জাহাঙ্গীরনগর
বিশ্ববিদ্যালয়ের অব. অধ্যাপক ও বিশিষ্ট কলামিস্ট ড. তারেক শামসুর রেহমানকে তার মা বাবার
পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়েছে।
সোমবার সকাল ১০টায়
পিরোজপুর শহরের পুরাতন ঈদগাহ মাঠে মরহুমের দ্বিতীয় জানাজার নামায শেষে পিরোজপুর পৌর
কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
ড. তারেক শামসুর
রেহমানের ভাই শহিদুর রহমান মিঠু জানান, ভাইয়ের স্ত্রী ও সন্তানের ইচ্ছায় প্রাথমিক সিদ্ধান্ত
হয়েছিল ঢাকায় দাফন করা হবে, কিন্তু আমার ভাইয়ের ইচ্ছা ছিল মা বাবার পাশে তাকে যেন দাফন
করা হয়।
পরে সেই ইচ্ছানুযায়ী
আমার ভাইয়ের মরদেহ ঢাকা থেকে পিরোজপুরের বাড়িতে এনে শহরের পৌর কবরস্থানে বাবা-মার কবরের
পাশেই দাফন করা হয়।
শহরের উকিলপাড়ায়
১৯৫২ সালে জন্মগ্রহণ করা ড. তারেক শামসুর রেহমান প্রয়াত অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান খানের
জ্যেষ্ঠ ছেলে। তিনি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৬৮ সালে এসএসসি এবং শহীদ সোহরাওয়ার্দী
কলেজ থেকে ১৯৭০ সালে এইচএসসি পাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন।
তারেক শামসুর
রেহমান পিরোজপুর থেকে সাংবাদিকতা শুরু করেন এবং প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ম সাধারণ
সম্পাদক ছিলেন। তার বাবা মরহুম অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান খানও অত্র প্রেসক্লাবের সভাপতি
ছিলেন।
এর আগে শনিবার
দুপুরে উত্তরা-১৮ নম্বর সেক্টরের রাজউকের আবাসিক প্রকল্পের দোলনচাপা এ্যপার্টমেন্টের
১৩০৪ নম্বর ফ্ল্যাট থেকে শামসুর রেহমানের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ড. তারেক শামসুর রেহমান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকার ও রাজনীতি বিভাগে শিক্ষকতা শুরু করেছিলেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেন তিনি বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক সদস্য ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যানও ছিলেন।