পিরোজপুরে আগামীকাল
বৃহস্পতিবার জেলা যুবলীগের বর্ধিতসভা সামনে রেখে উৎসবমুখর পরিবেশ ঘোলাটে করার চেষ্টা
করছে একটি গ্রুপ। তারা কেন্দ্রীয় নেতা ও পদ প্রত্যাশীদের তোরণ ব্যানার ফেষ্টুনে ভেঙ্গে
বর্ধিতসভকে বাঁধার সম্মুখীন করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার গভীর
রাতে ওই গ্রুপটি যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোহাম্মদ কামরুজ্জামান খান শামীম
ও পিরোজপুর সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এস
এম বায়েজীদ হোসেনের বিলবোর্ড ও ফেষ্টুন ছিড়ে নদীতে ফেলে দেয়।
এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয়
যুবলীগের সদস্য মোহাম্মদ কামরুজ্জামান খান শামীম বলেন, আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও কেন্দ্রীয়
যুবলীগরে দায়িত্বশীল নেতাদের জানিয়েছি। ফেস্টুন ছেড়া এটা কোন রাজনৈতিক শিষ্টাচার হতে
পারে না। ফেস্টুন ও বিলবোর্ডে বঙ্গবন্ধু ও প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার সহ মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের ছবি
ছিলো। কিন্তু তারা সে সবের তোয়াক্কা করেনি। এস এম বায়েজীদ হোসেন বলেন, আমাদের জনপ্রিয়তায়
ইর্ষান্বিত হয়ে প্রতিপক্ষ এ কাজটি করেছে।
এ ব্যাপারে পিরোজপুর
জেলা যুবলীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান ফুল বলেন, যে সব দুবৃত্ত এ কাজ করেছে তারা শুধূ
মাত্র স্থানীয় নেতাদের অপমান করেনি। ওই ফেষ্টুনে জাতীর জনকের,আমাদের নেত্রীর (শেখ হাসিনার)
কেন্দ্রীয় যুবলীগের সভাপতি সাধারন সম্পাদকের ছবিও ছিলো। এরা যারাই হোক দলের মঙ্গল চায়
না। তাই এদেরকে আইনের মাধ্যমে শাস্তির আওতায় আনা উচিত।
এর আগে গতকাল
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটির নেতা পল্লব
রায়ের উপর অতর্কিত হামলা করে কুপিয়ে ও পিটানোর ঘটনা ঘটেছে। জানাগেছে মঙ্গলবার সন্ধ্যায়
নজিরপুর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক চঞ্চল কান্তির সাথে মটর সাইকেল যোগে পিরোজপুর
আসে পল্লব।
এসময় শহরের সিও
অফিস সংলগ্ন বৈদ্যপাড়া মোরের কাছে মটর সাইকেলের
গতি আগলে পল্লবকে একটি গলির মধ্যে নিয়ে বেধরক মারধোর করে সন্ত্রাসী গ্রুপ। এ ব্যাপারে
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শি নাজিরপুর যুবলীগের সাধারন সম্পাদক চঞ্চল কান্তি বিশ্বাস বলেন,
পৌরছাত্রলীগ নেতা আসিফের নেতৃত্বে ত্রিশ থেকে পঁয়ত্রিশ জন মিলে পল্লবকে কুপিয়ে মেরে
ফেলে রেখে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।