আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

পি কে হালদারসহ ১৪ জনের মামলার রায় আজ

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৮ অক্টোবর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের মামলায় গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের (সাবেক এনআরবি গ্লোবাল) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলার রায় আজ রোববার (৮ অক্টোবর) ঘোষণা করবেন আদালত।

গত ৪ অক্টোবর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম রায় ঘোষণার এ দিন ধার্য করেন।

দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহম্মেদ সালাম গণমাধ্যমকে আজ রোববার (৮ অক্টোবর) বলেন, দুপুরের পরে এ মামলার রায় ঘোষণা করা হবে।

দুদকের করা মামলাটিতে পি কে হালদারসহ বাকি আসামিরা হলেনপি কে হালদারের মা লীলাবতী হালদার, পূর্ণিমা রানি হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, প্রীতিশ কুমার হালদার, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গমোহন রায়, স্বপন কুমার মিস্ত্রি, অবন্তিকা বড়াল, শংখ বেপারী, সুকুমার মৃধা ও অনিন্দিতা মৃধা। এদের মধ্যে অবন্তিকা বড়াল, শংখ বেপারী, সুকুমার মৃধা, অনিন্দিতা মৃধা কারাগারে আটক রয়েছেন।

২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও পাচারের অভিযোগে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে দুদকের উপপরিচালক সালাউদ্দিন। সেই মামলার তদন্তে নেমে এখন পর্যন্ত প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের তথ্য পেয়েছে মামলার তদন্ত সংস্থা। তবে, মামলা হওয়ার আগেই পি কে হালদার দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। তদন্ত করে পি কে হালদারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক।

নথি থেকে জানা গেছে, পি কে হালদার নামে-বেনামে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ছয় হাজার ৭৯০ শতাংশ জমি কিনেছেন। এ সম্পদের বাজারমূল্য দেখানো হয়েছে ৩৯১ কোটি ৭৫ লাখ ৮১ হাজার ১২ টাকা। বর্তমানে এর বাজারমূল্য ৯৩৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে নিজের নামে জমি কিনেছেন চার হাজার ১৭৪ শতাংশ। এর দাম দলিলে দেখানো হয়েছে ৬৭ কোটি ৯৪ লাখ ২০ হাজার ৯৩০ টাকা। অথচ, এ সম্পদের বর্তমান বাজারমূল্য ২২৮ কোটি টাকা। এ ছাড়া রাজধানীর ধানমণ্ডিতে পি কে হালদারের নামে দুটি ফ্ল্যাট রয়েছে।

পি কে হালদার তার নিকটাত্মীয় পূর্ণিমা রানি হালদারের নামে উত্তরায় একটি ভবন নির্মাণ করেছেন, যেটির মূল্য ১২ কোটি টাকা। পূর্ণিমার ভাই উত্তম কুমার মিস্ত্রির নামে তেজগাঁও, তেজতুরী বাজার ও গ্রিন রোডে ১০৯ শতাংশ জমি কেনা হয়েছে, যার বাজারমূল্য ২০০ কোটি টাকা। নিজের কাগুজে কোম্পানি ক্লিউইস্টোন ফুডসের নামে কক্সবাজারে দুই একর জমির ওপর নির্মাণ করেন আট তলা হোটেল, যার আর্থিক মূল্য এখন ২৪০ কোটি টাকা। এ ছাড়া পি কে হালদারের খালাতো ভাই অমিতাভ অধিকারী ও অনঙ্গমোহন রায়ের নামে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে ৪০৪ শতাংশ জমি কিনেছেন তিনি। এর বর্তমানে দাম রয়েছে ১৬৭ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ও কানাডিয়ান ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের তথ্যের বরাত দিয়ে দুদকের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০১২ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ভাই প্রীতিশ হালদারের কাছে এক কোটি ১৭ লাখ ১১ হাজার ১৬৪ কানাডীয় ডলার পাচার করেন পি কে হালদার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৮০ কোটি টাকারও বেশি।


