নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে নৌকা মার্কার প্রার্থীর কর্মীদের জীবননাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগে পিরোজপুর-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম এ আউয়ালের বিরুদ্ধে তদন্তে সাক্ষ্য প্রমাণ গ্রহণ করেছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।
আজ সোমবার দুপুরে অভিযোগকারি ইন্দুরকানী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামনের কাছ থেকে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান, বিচারক (যুগ্ম জেলা জজ) বেগম রুবাইয়া আমেনা স্বাক্ষ্য প্রমান গ্রহণ করেন।
মোহাম্মদ মনিরুজজ্জামানের অভিযোগ পত্র থেকে জানা গেছে, গত ২৩ নভেম্বর পিরোজপুর -১ আসনের সংসদ সদস্য শ ম রেজাউল করিমের সাথে নাজিরপুর বাসভবনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করলে পিরোজপুর পৌরসভার মেয়র হাবিবুর রহমান মালেক তাকে মোবাইল করে গালিগালাজ ও শহরের সোহরাওয়ার্দী কলেজ অতিক্রম করতে দেয়া হবে না হুমকি দেয়। শ ম রেজাউল করিমের বাসায় যাওয়ার চেষ্টা করলে এর পরিনাম ভালো হবে না বলেও উল্লেখ করেন।
তার মোবাইল রাখার ৫ মিনিট পর আওয়ামী লীগের সভাপতি স্বতন্ত্র প্রার্থী আউয়াল মনিরুজ্জামানকে ফোন করে শ ম রেজাউল করিমের নামে কুরুচিপূর্ণ কথা বলেন।
এসময় এ কে এম এ আউয়াল নৌকা প্রার্থীর কর্মী মনিরুজ্জামানকে বলেন, ইন্দুরকানী কলেজ অতিক্রমের চেষ্টা করলে হাত পা কেটে চোখ উপরে ফেলা হবে এবং জীবন শেষ করে দেয়া হবে। এসময় তিনি আরও বলেন, সাইদ মহুরী, নাসির সেপাই, মিজান মেম্বর, সানজিদ মুহুরি ও খসরু খলিফাকে পাঠাচ্ছি। তোকে তুলে এনে আমার আদালতে বিচার করবো। এ কথা বলে তিনি মোবাইল কেটে দেন।
কিচ্ছুক্ষণ পর ওই সন্ত্রাসী বাহিনী মোটরসাইকেল বহর নিয়ে আমার বাড়িতে হানা দেয় এবং এলাকায় ত্রাসের সৃষ্টি করে। এসময় এলাকায় চরম আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। ঘটনাটি জানতে পেরে মনিরুজ্জামান তার সাথে থাকা ইন্দুরকানী উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল লতিফ হাওলাদার, ইউসুফ আলী শেখ ও অন্যান্যদের সহায়তায় বিকল্প রাস্তা দিয়ে নিরাপদ স্থানে চলে যান। বিষয়টি ইন্দুরকানী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে জিডি করার জন্য আবেদন জমা দিলেও তা নথিভুক্ত করেন নি।
ইন্দুরকানী থানার ওসি কামরুজ্জামান খান বলেন, থানায় অভিযোগ এসেছে। কিন্তু তারা নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কাছে অভিযোগ দিয়েছে।