আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

পদ্মা সেতু ঘিরেই সোনালী ভবিষ্যত দেখতে পাচ্ছেন গোপালগঞ্জবাসী

প্রকাশিত:বুধবার ২২ জুন 20২২ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জুন 20২২ | অনলাইন সংস্করণ
Image

গোপালগঞ্জ থেকে আশিক জামান

আর মাত্র বাকি কয়েকদিন। এর পরেই বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ টি জেলার মানুষের স্বপ্নের দিন। আগামী ২৫ শে জুন খুলে দেওয়া হবে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। এতে দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের ২১ জেলার  মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে।

এই ২১ টি জেলার মধ্যে গোপালগঞ্জ অন্যতম। এ পদ্মাসেতু খুলে দেওয়ার সাথে সাথে এজেলার মানুষ আরো অর্থনৈতিক ভাবে সমৃদ্ধশালী হবে। এ জেলার মানুষের ভাগ্য বদলে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে পদ্মা সেতু। এই সেতু ঘিরেই সোনালী ভবিষ্যত দেখতে পাচ্ছেন এই জেলার প্রায় ১৫ লক্ষ মানুষ। পদ্মা সেতু চালু হলে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের সঙ্গে এ জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হবে। পিছিয়ে পড়া এই জেলা ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আরও মনোযোগ কাড়বে, গড়ে উঠবে এ জেলায় নতুন নতুন শিল্প কলকারখানা। ফলে এ জেলার  অর্থনীতির চাকা ঘোরার পাশাপাশি বাড়বে বেকারদের কর্মসংস্থান। পদ্মা সেতু শুধু যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করবে না, এতে শিক্ষা  কৃষি, মৎস্য, জরুরি স্বাস্থ্যসেবা ও শিল্প পর্যটনসহ বেশ কিছু খাতে অর্থনৈতিক উপযোগও সৃষ্টি হবে। পাশাপাশি গড়ে উঠবে বিভিন্ন শিল্প কলকারখানা, ইপিজেড, বিমানবন্দর, গার্মেন্টস শিল্প ও কৃষিশিল্প।

কৃষি

গোপালগঞ্জ জেলাকে অর্থনৈতিক ভাবে সবচেয়ে সমৃদ্ধ করেছে কৃষিখাত। জেলার প্রায় দেড়লাখ হেক্টর জমিতে এজেলার কৃষকেরা নানান ফসল উৎপাদন করে। এরমধ্যে ব্যতিক্রম ফসল সবজি। পদ্মা সেতুর কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় কৃষকদের নিজস্ব ক্ষেতে ফলানো কৃষিপণ্য এ জেলার চাহিদা মিটিয়ে পৌঁছে যাবে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। এতে কৃষকেরা তাদের ন্যায্যমূল্য পাবে।

এ বিষয়ে সদর উপজেলার রঘুনাথ পুর গ্রামের কৃষক আবদুল মতিন মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি প্রায় পঞ্চাশ বিঘা জমিতে বছরের ১২ মাস বিভিন্ন শাকসবজী চাষ করি। এ জেলা ছাড়া বাইরে বিক্রি করতে পারতাম না। তাই ন্যায্য মূল্যও পেতাম না। পদ্মা সেতু চালু হলে। রাজধানী ঢাকার সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হবে। ফেরীঘাটের ভোগান্তি ছাড়াই সরাসরি সবজি নিয়ে সময় মতো ঢাকায় পৌঁছাতে পারবো। আমাদের কষ্ট করে ফলানো সবজীর ন্যায্য মূল্য পাবো।

স্বাস্থ্য

পদ্মা সেতু চালু হলে গোপালগঞ্জের স্বাস্থ্য খাতে বড় ভূমিকা রাখবে। পদ্মা সেতুর জন্য এ জেলায় রাজধানী ঢাকা থেকে কোন চিকিৎসক আসতেন না। রোগীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার সময় ফেরীঘাটে সময় ব্যয় হওয়ার জন্য বেশির ভাগ রোগী ফেরি ঘাটে মারা যেতেন। পদ্মা সেতু চালু হলে এ জেলার মানুষ ভোগান্তি ছাড়াই অল্পসময়ে ঢাকা পৌঁছাতে পারবে। নিতে পারবেন জরুরি স্বাস্থ্যসেবা।

