আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

পদ্মা সেতুতে বন্ধ হচ্ছে ২৭ টনের বেশি ওজনের গাড়ি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৩ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৩ ডিসেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

জানুয়ারি থেকে পদ্মা সেতুতে চলাচল করবে না ২৭ টনের বেশি ওজনের কোনো যানবাহন। পদ্মা সেতুর জাজিরা ও মাওয়া প্রান্তে কাজ  শেষ হয়েছে ইলেকট্রিক সেন্সর নিয়ন্ত্রিত গাড়ির ওজন পরিমাপ ওয়েস্কেল বসানোর কাজ। চলতি পথেই গাড়ির ওজন পরিমাপ করা হবে।

সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, ৬৯২ কোটি টাকা ব্যয়ে কোরিয়ান এক্সপ্রেসওয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওয়েস্কেল বসানোর কাজ করছে। পদ্মা সেতু নির্মাণের পর থেকেই ২৭ টনের বেশি ওজনের যানবাহন চলাচল নিষেধ। কিন্তু উদ্বোধনের পর থেকে পদ্মা সেতুতে ওজন পরিমাপের ব্যবস্থা না থাকায় পণ্যবাহী যানবাহন পরিমাপ ছাড়াই পারাপার হচ্ছে। পদ্মা সেতুর উভয়প্রান্তে পণ্যবাহী যানবাহনকে এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে এসে টোল প্লাজার আগে তিনটি আলাদা লেনে আসতে হবে ওয়েস্কেলে।

সেখানে নির্ধারিত ইলেকট্রিক সেন্সর ও সড়কে থাকা পণ্যবাহী গাড়ির ওজন পরিমাপের বিশেষ ডিভাইসের ওপর দিয়ে পার হতে হবে ওয়েস্কেলের বিশেষ লেন। যদি পণ্যবাহী গাড়ি ২৭ টনের ওপরে হয় তাহলে রেড জোন দিয়ে চলে যাবে টোল প্লাজার পাশে নির্মিত স্টকইয়ার্ডে। আর ২৭ টন হয় তাহলে সেটি গ্রিন জোন দিয়ে টোল প্রদান করে পদ্মা সেতু পাড় হবে। আর বেশি ওজন বহনকারী যানবাহন রেড জোন দিয়ে চলে যাবে টোল প্লাজার পাশে নির্মিত স্টকইয়ার্ডে। রেড জোনে গাড়ি ৭২ ঘণ্টা থাকতে পারবে। সেখানে তারা ওজন কমিয়ে আবার ওয়েস্কেলে ওজন পরিমাপ দিয়ে গ্রিন জোন দিয়ে পদ্মা সেতু পাড় হতে হবে।

সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, রাস্তা নির্মাণের কাজ শেষ। এখন চলছে মার্কিংয়ের কাজ। বিদেশি প্রকৌশলীরা ওয়েস্কেলের কার্যক্ষমতা পরীক্ষা নিরীক্ষা করছে। বালু ভর্তি একটি ট্রাক বারবার ওয়েস্কেলে উঠানো হচ্ছে। এতে করে প্রকৃত ওজন প্রদর্শিত হচ্ছে ডিজিটাল ডিসপ্লেতে। গাড়ির গতি বা ওজন বেশি হলে বেজে উঠছে সাইরেন। এতে করেই ওয়েস্কেলের ক্ষমতা দেখা হচ্ছে। এছাড়া গাড়ির গতিবিধি পর্যবেক্ষণে বসানো হয়েছে ক্যামেরা, সিগন্যাল বাতি, ডিজিটাল ডিসপ্লে ও ডিভাইডার সাইন।

জাজিরা প্রান্তে দায়িত্বে থাকা স্টকইয়ার্ড সুপারভাইজার আব্দুল করিম বলেন, আমরা পরীক্ষামূলকভাবে পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে পণ্যবাহী যানবাহন ওয়েস্কেলের কাজ করছি। দাঁড়াতে হবে না কোনো গাড়িকে। চলতি পথেই মাপা হবে ওজন।

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী মোহাম্মদ ফেরদৌস বলেন, ওয়েস্কেলের নির্মাণের কাজ শেষ। জানুয়ারির শুরু থেকেই এটির কাজ শুরু করার কথা চলছে। এটির কাজ শুরু হলে বেশি ওজনের গাড়ি পাড়াপাড়ের সুযোগ থাকবে না। ওয়েস্কেলের জন্য সংযোগ সড়কের কাজও এখন শেষের দিকে।

