আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

পিরোজপুরে বঙ্গবন্ধু যুব পরিষদের নেতা শেখ মিরাজের উপর হামলা

প্রকাশিত:শনিবার ০১ মে ২০২১ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ মে ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
পিরোজপুর শহরের সিও অফিস মোড়ে ব্রীজের উত্তর পাশে চলন্ত মোটরসাইকেল আরোহী মোঃ শেখ মিরাজকে অতর্কিত দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের

পিরোজপুর সদরে প্রতিপক্ষের মধ্যে হামলায় বঙ্গবন্ধু যুব পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মিরাজসহ অন্তত ৪ জন আহত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে এ ঘটনার পর আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হলে শনিবার সকালে রক্তাক্ত জখম বঙ্গবন্ধু যুব পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মিরাজকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

এ ঘটনায় আজ শনিবার শেখ মিরাজের ভাই শেখ রিয়াজ উদ্দিন ২১ জন এজাহার ভূক্তসহ অজ্ঞাত আরও ১০-১২ জনকে আসামী করে মামলা করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতদের স্বজনেরা জানান, ৩০ এপ্রিল সন্ধ্যায় পিরোজপুর শহরের সিও অফিস মোড়ে ব্রীজের উত্তর পাশে চলন্ত মোটরসাইকেল আরোহী মোঃ শেখ মিরাজকে অতর্কিত দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি সুমন সিকদার ও সহ-সভাপতি জহিরুল ইসলাম জিহানের নেতৃত্বে ১৮/২০ জন মোটরসাইকেল আরোহী। পরে আহতদেরকে তাদের আত্মীয়স্বজন ও স্থানীয়রা উদ্বার করে রাতে জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে। আহতদের মধ্যে মিরাজ শেখের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় শনিবার সকালে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে কর্তৃপক্ষ।

স্বজনেরা আরও জানান, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি সুমন সিকদার, সহ-সভাপতি জহিরুল ইসলাম জিহান, ছাত্রলীগ সদস্য এমরান সিকদার, আরমান সিকদার, মামুন (ডিম মামুন), আলী, শুভ ফকির, সম্রাট সিকদার, কাইয়ুম শেখ, সাজ্জাদ সর্দার সহ ১৮/২০ জন ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে সুমন গংরা। এদিকে বাড়ির ভিতরে থাকা প্রবাসী রাজু ফকিরের ভাই রনি ফকির সাংবাদিকদের জানান, সন্ত্রাসীরা হঠাৎ করে বাড়ির ভিতরে এসে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে। এসময় ঘরে থাকা আসবারপত্র ভাংচুর করে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম বাদল জানান, ঘটনাটি জানার পরপরই অকূস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে অভিযোগের তদন্ত শেষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।


আরও খবর



বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশ মাতৃকার নিরাপত্তায় সদা জাগ্রত: সেনাপ্রধান

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশ মাতৃকার নিরাপত্তায় সদা জাগ্রত। দেশে বিদেশে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাহসিকতা, নিষ্ঠা, আন্তরিকতা ও কর্তব্য নিষ্ঠতা প্রশংসিত হয়েছে।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি আজ কক্সবাজারস্থ এডি ফায়ারিং রেঞ্জে প্রথমবারের মত বাংলাদেশের মাটিতে ৩৫ মিঃ মিঃ টুইন ব্যারেল এ্যান্টি-এয়ারক্রাফট গান সিস্টেম সিএস/এএ৩ এর ফায়ারিং পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শনকালে সেনাবাহিনী প্রধান তাঁর বক্তব্যে বলেন, জাতির পিতার অসমাপ্ত স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনায় প্রণীত ফোর্সেস গোল-২০৩০ এর আলোকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন একটি যুগোপযোগী পদক্ষেপ। এরই ধারাবাহিকতায় আজ প্রথমবারের মত ১২ কিলোমিটার রেঞ্জ ক্ষমতা সম্পন্ন ৩৫ মিঃ মিঃ টুইন ব্যারেল এ্যান্টি-এয়ারক্রাফট গান সিস্টেম এর ফায়ারিং অনুষ্ঠিত হলো, যা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইতিহাসে একটি স্মরণীয় ঘটনা।

