আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

পিরোজপুরে অস্ত্র মামলায় যুবকের ১৭ বছর সশ্রম কারাদন্ড

প্রকাশিত:বুধবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ার একটি অস্ত্র মামলায় মো: মন্টু কবিরাজ (৩৮) নামের এক যুবকের ১৭ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে পিরোজপুরের একটি আদালত।

বুধবার দুপুরে পিরোজপুর আদালতের স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল নং-২ এর বিচারক এস,এম, নূরুল ইসলাম এ রায় প্রদান করেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১৬ জুন  ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া থানার একটি ডাকাতি মামলায়  আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য নিজ ভান্ডিারিয়া এলাকার আজাহার কবিরাজের ছেলে মো: মন্টু কবিরাজকে গ্রেফতার করেন ভান্ডারিয়া থানার এস আই মো: আ: হক। পরে তার দেয়া তথ্যে অভিযান চালিয়ে মন্টুর বসত ঘরের সামনে লাকড়ির ঘর থেকে একটি দেশী তৈরী পাইপগান ও ৩ রাউন্ড বন্দুকের গুলি উদ্ধার করা হয়।

পরবর্তীতে পিরোজপুর আদালতে এস.টি.সি -২১/২০১৫ নম্বরের একটি মামলা হয়। মামলায় মন্টু কবিরজের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হওয়ায়  ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯(এফ) ধারায় ০৭ (সাত) বছর সশ্রম কারাদন্ড এবং  ১৯এ ধারার ১০ (দশ) বছর সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয়। রায়ে আরোও বর্ণিত হয় উভয় ধারার দন্ড একের পর এক কার্যকর হবে। সাথে সাথে বিচারক আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানাইস্যুর নির্দেশ দেন। আসামী মন্টু কবিরাজ ২০১৭ সালের ১২ অক্টোবর থেকে পলাতক আছে বলে কোর্ট সূত্রে জানা গেছে।

নিউজ ট্যাগ: পিরোজপুর

আরও খবর



বেইলি রোডে আগুনে নিহত বেড়ে ৪৫

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৫ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ২৭ জনের মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। শুক্রবার (১ মার্চ) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট একেএম হেদায়েতুল ইসলাম।

এর আগে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন ৪৩ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন। রাত দুইটার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। পরে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে মারা যান আরও একজন।

রাত দুইটা ৩৫ মিনিটের দিকে ৪৪ জন নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। এর মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ৩৩ জন, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ১০ জন এবং রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল (সিপিএইচ) ১ জনের মৃতদেহ রয়েছে। পরে ঢাকা মেডিকেলের আইসিউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আরও একজন। এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৫-এ।

মৃতদেহ শনাক্তের পর স্বজনদের কাছে মৃতদেহ হস্তান্তর প্রক্রিয়া রাতেই শুরু হয়। এখন পর্যন্ত ২৫ জনের মৃতদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

আহত কিংবা দগ্ধ অবস্থায় যারা ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি হয়েছেন, তাদের মধ্যেও ২২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, আহত ২২ জনের সবার অবস্থাই আশঙ্কাজনক, তাদের শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। অনেকের শরীরের বাইরের অংশে পোড়া নেই, কিন্তু ভেতরে পুড়ে গেছে। শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে রয়েছে ৮ জন আর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে ১৪ জন।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর বেইলি রোডের একটি বহুতল ভবনে আগুনের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। ধীরে ধীরে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এক ঘণ্টার বেশি চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। পরে উদ্ধার কাজে যোগ দেয় বিজিবিও।

এ ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতর। কমিটিকে সরেজমিন তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত সময়ের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।


আরও খবর



আজ বিশ্ব নাক পরিষ্কার করা দিবস

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

আজ ১১ মার্চ, নাক পরিষ্কার করা দিবস বা ওয়াশ ইওর নোজ ডে। ক্লিয়ার নামক যুক্তরাষ্ট্রের একটি নাক ও মুখের যত্নের পণ্য বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে ২০২১ সালে দিবসটি পালন শুরু হয়। এরপর ধীরে ধীরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে।

