আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

পলাশে ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষে দিনবদলের স্বপ্ন দেখছেন চাষিরা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৫ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৫ মার্চ ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
Image

পলাশ (নরসিংদী) প্রতিনিধি:

ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষ করে দিনবদলের স্বপ্ন দেখছেন চাষিরা। সম্প্রতি গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলা ও নরসিংদীর পলাশ উপজেলার মধ্য দিয়ে বয়েচলা শীতলক্ষ্যা নদীতে ভাসমান পদ্ধতিতে খাঁচায় মাছ চাষ করে দিনবদলের স্বপ্ন দেখছেন এখানকার চাষিরা।

ভাসমান এ পদ্ধতিতে মাছ চাষ করা লাভজনক হওয়ায় নতুন এই পদ্ধতিতে মাছ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন স্থানীয় মৎস্যজীবী ও বেকার যুবকরা। এতে শীতলক্ষ্যা নদীতে ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষ করা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এখানকার মানুষের মাঝে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর এলাকার পলাশ বাজার নদী ঘাটের পাশে প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ভাসমান পদ্ধতিতে মাছ চাষ করছেন সোহরাব হোসেন নামে এক মৎস্যচাষি। এখানে বড় বড় খাঁচায় করছে মাছের চাষ।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় দেড় বছর আগে এখানে নতুন এই পদ্ধতিতে সোরহাব মাছ চাষ শুরু করেন। তার এই ভাসমান পদ্ধতিতে মাছ চাষ দেখে এখানকার স্থানীয় অনেক মৎস্যজীবী ও বেকার যুবকরা আগ্রহী হয়ে উঠছে।

সোহরাব হোসেনের সাথে আলাপকালে তিনি জানান, বাঁশ ও জাল দিয়ে বড় হাফা (বড় খাঁচা) তৈরি করতে হয়। খাঁচা পানিতে ভাসিয়ে রাখার জন্য প্রয়োজন হয় ড্রাম। এতে তেলাপিয়া, পাঙাশ, কই, শিং, মাগুর, গ্রাস কার্প, রুই, চিংড়ি, সরপুঁটিসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করা যায়। বাজারে এসব মাছের চাহিদাও ভালো। তিনি আরও বলেন, মেঘনা নদীতে ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষের বিষয়টি দেখে এর প্রতি আগ্রহী হই। পরে ইন্টারনেট ঘেঁটে এ বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য নিয়ে এই পদ্ধতিতে আমি প্রথম শীতলক্ষ্যা নদীতে মাছ চাষ শুরু করেছি। সাফল্য পাওয়ায় এখন অনেকে এই নদীতে মাছ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।

সোহরাব হোসেন এ প্রতিবেদককে আরও বলেন, বর্তমানে তাঁর ৫০টি খাঁচা রয়েছে। একটি সারিতে ১০টি খাঁচা রয়েছে। এই ৫০টি খাঁচা তৈরিতে খরচ হয়েছে প্রায় ৮ লাখ টাকা। প্রতিটি খাঁচার গভীরতা ৬ ফুট, প্রস্থ ১০ ফুট ও দৈর্ঘ্য ২০ ফুট। তিনি মূলত তেলাপিয়ার চাষ করেন। বছরের জুলাইয়ে পোনা কিনে খাঁচার মধ্যে লালন করতে শুরু করেন। পাঁচ মাসের মধ্যেই মাছ বিক্রির উপযুক্ত হয়। প্রতি খাঁচা থেকে ৩০০/৪০০ কেজি মাছ পাওয়া যায়। প্রতি কেজি মাছ ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা বিক্রি হয়। একেকটি খাঁচায় খরচবাদে লাভ হয় অন্তত ৩০/৪০ হাজার টাকা।

