আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

পদ্মা সেতু খুলে দিলে মাদারীপুরে শিল্প বিপ্লব হবে

প্রকাশিত:সোমবার ২০ জুন ২০22 | হালনাগাদ:সোমবার ২০ জুন ২০22 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দক্ষিণাঞ্চলবাসীর স্বপ্নের পদ্মা সেতু ২৫ জুন উদ্বোধন করা হবে। এই সেতুকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে পদ্মাপাড়ের বাসিন্দাদের মধ্যে আনন্দে চলছে। বিশেষ করে এই সেতু উদ্বোধনের পর মাদারীপুর তথা গোটা দক্ষিণাঞ্চলে শিল্প বিপ্লব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ব্যবসায়ীরা। ইতোমধ্যে পদ্মা সেতুকে কেন্দ্র করে মাদারীপুরে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানে প্রচুর সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। সেতুকে ঘিরে পদ্মা পাড়ের মানুষের জীবন-জীবিকার মানও পরিবর্তন করার চেষ্টা চলছে। হাতে নেওয়া হয়েছে শত শত কোটি টাকা ব্যয়ে মেগা প্রকল্প। এতে আশান্বিত সাধারণ মানুষ। 

সংশ্লিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা সেতুর দুই পাড়ের সংযোগ সড়কের পিচ ঢালাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। মূল অংশের পিচ ঢালাই কাজও শেষ। আগামী ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সেতুর উদ্বোধন করবেন। পদ্মা সেতু চালুর মধ্যদিয়ে পুরো অঞ্চলের চেহারা বদলে যাবে। অর্থনীতি ও সামাজিক ক্ষেত্রেও বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে।  মাদারীপুরে বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের জন্যে সরকারের পক্ষ থেকে অধিগ্রহণ করা হয়েছে প্রায় ৫ হাজার একর জমি। এরই মধ্যে কয়েকটি প্রকল্পে কাজ দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে। এছাড়া বেসরকারি উদ্যোগে বিভিন্ন কলকারখানা গড়ে তোলার জন্য জমি ক্রয় করছে বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শিবচরের কুতুবপুরে ৭০ একর জায়াগায় দেশের প্রথম ইনফরমেশন টেকনোলজি ইনস্টিটিউট ও হাইটেক পার্ক নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণের চিঠি দিয়েছে মন্ত্রণালয়। একই ইউনিয়নে ১০৮ একর জমিতে বেনারসি পল্লী নির্মাণের কাজ চলছে। টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ নির্মাণের জন্য ১৫ একর জমি অধিগ্রহণ শেষে কাজ চলমান রয়েছে। পরিকল্পিত শহরায়নের জন্য ৭৫০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে শিবচরে।  এখানে দাদাভাই উপশহর নামে পরিকল্পিত শহরায়নের কাজ প্রায় শেষ পর্যায় রয়েছে। চরাঞ্চলের চরজানাজাতে অলিম্পিক ভিলেজ নির্মাণের প্রস্তাবনাও রয়েছে।

রাজধানী ঢাকা এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যাত্রী ও পণ্য পরিবহণ নিরাপদ, সময় সাশ্রয়ী ও আরামদায়ক করার লক্ষ্যে বাংলাদশে সরকাররে নিজস্ব র্অথায়নে সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে সড়ক ব্যবহার করে মেট্রোরেল নির্মাণের পরকিল্পনার রয়েছে সরকারের। এছাড়া মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলায় ইকোনোমিক জোন নির্মাণে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজও চলমান রয়েছে।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর থেকে পায়রা বন্দর পর্যন্ত এলাকা ঘিরে উন্নয়নের লক্ষ্যে একটি সমন্বিত মাস্টারপ্ল্যান করতে যাচ্ছে সরকার। যার মনিটরিং করছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। মাস্টারপ্ল্যানে থাকছে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, আধুনিক পর্যটন স্থাপনা, শিল্পভিত্তিক বন্দরনগরী, পরিকল্পিত নগরায়ণ, যোগাযোগ, অর্থনীতি ও কৃষি খাতে উন্নয়ন, পরিবেশ সুরক্ষা ও দুর্যোগ ঝুঁকিসহ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলাভিত্তিক কার্যক্রম।