গোপালগঞ্জ সিভিল সার্জন ডাঃ নিয়াজ মাহমুদ  বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার ফলে রাজধানী ঢাকার সাথে গোপালগঞ্জের যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন হবে। পদ্মা সেতু না থাকায় ঢাকার অনেক বড় বড় চিকিৎসক আমাদের জেলায় আসতে চাইতেন না। পদ্মা সেতুর খুলে দেওয়ার পর চিকিৎসার ক্ষেত্রে অনেক পরিবর্তন হবে। ভালো চিকিৎসক এ জেলায় এসে মানুষকে চিকিৎসা দিতে পারবে। অনেক সময় নদী পার হতে গিয়ে রোগী মারা যেত। জরুরি ওষুধ আনতে অনেক সময় লাগত। ওষুধের জন্য অনেক রোগী মারা যেত। পদ্মা সেতু চালু হলে ওষুধ, চিকিৎসকসহ আর কোন সমস্যা হবে না।

পর্যটন

পদ্মা সেতু চালু হলে গোপালগঞ্জে পর্যটন খাত অর্থনৈতিক ভাবে বড় ভূমিকা রাখবে। এ জেলায় রয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিস্থল। ইতিমধ্যে জাতির পিতার সমাধিস্থলকে ঘিরে তৈরী করা হয়েছে স্থাপত্য শৈলীর নানান নিদর্শন। আর চোখ জুড়ানো বিস্তৃর্ন সবুজের মাঠ। এ সমাধিস্থলকে ঘিরে সারা বছর পর্যটকদের ভিড় এমনিতে লেগে থাকে। পদ্মা সেতু চালু হলে গোপালগঞ্জের সাথে সারাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হবে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পর্যটক আসবে। আরো বেশি পর্যটকদের সমাগম হবে। এতে এ জেলার পর্যটন শিল্পকে আরো বিকাশিত করবে।

এছাড়াও মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু ও টুঙ্গিপাড়াকে নিয়ে বিশ্বমানের গবেষকেরা গবেষণায় আগ্রহী হবেন।

শিক্ষা

গোপালগঞ্জ জেলায় দুটি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। পদ্মা সেতুর কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মেধাবী শিক্ষার্থীরা এ সব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার জন্য আগ্রহী হবেন।

এবিষয়ে বশেমুরবিপ্রবির বিজিএমই বিভাগের সহকারী প্রভাষক ইমদাদুল হক সোহাগ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে একই সাথে জ্ঞান বিতরণ এবং জ্ঞান সৃষ্টির জায়গা। জ্ঞান সৃষ্টির জন্য প্রথমত যে জিনিসটা প্রয়োজন সেটা হচ্ছে বিশ্বমানের গবেষক দরকার। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার সাথে সাথে জাতির জনকের পূন্যভূমি গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি বিশ্ব মানের গবেষকরা আরো আকৃষ্ট হবেন। সেই সাথে সাথে মেধাবী শিক্ষার্থীরাও এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি আকৃষ্ট হবেন।

শিল্প কলকারখানা

পদ্মা সেতু চালু হওয়ার দেশি বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এ জেলায় বিনিয়োগে আকৃষ্ট হবেন। এ জেলায় গড়ে উঠবে বিভিন্ন শিল্প কলকারখানা। এ জেলার বেকারত্বের কর্মসংস্থান হবে। ভাগ্যের পরিবর্তন আনবে এ জেলার বেকারদের।

কর্মসংস্থান

পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর ২১ জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থান হবে এ জেলায়। পদ্মা সেতুকে ধিরে এ জেলায় তৈরি করা  বিশাল বিশাল সরকারি বেসরকারী স্থাপনার কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। পাশাপাশি বিনিয়োগ হচ্ছে বেসরকারি খাতে। সবগুলোই খুলে দেওয়া হবে পদ্মা সেতু চালু হলে। নির্মাণ করা হচ্ছে বেসরকারি শিল্প কলকারখানাও। যা এ জেলার অর্থনীতিতে বড় পরিবর্তন আনবে।

এ বিষয়ে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান বলেন, পদ্মা সেতুকে ঘিরে এ জেলায় বেশ কয়েকটি সরকারি বেসরকারী প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করা হয়েছে। সবগুলো পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন। এ ছাড়াও বেশ কয়েকটি শিল্প কলকারখানা নির্মাণ করা হচ্ছে। সরকারি বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ও শিল্প কলকারখানা চালু হওয়ার পর এ জেলার বেকারদের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে। কমবে এ জেলার বেকারত্বের হার। এর পাশাপাশি এ জেলা শিল্পাঞ্চল জেলা হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে।

এবিষয়ে জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা বলেন,পদ্মা সেতু চালু হলে গোপালগঞ্জ শুধু শিল্পাঞ্চলই নয় আধুনিক পর্যটন নগরীতে রুপ নিবে। এ জেলার মাটিতেই চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এ সমাধিস্থলকে ঘিরে সারাবছর বিভিন্ন জেলা থেকে পর্যটক আসতে থাকে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর এ জেলার অর্থনীতির চাকা সচল হবে। পদ্মা সেতুকে ঘিরে অপেক্ষামান যে সব নবনির্মিত যে সব সরকারি বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ও শিল্প কলকারখানা গড়ে উঠেছে সবকয়টিতে এ জেলার বেকারদের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে। এতে এ জেলার বেকারত্বের হার কমার পাশাপাশি অর্থনৈতিক ভাবে এ জেলা স্বাবলম্বী হবে।


আরও খবর



আমি নির্বাচনে হারলে মার্কিন গণতন্ত্রের অবসান ঘটবে : ট্রাম্প

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

চলতি বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। সময় যতই এগিয়ে চলেছে, বৈশ্বিক পরাশক্তি এই দেশটিতে রাজনৈতিক উত্তাপও বাড়ছে সমানতালে। চার বছর আগের মতো এবারের নির্বাচনেও দেখা মিলবে বাইডেন ও ট্রাম্পের দ্বৈরথ।

আর তাই গত নির্বাচনের পরাজয়ের ক্ষত থেকেই উত্তেজনার পারদ চড়াচ্ছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার দাবি, সামনের নির্বাচনে তিনি হারলে মার্কিন গণতন্ত্রের অবসান ঘটবে।

এমনকি তিনি না জিতলে রক্তগঙ্গা বয়ে যাওয়ার বিষয়েও সতর্ক করেছেন সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট। রোববার (১৭ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

ডোনাল্ড ট্রাম্প শনিবার বলেছেন, তিনি যদি আগামী নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী না হন তবে এর অর্থ হবে আমেরিকান গণতন্ত্রের সম্ভাব্য সমাপ্তি বা অবসান। রিপাবলিকান পার্টির এই প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ওহিওতে সমর্থকদের সাথে কথা বলার সময় ২০২০ সালের নির্বাচন নিয়ে তার ভিত্তিহীন দাবিরও পুনরাবৃত্তি করেন।

তিনি দাবি করেন, ডেমোক্র্যাটিক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে ২০২০ সালের নির্বাচনে তার পরাজয় ছিল নির্বাচনী জালিয়াতির ফলাফল।

রয়টার্স বলছে, স্থানীয় সময় শনিবার আউটডোরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্প ভবিষ্যদ্বাণী করেন, তিনি যদি আগামী ৫ নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে জয়ী না হন তবে আমেরিকান গণতন্ত্রের অবসান ঘটবে। ট্রাম্প বলেন, আমরা যদি এই নির্বাচনে না জিততে পারি, আমি মনে করি না যে আপনারা এই দেশে আর কোনও নির্বাচন পাবেন।

জর্জিয়ায় ২০২০ সালের নির্বাচনের ফলাফল উল্টে দেওয়ার চেষ্টা করার দায়ে ট্রাম্প বর্তমানে ফৌজদারি অভিযোগের অধীনে রয়েছেন। আর এর মধ্যেই চলতি সপ্তাহে রিপাবলিকান মনোনয়ন পাওয়ার জন্য যথেষ্ট সমর্থন পেয়ে গেছেন তিনি।