তিনি আরও বলেন, স্বল্প পুঁজি নিয়েই এই পদ্ধতিতে মাছ চাষ করা যায়। প্রথমে খাঁচা তৈরি করতে এককালীন বেশি টাকা লাগে। এরপর শুধু খরচ হবে মাছের পোনা ও মাছের খাবার বাবদ। এর জন্য নিজস্ব জলাভূমির প্রয়োজন নেই। যে কেউ এই পদ্ধতিতে নদীতে মাছ চাষ করতে পারেন।

মৎস্য চাষী সোহরাব হোসেনকে সার্বিক সহযোগিতা ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শফিকুল আলম বলেন, এ পদ্ধতি ব্যবহার করে ইচ্ছে করলে অনেক মৎস্যজীবী ও বেকার যুবকরা স্বাবলম্বী হতে পারে। সোহরাব হোসেনও বেকার যুবকদের জন্য একটি উদাহরণ।


আরও খবর



বিএনপি নেতা হাফিজকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর গুলশান থানায় করা নাশকতার মামলায় ২১ মাসের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে কারাগারে ডিভিশন ও যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

হুইল চেয়ারে চেপে এদিন আদালতে হাজির হন বিএনপির এই সিনিয়র নেতা। আত্মসমর্পণ করে জামিন চান তিনি। অন্যদিকে জামিনের বিরোধিতা করে রাষ্ট্রপক্ষ। শুনানি শেষে হাফিজকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

এর আগে গত ১৪ ডিসেম্বর হাঁটুতে অস্ত্রোপচারের চিকিৎসার জন্য এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইটে রাজধানীর শাহজালাল বিমানবন্দর ত্যাগ করেন মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। ভারতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৮ ডিসেম্বর আদালত তার ২১ মাসের কারাদণ্ড দেন। পাশাপাশি পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড দেন। পরে গত ৩ মার্চ ভারতে চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরেন তিনি।


আরও খবর



‘স্মার্ট সিটি’ নির্মাণে মেয়র প্রার্থী টিটু’র ২৩ দফা ইশতেহার

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

Image

আগামী ৯ই মার্চ ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে টেবিল ঘড়ি প্রতীকে মেয়র প্রার্থী মোঃ ইকরামুল হক টিটু ময়মনসিংহ সিটিকে একটি আধুনিক স্মার্ট ও মডেল সিটিতে রূপান্তর করার প্রত্যয়ে ২৩ দফা ইশতেহার উপস্থাপন করেছেন। রবিবার (৩ মার্চ) সকালে নগরীর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের সামনে তার নির্বাচনী ইশতেহার তুলে ধরেন।

যানজট নিরসনের উপর গুরুত্ব দিয়ে ইশতেহারে টিটু বলেন, নগরীর প্রধান সমস্যা যানজট নিরসনে সড়ক প্রশস্তকরণ এবং বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে ওভারপাস বা ফ্লাইওভার নির্মাণ, ট্রাফিক বিভাগের জনবল বৃদ্ধি, প্রশিক্ষণ প্রদান ও আধুনিক ট্রাফিক সিগন্যাল স্থাপনে সকল বিভাগের সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ, নগরীর প্রবেশদ্বারের কাছে ৩টি বাস ও ১টি ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ, নগরবাসীর যাতায়াতের সুবিধার্থে চলমান রাস্তাসমূহ পাকাকরণ প্রকল্প দ্রুত শেষ করা ও নতুন পুরাতন সকল ওয়ার্ডের সমস্ত রাস্তাঘাট, ব্রিজ ও কালভার্ট দ্রুত নির্মাণ করা হবে।