মাদারীপুরের ব্যবসায়ী জালাল মাহমুদ বলেন, বেসরকারি উদ্যেগে বিভিন্ন কলকারখানা নির্মাণের প্রস্তুতি চলছে। এই অঞ্চলে কর্মসংস্থান বাড়বে। কমবে বেকারত্ব। অবহেলিত দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ সোনালী দিনের স্বপ্ন দেখছে এসব প্রকল্প ঘিরে। তবে আমাদের এই অঞ্চলে গ্যাসের সংযোগ নেই। গ্যাসের সংযোগ না থাকলে কলকারখানা গড়ে তোলা সম্ভব নয়। তাই সরকারের কাছে আমাদের দাবি উন্নয়ন প্রকল্পের সঙ্গে যেন গ্যাস সংযোগের ব্যবস্থা করে।

মাদারীপুর বিসিক শিল্প নগরীর সহকারী মহা ব্যবস্থাপক নাজমুল হক বলেন, পদ্মা সেতুকে ঘিরে চলমান প্রকল্পগুলো সম্পন্ন হলে দক্ষিণাঞ্চলের আর্থ-সামাজিক চিত্র বদলে যাবে। এখানে গড়ে উঠবে শিল্প কলকারখানা। বাড়বে কর্মসংস্থান। বাড়বে ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্র। মাদারীপুরে দুইটি বিসিক রয়েছে। আরও দুটি বিসিক শিল্প নগরী গড়ে তোলার প্রস্তবনা রয়েছে। সে মোতাবেক কাজ চলছে।

মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড.রহিমা খাতুন বলেন, পদ্মা সেতু খুলে দিলে এই অঞ্চলের ব্যপক উন্নয়ন হবে। তাঁত শিল্প টিকিয়ে রাখতে গড়ে তোলা হবে শেখ হাসিনা তাঁতপল্লী। এছাড়াও একটি ইকোনোকি অঞ্চল গড়ে তোলার প্রস্তাবনা দেওয়া আছে। সব কিছু ঠিক থাকলে মাদারীপুরে শিল্প বিপ্লব হবে বলেই আশা করি।

নিউজ ট্যাগ: পদ্মা সেতু

আরও খবর



ওপার বাংলায় শুটিংয়ে পরীমণি, জরিমানা করলেন আদালত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

মারধর, হুমকি ও যৌন হয়রানির মামলায় সাক্ষ্য দিতে ট্রাইব্যুনালে না আসায় আসামিদের এক হাজার টাকা যাতায়াত ভাড়া দিতে চিত্রনায়িকা পরীমণিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২০ মার্চ) ঢাকার ৯ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯-এর বিচারক শাহানা হক সিদ্দিকা এ আদেশ দেন।

এদিন মামলাটি পরীমণির সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ধার্য দিন ছিল। কিন্তু পরীমণি আদালতে হাজির না হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে সময় আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, পরীমণি শুটিংয়ের জন্য ভারতে থাকায় আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি।

এ সময় আসামি নাসির উদ্দিনের আইনজীবী আবুল কালাম মোহাম্মদ সোহেল বলেন, ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর পরীমণি সাক্ষ্য দেওয়া শুরু করেন। এরপর ২০২৩ সালের ১১ জানুয়ারি, ৬ মার্চ ও ২৩ মে সাক্ষ্য গ্রহণের দিনে পরীমণি আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। গত বছর ২৪ জুলাই আংশিক সাক্ষ্য দেন। পরবর্তীতে গত বছর ১৩ সেপ্টেম্বর ও চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। অবশিষ্ট সাক্ষ্য দিতে পরীমণির অবহেলায় আদালতের মূল্যবান সময় নষ্ট হচ্ছে। আসামিরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। তিনি পরীমণির সাক্ষ্য গ্রহণ সমাপ্ত করার আদেশ প্রার্থনা করেন।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত পরীমণিকে শেষবারের মতো সময় দিয়ে আসামিদের যাতায়াত ভাড়া এক হাজার টাকা দিতে নির্দেশ দেন। মামলার আসামি হলেন নাসির উদ্দিন, তুহিন সিদ্দিকী অমি ও শহীদুল আলম। ২০২২ সালের ১৮ মে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ১৪ জুন নাসির উদ্দিন ও অমির নাম উল্লেখ করে এবং চারজনকে অজ্ঞাত আসামি করে ঢাকার সাভার থানায় মামলা দায়ের করেন পরীমণি। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর আদালতে নাসিরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা সাভার থানার পরিদর্শক কামাল হোসেন।