নাক শরীরের একটি অতিগুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। মানুষের বেঁচে থাকার জন্য শ্বাস-প্রশ্বাসের মৌলিক কাজটিই করে থাকে নাক বা নাসারন্ধ্র। নাক দিয়ে ঘ্রাণ নিয়ে মানুষ বিবেচনা করে কোনটি গ্রহণ বা বর্জন বাঞ্ছনীয়। নাকের গড়ন বা আকৃতি মানুষের মুখশ্রীকেও অনেক বাড়িয়ে তোলে। এমনকি মানুষের কণ্ঠস্বরেরও একটা প্রভাব থাকে নাকে।

শরীরের এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গটির যত্নও নেওয়া উচিত গুরুত্বের সঙ্গে। অনেকেই নাকের যত্নের ব্যাপারে বেশ উদাসীন। মানুষ হাত, পা, মুখ, ত্বক, চুল এমনকি কণ্ঠস্বরেরও যত্ন নেয়। কিন্তু নাকের ব্যাপারে তেমন কোনো খেয়াল থাকে না। অথচ নাকের অযত্নের কারণে শরীরে মারাত্মক সব রোগ দানা বাঁধতে পারে। ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাসসহ অসংখ্য রকমের স্বাস্থ্যহানিকর ময়লা নাকে প্রতিদিন জমে থাকে। এসব ময়লা বড় ধরনের অসুখের কারণ।

নাক দিয়ে পানি পড়া, নাক বন্ধ, নাক ডাকা, নাক চুলকানো, শ্বাসকষ্ট, সর্দি, হাঁচি-কাশি কত সমস্যা। যাদের নাকের জটিলতা আছে, কেবল তারাই বোঝেন এসব কষ্ট।

তাই নাক পরিষ্কার পরিষ্কার দিবস উপলক্ষে হলেও আজকে ডাক্তারের পরামর্শে নিয়ম মেনে নাক পরিষ্কার করুণ ও সুস্থ্য থাকুন।


আরও খবর
রোজায় ত্বক ভালো রাখতে যা করবেন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




চট্টগ্রামে উদ্বোধন হল নান্দনিক 'বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ' স্মৃতি স্মারক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

নগরীর বহদ্দারহাট চত্বরে নান্দনিক 'বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ' স্মৃতি স্মারক উদ্বোধন করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার সকালে উদ্বোধনকালে মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম থেকে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে প্রথম স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করা হয়েছে। তাঁর স্মৃতি ধরে রাখতে এই স্মৃতিফলক নির্মাণ করেছি। এই স্মৃতিফলক তরুণ প্রজন্মকে মনে করিয়ে দিবে স্বাধীনতা সংগ্রামে চট্টগ্রামের ভূমিকার কথা।

কাঁচ দিয়ে নির্মাণ করা স্মৃতিস্মারকটি পিরামিড আকৃতির। কাচের ফ্রেমের ভেতর রয়েছে মাইক্রোফোন। কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠের সময় যে মাইক্রোফোন ব্যবহার করা হয়েছে এটি তার প্রতীক। পিরামিডটি মুক্তিযুদ্ধকালীন ৭ কোটি বাঙালির ঐক্যবদ্ধতার প্রতীক।

উদ্বোধনকালে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা ফরিদ মাহমুদ, কাউন্সিলর মো. এসরারুল হক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশ, স্থপতি আবদুল্লাহ আল ওমর, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম, হেলাল আহমেদ, বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা মঈনুল হোসেন জয়, জালাল উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, কাবেদুর রহমান কচি, আশরাফুল গনি, সাইফুল ইসলাম লিটন, নেছার আহমেদ, পলাশ খাস্তগীর, শওকত হোসেন, ভাস্কর মান্না পাল, সুকান্ত প্রয়াস, স্থপতি আজমুল হক।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর



আতঙ্কে নৌকার সমর্থকরা

একের পর এক হামলা, অশান্ত হয়ে ওঠছে পিরোজপুর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মশিউর রহমান রাহাত, পিরোজপুর