নগরীর জলবদ্ধতা নিরসনের উপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, নগরীর খালসমূহ দখলমুক্ত করনের মাধ্যমে পানি প্রবাহ বৃদ্ধি ও চলমান ড্রেনেজ নির্মাণ প্রকল্প দ্রুত শেষ করা হবে। বাসা-বাড়ির হোল্ডিং ট্যাক্স না বাড়িয়ে নাগরিক সেবার মান বৃদ্ধি ও ট্রেড লাইসেন্স ফি যুক্তিসঙ্গত ও সহনীয় পর্যায়ে রাখা এবং সিটি করকে আরো সহনীয় করতে নাগরিকদের মতামতের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে টিটু বলেন, পরিচ্ছন্ন ও দূষণমুক্ত নগরী করার লক্ষ্যে মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য নির্মাণাধীন প্ল্যান দ্রুত বাস্তবায়ন ও অন্যান্য কার্যক্রম সমূহ আরও জোরদার করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, পাশাপাশি নগরীর সর্বত্র দুষণরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ। এছাড়াও বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রক্রিয়াধীন প্রস্তাবটি দ্রুত অনুমোদনের মাধ্যমে বর্জ্য মুক্ত পরিবেশ গড়ে তুলতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। বিভিন্ন অপরাধ, অপতৎপরতা রোধ করতে নগরীর প্রধান সড়কগুলোতে চলমান সড়কবাতি স্থাপন প্রকল্প দ্রুত শেষ করা হবে। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ভাতা সুষ্ঠু বন্টন নিশ্চিত করাসহ বেকারত্ব রোধে নারী-তরুণদের নানাবিধ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করা হবে এবং নাগরিক সেবা আরও সহজলভ্য করতে প্রস্তাবিত আধুনিক নগরভবন প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন ও নাগরিক সেবা সমূহ ডিজিটালাইজড করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। নগরীর সৌন্দর্য বর্ধনের লক্ষ্যে যুগোপযোগী পরিকল্পনা প্রণয়ন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সবুজ নগরায়নের লক্ষ্যে রাস্তার দুপাশে খোলা জায়গায় পর্যাপ্ত বৃক্ষরোপণ, জলধার নির্মাণ ও সংরক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

নগরবাসীর সু-চিকিৎসা নিশ্চিতে চারটি নাগরিক সেবাকেন্দ্রের পরিধি বৃদ্ধি ও দুটি নির্মাণাধীন হাসপাতালের কাজ দ্রুত শেষ করা হবে। বেকারত্ব রোধে নগরীকে শিল্প ও পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট, উৎসাহ ও সহায়তা প্রদান করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। বর্ধিত নতুন এলাকাসমূহে নগর বিন্যাসের পরিকল্পনা প্রণয়নের মাধ্যমে আগামীতে নগরীকে স্বাচ্ছন্দময় করে গড়ে তোলা হবে। তারুণ্যের বিকাশে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ক্লাব গঠন, পর্যাপ্ত খেলার মাঠ ও উন্মুক্ত মঞ্চ তৈরি করণে সহযোগিতা প্রদান করা হবে। বিভাগীয় সাংস্কৃতিক পল্লী নির্মাণে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য প্রস্তাবিত শেখ রাসেল শিশু পার্ক প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন ও বিপিন পার্ক আধুনিকায়ন করা হবে। সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, কবরস্থান, শ্মশান ঘাট সমূহ আরও সুবিধা সম্বলিত উন্নত করনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যুবসমাজকে মাদক সেবন ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখতে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ ও স্থানীয় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহযোগিতা করা হবে।

সিটি কর্পোরেশনে বিদ্যমান পাঁচটি অনলাইন সেবাসমূহ ছাড়াও অন্যান্য সেবা ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে নাগরিকদের হাতের মুঠোয় পৌঁছে দেওয়া এবং ৩৩টি ওয়ার্ডে স্মার্ট কর্নার স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে এবং বিভিন্ন অ্যাপসের মাধ্যমে সিটি কর্পোরেশনের সাথে নাগরিকদের সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, মহানগর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ রফিকুজ্জামান, সহ-সভাপতি এ.বি ছিদ্দিক, যুগ্ম- সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক রিপন, নাগরিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জি: নুরুল আমিন কালাম, জেলা আওয়ামীলীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রব, জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক এড. এ বি এম  নুরুজ্জামান খোকন, মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য রেজাউল হক রেজা, জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি উত্তম চক্রবর্তী রকেট, দি ময়মনসিংহ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সহ-সভাপতি শংকর সাহা, প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা প্রদীপ ভৌমিক, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ আল আমিনসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী এবং ভাতৃপ্রতিম সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন প্রিন্ট- ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।


