আজঃ শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

পদ্মা সেতুতে ইলেকট্রনিক টোল আদায় শুরু আজ

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুলাই ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পদ্মা সেতুতে প্রযুক্তির ব্যবহার করে চলন্ত গাড়ি থেকে টোল আদায় তথা ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন সিস্টেম-ইটিসিএস পরীক্ষামূলক শুরু হচ্ছে আজ বুধবার। রেডিও ফ্রিকিউয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন-আরএফআইডি পদ্ধতিতে দুই পাড়ে একটি করে বুথে এই টোল আদায় শুরু হবে। এই পদ্ধতির জন্য রেজিস্ট্রেশন করা গাড়ি টোল প্লাজার সামনে আসতেই রোবটিক ক্যামেরা গাড়ি শনাক্ত করবে। নির্ধারিত টোল কাটা হলে ব্যারিয়ার উঠবে এবং স্ক্রিনে ব্যালেন্স দেখা যাবে। এছাড়া হাইব্রিড সিস্টেম-টাচ অ্যান্ড গো পদ্ধতিও থাকবে। কার্ডে ব্যালেন্স থাকলে টাচে ক্যাশলেস টোল দেওয়া যাবে। কেউ চাইলে ক্যাশেও টোল দিতে পারবেন। নতুন এ দুই পদ্ধতি চালু হলে টোল প্লাজা অতিক্রমে কোনো সময় অপচয় হবে না।

আরও পড়ুন<< স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের গ্রেপ্তারেও লাগবে অনুমতি

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের অতিরিক্ত পরিচালক আমিরুল হায়দার চৌধুরী বলেন, বর্তমানে কমিপউটার কালেক্টর পদ্ধতিতে ম্যানুয়ালি আদায় হচ্ছে টোল। পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তে এখন ১৫টি লেন দিয়ে টোল আদায় করা হচ্ছে। এই প্রক্রিয়া আধুনিক করার ক্ষেত্রে ১৭টি লেন চালু থাকবে। পরিকল্পনা রয়েছেমাওয়া প্রান্তে ১ নম্বর বুথে আরএফআইডি, ২ নম্বর বুথে হাইব্রিড অর্থাত্ আরএফআইডি, টাচ অ্যান্ড গো এবং ক্যাশ তিন পদ্ধতিই থাকবে। আর ৩ থেকে ৭ নম্বর মোট ৫টি বুথে থাকবে টাচ অ্যান্ড গো এবং ক্যাশ । বাকি ৮ নম্বর বুথে শুধু মোটরসাইকেলের জন্য কমিপউটার কালেক্টর পদ্ধতিতে ম্যানুয়ালি বর্তমান সিস্টেমে টোল আদায় করা হবে। একইভাবে জাজিরা প্রান্তে টোল আদায় হবে। তবে এই প্রান্তের ৯টি বুথ থাকবে। এখানে ৮ ও ৯ নম্বর বুথে কমিপউটার কালেক্টর পদ্ধতিতে ম্যানুয়ালি নগদ টাকা আদায় করা হবে। এই টোল আদায়ের জন্য কার্ড এবং রেজিস্ট্রেশনের জন্য মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতু উত্তর থানার কাছে কাউন্টার চালু করা হবে। বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান একপে কার্ড এবং রেজিস্ট্রেশনের কাজটা করার কথা রয়েছে।

আরও পড়ুন<< ভোট বন্ধে ইসির ক্ষমতা কমিয়ে বিল পাস

সংশ্লিষ্টরা জানান, যানবাহনের সামনে ড্যাশবোর্ডে থাকবে। আরএফআইডি নম্বর সংযুক্ত হবে ব্যাংক হিসাবে। এই আইডিতে অগ্রিম টাকাও রিচার্জ করা যাবে। বিশ্বের জনপ্রিয় এই দুই পদ্ধতি শুরু হচ্ছে। এই টোল পদ্ধতিতে অপেক্ষায় থাকতে হবে না। 


আরও খবর



ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আগামী ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সুদীর্ঘ ইতিহাসের এক চির ভাস্বর অবিস্মরণীয় দিন। ঐতিহাসিক স্মৃতি-বিজড়িত দিনটিকে বরাবরের ন্যায় স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী সবার সঙ্গে একত্রিত হয়ে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো যথাযথ মর্যাদা এবং গুরুত্বের সঙ্গে স্মরণ ও পালন করবে।

কর্মসূচির মধ্য রয়েছে আগামী ১৭ এপ্রিল ভোর ৬টায় বঙ্গবন্ধু ভবন, কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং সারা দেশে সংগঠনের সব কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন। সকাল ৭টায় বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে রক্ষিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন।

এদিকে মুজিবনগরের কর্মসূচির মধ্য রয়েছে ভোর ৬টায় জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন। সকাল সাড়ে ৯টায় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন। সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে গার্ড অব অনার। সকাল ১০টায় শেখ হাসিনা মঞ্চ মুজিবনগর দিবসের জনসভা অনুষ্ঠিত হবে।

জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। জনসভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ  ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। সঞ্চালনা করবেন দলের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক।

এ ছাড়া বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কিশোরগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. আমিরুল আলম মিলন, পারভীন জামান কল্পনা, অ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া সরকার ঝর্ণা, নির্মল কুমার চ্যাটার্জি, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক এবং মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য আবু সালেহ মোহাম্মদ নাজমুল হক।

দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালন উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগ ঘোষিত কর্মসূচি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্য সংগঠনের সব স্তরের নেতাকর্মী এবং সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোসহ সর্বস্তরের জনগণ ও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

নিউজ ট্যাগ: মুজিবনগর দিবস

আরও খবর
আরও ৬১ নেতাকে শোকজ বিএনপির

বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4




আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চায় ভারত

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে ভারত সহায়তা করতে চায় বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা। বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রী মহিববুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

ভারতের হাইকমিশনার বলেন, পরিবেশগত মিল থাকায় আমরা একই ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখোমুখি হই। ডিজাস্টার রিজিলিয়েন্ট ইনফ্রাসটাকচারসহ বিভিন্ন বৈশ্বিক সংস্থার সদস্য বাংলাদেশ। কাজেই এসব ক্ষেত্রে ভারত-বাংলাদেশ একসঙ্গে কাজ করতে পারে।

তিনি বলেন, গতবছর দুই দেশের এই মন্ত্রণালয়ের সচিব পর্যায়ের বৈঠক হয়েছিল। বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় ও আমাদের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক সম্পর্ক রয়েছে। ২০২১ সালে আমরা একটি সমঝোতা স্মারকও সই করেছি। এই সমঝোতার বাস্তবায়ন নিয়েও আমাদের মধ্যে কথা হয়েছে। যেমন, রিমোট সেন্সিং, দুর্যোগ ব্যবস্থা কর্মসূচি, প্রশিক্ষণ ও তথ্য বিনিময়ে দুই দেশ পরস্পরকে সহায়তা করার কথা বলা হয়েছে।

প্রণয় কুমার ভার্মা বলেন, রিমোট সেন্সিং নিয়ে আমরা দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছি। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে বাংলাদেশকে কীভাবে সহায়তা করা যায়, তা নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সব উদ্যোগ বাস্তবায়নে প্রতিমন্ত্রী আগ্রহ প্রকাশ করায় আমি খুবই সন্তুষ্ট।

এ সময়ে দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ভারত সবসময় বাংলাদেশের পাশে আছে। তারা বাংলাদেশকে সমর্থন দিচ্ছে, ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত রাখবে। ভারত ও বাংলাদেশের প্রকৃতি এক হওয়ায় সমস্যা মোকাবিলায় আমরা ভবিষ্যতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবো।


আরও খবর



সোমবার সন্ধ্যায় ঈদের চাঁদ দেখার আহ্বান সৌদির

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সৌদি আরবের নাগরিকদের সোমবার সন্ধ্যায় পবিত্র শাওয়াল মাসের অর্থাৎ ঈদের চাঁদ দেখার আহ্বান জানানো হয়েছে। দেশটির সুপ্রিমকোর্ট শনিবার এ আহ্বান জানিয়েছেন। সোমবার সৌদিতে রমজান মাসের ২৯ তারিখ। যদি ওইদিন শাওয়ালের চাঁদ দেখা যায় তাহলে মঙ্গলবার দেশটিতে উদযাপিত হবে খুশির ঈদ। খবর খালিজ টাইমসের