ট্রাম্প এদিন ডেটনে তার সমর্থকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এই মন্তব্যটি করেন যারা ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি মার্কিন ক্যাপিটলে দাঙ্গা ও হামলার জন্য কারাগারে রয়েছেন। সেদিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে জো বাইডেনকে আনুষ্ঠানিক ভাবে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করার প্রস্তুতি চলছিল।

একপর্যায়ে ক্যাপিটল ভবনের নিরাপত্তা ব্যারিকেড ও মূল ফটক ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়েন ট্রাম্প সমর্থকরা। হামলাকারীদের অনেকেই ছিল সশস্ত্র। ভেতরে ঢুকে সিনেট হলে রীতিমতো তাণ্ডব চালায় তারা। শুধু তা-ই নয়, তৎকালীন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসিসহ বেশ কয়েকজন আইনপ্রণেতার কার্যালয়ও তছনছ করে তারা। হামলা-সংঘর্ষে এক পুলিশ সদস্যসহ নিহত হন পাঁচজন। সেই ঘটনায়ই ট্রাম্পের অনেক সমর্থক কারাগারে রয়েছেন। তবে ট্রাম্প তাদেরকে স্যালুট জানান এবং তাদের দেশপ্রেমিক এবং জিম্মি বলেও আখ্যায়িত করেন।

রয়টার্স বলছে, সাবেক এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট দেশের অবস্থা সম্পর্কে তার বক্তৃতায় ক্রমবর্ধমানভাবে ডাইস্টোপিয়ান (এমন কল্পিত রাষ্ট্র বা সমাজ যেখানে ব্যাপক যন্ত্রণা ও কষ্ট বা অবিচার আছে) ব্যবহার করছেন।

আমদানি করা গাড়ির ওপর শুল্ক বসানো এবং মার্কিন অটো শিল্পের জন্য বিদেশি প্রতিযোগিতার বিষয়ে নিজের বক্তৃতার একটি অংশের মাঝখানে ট্রাম্প ঘোষণা করেন: আমি যদি নির্বাচিত না হই, তবে এটি পুরো দেশের জন্য রক্তগঙ্গা হতে চলেছে।

এদিকে মার্কিন অটো শিল্প এবং অর্থনীতি সম্পর্কে আলোচনার মধ্যে ট্রাম্পের রক্তগঙ্গা মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রচারণার মুখপাত্র জেমস সিঙ্গার ট্রাম্পের চরমপন্থা, প্রতিশোধের প্রতি তার তৃষ্ণা এবং তার রাজনৈতিক সহিংসতার হুমকির নিন্দা করেন।

ট্রাম্প কৃষ্ণাঙ্গ এবং হিস্পানিকদের (লাতিন আমেরিকান বংশোদ্ভূত এবং বিশেষ করে কিউবান, মেক্সিকান বা পুয়ের্তোরিকান বংশোদ্ভূত ব্যক্তি যারা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেন) কাছেও আবেদন করেছেন।

তার মতে, এই ভোটাররা নভেম্বরের নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে মূল ভূমিকা পালন করবে।

নিউজ ট্যাগ: ডোনাল্ড ট্রাম্প

আরও খবর



আড়াই ঘণ্টায় পশ্চিমাঞ্চল রেলের ১১ হাজার টিকিট বিক্রি

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে আজ। বিক্রি শুরুর আড়াই ঘণ্টার মধ্যেই পশ্চিমাঞ্চল রেলের ১১ হাজার টিকিট বিক্রি শেষ হয়েছে।

রোববার (২৪ মার্চ) বেলা পৌনে ১১টায় কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আজ সকাল ৮টায় ঢাকা থেকে পশ্চিমাঞ্চলের টিকিটগুলো ওপেন হয়েছে। দুপুর ২টায় পূর্বাঞ্চলের টিকিটগুলো বিক্রি শুরু হবে। পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনগুলোতে প্রায় ১৬ হাজার আসন সংখ্যা ছিল। সর্বশেষ সাড়ে ১০টায় যে তথ্য পেয়েছি তাতে ১১ হাজার টিকিট বিক্রি হয়েছে। এই ১১ হাজার টিকিট নেওয়ার জন্য সকাল সাড়ে ৮টায় প্রায় ১৫ লাখ সাবস্ক্রাইবার আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করেছে।