নিউজ ট্যাগ: পদ্মা সেতু

আরও খবর



উপজেলা নির্বাচন

কেন্দ্রে থাকবে সর্বোচ্চ পুলিশ-আনসার, প্রতি ইউনিয়নে ম্যাজিস্ট্রেট

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বোচ্চ সংখ্যক সশস্ত্র সদস্য মোতায়েন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমান।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

সভা শেষে সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বোচ্চ সংখ্যক সশস্ত্র সদস্য মোতায়েন করা হবে। ভোটকেন্দ্রগুলোতে ১৭ থেকে ১৮ জন সদস্য থাকবে। এর আগে কখনো এত বেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ভোটকেন্দ্রে ছিল না।

তিনি জানান, প্রতিটি বুথ ব্যবস্থাপনার জন্য সর্বনিম্ন ১০ জন আনসার সদস্য থাকবে ও ৬টির বেশি বুথ আছে, এমন জায়গাগুলোতে একজন করে অতিরিক্ত আনসার থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে অস্ত্রসহ চার পুলিশ সদস্য থাকবে। আনসার থাকবে তিনজন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মোট ১৭ থেকে ১৮ জন সদস্য থাকবে।

সচিব বলেন, ভোটের দিন ব্যালট পেপার পৌঁছানো হবে। এটা পৌঁছানোর কাজে নিয়োজিত থাকবে মোবাইল ফোর্স, স্ট্রাইকিং ফোর্স। ব্যালট পেপার সেন্টারে পৌঁছানোর পর তাদের এলাকাভিত্তিক যে দায়িত্ব বণ্টন করা হবে, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ সুপার ও রিটার্নিং অফিসার যেটা বলবেন, সেভাবে তারা (আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য) দায়িত্ব পালন করবে।

স্বরাষ্ট্রসচিব বলেন, প্রতিটি ইউনিয়ন একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে। প্রতিটি উপজেলায়ও একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। ভোটের আগের দিন ও পরের দিন পর্যন্ত তারা দায়িত্ব পালন করবেন। গড়ে ৫টি সেন্টারের জন্য স্ট্রাইকিং ফোর্স ও মোবাইল ফোর্স থাকবে। আনসার, পুলিশ, বিজিবি, র‍্যাব ও কোস্ট গার্ডের সমন্বয়ে এই মোবাইল ফোর্স গঠন করা হবে। আর উপকূলীয় এলাকাগুলোতে বিজিবির বদলে কোস্টগার্ড বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। পার্বত্য এলাকার কিছু দুর্গম সেন্টারে হেলিকপ্টারে পোলিং কর্মকর্তা ও ভোটের উপকরণ পৌঁছানো হবে।


আরও খবর



এসএসসিতে ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে মেয়েরা, কারণ খুঁজতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় ছাত্রদের চেয়ে গড় পাসে এগিয়ে আছে ছাত্রীরা। আজ প্রকাশিত ফলে দেখা যায় ছাত্রীদের পাসের হার ৮৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ, ছাত্রদের পাসের হার ৮১ দশমিক ৫৭ শতাংশ। কেন ছেলেরা পিছিয়ে সেটির কারণ খুঁজে বের করতে হবে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রবিবার (১২ মে) সকালে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে দেন শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানরা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

এসময় প্রধানমন্ত্রীও এ বিষয়ে কথা বলেন। শিক্ষায় ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের অংশগ্রহণ বেশি, ফলেও মেয়েরা এগিয়ে, এটি যেমন সুখবর। একইভাবে কেন ছেলেরা পিছিয়ে সেটির কারণ খুঁজে বের করতে হবে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানদের তিনি বলেন, যার যার বোর্ডে আপনারা খবর নেন, কী কারণে ছেলেরা পিছিয়ে। ইদানীং কিশোর গ্যাং দেখছি। এগুলো তো আমরা দেখতে চাই না। সেখান থেকে তাদের বিরত করা, একটা সুষ্ঠু পরিবেশে নিয়ে আসা আমাদের দায়িত্ব। আমরা বিবিএসকেও বলবো দেখতে।’

আজ প্রকাশিত এ ফলাফলের মধ্যে রয়েছে ৯টি সাধারণ, মাদরাসা ও কারিগরি বোর্ড। যশোর বোর্ডে পাসের হার ৯২ দশমিক ৩২ শতাংশ। আর সর্বনিম্ন সিলেট বোর্ডে পাসের হার ৭৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ।