নিউজ ট্যাগ: পরীমণি

আরও খবর



বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের সুদমুক্ত ঋণ বিতরণ

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Image

কুমিল্লার হোমনা উপজেলার হরিপুর গ্রামে বসুন্ধরা গ্রুপের অর্থায়নে বসুন্ধরা ফাউন্ডেশন ৭১তম সুদ ও সার্ভিস চার্জ মুক্ত ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। বুধবার (৬ মার্চ) বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ঋণ বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের উপদেষ্টা ও ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের প্রকাশক ময়নাল হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কথাসাহিত্যিক, ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের পরিচালক ও দৈনিক কালের কণ্ঠর প্রধান সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন। আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের শিশু বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. দেলোয়ার হোসেন সরকার, হোমনা পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম, বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ডিজিএম মাইমূন কবির, বাঞ্ছারামপুর সরকারি কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. চাঁন মিয়া সরকার, বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপক মো. মোশাররফ হোসেন, সিনিয়র অফিসার আমির হোসেন আনোয়ার, জুনিয়র অফিসার শাহজাহান, মোহাম্মদ বাছির প্রমুখ।

প্রধান অতিথি ইমদাদুল হক মিলন বলেন, সুদ ও সার্ভিস চার্জ মুক্ত ঋণ বিতরণ শুধু বাংলাদেশ নয় বিশ্বের কোথাও আছে কি না আমার জানা নেই। শুধু বসুন্ধরাই মানবতার কল্যাণে সুদ ও সার্ভিস চার্জ মুক্ত এই ঋণ বিতরণ করে যাচ্ছে। বসুন্ধরার লক্ষ্য এই ঋণ সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে নিজেরা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হবেন এবং ছেলেমেয়েদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলবেন। বসুন্ধরার ঋণ এবং আপনাদের প্রচেষ্টায় একদিন আপনাদের অভাব মোচন হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতি ময়নাল হোসেন চৌধুরীর বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের সরাসরি তত্তাবধানে সর্বপ্রথম ২০০৫ সাল থেকে সুদ ও সার্ভিস চার্জ মুক্ত ঋণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত এই ঋণের আওতায় প্রায় ৩০ হাজার হতদরিদ্র ও গরিব মানুষ উপকৃত হয়েছেন। এই ঋণ বিতরণ ও আদায়ের দিক দিয়ে বিশ্বের ইতিহাসে বিরল ঘটনা। যার একটি টাকাও এখনো অনাদায়ী থাকেনি। আমরা আপনাদের নিয়ে কাজ করছি, আরো কাজ করব। বসুন্ধরা সব সময় আপনাদের পাশে আছে। বসুন্ধরা চাচ্ছে গ্রামের অসহায় ও হতদরিদ্র মানুষগুলোর অর্থনীতির চিত্র পাল্টে দিতে।

তিনি আরো বলেন, বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ঋণের টাকা কোনো অবৈধ কাজে বিনিয়োগ করা যাবে না। বসুন্ধরা গ্রুপ দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করে। দেশের অসহায় ও হতদরিদ্রদের মাঝে বিভিন্ন ক্রান্তিকালে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় বসুন্ধরা গ্রুপ।তিনি আরো বলেন, আজ ২০০ হতদরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত লোকের প্রত্যেককে ১৫ হাজার টাকা করে মোট ৩০ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়। বসুন্ধরা গ্রুপের সুদ ও সার্ভিস চার্জ মুক্ত ঋণ পেয়ে ৩৩টি স্কিমের মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছে ঋণগ্রহীতারা।

