প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ মাথায় নিয়ে কানাডায় পালিয়ে থাকা প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের ৩৩ জনের বিরুদ্ধে পাঁচটি পৃথক মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রাষ্ট্রীয় এ সংস্থার উপ-পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার বাদী হয়ে গত রবিবার (২৪ জানুয়ারি) চারটি এবং সোমবার (২৫ জানুয়ারি) অপর মামলাটি দায়ের করেছেন। দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদক সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।
এসব মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং বোর্ডের সদস্যরা অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক প্রতারণার মাধ্যমে অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ করে ভুয়া ও কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে টাকা আত্মসাৎ ও মানিলন্ডারিং করেছেন। এর মধ্যে আনান কেমিক্যাল লিমিটেডের নামে ৭০ কোটি ৮২ লাখ টাকা, সুখাদা প্রোপার্টিজ লিমিটেডের নামে ৬৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা, মেসার্স বর্ণ’র নামে ৬৬ কোটি ৯৮ লাখ টাকা, রাহমান কেমিক্যালস লিমিটেডের নামে ৫৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা, মুন এন্টারপ্রাইজের নামে ৮৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকা মিলিয়ে পাঁচটি ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় মোট ৩৫০ কোটি ৯৯ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানিলন্ডারিং হয়েছে।
আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে এই ৩৫০ কোটি টাকা ৯৯ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে পরে বিভিন্ন লেয়ারিংয়ের মাধ্যমে ওই অর্থ বিভিন্ন কোম্পানি ও ব্যক্তির হিসাবে স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে অবস্থান গোপনপূর্বক পাচার করে দণ্ডবিধি, ১৮৬০ এর ৪০৯, ৪২০, ৪৬৮, ৪৭১, ১০৯ ও ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২), (৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বিধায় দুদক পাঁচটি মামলা রুজু করেছে।
ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের সাবেক চেয়ারম্যান এম এ হাশেম, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. রাশেদুল হক, নয়জন বোর্ড মেম্বার, পিপলস লিজিংয়ের চেয়ারম্যান উজ্জ্বল কুমার নন্দী, পি কে হালদারের আত্মীয়-স্বজন ও সহযোগীসহ মোট ৩৩ জনকে আসামি করা হয়েছে মামলায়।