ইসলাম বলেন, জানি না কেন ওনারা এভাবে নমিনেশন ঘোষণা করলেন। হয়তো নির্বাচনি মাঠ সরগরমের জন্য এটা করতে পারেন। তবে যেটা হয়েছে তা সরগরমের পরিবর্তে  নির্বাচনি মাঠকে স্থিমিত করবে।

এদিকে জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাতীয় পার্টি-জেপি, তরিকত ফেডারেশনসহ ১৪ দলের শরিক দলগুলো দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়ার শুরু করেছে এবং এগিয়ে নিচ্ছে। কোনও কোনও দল দলীয় প্রার্থী চূড়ান্তও করেছে। সম্ভাব্য এসব প্রার্থীরা প্রচারণা চালিয়ে আসছেন।

প্রসঙ্গত, নবম, দশম ও চলতি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শরিক দলগুলোর সঙ্গে আওয়ামী লীগ আসন ভাগাভাগি করে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। ওইসব নির্বাচনের ক্ষেত্রে দেখা গেছে দলীয় প্রার্থী ঘোষণার আগেই জোট নেতাদের সঙ্গে বসে আসন সমঝোতার বিষয়টি চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ। সমঝোতার মাধ্যমে যেসব আসন ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে সেই সব আসনে আওয়ামী লীগ নিজেদের প্রার্থী দেয়নি। বিপরীতে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতার আসনে ১৪ দলীয় জোটের কোনও দলও প্রার্থী দেয়নি।

গত তিনটি নির্বাচনের ধারাবাহিকতায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে এমনটি আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলীয় জোটের শরিকরা আগে থেকে বলে আসছে। এর অংশ হিসেবে ১৪ দলীয় শরিকদের মধ্যে নিবন্ধিত দলগুলোর প্রায় সবগুলোই নির্বাচন কমিশনে তাদের দলীয় প্রতীকের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকায় ভোট করবে বলে জানিয়েছে। আওয়ামী লীগ ইসিতে পৃথক চিঠি দিয়ে এই দলগুলোর নৌকা প্রতীকে ভোটের বিষয় তাদের সম্মতিও জানিয়েছে।


আরও খবর
রবিবার হরতাল-অবরোধ দিচ্ছে না বিএনপি

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




ইতিহাসে আজকের এই দিনে

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আজ বুধবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৩। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ইতিহাসের এিই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনাবলি:

১৬২১ - উত্তর ভারতের কাংড়া দুর্গ মোগল সম্রাট জাহাঙ্গীরের দখলে আসে।

১৭৯১ - আমেরিকায় প্রথম ক্যাথলিক কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৭৯৫ - লিয়েবে দিযেফের উদ্যোগে বাংলার প্রথম মঞ্চনাটক ছদ্মবেশী মঞ্চস্থ হয়।

১৮০৬ - আমেরিকায় প্রথম কলেজ ম্যাগাজিন প্রকাশিত হয়।

১৮৩০ - প্রথম ভারতীয় হিসেবে রাজা রামমোহন রায় ইংল্যান্ড যাত্রা করেন।

১৮৩৭ - আইজাক পিটম্যানের শর্টহ্যান্ড পদ্ধতি প্রথম প্রকাশিত হয়।

১৮৫৯ - প্রথম আধুনিক অলিম্পিক খেলা হয় গ্রিসের এথেন্সে।

১৮৮৯ - ব্রাজিল গণপ্রজাতন্ত্রী রাষ্ট্রে পরিণত হয়।

১৯০৪ - জিলেট ব্লেড প্যাটেন্ট করেন সি জিলেট।

১৯১৩ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।

১৯২০ - জেনেভায় প্রথম লীগ অব নেশন্সের সভা হয়।

১৯২৪ - কলকাতা কর্পোরেশনের মুখপত্র মিউনিসিপ্যাল গেজেটের প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয়।

১৯২৬ - রেডিও এনবিসির সম্প্রচার শুরু ২৪টি কেন্দ্র থেকে।

১৯৩২ - ওয়াল্ট ডিজনি আর্ট স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৯৩৫ - ফিলিপিন কমনওয়েলথের উদ্বোধন হয়।

১৯৮১ - বাংলাদেশ রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিচারপতি আবদুস সাত্তার বিপুল ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।

১৯৮৩ - তুর্কি অধিকৃত সাইপ্রাসের স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়।

১৯৮৪ - জার্মানীর রাজধানী বার্লিনে আফ্রিকায় ইউরোপীয় উপনিবেশ গুলোকে ভাগ-বণ্টন করা ‍নিয়ে একটি সম্মেলন হয়েছিল। ইতিহাসে এই সম্মেলনটি বার্লিন সম্মেলন নামে পরিচিত।