আরও খবর



উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠানে ডোপ টেস্টের মাধ্যমে ভর্তির দাবি রাবি অধ্যাপকের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আসিক আদনান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

Image

উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের ভর্তি ও ছাত্রত্ব থাকাকালীন সময়ে ডোপ বা ড্রাগ টেস্ট করানোর দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক উন্মুক্ত বার্তায় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়, ইউজিসি ও সরকারের কাছে এ দাবি জানান তিনি ।

ব্যক্তিগত এক সাক্ষাৎকারে এই অধ্যাপক তার দাবি সম্পর্কে বলেন, ২০২২ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ডোপ টেস্ট আইন হচ্ছে। কিন্তু সে আইন আলোর মুখ দেখেনি। শিক্ষার্থীরা যদি ড্রাগে আসক্ত হয়ে যায় তারা দেশের সেবা কিভাবে করবে? তারা পিতা-মাতার স্বপ্নও পূরণ করতে পারবে না। তারাই তো ভবিষ্যৎ।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী ভবনের ৩য় তলায় রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগটির অবস্থান। বিভাগের চেয়ারম্যানের অফিসের পাশেই  শিক্ষার্থীদের ওয়াশরুম। গত এক সপ্তাহ আগে সেখান থেকে ৮-১০টি ফেনসিডিল উদ্ধার করেন তিনি।

তারপর গত বৃহস্পতিবার (২ মে) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তিনি লিখেন, 'ডোপ টেস্টের মাধ্যমে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি ও ছাত্রত্ব থাকাকালীন সময়ে ডোপ টেস্ট করানোর বিষয়টা কি আলোর মুখ দেখবে না? ভর্তির সময়ে শিক্ষার্থীর রক্তের গ্রুপের বিষয়টা যেমন গৃহীত হয়েছে তেমনি ডোপ টেস্টের বিষয়টাও ভেবে দেখা দরকার।'

নিজ বিভাগের শিক্ষার্থীদের মাঝে মাদকের শঙ্কা প্রকাশ করে  তিনি জানান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ আগে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ একাডেমিক  ভবনে ছিল। সেখান থেকে ২০১৪ সালে এই (সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী) ভবনে আসি। তখন থেকেই এখানের শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করা ওয়াশরুমটি অপরিষ্কার ছিল। সবাই তাদের অপ্রয়োজনীয় আসবাবপত্রসহ এখানে ফেলে রাখত।  শিক্ষার্থীদের আবদারে আমি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেওয়ার পর দীর্ঘদিন ধরে অযত্নে পরে থাকা ওয়াশরুমটা পরিষ্কার করার চিন্তা করি। এই ওয়াশরুমের ছাঁদ পরিষ্কার করার সময় যারা কাজ করছিলেন তারা এখানে মাদকের আলামত পায়। আমি তখন অবাক হয়ে যাই।

অফিসের পিয়ন তারেকুর রহমান জানান গত সপ্তাহে পরিষ্কার করার সময় সেখানে ৮-১০ টা ফেনসিডিলের বোতল দেখতে পান তিনি। এগুলো সরিয়ে জায়গা পরিষ্কার করেছেন।

এই অধ্যাপক আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের মানসিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রফেসনাল ও সার্বক্ষণিক লোক রাখতে হবে। সেখানে শিক্ষার্থীদের সহজ প্রবেশাধিকার থাকবে। কেন্দ্রের নির্দিষ্ট ডাটাবেইজ থাকবে। যেন র‍্যান্ডম সিলেকশন করে শিক্ষার্থীদের চেক করা যেতে পারে। সময়ে সময়ে আপডেট নিতে হবে।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৬ জুন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ভর্তির সময় ডোপ টেস্ট করার জন্য আইন তৈরি হচ্ছে (সংশোধন)। কিন্তু সে আইন আলোর মুখ দেখেনি। তবে, ২০২২ সালে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ডোপ টেস্ট কার্যক্রম চালু করেছিল। এবং গতকাল রোববার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমিটির সভায় ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ডোপ টেস্টের মাধ্যমে ভর্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪

একাদশের ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




তীব্র গরমে প্রাথমিকে অ্যাসেম্বলি বন্ধের নির্দেশ

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশজুড়ে বইছে তীব্র থেকে মাঝারি তাপদাহ। সারাদেশে ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ অবস্থায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

শনিবার (২০ এপ্রিল) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশজুড়ে বহমান তাপদাহের ওপর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় তীক্ষ্ণ নজর রাখছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অ্যাসেম্বলি পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়া না পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

এদিকে শনিবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।

বৃষ্টিপাতের বিষয়ে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

তাপপ্রবাহের বিষয়ে বলা হয়েছে, রাজশাহী, পাবনা ও টাঙ্গাইল জেলাসহ খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপ প্রবাহ এবং চাঁদপুর ও মৌলভীবাজার জেলাসহ ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

তাপমাত্রার বিষয়ে বলা হয়েছে, সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।


আরও খবর



সারাদেশে আন্তর্জাতিক শব্দসচেতনতা দিবস পালিত

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দেশের ৬৪ জেলায় শব্দ দূষণবিরোধী অভিযানের মধ্য দিয়ে পালিত হলো আন্তর্জাতিক শব্দসচেতনতা দিবস। দিবসটি উদযাপনের অংশ হিসেবে পরিবেশ অধিদফতর জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় সারা দেশে একযোগে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছে।

প্রতি বছরের মতো এবারও এপ্রিল মাসের শেষ বুধবার (২৪ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস পালন করা হয়েছে। আসুন সবাই শব্দদূষণ হ্রাসে সচেষ্ট হই এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এবার দিবসটিতে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে পরিবেশ অধিদফতর।

দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে আইনের কঠোর প্রয়োগের পাশাপাশি নাগরিকদেও দায়িত্বশীলতা ও সচেতনতার উপর গুরুত্বারোপ করেন।

এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষে দেশের প্রথম সারির বাংলা ও ইংরেজী জাতীয় দৈনিকে দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরে সচেতনতামূলক রঙিন গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। রাজধানী ঢাকা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে জনসচেতনতামূলক ব্যানার ও ফেস্টুন টানানো হয়েছে। সরকারি সকল ওয়েবসাইটে পপ-আপ প্রদর্শন করা হয়েছে ও বিটিআরসির সহযোগিতায় সকল সেল ফোনে সচেতনতামূলক বার্তা প্রেরণ করা হয়েছে।


আরও খবর



ভারতীয় মশলায় ক্ষতিকর জীবাণু, বিভিন্ন দেশে ক্রয়-বিক্রয়ে নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সাবেক ভারতীয় অভিনেতা এবং বর্তমানে খাদ্য সংক্রান্ত লেখালেখির সঙ্গে যুক্ত মাধুর জাফরি তার এক প্রবন্ধে বলেছেন, ভারতীয়দের কাছে মশলা হলো রঙের বাক্সের রঙের মতো। বিভিন্ন উপাদান মিশিয়ে যেমন রঙের ঔজ্জল্য বাড়ানো যায়, ভারতীয়রাও সেভাবে যে কোনো মশলার স্বাদের তারতম্য ঘটানোর কৌশল জানে।’

ব্যাপারটিকে ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, মশলার প্রধান কাজ খাবারের স্বাদ বাড়ানো এবং ভারতীয় ডিশগুলোতে নানাভাবে মশলা ব্যবহার হয়, ফলে স্বাদেরও তারতম্য ঘটে। আপনি যদি একই খাবারের দু’টি ডিশের একটি ভাজা মশলা এবং অপরটি গুঁড়া মশলায় রান্না করেন— সে দু’টির স্বাদ ভিন্ন হবে।’