এ ছাড়াও ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৮৯ দশমিক ৩২ শতাংশ, রাজশাহীতে ৮৯ দশমিক ২৫ শতাংশ, কুমিল্লায় ৭৯ দশমিক ২৩ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ, বরিশালে ৮৯ দশমিক ১৩ শতাংশ, দিনাজপুরে ৭৮ দশমিক ৪০ শতাংশ ও ময়মনসিংহে ৮৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ।

ফলাফল দেখবেন যেভাবে

পরীক্ষার্থীকে ফল দেখতে ঢাকা বোর্ডের ওয়েবসাইটে ঢুকতে হবে। সেখানে থাকা Result কর্নারে ক্লিক করে বোর্ড ও প্রতিষ্ঠানের ইআইআইএন’র (EIIN) মাধ্যমে ফল জানা যাবে।

এ ছাড়া এসএমএসের মাধ্যমেও ফল জানা যাবে। সেক্ষেত্রে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে SSC লিখে স্পেস দিয়ে ইংরেজিতে বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর দিতে হবে। এরপর স্পেস দিয়ে পরীক্ষার বছর লিখে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে। (উদাহরণ-SSC Dha ROLL YEAR)। ফিরতি মেসেজে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে।

শিক্ষার্থীরা ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করতে পারবেন।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। এতে সারা দেশের ৩ হাজার ৭০০টি কেন্দ্রে ২৯ হাজার ৭৩৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেন। এ বছর মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪

একাদশের ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




উপজেলা নির্বাচন: বেপরোয়া মন্ত্রী-এমপিরা ইসির নজরদারিতে

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

উপজেলা নির্বাচনে ভোট গ্রহণের দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে দেশের বিভিন্ন স্থানে আচরণবিধি লঙ্ঘনের হিড়িক পড়েছে। প্রার্থী ও সমর্থকদের পাশাপাশি সরকারের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধেও নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ উঠেছে। প্রথম ধাপের নির্বাচনের আগ মুহূর্তে এসব মন্ত্রী-এমপির ওপর নজর রাখছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর পাশাপাশি বেপরোয়া জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধেও যে কোনো সময় ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলে ইসি সূত্রে জানা গেছে।

নির্বাচন কমিশনের তপশিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপের ১৫০টি উপজেলা নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা আজ সোমবার রাতে শেষ হচ্ছে। এসব এলাকার প্রার্থীরা শেষ মুহূর্তের প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন। আগামী বুধবার (৮ মে) উপজেলায় প্রথম ধাপের ভোট গ্রহণের জন্য সার্বিক প্রস্তুতি প্রায় শেষ করে এনেছে নির্বাচন কমিশন। ভোটের দিন কেন্দ্রে পাঠানো হবে ব্যালট পেপার।

জানা গেছে, প্রথম ধাপের ভোট সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ১৪১ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচনী অপরাধ আমলে নিয়ে তারা সংক্ষিপ্ত বিচারকাজ সম্পন্ন করবেন। পরবর্তী ধাপগুলোর জন্যও একইভাবে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেবে ইসি।

নিয়ম অনুযায়ী ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে ভোটের আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা শেষ হয়। সে অনুযায়ী আজ সোমবার মধ্যরাতেই প্রথম ধাপের প্রচার শেষ হচ্ছে। শেষ মুহূর্তের প্রচার ঘিরে অনেক উপজেলায় টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। সেইসঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের প্রার্থীরাও এরই মধ্যে প্রচারে নেমে পড়েছেন। আর তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপের ভোট নিয়েও অনানুষ্ঠানিক প্রচারে রয়েছেন প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা। আর নির্বাচন কেন্দ্র করে প্রায় প্রতিদিনই দেশের কোনো না কোনো উপজেলায় সংঘাত-সহিংসতা এবং আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে। আর নানা ঘটনার প্রতিকার চেয়ে নির্বাচন কমিশনে আবেদন ও অভিযোগ আসছে নিয়মিত। এর মধ্যে অনেক প্রার্থী নির্বাচন কমিশনে স্থানীয় এমপির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ইসিতে। ইসি থেকে বারবার বিধি মেনে প্রচারের কথা বলা হলেও মন্ত্রী-এমপিদের অনেকেই তা অবজ্ঞা করে চলেছেন। ভোটারদের মন জয় করার পরিবর্তে পুলিশ প্রশাসন ও মাঠ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে মরিয়া প্রভাবশালীরা।

