পিরোজপুরে আসামী বহনকারী প্রিজন ভ্যান আটকে চালককে মারধোরের ঘটনায় জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য রফিকুল ইসলাম সুমনসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পিরোজপুর সদর থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের আজ শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত ৬ জনসহ নামীয় ৮ জন এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৭/৮জনকে আসামী করে পিরোজপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হল, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য রফিকুল ইসলাম সুমন (৩৮), নয়ন সেখ (২৬), আলী হাসান লিয়ন (৩২), সাদ্দাম সেখ (৩২), আলী ইমাম অনি (২৮) এবং জাকারিয়া আল জাওয়াব (২৫)। এদের সকলের বাড়ি পিরোজপুর সদর উপজেলার ভাইজোড়া এলাকায়।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলার মঠবাড়িয়া আদালত থেকে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামীসহ বিভিন্ন মামলার ১০ জন আসামী নিয়ে পুলিশে একটি প্রিজন ভ্যান পিরোজপুর জেলা কারাগারে আসতেছিল। পথিমধ্যে সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে পিরোজপুর সদর উপজেলার ভাইজোড়া ডাক্তারবাড়ী এলাকায় পিরোজপুর-পাড়েরহাট সড়কে মোটরসাইকেলকে সাইড দেওয়ার বিষয়কে কেন্দ্র করে প্রিজনভ্যানের গতিরোধ করে গাড়ি চালক পুলিশ কনস্টেবল সাজেদুল করিমের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে মোটরসাইকেলের আরোহী জেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মো জাকির হোসেন খান। এ সময় জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য রফিকুল ইসলাম সুমন ও তার সাথে ৭/৮ জন যুবক মোটরসাইকেল আরোহীর পক্ষ নিয়ে প্রিজনভ্যানের চালক পুলিশ কনস্টেবল সাজেদুল করিমকে বেধরক মারধোর করে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনার পর পুলিশ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পরে ভাইজোড়া ডাক্তারবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে গ্রেফতার করে। ঘটনার পর থেকে জাকির হোসেন খান পলাতক রয়েছে।
এ ঘটনায় এস আই কামরুল হাসান বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে পিরোজপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
পিরোজপুর সদর থানার ওসি মো. আশিকুজ্জামান জানান, পুলিশের প্রিজন ভ্যানের গতিরোধ করে গাড়ির চালককে মারধর ও সরকারী কাজে বাধা সৃষ্টির অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। মামলার অন্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।