প্রসঙ্গত, ভারতের প্রায় সব ডিশে মশলার উপস্থিতি বাধ্যতামূলক। বিপুল পরিমাণ অভ্যন্তরীণ উৎপাদন এবং গত বেশ কয়েক বছর ধরে বহির্বিশ্বে তা রপ্তানির কারণে ইতোমধ্যে মশলা উৎপাদনের বৈশ্বিক কেন্দ্র’ তকমা পেয়েছে ভারত। বিশ্বজুড়ে মোট উৎপাদিত মশলার ১২ শতাংশের উৎপাদন করে ভারত এবং প্রায় ১৮০টি দেশে রপ্তানি হয় বিভিন্ন ভারতীয় মশলা।

ভারতের অভ্যন্তরীণ মশলার বাজারের আকার ১ হাজার কোটি ডলার। এছাড়া বাইরের বিভিন্ন দেশে মশলা রপ্তানি করে প্রতি বছর ৪০০ কোটি ডলার আয় করে দেশটি। ভারতীয় মশলার সবচেয়ে বড় তিন ক্রেতা চীন, যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশ। এছাড়াও সংযুক্ত আরব আমিরাত, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর এবং হংকংয়েও মশলা রপ্তানি করেন ভারতীয় উদ্যোক্তারা।

বৈশ্বিক বাজারে ভারতীয় যেসব মশলার চাহিদা সবচেয়ে বেশি, সেগুলো হলো— মরিচ-ধনে-হলুদের গুঁড়া, এলাচ এবং মিক্সড মশলা। এসবের বাইরে  হিং, জাফরান, জায়ফল, মৌরি, লবঙ্গ এবং দারুচিনিরও ব্যাপক চাহিদা রয়েছে বিশ্বজুড়ে। আর বিশ্বে ভারতীয় মশলা রপ্তানিতে শীর্ষে রয়েছে দেশটির দুই কোম্পানি— এমডিএইচ এবং এভারেস্ট।

তবে সম্প্রতি বিভিন্ন দেশে এ দু’কোম্পানির পণ্যের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। মশলায় ভেজাল ও ক্ষতিকর উপাদান মেশানোর অভিযোগে অনেক দেশ সরকারিভাবে নিজেদের অভ্যন্তরীণ বাজারে ভারতীয় মশলা ক্রয়-বিক্রিয়ের ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়ার কথাও বিবেচনা করছে।

গত মাসে সিঙ্গাপুর এবং হংকয়ের সরকারি প্রশাসন নিজেদের অভ্যন্তরীণ বাজারে এমডিএইচ এবং এভারেস্টের তৈরি পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এ সম্পর্কিত এক বিজ্ঞপ্তিতে প্রশাসন বলেছে, এ দুই কোম্পানির পণ্যে ইথিলিন অক্সাইড’ নামের একটি ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদানের মাত্রাতিরিক্ত উপস্থিতি পরিলক্ষিত হয়েছে। মানবদেহে দীর্ঘদিন ধরে এই উপাদানটি প্রবেশ করলে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার গুরুতর ঝুঁকি থাকে।

এখানেই শেষ নয়। যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ বিষয়ক সরকারি নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফুডস অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফডিএ) পরীক্ষাতেও এমডিএইচ এবং এভারেস্টের পণ্যে এথিলিন অক্সাইডের অতিমাত্রায় উপস্থিতি দেখা গেছে। এফডিএ’র একজন মুখপাত্র এ ইস্যুতে বিবিসিকে বলেন, ভারতীয় মশলায় ভেজালের অভিযোগ নতুন নয়। ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে যত মশলা রপ্তানি করেছিল ভারত, সেসবের মধ্যে ১৪ দশমিক ৫ শতাংশ প্যাকেটের মশলায় ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়ার উপস্থিতি পরিলক্ষিত হয়েছিল। এমডিএইচ এবং এভারেস্ট কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে জানানোও হয়েছিল— কিন্তু তারা অস্বীকার করেছে।