ইসি সূত্র জানায়, উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে সরাসরি নির্বাচনী প্রচারে অভিযোগ উঠেছে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিমের বিরুদ্ধে। রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী খন্দকার সাইফুল ইসলাম বুড়োর পক্ষে সরাসরি মাঠে রয়েছেন মন্ত্রিপুত্র আশিক মাহমুদ মিতুল। ওই উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান ও প্রার্থী মো. ফরিদ হাসান ওদুদ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বরাবর মন্ত্রী ও তার পুত্রের বিরুদ্ধে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ করেছেন।

মাদারীপুরে উপজেলা নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনসহ নানা অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও স্থানীয় সংসদ সদস্য শাজাহান খানের বিরুদ্ধে। উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী পাভেলুর রহমান শফিক খান এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলেন, এমপি তার ছেলেকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে অবৈধভাবে প্রভাব বিস্তার করছেন। তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের ওপর খবরদারি করছেন। কালো টাকা বিলির মাধ্যমে ভোট কেনার চেষ্টা, নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ শফিক খানের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন।

অভিযোগ এসেছে শেরপুর-৩ (শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী) আসনের সংসদ সদস্য এ ডি এম শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। ওই উপজেলার অন্য চেয়ারম্যান প্রার্থীদের অভিযোগ, দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে সংসদ সদস্য ঝিনাইগাতী উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিত রায়ের পক্ষে প্রচার চালিয়ে আসছেন।

চাঁদপুরের মতলব উপজেলা নির্বাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনে লিখিত দিয়েছেন ওই উপজেলার একজন প্রার্থী।

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ফজলুল করিমকে সঙ্গে নিয়ে কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ও সভায় সরাসরি ভোট চেয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জাফর আলম। এ-সংক্রান্ত একাধিক অনুষ্ঠানের ভিডিও এবং স্থির চিত্রসহ নির্বাচন কমিশন, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক, নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিভীষণ কান্তি দাশসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন জাফর আলম।

সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাচনে নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী ও সুবর্ণচর উপজেলার চরজব্বর থানার ওসির বিরুদ্ধে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ নির্বাচন কমিশনে জমা দেন চেয়ারম্যান প্রার্থী ও নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী (সেলিম)। অভিযোগে তিনি বলেন, একরামুল করিম চৌধুরীর ছেলে চেয়ারম্যান আতাহার ইশরাক চৌধুরী সাবাব ওরফে সাবাব চৌধুরী প্রার্থী হওয়ার পর থেকে তিনি সুবর্ণচর উপজেলায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আসছেন। আর এ কাজে ওসি সহযোগী হিসেবে কাজ করছেন। তার এমন অভিযোগের পর শনিবার চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, বেশ কিছু রাজনৈতিক দলের বর্জনের মধ্যেই বড় ধরনের কোনো সহিংসতা ও বিতর্ক ছাড়াই জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন করেছে বর্তমান কমিশন। ওই নির্বাচনে সরকারের হেভিওয়েট মন্ত্রী-এমপিদেরও ছাড় দেয়নি ইসি। শোকজ, তলব, তিরস্কার ও মামলা করা হয় তাদের অনেকের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া কঠোর পদক্ষেপের পরও বাগে আনতে না পারা এমপি প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলের মতো সর্বোচ্চ পদক্ষেপও নিয়েছিল কমিশন। কিন্তু এবারের উপজেলা নির্বাচনেও মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব বিভিন্ন গণমাধ্যমে বেশ জোরালোভাবে আলোচনায় আসছে। গোয়েন্দা রিপোর্টেও উঠে আসছে মাঠের সেসব তথ্য। ফলে বেপরোয়া মন্ত্রী-এমপিদের নিয়ন্ত্রণে জাতীয় নির্বাচনের সেই ফর্মুলাই বেছে নিচ্ছে কমিশন। সম্প্রতি ডিসি-এসপিসহ মাঠ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কমিশনের বৈঠকের পর এমন সিদ্ধান্ত নেয় স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাটি। ওই বৈঠকে ডিসি-এসপিসহ অংশগ্রহণকারী কয়েকজন নির্বাচনী মাঠের চিত্র তুলে ধরেন। এ সময় বেশিরভাগ বক্তাই মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব ও নিয়ন্ত্রণের চেষ্টার বিষয়টি তুলে ধরেন।

ইসির সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তারা জানান, উপজেলা নির্বাচনে কোনো ধরনের প্রভাব বিস্তার না করতে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে বারবার মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। বেপরোয়া এমপিদের লাগাম টানতে এরই মধ্যে সংসদ সচিবালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠিও দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এর পরও অনেকেই কমিশনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছেন। বিভিন্ন এলাকায় তাদের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টার তথ্য আসছে। এ অবস্থায় মাঠ প্রশাসনের মনোবল চাঙ্গা রাখতে এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে আচরণবিধি লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে জাতীয় নির্বাচনের মতো কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার চিন্তা করা হচ্ছে।

জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীদের প্রভাব বিস্তার কিংবা আচরণবিধি লঙ্ঘনের প্রমাণসহ অভিযোগ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট সংসদ সদস্য ও প্রার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

দেশের ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে এবার ৪৭৪টিতে চার ধাপে ভোট গ্রহণ করছে নির্বাচন কমিশন। মনোনয়ন জমা ও প্রত্যাহার শেষে দ্বিতীয় ধাপের ১৬০ উপজেলায় প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়েছে গত বৃহস্পতিবার। প্রতীক পেয়ে আনুষ্ঠানিক প্রচারে এরই মধ্যে মাঠে নেমেছেন প্রার্থীরা। আগামী ২১ মে এসব উপজেলায় ভোট গ্রহণ করা হবে। তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলা নির্বাচনের জন্য গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া শেষ হয়েছে। এ ধাপের তপশিল অনুযায়ী, গতকাল রোববার মনোনয়ন যাচাই-বাছাই শেষ হয়েছে। আজ সোমবার থেকে ৮ মে পর্যন্ত রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল চলবে। আপিল নিষ্পত্তি হবে ৯ থেকে ১১ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে এবং ২৯ মে এ ধাপের ভোট গ্রহণ করা হবে। এ ছাড়া চতুর্থ ধাপে ৫৫টি উপজেলার ভোট গ্রহণ করা হবে আগামী ৫ জুন। তপশিল অনুযায়ী, শেষ ধাপের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৯ মে, বাছাই ১২ মে, বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল ১৩ থেকে ১৫ মে, আপিল নিষ্পত্তি ১৬ থেকে ১৮ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৯ মে, প্রতীক বরাদ্দ ২০ মে।


আরও খবর



মোটর ড্রাইভিং প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সম্পন্ন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Image

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি)র প্রধান কার্যালয়ের সভাকক্ষে ড্রাইভার্স টেকনিক্যাল কোম্পানী লিমিটেড এর ৩৬ জন নারী প্রশিক্ষণার্থীদের মোটর ড্রাইভিং প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ তাজুল ইসলাম, চেয়ারম্যান, বিআরটিসি। আরো উপস্থিত ছিলেন বিআরটিসির উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেক্টনিক মিডিয়ার সদস্যগণ, ToT এর প্রশিক্ষণার্থীসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ।

স্বাগত বক্তব্যে মোঃ মশিউজ্জামান, ইউনিট প্রধান, বিআরটিসি কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, গাজীপুর বলেন, চেয়ারম্যান মহোদয়ের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও দূরদর্শী চিন্তার ফসল আমাদের বর্তমান স্মার্ট বিআরটিসি। ToT  প্রশিক্ষণার্থীদের  এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মদক্ষতা ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পাবে। প্রকৌশলী ফাতেমা বেগম (জিএম, আইসিডব্লিউএস ও প্রশিক্ষণ) বলেন, বিআরটিসি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে এ ToT  প্রশিক্ষণার্থীদের প্রশিক্ষণ দিতে সক্ষম  হয়েছে। উন্মুক্ত আলোচনায় একজন নারী ToT  প্রশিক্ষণার্থী বলেন, বিআরটিসি থেকে প্রশিক্ষণ  নিতে পেরে আমরা গর্বিত।