Image

পিরোজপুর-১ (সদর-নাজিরপুর-ইন্দুরকানী) আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তীকালে একের পর এক স্বতন্ত্র প্রার্থী একেএমএ আউয়ালের সন্ত্রাসী বাহিনীর সশস্ত্র হামলার শিকার হচ্ছেন সংসদ সদস্য শ ম রেজাউল করিমের কর্মীরা। প্রায় প্রতিদিনই কাউকে না কাউকে কুপিয়ে অথবা পিটিয়ে আহত করছে আউয়ালের সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনী। নৌকা কর্মী-সমর্থকদের ওপর একের পর এক হামলায় চরম আতঙ্কে রয়েছে নৌকার সমর্থকরা। যে কোনো সময় বড় ধরনের ঘটনার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুর ১১টায় পৌরসভার সামনে হামলার শিকার হয় নৌকা সমর্থক সাব্বির আহম্মেদ। প্রকাশ্য দিবালোকে আউয়ালের ক্যাডাররা সাব্বির আহম্মেদকে উপর্যুপরি কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে। তাকে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এর আগে গত রোববার পাড়ের হাট বন্দরে হামলার শিকার হন নৌকার এজেন্ট ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল হালিম হাওলাদার। লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে তার পায়ের হাড় ভেঙে দেয়া হয়। হামলার পূর্বে তাকে ঈগল প্রতীকের পক্ষে না থেকে নৌকার পক্ষে কাজ করায় কয়েকবার হুমকি দেয়া হয়েছিল বলে তিনি জানান। তিনি আরো জানান, নৌকা বিজয়ী হওয়ার পর ঈগল প্রতীকের প্রার্থী একেএমএ আউয়ালের সমর্থকরা পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতেই হামলা চালায়। তিনি বর্তমানে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এর আগে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টায় নৌকা প্রতীকের এজেন্ট, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগের সভাপতি ফয়সাল আকনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। স্বতন্ত্র প্রার্থী একেএম আউয়ালের ঈগল প্রতীকের সমর্থক (ক্যাডার) সাইদুল ফরাজি, মিজান, সাইদুল ফকির ও ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী জামালসহ আরো ১০-১২ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এ হামলা চালায়।

তারা ফয়সালকে নির্মমভাবে কুপিয়ে জখম করে। তার শরীর অগণিত কোপে ক্ষতবিক্ষত হয়। পেটের নাড়ি-ভুঁড়ি বেরিয়ে যায়। হাতের আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, মাথার হাড় কেটে বিভক্ত হয়ে যায়। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে পৌনে ৩ ঘণ্টা ব্যাপী অপারেশন হয়। তিনি আইসিউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। তার পরিবার থেকে জানানো হয়, ফয়সাল মৃত্যুর সাথে লড়ছেন।

এ ঘটনায় র‌্যাব ও পুলিশের যৌথ অভিযানে ৩ জন আসামি গ্রেফতার করে। পরে অন্য তিন আসামি আদালতে জামিন নিতে এলে আদালত তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আসামিরা সবাই স্বতন্ত্র প্রার্থী একেএমএ আউয়ালের ক্যাডার।

এর আগে, গত ২২ ফেব্রুয়ারি জেলা আইনজীবী সমিতির তলবি সভা এবং এডহক কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে হামলার শিকার হয়ে ৫ জন আইনজীবী গুরুতর আহত হন। এঘটনায় একেএমএ আউয়ালের সমর্থিত জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি আলাউদ্দিন খান ও সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহিদুল হক খানের নির্দেশে বহিরাগতরা হামলা চালিয়ে ৫ জন জনকে গুরুতর আহত করেছে বলে অভিযোগ করেছেন আহত আইনজীবীরা। আহত ৫ জনই শ ম রেজাউল করিমের সমর্থক। এ ঘটনায় থানায় নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা হলেও এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ।

গত ১৬ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় নৌকার সমর্থক মো. সজিব হাওলাদার তার বাড়ি পশ্চিম ডুমুরিতলায় আক্রান্ত হন। তার শরীরে দা ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে অসংখ্যবার কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। এ ঘটনায় পিরোজপুর সদর থানায় ১৭ জানুয়ারি মামলা হলেও অদ্যাবধি কেউ গ্রেফতার হয়নি। এমনকি নৌকা প্রতীকের এজেন্ট শাকিলকে বেধড়ক মারধর করা হয় শংকর পাশা ইউনিয়নে।

এছাড়া, বিক্ষিপ্তভাবে হামলা হয়েছে একাধিক নৌকার সমর্থকের ওপর। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নৌকা সমর্থক ও কর্মীরা আতঙ্কে আছেন বলে একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন।

এ ব্যাপরে জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি জাহিদ হাসান পিরু বলেন, সংসদ নির্বাচনোত্তর একের পর এক আমাদের এমপি মহোদয়ের কর্মীরা পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্যাডাদের দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছে। কিন্তু এর কোনো সুরাহা হচ্ছে না। আর এ ঘটনাগুলোয় পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। আমি চাই এই সন্ত্রাসী হামলাগুলোয় যারা জড়িত ও তাদের গডফাদারদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার হোক।

শ ম রেজাউল করিম এমপি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকল প্রকার সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য করেও বিজয়ী হতে না পেরে নৌকার সমর্থক ও কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে প্রতিশোধ নিতে শুরু করেছে ঈগল প্রতীকের প্রার্থীর পরিবারের ভাড়াটিয়া খুনি ও সন্ত্রাসীরা। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতির আশঙ্কা রয়েছে বলে তিনি জানান। আহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, নৌকা প্রতীকের পক্ষে কাজ না করে ঈগল প্রতীকের বিদ্রোহী প্রাথী একেএমএম আউয়ালের পক্ষে কাজ করার জন্য নানা প্রকার হুমকি ও প্রলোভন উপেক্ষা করেছিল তারা। নির্বাচনে তারা হেরে যাওয়ায় প্রতিশোধ নিতেই একের পর এক নৃশংস হামলা করা হচ্ছে।

শ ম রেজাউল করিম জানান, তিনি সকল ঘটনা সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, মহা-পুলিশ পদিরর্শকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অবহিত করে প্রতিকারের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, পিরোজপুরের অধিকাংশ হত্যা ও সহিংস ঘটনার পিছনে গডফাদার রয়েছে। তাদের গ্রেফতার করা না হলে পিরোজপুরে অনেকে হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে পারে। তিনি পিরোজপুরের জনসাধারণের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করেছেন।

উল্লেখ্য, বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে শহরে প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া হয়। জেলা যুবলীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান ফুলু, জেলা মৎস্যজীবী লীগের আহ্বায়ক শিকদার চান, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার মাহমুদ সজল এবং উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এসএম বায়েজিদ হোসেনের বাড়িতে অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় ঈগল প্রতীকের প্রার্থী একেএমএম আউয়ালের সমর্থকরা।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ফয়সাল আকনের ঘটনায় ৮ জন আসামির মধ্যে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে। আর সব মামলার আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। বাসা বড়িতে হামলার এ তথ্য আমার কাছে নেই। সাব্বিরকে আহতের ঘটনায় প্রধান আসামি গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে দুই-চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে।

 

 


আরও খবর



দেশ ধ্বংসের মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নে তৎপর বিএনপি: কাদের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশ ধ্বংসের মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নে তৎপর বিএনপি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তিনি এসব কথা বলেন। একই সঙ্গে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিবৃতির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের।

বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশ ধ্বংসের মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নে তৎপর বিএনপি। দেশের গণতন্ত্র ও নির্বাচনের প্রতি তাদের কোনো আস্থা নেই। সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান অসাংবিধানিক ও অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে সেনা ছাউনিতে বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিল। সূচনা লগ্ন থেকেই বিএনপি অত্যাচার- নির্যাতনের স্টিম রোলার চালিয়ে দেশের জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারের পথ রুদ্ধ করে রাজনীতি করে আসছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মুখে গণতন্ত্র ও সুশাসনের কথা বেমানান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, একুশে আগস্টের ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় নির্বিচারে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের যারা হত্যা করেছিল; যাদের পৃষ্ঠপোষকতায় জঙ্গি গোষ্ঠী ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারাদেশে সিরিজ বোমা হামলা চালিয়েছিল, যারা দশ ট্রাক অস্ত্র আমদানি করেছিল, যারা অগ্নিসন্ত্রাস সৃষ্টি করে শত শত নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে, সেই খুনিদের দল যখন জননিরাপত্তা নিয়ে কথা বলে তখন জনগণ আরও ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে।

তিনি আরও বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক নির্বিচারে কাউকে গ্রেপ্তার করে হয়রানির অভিযোগ ভিত্তিহীন। বিএনপির যে সকল সন্ত্রাসী ও ক্যাডাররা অগ্নিসন্ত্রাস এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও জনগণের উপর হামলার সঙ্গে জড়িত তাদের গ্রেপ্তার করাটা কোনোভাবেই হয়রানিমূলক হতে পারে না। সন্ত্রাসীদের আইন ও বিচারের মুখোমুখি করা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব ও কর্তব্য।


আরও খবর