কিন্তু যদি সোমবার চাঁদ দেখা না যায় তাহলে রমজান মাস ৩০ দিনের হবে এবং বুধবার দেশটিতে ঈদ অনুষ্ঠিত হবে।

রমজান হলো হিজরি বর্ষপঞ্জিকার নবম মাস। আরবি মাসগুলো ২৯ ও ৩০ দিনের হয়ে থাকে। আর মাসগুলো নির্ধারিত হয়ে থাকে চাঁদ দেখার ওপর।

সৌদি আরবে গত ১১ মার্চ ১৪৪৫ হিজরি সনের রমজান মাসের চাঁদ দেখা যায়। আগামী সোমবার ৮ এপ্রিল দেশটিতে রমজানের ২৯তম দিন পড়বে।

গত বছর সৌদিতে রমজান মাস ২৯ দিনের হয়েছিল। যদিও বিশ্বের অন্যান্য দেশে মাসটি ৩০ দিনের হয়েছিল। ইসলামের সূতিকাগার হওয়ায় সৌদিতে চাঁদ দেখা যাওয়া নিয়ে সারা বিশ্বের সব মুসল্লিদের মধ্যে একটি আগ্রহ কাজ করে। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সাধারণ মানুষের মধ্যে ওইদিন থেকেই একটি আনন্দ লাগা শুরু করে। কারণ সৌদিতে যদি চাঁদ উঠে যায় তাহলে তারা অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যান যে পরদিন তাদের দেশেও ঈদ হবে।

বাংলাদেশের আবহাওয়া দপ্তর থেকে বলা হয়েছে, এ বছর বাংলাদেশে রমজান মাস ৩০ দিনের হতে পারে। তবে পাকিস্তানের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এবার পাকিস্তানে রোজা ২৯টি হতে পারে।


আরও খবর



এপ্রিলে প্রবাসী আয় এসেছে ২০৪ কোটি ডলার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

সদ্য বিদায়ী এপ্রিল মাসে ২০৪ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ২২ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার সমান ১১০ টাকা ধরে)। এ মাসে দৈনিক গড়ে এসেছে ৬ কোটি ৮০ লাখ ডলার বা ৭৪৮ কোটি টাকা।

এর আগের মাস মার্চে প্রায় দুই বিলিয়ন (১.৯৯ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় এসেছে দেশে। তবে ওই মাসে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল), বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব), বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেনস ব্যাংক, বিদেশিখাতের হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার মাধ্যমে।

এর আগে চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ২১০ কোটি বা ২ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল। দ্বিতীয়মাস ফেব্রুয়ারিতে এসেছিল ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার, মার্চে প্রায় দুই বিলিয়ন এবং এপ্রিলে এলো দুই বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি। ২০২৩ সালের শেষ মাস ডিসেম্বরে এসেছিল ১৯৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স।

গত বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলার, ফেব্রুয়ারিতে আসে ১৫৬ কোটি ডলার, মার্চে ২০২ কোটি, এপ্রিলে ১৬৮ কোটি, মে মাসে ১৬৯ কোটি, জুনে ২২০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স আসে। এছাড়া জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ, সেপ্টেম্বরে ১৩৩ কোটি, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি, নভেম্বরে ১৯৩ কোটি এবং ডিসেম্বরে আসে ১৯৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স।

এর আগে ২০২০ সালে হুন্ডি বন্ধ থাকায় ব্যাংকিং চ্যানেলে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল। বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ২ হাজার ১৬১ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স। এটি এ যাবৎকালের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে করোনাকালীন ২০২০-২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে।


আরও খবর



নাবিকদের উদ্ধারের বিষয়ে যা বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সোমালিয়ার জলদস্যুদের কাছে আটক জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও নাবিকদের উদ্ধার প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জলদস্যুদের হাত থেকে নাবিক এবং জাহাজ দুটোই উদ্ধার করার ক্ষেত্রেই অল্প সময়ের মধ্যে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। আশা করছি শিগগির তাদেরকে মুক্ত করতে পারবো। তবে উদ্ধারের দিনক্ষণ বলাটা কঠিন।