উল্লেখ্য, উক্ত গান সিস্টেম ৪ কিলোমিটার দূরত্বে নিখুঁতভাবে স্থল এবং আকাশ লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।

এ সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ, সেনাবাহিনীর এ্যাডজুটেন্ট জেনারেল, সেনাবাহিনীর সামরিক সচিব, চিফ কনসালটেন্ট জেনারেল, এডহক কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসালটেন্ট; জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ১০ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার কক্সবাজার এরিয়াসহ সেনা-সদর এবং কক্সবাজার এরিয়ার ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাগণ, অন্যান্য অফিসার, জেসিও ও অন্যান্য পদবির সেনাসদস্যগণ এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ এক সংক্ষিপ্ত সফরে আজ দুপুরে কক্সবাজার আসেন।

তিনি বিশেষ হেলিকপ্টারে আজ সকালে ঢাকা থেকে কুমিল্লা সেনানিবাসে পৌঁছান। সেখান থেকে উখিয়ার সাগর পাড়ের সেনাবাহিনীর রেষ্টহাউজ বে ওয়াচে পৌঁছান দুপুর সাড়ে ১২টায়।


আরও খবর



খাতনায় শিশু আহনাফের মৃত্যু : মামলা তুলে নিতে বাদীকে হুমকির অভিযোগ (ভিডিও)

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর মালিবাগে জে এস হাসপাতালে সুন্নতে খাতনা করাতে গিয়ে শিশু আহনাফ তাহমিদ আইহামের (১০) মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলা তুলে নিতে হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে শিশুটির পরিবার। এছাড়া মামলার তদন্তে ধীর গতি বলেও অভিযোগ করেন তারা। বুধবার (৬ মার্চ) রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে মানববন্ধন করে এই অভিযোগ করে আহনাফের সহপাঠী, স্বজন ও প্রতিষ্ঠানটির অভিভাবকরা।

তাদের অভিযোগ, চিকিৎসকদের অসাধু চক্র মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে। এতে ভুক্তভোগী পরিবারটিকে সহযোগিতা করছে না প্রশাসন ও পুলিশ। অন্যদিকে আদালতে এ মামলা পরিচালনায় আইনজীবীরাও পক্ষপাতিত্ব করে অনিহা দেখাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে সামনে আরও কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।

এর আগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে মালিবাগ চৌধুরীপাড়ার জে এস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টারে খাতনা করাতে গিয়ে শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। আহনাফ তাহমিদ মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ত। এ ঘটনায় শিশুর বাবা মোহাম্মদ ফখরুল আলম বাদী হয়ে রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় মামলা করেন।

মামলায় তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ৩-৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে আহনাফ তাহমিদকে সুন্নতে খাতনা করানোর জন্য তার বাবা ফখরুল আলম হাতিরঝিল থানার জেএস হাসপাতালের চিকিৎসক এস এম মুক্তাদিরের কাছে নিয়ে যান। তিনি ওই সময় কিছু টেস্ট লিখে দেন। ওই হাসপাতালেই টেস্টগুলো করে ছেলেকে নিয়ে বাসায় চলে যান। রাতে চিকিৎসক ফোন করে জানান, রিপোর্টগুলো ভালো আছে। সুন্নতে খাতনা করতে কোনো সমস্যা নেই। পরদিন ২০ ফেব্রুয়ারি রাত পৌনে ৮টায় ছেলের সুন্নতে খাতনা করানোর জন্য স্ত্রী খায়রুন নাহারকে সঙ্গে নিয়ে তিনি হাসপাতালে যান। পরে ছেলেকে অপারেশন থিয়েটার নিয়ে যাওয়া হয়।

আসামিরা জানান, তাদের ২০-২৫ মিনিট সময় লাগবে। তখন আহনাফের বাবা-মা বাইরে অপেক্ষা করতে থাকেন। ৩০-৩৫ মিনিট পর ওটি রুমের দরজায় নক করলে তাঁরা জানান, আরও কিছুক্ষণ সময় লাগবে। এভাবে এক ঘণ্টা পার হওয়ার পর আহনাফের বাবা ফখরুল ওটি রুমে প্রবেশ করতে চাইলে তাঁকে নিষেধ করে আরও কিছু সময় অপেক্ষা করতে বলা হয়।