একই অভিযোগ করেছে ইউরোপের দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়নও (ইইউ)। ইইউ’র নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানিয়েছে, ভারত থেকে আমদানি করা মরিচের গুঁড়া এবং গোলমরিচে ক্যানসার সৃষ্টিকারী রাসায়নিক উপাদান শনাক্ত হয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ, মালদ্বীপ এবং অস্ট্রেলিয়ার খাদ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থাও আমদানিকৃত ভারতীয় মশলা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ভারতের মশলার ওপর যে এবারই প্রথম ভেজালের অভিযোগ উঠল— এমন নয়। ২০১৪ সালে কলকাতার জৈবরসায়নবিদ এবং বিশেষজ্ঞ ইপ্সিতা মজুমদার গবেষণাগারে পরীক্ষা করে পশ্চিমবঙ্গে জনপ্রিয় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মরিচ, হলুদ, ধনে, গরম মশলার গুঁড়া এবং কারি পাওডারে সীসা শনাক্ত করেছিলেন। পরে তিনি বলেছিলেন, মশলার গুঁড়ার ঔজ্জল্য বাড়াতে যে কৃত্রিম রঙ ব্যবহার করছে; সেসব রঙই সীসার উৎস।

এমডিএইচ গত ১০৫ বছর ধরে গুঁড়া মশলার ব্যবসা করে আসছে। এই কোম্পানির উৎপাদিত ৬০টি ব্র্যান্ডের গুঁড়া মশলা বর্তমানে বাজারে পাওয়া যায়। অন্যদিকে এই ব্যবসার সঙ্গে এভারেস্ট যুক্ত আছে ৫৭ বছর ধরে। অমিতাভ বচ্চন, শাহরুখ খানের মতো সুপারস্টাররা এই কোম্পানির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর।

ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যদিও বারবার দাবি করে আসছে যে কঠোর মান নিয়ন্ত্রণ পরীক্ষার পরই মশলার গুঁড়া রপ্তানির ছাড়পত্র দেওয়া হয়, কিন্তু এফডিএ’র অভিযোগ— তারা যেসব নমুনা পরীক্ষা করেছে, সেগুলোকে ছাড়পত্র দেওয়ার আগে মান যাচাই পরীক্ষা করেনি ভারতীয় কৃর্তৃপক্ষ।

নয়াদিল্লি-ভিত্তিক থিংকট্যাঙ্ক সংস্থা গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনশিয়েটিভস সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এ ইস্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে—চীন, ইইউ যদি মশলার দূষণের বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়— তাহলে ভারতীয় মশলার বৈশ্বিক বাজার গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

চীন এবং ইইউ যদি এ ব্যাপারটি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে এবং আইনী পথ অবলম্বন করে, তাহলে ভারতীয় মশলার বৈশ্বিক বাজার অর্ধেক ধ্বংস হয়ে যাবে।


আরও খবর



রাজধানীতে সাংবাদিক-সাহিত্যিকদের নামেও হবে রাস্তা: মেয়র আতিক

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, এতদিন রাজধানীর বিভিন্ন সড়কের নাম শুধু মুক্তিযোদ্ধাদের নামে করা হতো। কিন্তু আমাদের অনেক বড় বড় সাংবাদিক, শিল্পী ও সাহিত্যিক রয়েছেন। যারা অনেক গুণী ব্যক্তি। তাদের নামে সড়কের নামকরণ করলে, তারা যেমন সম্মানিত হবেন, তেমনি আমরাও গর্ব বোধ করবো। তাই এখন থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি সাংবাদিক, শিল্পী ও সাহিত্যিকদের নামেও সড়কের নামকরণ করা হবে।

সোমবার (১৩ মে) ডিএনসিসির নগর ভবনের হল রুমে মেয়র ও কাউন্সিলরদের দায়িত্বগ্রহণের চার বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই কথা জানান।

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম, সচিব (যুগ্ম সচিব) মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস চৌধুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন ফিদা হাসান ও বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর