পিরোজপুর প্রতিনিধি:
পিরোজপুরে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নির্দোষ ব্যক্তির ছবি দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে স্থানীয় কিছু পত্রিকা।
জানা যায় পিরোজপুর সদর উপজেলার কুমিরমারা গ্রামের প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল ফকিরের দ্বিতীয় পুত্র পিরোজপুর পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রচার সম্পাদক মো. মমিনুল ইসলাম রাজার ছবি ব্যবহার করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে সংবাদ প্রচার করেছে দৈনিক গ্রামের সমাজ, আজকের সময়সহ বেশ কয়েকটি পত্রিকা। তারা তাদের পত্রিকার ওয়েবসাইটে ‘পিরোজপুরে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজির সময় যুবক গ্রেফতার’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রচার করে। কে এম সাঈদ নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে এই সংবাদটি শেয়ার করে। বিষয়টি দ্রুত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় ভুক্তভোগির বড় ভাই আমিনুল ইসলামের নজরে পড়লে তিনি কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেন। পরবর্তীতে কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিশ্চিত করেন গ্রেফতারকৃত জুয়েল রানার ছবি এটি নয়। তিনিও বিষয়টি নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন।
এদিকে মমিনুলের ছবি প্রকাশিত হওয়ায় বিপাকে পড়েছে তার পরিবার। তার পিতার দাবি- তিনি ও তার পরিবারকে হেয় প্রতিপন্ন করার লক্ষ্যে উদ্দেশ্যমূলকভাবে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। তিনি আরো বলেন, তার নির্দোষ ছেলেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখে অপরাধী বানানোর উদ্দেশ্যে এ হীন কাজ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে পিরোজপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও পিরোজপুর পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের বর্তমান সভাপতি জহিরুল হক টিটু বলেন, এমন কাজ অবশ্যই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, কোনো পেশাদার সাংবাদিক নিশ্চিত না হয়ে নির্দোষ ব্যাক্তির ছবি ব্যবহার করে ক্রাইম নিউজ করবেন এটা বেমানান।
তিনি বিষয়টিকে অপ-সাংবাদিকতা বলে অভিহিত করেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখে এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ বলে মনে করেন তিনি।
উল্লেখ্য পিরজপুর জেলার কাউখালী থানাধীন বেকুটিয়া ফেরী ঘাট এলাকা থেকে ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে টাকা নেয়ার সময় পুলিশ রফিকুল ইসলাম জুয়েলকে চ্যালেঞ্জ করে। পরবর্তীতে কাউখালি থানায় তার বিরুদ্ধে একটি প্রতারণা মামলা হয় ও পুলিশ তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করে। এঘটনার সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তির ছবির স্থলে উদ্দেশ্যমূলকভাবে মুমিনুল এর ছবি ব্যবহার করে স্থানীয় দুই তিনটি পত্রিকার ওয়েবসাইটে খবর প্রকাশ করে।
দৈনিক গ্রামের সমাজের সংবাদ পাবলিশের দ্বায়িত্বে থাকা আবির হাসানকে বিষয়টি জিজ্ঞেস করলে তিনি উল্টো যা ইচ্ছে তাই কথা বলেন। অপরদিকে আজকের সময় এর সম্পাদক অনুপ কুমার ও প্রকাশক কে এম সাঈদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাদেরকে কেউ চেনে না বলে জানান স্থানীয় লোকজন। তবে কেএম সাঈদ তার ফেসবুক আইডি থেকে সংবাদটি প্রকাশ করেন।