১৯৮৮ - পিএলও চেয়ারম্যান ইয়াসির আরাফাত স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের কথা ঘোষণা দেন।

জন্ম:

১৩৯৭ - পোপ পঞ্চম নিকোলাস ।

১৬৭০ - বার্নার্ড ম্যান্ডেভিল, তিনি ছিলেন অ্যাংলো বংশোদ্ভূত ডাচ দার্শনিক, রাজনৈতিক অর্থনীতিবিদ ও ব্যাঙ্গ রচয়িতা।

১৭৩৮ - উইলিয়াম হার্শেল, তিনি ছিলেন জার্মান বংশদ্ভুত ইংরেজ জ্যোতির্বিদ ও সুরকার।

১৮৬২ - গেরহার্ট হাউপ্টমান, জার্মান লেখক, কবি, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী নাট্যকার।

১৮৭৪ - আগস্ট ক্রোঘ, ডেনিশ প্রাণিবিজ্ঞানী ও শারীরবিজ্ঞানী, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী।

১৮৬২ - জার্মানীর বিশিষ্ট লেখক গেরহার্র্ড হপম্যান।

১৯০৭ - ক্লজ ফন স্টফেনবার্গ, তিনি ছিলেন জার্মান সামরিক কর্মকর্তা।

১৯২৫ - ইয়ুলি ড্যানিয়েল, তিনি ছিলেন রাশিয়ান কবি ও লেখক।

১৯২৯ - এড আসনের, তিনি ছিলেন আমেরিকান অভিনেতা, গায়ক ও প্রযোজক।

১৯৪৫ - মুফতি ফজলুল হক আমিনী, তিনি ছিলেন বাংলাদেশের একজন ইসলামী চিন্তাবিদ রাজনীতিবিদ ও আইন বিশেষজ্ঞ।

১৯৫৯ - টিবর ফিসার, তিনি ইংরেজ লেখক।

১৯৮২ - কালু উছে, তিনি নাইজেরিয়ান ফুটবল।

১৯৮৬ - সানিয়া মির্জা, তিনি ভারতের মহিলা টেনিস খেলোয়াড়।

মৃত্যু:

১৬২৯ - বেথলেন গ্যাবর, তিনি ছিলেন হাঙ্গেরির রাজা।

১৬৩০ - জোহান্নেস কেপলার, তিনি ছিলেন জার্মানীর বিশিষ্ট নক্ষত্রবিদ।

১৮৫৬ - মধুসূদন গুপ্ত, তিনি ছিলেন প্রথম শবব্যবচ্ছেদকারী বাঙালী চিকিৎসক।

১৯১৬ - হেন্‌রিক শিন্‌কিয়েউইচ, তিনি ছিলেন পোলিশ নোবেল পুরস্কার বিজয়ী সাংবাদিক ও লেখক।

১৯১৯ - আলফ্রেড ভের্নার, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি বংশোদ্ভূত সুইস রসায়নবিদ ও একাডেমিক।

১৯২৩ - সাংবাদিক-সম্পাদক পাঁচ কড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়।

১৯৫৯ - চার্লস টমসন রেস উইলসন, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী স্কটিশ পদার্থবিদ ও আবহবিৎ।

১৯৮১ - এনিড মারকেয়, তিনি ছিলেন আমেরিকান অভিনেত্রী।

১৯৮৬ - ইরানের বিশিষ্ট আলেম,গবেষক এবং সাহিত্যিক মুহাম্মাদ তাকি মোদাররেস রাজাভি ৯৫ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।

২০০৫ - আরটো সাল্মিনেন, তিনি ছিলেন ফিনিশ সাংবাদিক ও লেখক।

দিবস:

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র - আমেরিকা রিসাইকেল দিবস।

আন্তর্জাতিক কারারুদ্ধ লেখক দিবস।

ফিলিস্তিন - স্বাধীনতা দিবস, একতরফাভাবে ১৯৮৮ সালে ঘোষিত।

শ্রীলঙ্কা - জাতীয় বৃক্ষরোপণ দিবস।

 


আরও খবর
৮ ডিসেম্বর : ইতিহাসে এই দিনে

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩

৬ ডিসেম্বর: ইতিহাসে আজকের এই দিনে

বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩




মা-খালাসহ নিহত ৩, বেঁচে গেল শিশু কন্যা

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

Image

ময়মনসিংহের তারাকান্দার কাশিগঞ্জে ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন তিনজন।

তাঁরা হলেন- নেত্রকোনা সদরের লাকি আক্তার (৩০), তার ফুফাতো বোন সাকি আক্তার (২২) ও সিএনজিচালক মোস্তাকিম আহমেদ (৩৫)। সিএনজিচালক সম্পর্কে লাকির মামাতো ভাই।