হোমনা নগরীরচর কান্দাপাড়ার ঋণগ্রহীতা মার্জিয়া আক্তার (৩৫) বলেন, আমি দেখতে বাউন্না (খুব খাটো), যার জন্য কোনো কাজ দেয় না। এই টেহা দিয়া মেশিন কিন্না কাপড় সেলাইমু। রোজার মাসে বেশি সেলাই কইরা বেশি টেহা পামু। আল্লাহর কাছে বসুন্ধরার মালিকের লাইগা দোয়া করি।দরিচর গ্রামের ঋণগ্রহীতা রোজিনা আক্তার (৩০) বলেন, এই টেহা নিয়া কৃষি কামে লাগামু। এমন সময় টেহাডি পাইছি যখন ধানক্ষেতে সার ও পানি দিতাম পারমু। বেশি ধান হইলে ঘরে ভাতের অভাব থাকবে না। আল্লাহর কাছে কমু টেহা যারা দিছে বসুন্ধরার মালিকদের তুমি ভালা রাইক্ষ (রেখো)।বাগমারা গ্রামের ঋণগ্রহীতা অঞ্জনা দাস (৩০) বলেন, আমার স্বামী কয়ডা কয়ডা (সামান্য কিছু) মাছ কিন্না বেচে। এই টেহাগুলি লাইজ্জার কামে লাগবে। ভগবানের কছে বসুন্ধরা মালিকগ লাগি প্রার্থনা করি।

নিউজ ট্যাগ: বসুন্ধরা গ্রুপ

আরও খবর



ইউরোপে বাংলাদেশিদের আশ্রয় আবেদনে নতুন রেকর্ড

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
প্রবাসে বাংলা

Image

অভিবাসীদের অবৈধ প্রবেশ ঠেকাতে দিন দিন কঠোর হচ্ছে ইউরোপ, অনেকেই যাত্রা পথে হারাচ্ছেন প্রাণ। তবুও থামছে না অবৈধ পথে বিদেশ যাত্রা। ভাগ্য ফেরানোর আশায় বাংলাদেশি ছাড়াও পাকিস্তানি, আফগানি, সিরিয়ান নাগরিকদের ইউরোপে পছন্দের গন্তব্যের মধ্যে রয়েছে ইতালি, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রিস, সাইপ্রাস ও রোমানিয়া।

স্বপ্নবাজরা বিভিন্ন পথ পাড়ি দিয়ে প্রতি বছরই ইউরোপ, আমেরিকা-সহ বিভিন্ন দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় আবেদন করেন। তবে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে ২০২৩ সালে ইউরোপে আবেদনে নতুন রেকর্ড গড়েছেন বাংলাদেশিরা। গত বছর ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যেতে আবেদন করেন ১১ লাখ ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষ, যার মধ্যে বাংলাদেশির সংখ্যা ৪০ হাজারের বেশি। বেশিরভাগই যেতে চেয়েছেন ইতালি ও ফ্রান্সে।

শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউরোপীয় ইউনিয়ন এজেন্সি ফর এসাইলাম (ইইউএএ) প্রকাশিত এক পরিসংখ্যানে নতুন এই তথ্য উঠে এসেছে।

উন্নত জীবনের আশায় প্রতিনিয়তই অবৈধ পথে ইউরোপ-আমেরিকায় পাড়ি জমাচ্ছেন বাংলাদেশিরা। অনেকেই পথিমধ্যে হারাচ্ছেন প্রাণ। গত বছর ৪০ হাজার ৩৩২ জন বাংলাদেশি ইউরোপে আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেছেন।

ইইউএএ পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২৩ সালে ইউরোপে আশ্রয় চেয়ে করা আবেদনের সংখ্যা এর আগের বছরের তুলনায় প্রায় ১৮ শতাংশ বেড়েছে। যা ২০১৫-১৬ সালে বিশ্বজুড়ে তৈরি হওয়া শরণার্থী সংকটের পর সর্বোচ্চ। সে বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ১৩ লাখ মানুষ ইউরোপে আশ্রয়ের আবেদন করেছিল।