পরিচালক (কারিগরি) কর্নেল মোহাম্মদ মোবারক হোসেন মজুমদার, পিএসসি বলেন, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ToT প্রশিক্ষণার্থীগণ যোগ্যতা ও নৈপুণ্য বৃদ্ধির মাধ্যমে দক্ষতার সাথে কার্য সম্পাদন করতে পারবে। পরিচালক (অর্থ, হিসাব ও অপারেশন) ড. অনুপম সাহা বলেন, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ToT প্রশিক্ষণার্থীরা আরও দক্ষ হয়ে উঠবে এবং বাস্তব প্রতিফলন ঘটাতে পারবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোঃ তাজুল ইসলাম, চেয়ারম্যান, বিআরটিসি বলেন, বিভিন্ন কাজ সঠিকভাবে সম্পাদন বিষয়ে শিক্ষণ দেওয়াই হলো প্রশিক্ষণ। প্রশিক্ষণ হলো সাফল্যের চাবিকাঠি। যার মাধ্যমে ToT প্রশিক্ষণার্থীগণ কার্য সম্পাদন বিষয়ে বাস্তব জ্ঞান, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে এবং দক্ষ চালক তৈরিতে ভূমিকা রাখতে পারবে।


আরও খবর



পুলিৎজার পেল ৩ গণমাধ্যম

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

চলতি বছর পুলিৎজার পুরস্কার পেল ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স, মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য নিউইয়র্ক টাইমস ও ওয়াশিংটন পোস্ট। পুলিৎজারের সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার পাবলিক সার্ভিস (জনসেবা) অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা নিয়ে কাজ করা যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা প্রোপাবলিকা। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, এ বছর পুলিৎজার পুরস্কার পাওয়ার ক্ষেত্রে গাজায় চলমান ইসরাইল-হামাস সংঘাত নিয়ে খবর প্রকাশ বড় ভূমিকা রেখেছে। গাজা সংঘাত নিয়ে রয়টার্সের বেশ কয়েকটি ছবি এবার পুলিৎজারের ব্রেকিং নিউজ ফটোগ্রাফি’ বিভাগে পুরস্কার পেয়েছে।

এ বছর ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটো অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কার পেয়েছে রয়টার্সের আলোকচিত্রী মোহাম্মদ সালেমের তোলা একটি ছবি। ছবিটিতে দেখা যায়, গাজায় নিহত পাঁচ বছরের এক শিশুর মরদেহ জড়িয়ে ধরে আছেন এক ফিলিস্তিনি নারী।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের হামলা ও তারপর থেকে গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর ব্যাপক ও বর্বর আগ্রাসন নিয়ে বিস্তৃত ও প্রকাশযোগ্য প্রতিবেদন করায় ইন্টারন্যাশনাল রিপোর্টিং’ ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছে দ্য নিউইয়র্ক টাইমস।

অন্যদিকে জেলবন্দি রাশিয়ার বিরোধী রাজনীতিবিদ ও ওয়াশিংটন পোস্টের কলামলেখক ভ্লাদিমির কারা-মুর্জাকেও পুলিৎজার দেওয়া হয়েছে। কারাগারে থেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আলোচিত কিছু কলাম লেখার কারণে তিনি এই পুরস্কার পেয়েছেন।

কারা-মুর্জা রাশিয়ায় ২৫ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন। যুক্তরাষ্ট্রে দেওয়া এক বক্তৃতায় রাশিয়া ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধ’ করছে বলে উল্লেখ করার পর তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার’ অভিযোগ তোলে পুতিন প্রশাসন। তারপর থেকেই তিনি কারাগারে রয়েছেন। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সমালোচকদের মধ্যে তিনিই দীর্ঘতম সাজা পেয়েছেন।

এবার পুলিৎজারের ফিকশন অ্যাওয়ার্ড’ জিতেছেন সাহিত্যিক জেন অ্যান ফিলিপস। যুক্তরাষ্ট্রে গৃহযুদ্ধ চলাকালীন ও তার পরবর্তী সময়ে এক মা ও তার মেয়েকে নিয়ে লেখা উপন্যাস নাইট ওয়াচ’ এর জন্য এই পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।

অন্যদিকে এ ডে ইন দ্য লাইফ অফ আবেদ সালামা: অ্যানাটমি অব এ জেরুজালেম ট্র্যাজেডি’ বইয়ের জন্য পুলিৎজারের ননফিকশন’ পুরস্কার পেয়েছেন আমেরিকান ইহুদি লেখক নাথান থ্রাল।

সাংবাদিকতার নোবেল’ হিসেবে খ্যাত এই পুলিৎজার পুরস্কার। ১৯১৭ সাল থেকে সাংবাদিকতা ছাড়াও সাহিত্য, সংগীত, নাটকে বিশেষ অবদানের জন্য এ পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির একটি বোর্ড প্রতি বছর এ পুরস্কার ঘোষণা করে।


আরও খবর