লাকি আক্তার ময়মনসিংহের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। তার সঙ্গে নিজের মেয়ে, ভাই, ভাগ্নি ছিল। দুর্ঘটনায় লাকি মারা গেলেও তার তিন বছরের মেয়ে হুমায়রা আক্তার বেঁচে আছে। তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা সংকটাপন্ন।

দুর্ঘটনায় আহত শাহীন খান বলেন, বোনের চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরছিলাম। আমাদের সামনে ও পেছনে দুটি ট্রাক ছিল। হঠাৎ সমানে থেকে আসা ট্রাকের সঙ্গে আমাদের সিএনজির সংঘর্ষ হয়। এতে আমার বোন, ফুফাতো বোন ও মামাতো ভাই সিএনজি চালক মারা গেছেন। আমার বোনের মেয়ের অবস্থাও ভালো নয়।

দুর্ঘটনায় তিন বছরের হুমায়রা বেঁচে গেলও তার অবস্থা সংকটাপন্ন। হুমায়রা নেত্রকোনা সদরের শফিকুল ইসলামের মেয়ে। স্বজনরা হুমায়রাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দুপুরে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে শিশুটিকে না রাখায় ফের ময়মনসিংহ মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়।

তারাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ময়মনসিংহ থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী একটি সিএনজি নেত্রকোনার দিকে যাচ্ছিল। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে কাশিগঞ্জ বাজার এলাকায় এলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজির দুই যাত্রী ঘটনাস্থলেই নিহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় আরও তিনজনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে সেখানে আরও একজনের মৃত্যু হয়। ট্রাক ও সিএনজি জব্দ করা হয়েছে।


আরও খবর



লোহিত সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজে হামলা

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

লোহিত সাগরে ড্রোন হামলার শিকার হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি যুদ্ধজাহাজ এবং কয়েকটি বাণিজ্যিক জাহাজ। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পেন্টাগন রোববার (৩ ডিসেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এ ব্যাপারে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, লোহিত সাগরে যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস কার্নে এবং কয়েকটি বাণিজিক্য জাহাজে হামলার ব্যাপারে আমরা অবগত আছি। এ বিষয়টি পরিষ্কার হলে আমরা পরবর্তীতে আরও তথ্য জানাব।

সামুদ্রিক নিরাপত্তা বিষয়ক কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, লোহিত সাগরে চলার সময় একটি বাল্ক ক্যারিয়ার জাহাজে দুটি ড্রোন আঘাত হানে। যুক্তরাজ্যের সামুদ্রিক নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা আমব্রে এর আগে জানিয়েছিল উত্তর ইয়েমেনের হোদেইদা বন্দরে তাদের অপর একটি কনটেইনারবাহী জাহাজ ড্রোন হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করে জানায়নি, এসব হামলা কোন জায়গা থেকে চালানো হয়েছে। তবে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগরে একাধিক জাহাজে হামলা চালিয়েছে। তারা মূলত ইসরায়েলি মালিকানাধীন জাহাজগুলোকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করছে। হামলা চালানোর পাশাপাশি ইসরায়েলি কোম্পানির একটি জাহাজ তারা জব্দও করেছে।

আরও পড়ুন>> যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করল ইরাক

এর আগে যুক্তরাজ্যের সেনাবাহিনী জানিয়েছিল, লোহিত সাগরে ড্রোন হামলা হয়েছে এবং বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। তবে ওই সময় তারা বিস্তারিত কিছু জানায়নি।

নাম গোপন রাখার শর্তে মার্কিন এক কর্মকর্তা বলেছেন, ইয়েমেনের সানার স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় হামলা শুরু হয় এবং এটি ৫ ঘণ্টা স্থায়ী ছিল।

সমুদ্রে ইসরায়েলি জাহাজকে লক্ষ্য করার সঙ্গে সঙ্গে দখলদার ইসরায়েলের বিভিন্ন অবৈধ বসতি ও স্থান দখল করে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে হুথি বিদ্রোহীরা।

ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হয়। এরপর থেকেই গাজায় নির্বিচারে বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। আর গাজায় হামলার প্রতিশোধ নিতে লোহিত সাগরে ইসরায়েলি জাহাজে হামলা চালানোর হুমকি দেয় হুথিরা।

লোহিত সাগরে হামলার ব্যাপারে এখনো মুখ খোলেনি হুথিরা। তবে এক বিবৃতিতে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি জানিয়েছে, অল্প সময়ের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিবৃতি প্রকাশ করা হবে।


আরও খবর