তিনি আরও বলেন, আজ ৩ এপ্রিলের টিকিট দেওয়া হয়েছে। এ বছর ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া আন্তঃনগর ৪২ জোড়া ট্রেনের টিকিট দুই পর্যায়ে দেওয়া হচ্ছে। ঈদ উপলক্ষে এই অগ্রিম টিকিট সম্পূর্ণ অনলাইনে বিক্রি হবে। এবার মোবাইলে ওটিপি ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে টিকিট দেওয়া হচ্ছে। স্বস্তির ঈদযাত্রা নিশ্চিতের জন্য সব ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।


আরও খবর



পাকিস্তানে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ৫ চীনা নাগরিক নিহত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পাকিস্তানের একটি বাঁধ প্রকল্পে কাজ করা চীনা প্রকৌশলীদের একটি গাড়িবহরে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ৬ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৫ জন চীনা প্রকৌশলী এবং একজন পাকিস্তানি ড্রাইভার।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে এই ঘটনা ঘটেছে। একটি শীর্ষ পুলিশ সূত্রের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।

এক সপ্তাহের মধ্যে পাকিস্তানে চীনা স্বার্থের ওপর তৃতীয় বড় হামলার ঘটনা এটি।

প্রথম দুটি হামলা বেলুচিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রদেশের একটি বিমানঘাঁটি এবং একটি কৌশলগত বন্দরে ঘটে। সেখানে অবকাঠামো প্রকল্পে কোটি কোটি টাকার বিনিয়োগ করছে চীন।

আঞ্চলিক পুলিশ প্রধান মোহাম্মদ আলী গন্ডাপুর রয়টার্সকে জানিয়েছেন, হওয়া ওই প্রকৌশলীরা ইসলামাবাদ থেকে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের দাসুতে বাঁধ নির্মাণের স্থানে তাদের ক্যাম্পে দিকে যাচ্ছিলেন। গন্ডাপুর বলেন, হামলায় পাঁচ চীনা নাগরিক এবং তাদের পাকিস্তানি ড্রাইভার নিহত হয়েছে।

দাসু একটি বড় বাঁধের স্থান এবং এলাকাটিতে এর আগেও হামলা হয়েছে। সেখানে ২০২১ সালে একটি বাসে বিস্ফোরণের ঘটনায় ৯ চীনা নাগরিকসহ ১৩ নিহত হয়েছিল।


আরও খবর



পাকিস্তানে ভারী বৃষ্টি ও তুষারপাতে ২৯ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পাকিস্তানে চলা তুষারঝড় ও বৃষ্টিতে ১৬ শিশুসহ ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে দেশটির খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

রোববার (৩ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এক্সপ্রেস ট্রিবিউন। 

খাইবার পাখতুনখাওয়াতে বৃষ্টি ও তুষারঝড়ে ২৪ জন প্রাণ হারিয়েছে। যার মধ্যে শিশু ১৪ জন। এছাড়া বিভিন্নভাবে আহত হয়েছেন আরও ৩৪ জন। বৃষ্টি ও তুষারপাতে মৃত্যুর পাশপাশি অনেক বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া তুষারের নিচে আটকা পড়েছে অনেক পশুপাখি।

প্রাদেশিক বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (পিডিএমএ) জানিয়েছে, তুষারঝড়ের কারণে অনেক সড়ক বন্ধ হয়ে গেছে। সেগুলো চালুর জন্য চেষ্টা চলছে।

পিডিএমএ সতর্কতা দিয়ে বলেছে, এই বৃষ্টি ও তুষারপাত আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে। এতে করে খাইবার পাখতুনখাওয়ার পাহাড়গুলো ভারী তুষারে ঢাকা পড়তে পারে।

এদিকে দেশটিতে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে অনেক জায়গায় ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে করে অনেক মানুষ তাদের বাড়ি-ঘরের নিচে আটকা পড়েছেন। আটকেপড়া এসব মানুষকে উদ্ধারে এখন উদ্ধার অভিযান চলছে।