তিনি বলেন, আমরা নাবিকদের পরিবারকে আশ্বস্ত করতে চাই, সরকার সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা করছে। প্রথমত যারা অপহরণ করেছে তাদের সঙ্গে বিভিন্ন পক্ষের মাধ্যমে আলোচনা চলছে। দ্বিতীয়ত তাদের ওপর মনস্তাত্ত্বিক প্রচুর চাপ তৈরি করা হয়েছে। নাবিকরা ভালো আছেন, নিয়মিতভাবে তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন, এমনকি ভিডিও কলেও কথা বলছেন। সুতরাং যে উদ্বেগটা কিছুদিন আগে ছিল সেটি এই মুহূর্তে নেই। আমরা আশা করছি তাদেরকে শিগগির মুক্ত করতে পারবো। বুধবার (১০ এপ্রিল) চট্টগ্রাম নগরের দেওয়ানজি পুকুর লেন ওয়াইএনটি সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি দেশে সবসময় গণতন্ত্র হরণ করার জন্য অপচেষ্টা চালিয়েছে এবং এখনো চালিয়ে যাচ্ছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর বিডিআর বিদ্রোহের পেছনে তাদের হাত ছিল। নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত এবং গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যেই সেটি ঘটানো হয়েছে। ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে ১৩ সালে কি ধরণের সন্ত্রাসী ও জঘন্য মানুষ পোড়ানোর মহোৎসব করে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার অপচেষ্টা তারা চালিয়েছিল। ১৪ সালের নির্বাচনে পাঁচশ নির্বাচনী কেন্দ্র জ্বালিয়ে দিয়েছিল এবং নির্বাচনী কর্মকর্তা ও বিদ্যুৎ কর্মকর্তাদের হত্যা করা হয়েছিল। সেটির উদ্দেশ্য ছিল নির্বাচনকে ভণ্ডুল করা, গণতন্ত্রকে ধ্বংস করা। ১৮ সালের নির্বাচনেও একই প্রচেষ্টা ছিল। সর্বশেষ ২৪ সালের বিগত নির্বাচন বর্জন করার মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার অপচেষ্টা চালানো হয়।

চট্টগ্রামে কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা বৃদ্ধি এবং হামলায় একব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, গত মন্ত্রীসভার মিটিংয়ে অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় কিশোর গ্যাং নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে বিভিন্ন জেলা শহরে এই কিশোর গ্যাং তৈরি হচ্ছে। তাদের ব্যাপারে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যাতে যথাযথ পদক্ষেপ নেয় সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন।

তিনি বলেন, কিশোর গ্যাংদের গ্রেপ্তারের পর স্বাভাবিক জেলে না রেখে সংশোধনাগারে পাঠানোর জন্য পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কারণ, সাধারণ জেলে যদি তাদেরকে পাঠানো হয় সেখানে থাকা অন্যান্য সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তারা আরো ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী হয়ে উঠতে পারে। দেশে এটি নতুন সমস্যা, এটিকে দূর করতে সরকার কাজ করছে। কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে নেপথ্যে যেই থাকুক, সে যেই দলেরই হোক তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং হচ্ছে।

দেশবাসীকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আপনারা জানেন আমাদের দেশে রমজান আসার আগে এবং রমজানের সময় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করার জন্য একটি অসাধু চক্র ও কিছু মজুতদার সবসময় সক্রিয় হয়। এবারও তা হয়েছে। সেটির সঙ্গে নতুনভাবে যুক্ত হয়েছিল বিএনপির ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক। তাদের উদ্দেশ্য ছিল বাজারকে অস্থিতিশীল করা, পণ্যের মূল্য যাতে বাড়ে। কিন্তু সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার প্রেক্ষিতে এবার রমজানের সময় বাজার স্থিতিশীল ছিল এবং অনেক পণ্যের দাম কমেছে। 


আরও খবর