ইইউএএ বলেছে, গত বছর বাংলাদেশিদের আশ্রয় আবেদনের প্রধান গন্তব্য ছিল ইতালি। ইইউ প্লাসে আশ্রয় চেয়ে করা বাংলাদেশিদের আবেদনের ৫৮ শতাংশই ইতালিতে করেছেন। অর্থাৎ ২০২৩ সালে ২৩ হাজার ৪৪৮ জন বাংলাদেশি ইতালিতে আশ্রয়ের আবেদন করেছেন। এরপরই বাংলাদেশিদের সবচেয়ে বেশি আশ্রয় আবেদন জমা পড়েছে ফ্রান্স ও রোমানিয়ায়। ইইউতে বাংলাদেশিদের মোট আশ্রয় আবেদনের ২৫ শতাংশই ফ্রান্সে জমা দিয়েছেন। গত বছর ১০ হাজার ২১৫ জন বাংলাদেশি ফ্রান্সে আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেছেন। একই সময়ে রোমানিয়ায় আশ্রয় চেয়েছেন ২ হাজার ৮২২ জন বাংলাদেশি। এরপর অস্ট্রিয়ায় ১ হাজার ৪০৯ জন, গ্রিসে ৬৪০ জন, আয়ারল্যান্ডে ৪৪৫ জন, স্পেনে ৩৮০ জন, সাইপ্রাসে ৩১৪ জন, জার্মানিতে ১৬৪ জন, মাল্টায় ১১৮ জন ও অন্যান্য দেশে ৩৭৭ জন বাংলাদেশি আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেছেন।

ইইউএএ’র তথ্য বলছে, গত বছর ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে আশ্রয় প্রার্থীদের পছন্দের শীর্ষে ছিল জার্মানি। আর আশ্রয়ের আবেদনে সবার শীর্ষে আছে সিরিয়ান নাগরিকরা। এরপরই এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত আরেক দেশ আফগানিস্তান।

মূলত উন্নত জীবন, অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা আর নিরাপত্তার আশায় প্রতি বছরই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ইউরোপে যান অসংখ্য মানুষ। অবৈধ পথে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করেন অনেকে। কেউবা আবার নানা কারণ দেখিয়ে আশ্রয়ের আবেদন করেন। সিংগভাগই করেন দেশের বিরুদ্ধে নালিশ।

এদিকে, বাংলাদেশি অভিবাসীদের দারুণ সুযোগ দিয়েছে গ্রিস। ২০২৩ সালে প্রাচীন সভ্যতার এই দেশে রেসিডেন্স কার্ড পেয়েছেন ৩ হাজার ৪০৫ জন বাংলাদেশি অভিবাসী। আরও বিবেচনাধীন আছে ৫ হাজার ৯১০ জনের আবেদন। এদের অনেকেই বৈধতার জন্য আবেদন করে সকল প্রক্রিয়া শেষে বর্তমানে রেসিডেন্স পারমিট বা স্মার্ট কার্ডের অপেক্ষায় আছেন। বিভিন্ন ক্রুটির কারণে বাতিল হয়েছে ১ হাজার ১৯টি আবেদন। সম্প্রতি দেশটির আশ্রয় ও অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

গ্রিসে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর ২০২২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশ সফর করেন গ্রিক অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রী নোতিস মিতারাচি। এ সময় তার মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এই চুক্তি অনুযায়ী, ইউরোপের দেশ গ্রিসে প্রতি বছরে ৪ হাজার করে বাংলাদেশি কর্মীকে মৌসুমী কাজের ভিসা দেওয়া হবে এবং গ্রিসে বসবাসরত ১৫ হাজার অনিয়মিত বাংলাদেশিকে ৫ বছরের জন্য অস্থায়ী বৈধতার আওতায় আনা হবে। দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের সাথে সামঞ্জস্য রেখেই বৈধতা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করে গ্রিক সরকার।

২০২৩ সালের ১২ জানুয়ারি থেকে চালু করা হয় আবেদন করার অনলাইন প্ল্যাটফর্ম। ধাপে ধাপে রেসিডেন্স পারমিট দেওয়া শুরু করে দেশটি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিয়মিতকরণের জন্য গ্রিক সরকারের কাছে আবেদন করেছেন মোট ১০ হাজার ৩৩৭ জন অনিয়মিত বাংলাদেশি। আবেদনকারীদের মধ্যে সকল যাচাই বাচাই সম্পন্ন ও সকল ধাপ পেড়িয়ে রেসিডেন্স কার্ড হাতে পেয়েছেন ৩ হাজার ৪০৫ জন বাংলাদেশি। বাকি সবাইও পর্যায়ক্রমে বৈধতার আওতায় চলে আসবেন।