পরবর্তীতে সন্দেহ হলে ফখরুল জোর করে ওটি রুমে প্রবেশ করেন। সেখানে দেখতে পান, তাঁর ছেলে অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। আহনাফের বুকে হাত দিয়ে চাপাচাপি করছে এবং নাকে ও মুখে নল দিয়ে রক্ত বের হওয়া অবস্থায় দেখেন। তখন চিকিৎসক এস এম মুক্তাদিরকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি সঠিক উত্তর দেননি। ছেলের এই অবস্থা দেখে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলে তারা কর্ণপাত না করে নিজেরাই তার বুকে চাপাচাপি, হাত-পা মালিশ করতে থাকেন।

তখন জোর করে তাকে ওটি রুম থেকে বের করে দেন তারা। দুই ঘণ্টা পার হলেও তারা ছেলের বর্তমান শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে সঠিক তথ্য না দিয়ে কালক্ষেপণ করতে থাকেন। পরে আবার জোর করে ওটি রুমে প্রবেশ করে ফখরুল জানতে পারেন তার ছেলে আহনাফ তাহমিদ মারা গেছে। এরপরই দুই চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়।


আরও খবর



‘বৃষ্টি খাতুন’ পরিচয়ে সাংবাদিকের মরদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঢামেক প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে নিহত অভিশ্রুতি নামে পরিচিত নারী সাংবাদিকের প্রকৃত পরিচয় নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

শুক্রবার (১ মার্চ) রাতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে দায়িত্বরত পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল জব্বার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি নিহত নারী সাংবাদিকের পরিচয় নিশ্চিতকরণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত আছেন।

এস আই আব্দুল জব্বার জানান, ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে অভিশ্রুতির প্রকৃত পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর বেইলি রোডের একটি ভবনে অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জন নিহত হন। এর মধ্যে এক নারী সাংবাদিক রয়েছেন। ওই সাংবাদিক কর্মক্ষেত্রে অভিশ্রুতি শাস্ত্রী নামে পরিচিত। তার একটি বায়োডাটায় লেখা আছে তিনি সনাতন ধর্মাবলম্বী।

তবে তার মৃত্যুর খবর দেখে মরদেহ নিতে আসেন কুষ্টিয়ার শাবলুল আলম সবুজ নামে একজন। তিনি নিজেকে অভিশ্রুতির বাবা বলে পরিচয় দেন এবং দাবি করেন অভিশ্রুতি মুসলিম। ফলে ওই সাংবাদিকের প্রকৃত পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা তেরি হয়। জটিলতা তৈরি হয় মরদেহ হস্তান্তর নিয়ে। তবে, কুষ্টিয়ার শাবলুল আলম ছাড়া ওই নারীর মরদেহ নিতে অন্য কেউ আসেননি।

পরিচয় নিশ্চিত হতে আজ ওই সাংবাদিকের ফিঙ্গার প্রিন্ট নিয়ে পরীক্ষা করা হয়। তাতে দেখা গেছে এনআইডি বা জাতীয় পরিচয়পত্রে তার নাম বৃষ্টি খাতুন লেখা আছে। বাবার নাম সবুজ শেখ আর মায়ের নাম বিউটি বেগম লেখা আছে।

এনআইডি অনুযায়ী তার গ্রাম বনগ্রাম, ডাকঘর বনগ্রাম, উপজেলা খোকসা এবং জেলা কুষ্টিয়া। এনআইডির তথ্যানুযায়ী পরিচয় শনাক্ত হওয়ায় এখন সাংবাদিক অভিশ্রুতির মরদেহ তার বাবা শাবলুল আলম সবুজের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ব্যাপারে প্রক্রিয়া চলছে।

এর আগে শুক্রবার বিকেলে বৃষ্টি খাতুনের মা বিউটি বেগম জানান, অভিশ্রুতি নামটি ওর নিজের দেওয়া। ওর আসল নাম বৃষ্টি খাতুন।

তার বাবা সবুজ শেখ বলেন, অভিশ্রুতি আমার মেয়ে। অভিশ্রুতি আমার তিন মেয়ের মধ্যে বড়। আমার আরও দুটি মেয়ে রয়েছে। নিজের মেয়েকে নিয়ে কেন মিথ্যা বলব?