আরও খবর



পরিবেশ দূষণে বছরে অকাল মৃত্যু হচ্ছে পৌনে ৩ লাখ বাংলাদেশির

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

উদ্বেগজনকভাবে বাংলাদেশ দূষণ ও পরিবেশগত স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে। যা তুলনামূলক বেশি ক্ষতি করছে দরিদ্র জনগোষ্ঠী, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু, বয়স্ক পুরুষ ও নারীদের। বছরে দূষণের কারণে দেশে অকাল মৃত্যু হচ্ছে ২ লাখ ৭২ হাজারের বেশি মানুষের। বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

দ্য বাংলাদেশ কান্ট্রি এনভায়রনমেন্ট অ্যানালাইসিস নামে প্রকাশিত এ প্রতিবেদন অনুযায়ী বায়ু দূষণ, অনিরাপদ পানি, নিম্নমানের স্যানিটেশন ও হাইজিন এবং সীসা দূষণ বেশি অকাল মৃত্যুর কারণ। পরিবেশগত কারণে ২০১৯ সালে বাংলাদেশের জিডিপির ১৭ দশমিক ৬ শতাংশ সমপরিমাণ ক্ষতি হয়েছে। ঘর ও বাইরের বায়ু দূষণ স্বাস্থ্যের ওপর সবচেয়ে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে যা ৫৫ শতাংশ অকালমৃত্যুর জন্য দায়ী এবং যা ২০১৯ সালের জিডিপির ৮ দশমিক ৩২ শতাংশের সমপরিমাণ।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ এবং ভুটানে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক বলেন, বাংলাদেশের জন্য পরিবেশের ঝুঁকি মোকাবিলা একই সঙ্গে উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক অগ্রাধিকার। আমরা পৃথিবীর নানা দেশে দেখেছি, পরিবেশের ক্ষতি করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হলে তা টেকসই হতে পারে না।

তিনি আরও বলেন, শক্তিশালী প্রবৃদ্ধির গতিপথ টেকসই রাখতে এবং শহর ও গ্রামাঞ্চলের মানুষের জীবনমানের উন্নতি করতে বাংলাদেশ কোনোভাবেই পরিবেশকে উপেক্ষা করতে পারবে না। উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার লক্ষ্য অর্জনে পরিবেশের ক্ষয় রোধ এবং জলবায়ু সহিষ্ণুতা নিশ্চিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, পরিবেশ দূষণ শিশুদের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। সীসা বিষক্রিয়া শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশে অপরিবর্তনীয় ক্ষতি করছে। এর ফলে বছরে প্রাক্কলিত আইকিউ ক্ষতি হচ্ছে প্রায় ২০ মিলিয়ন পয়েন্ট। গৃহস্থালিতে কাঠের জ্বালানির মাধ্যমে রান্না বায়ু দূষণের অন্যতম উৎস এবং তা নারী ও শিশুদের বেশি ক্ষতি করছে। শিল্পের বর্জ্য এবং অনিয়ন্ত্রিত প্লাস্টিকসহ বিভিন্ন বর্জ্য এবং অন্যান্য উৎস থেকে আসা অপরিশোধিত ময়লাযুক্ত পানির কারণে বাংলাদেশের নদীগুলোর পানির গুণগত মানের মারাত্মক অবনতি ঘটেছে।

বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র পরিবেশ বিশেষজ্ঞ এবং এই রিপোর্টের সহ-প্রণেতা আনা লুইসা গোমেজ লিমা বলেন, সময়মতো এবং সঠিক নীতি ও কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশ পরিবেশ দূষণের ধারা পাল্টে ফেলতে পারে। পরিবেশ সুরক্ষা জোরদারে পদক্ষেপ এবং রান্নায় সবুজ জ্বালানির জন্য বিনিয়োগ ও অন্যান্য প্রণোদনা, সবুজ অর্থায়ন বাড়ানো, কার্যকর কার্বন মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং সচেতনতা বাড়ানো দূষণ কমাতে পারে এবং এর ফলে সবুজ প্রবৃদ্ধি অর্জন হতে পারে।


আরও খবর