এছাড়াও বিভিন্ন ক্রুটির কারণে বাতিল হয়েছে ১ হাজার ১৯ জনের আবেদন। তবে বাতিলকৃত আবেদনগুলোর মধ্যে শর্তপূরণ করে আবারও আপিলের সুযোগ রয়েছে। গত বছর প্রাক-নিবন্ধনকারী ব্যক্তিদের মধ্যে ২০২৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বৈধতার জন্য আবেদন করেছেন ১১৩ জন অনিয়মিত বাংলাদেশি।


আরও খবর



মুনিয়া ধর্ষণ ও হত্যা: অব্যাহতি পেলেন আনভীরসহ ৮ জন

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগের মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরসহ ৮ জন।

বুধবার (২০ মার্চ) পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে এ আদেশ দেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮-এর বিচারক শওকত আলী।

অব্যাহতি পাওয়া অপর আসামিরা হলেন আনভীরের বাবা আহমেদ আকবর সোবহান, মা আফরোজা সোবহান, স্ত্রী সাবরিনা, শারমিন, সাইফা রহমান মিম, মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা এবং ইব্রাহিম আহমেদ রিপন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মদ রেজাউল করিম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

প্রসঙ্গত, মোসারাত জাহান মুনিয়া রাজধানীর একটি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। ২০২১ সালের ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যার পর গুলশান-২ নম্বরের ১২০ নম্বর সড়কের একটি ফ্ল্যাট থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় রাতেই মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত জাহান বাদী হয়ে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে গুলশান থানায় মামলা করেন। মামলায় বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরকে একমাত্র আসামি করা হয়। পরে আনভীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি মর্মে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ।

২০২১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এ মুনিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন নুসরাত জাহান। আদালত গুলশান থানা পুলিশকে মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশ দেন এবং পিবিআইকে অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন। ২০২২ সালে বসুন্ধরার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরসহ ৮ জনকে অব্যাহতির আবেদন করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পিবিআই। পরে এ প্রতিবেদনে নারাজি দাখিল করেন মুনিয়ার বোন।

এরপর গত ১০ মার্চ নারাজির বিষয়ে শুনানি শেষ হয়। আদালত এ বিষয়ে আদেশের জন্য ২০ মার্চ দিন ধার্য করেন। শেষ পর্যন্ত আদেশে চাঞ্চল্যকর এ মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন সায়েম সোবহান আনভীরসহ ৮ জন।


আরও খবর



৬ মাসে মেট্রোরেলের আয় ১৮ কোটি ২৮ লাখ টাকা

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, রাজধানীতে মেট্রোরেল চালুর প্রথম ৬ মাসে ১৮ কোটি ২৮ লাখ ৬ হাজার ৫১৪ টাকা আয় হয়েছে। সোমবার (৪ মার্চ) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেলের উত্তরা থেকে আগারগাঁও এবং গত বছরের ৪ নভেম্বর আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত অংশ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখন শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন সকাল ৭টা ১০ মিনিট থেকে রাত ৮টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত বাণিজ্যিকভাবে নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী নিয়মিত মেট্রোরেল চলাচল করছে।

ওবায়দুল কাদের জানান, অডিট ফার্মের নিরীক্ষা করা ২০২২-২৩ অর্থবছরের হিসাব অনুযায়ী; জুন পর্যন্ত মোট আয় হয়েছে ১৮ কোটি ২৮ লাখ ৬ হাজার ৫১৪ টাকা।

তিনি বলেন, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (এমআরটি) লাইন-৬ মতিঝিল থেকে কমলাপুর বর্ধিত অংশের নির্মাণকাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে। এখন পর্যন্ত কাজের সার্বিক অগ্রগতি ২৫ শতাংশ। আগামী বছর জুনে এ অংশ চালুর পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।


আরও খবর