আরও খবর



সরকারি সফরে কাতার গেলেন সেনাবাহিনী প্রধান

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দোহা ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম ডিফেন্স এক্সিবিশন অ্যান্ড কনফারেন্সে যোগদানের উদ্দেশ্যে কাতার গেলেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।

রোববার (৩ মার্চ) সরকারি সফরে কাতারের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

আইএসপিআর জানায়, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ রোববার সরকারি সফরে কাতারের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন। সফরকালে তিনি কাতারের রাজধানী দোহাতে অনুষ্ঠিতব্য ৪ মার্চ থেকে ৫ মার্চ পর্যন্ত দোহা ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম ডিফেন্স এক্সিবিশন এন্ড কনফারেন্স (ডিআইএমডিএক্স-২০২৪) এ অংশগ্রহণ করবেন।

পাশাপাশি সেনাবাহিনী প্রধান কাতার সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ (সশস্ত্র বাহিনী প্রধান) এবং বিভিন্ন দেশ থেকে আসা সেনাবাহিনী প্রধানসহ উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তাগণের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন।

এই সম্মেলনের মূল লক্ষ্য হলো স্ব-স্ব স্থল বাহিনীসমূহের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে পারস্পরিক আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি, পেশাদারি সম্পর্কন্নোয়ন, আঞ্চলিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার, সংঘাতপূর্ণ সমস্যাসমূহ মোকাবিলা, যৌথ প্রশিক্ষণ এবং স্থল বাহিনীসমূহের আধুনিকায়নে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা।

সম্মেলন শেষে সেনাবাহিনী প্রধান আগামী ৬ মার্চ দেশে প্রত্যাবর্তন করবেন।


আরও খবর



গাজার আল-শিফা হাসপাতালে ইসরায়েলের হামলায় নিহত ১৪০

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার বৃহত্তম আল-শিফা হাসপাতাল ও এর আশপাশের এলাকায় গত চার দিনে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের অন্তত ১৪০ জনেরও বেশি সদস্যকে হত্যা করেছে ইসরায়েল বাহিনী।

বৃহস্পতিবার ইসরাইলি সামরিক বাহিনী এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, ওই এলাকায় এখনও অভিযান চলছে। খবর আনাদোলু এজেন্সির

সোমবার আল-শিফা হাসপাতালে অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। হামাসের জ্যেষ্ঠ সদস্যদের লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে ট্যাংকের গোলা নিক্ষেপ ও বিমান হামলা চালানো হয়েছে।

রোগী ও বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের ব্যাপক সমাগমের মাঝে হাসপাতাল কমপ্লেক্স ও এর আশপাশে কয়েক দিন ধরে লড়াই চলছে। এর আগে, গত নভেম্বরে গাজার এ হাসপাতাল কমপ্লেক্সে ইসরায়েল বাহিনীর অভিযান ঘিরে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছিল।

সোমবার থেকে চলমান লড়াইয়ের কথা উল্লেখ করে ইসরায়েল সামরিক বাহিনী বলেছে, অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত হাসপাতাল এলাকায় হামাসের ১৪০ জনেরও বেশি সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে।

আল-শিফা হাসপাতাল এলাকায় সুনির্দিষ্ট অভিযান চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে ইসরায়েল বাহিনী বলেছে, গতকাল সেখানে হামাস সদস্যদের সঙ্গে গোলাগুলি হয়েছে। এতে হামাসের ৫০ জনেরও বেশি সদস্য নিহত হয়েছেন।

গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। নির্বিচার হামলায় উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের প্রাণহানির সংখ্যা ৩২ হাজার ছুঁই ছুঁই করছে। গত অক্টোবর থেকে চলা এ হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৭৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।


আরও খবর