আরও খবর



কারাগারে জন্ম নেওয়া শিশুর মাকে জামিন দিলেন হাইকোর্ট

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীকে বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা মামলায় কারাগারে যান অন্তঃসত্ত্বা নারী আহিনা খাতুন। কারাগারেই জন্ম দেন এক কন্যা শিশুর। কারাগারেই বেড়ে উঠা শিশুর বয়স এখন ১১ মাস। শিশুটি তার মায়ের সঙ্গে কাশেমপুর কারাগারে রয়েছে। সেই মায়ের জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অ্যাডভোকেট মনজুরুল ইসলাম সুমন।

এ সংক্রান্ত আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি খোন্দকার দিলিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজুরুল ইসলাম সুমন। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল সারোয়ার হোসেন বাপ্পী।

জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন চেয়ে ব্যর্থ হওয়ার পরে উচ্চ আদালতে জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়। ওই আবেদন শুনানি নিয়ে জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দিয়েছেন আদালত। শিশুটি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত মর্মে হত্যা মামলার আসামি ও ওই মায়ের জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছিল।

মামলার নথি থেকে জানা গেছে, শিশুটির মা আহিনা খাতুনের (২৯) গ্রামের বাড়ি নীলফামারী সদরে। তার স্বামী আলী নূর বিশ্বাসের বাড়ি বরিশাল জেলার মূলাদী থানায়। গার্মেন্টস কর্মী আহিনা খাতুনের সঙ্গে রিকশাচালক আলী নূর বিশ্বাসের পরিচয় ২০১৮ সালে। এরপর বিয়ে হয় তাদের। এর মধ্যে তারা আশুলিয়ায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। ২০২২ সালের কোরবানির ঈদের সময় বাড়িতে যান আলী নুর বিশ্বাস। গ্রামের বাড়িতে গিয়ে আরও একটি বিয়ে করেন। আবার ফিরে আসেন আশুলিয়ায়।

হত্যাকাণ্ডের স্বীকারোক্তির বিষয়ে আইনজীবী বলেন, আহিনা খাতুনের অভিযোগ তার সঙ্গে আলী নূর বিশ্বাস সংসার করতে চাইতেন না। গার্মেন্টস এ কাজ করার পর সব টাকা নিয়ে নিতেন, টাকা না দিলে মারধর করতেন। ঘটনার দিন রাতে আলী নূর বিশ্বাস দোকান থেকে একটি বোতল হাতে নিয়ে এসে বলেন, বিষ মেশানো পানি খেয়ে মরে যাবেন তারা। তখন দুই প্লেটে ভাত খাওয়ার প্রস্তুতি নিলে ঘরের বাইরে আহিনা দেখেন আলী নূর ভাতের সঙ্গে কিছু একটা মেশাচ্ছেন। আহিনা সেই ভাত না খেয়ে ফেলে দেন। শেষরাতে আলী নূর বিশ্বাস বটি নিয়ে আহিনাকে মারতে গেলে ওই বটি কেড়ে নিয়ে পাল্টা আঘাত করেন আহিনা। শব্দ হবে বলে বালিশ চাপা দিয়ে ধরলে মারা যান আলী নূর। এরপর নারাণগঞ্জে পালিয়ে যান আহিনা। আলী নূরের পরিবারকে ফোন দিয়ে জানান সে মারা গেছে। এরপর পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। আহিনাকেও নারায়ণগঞ্জ থেকে আটক করে র‌্যাব। এরপর থেকেই কারাগারে আহিনা।


আরও খবর



সরকারকে বিব্রত করতে বিএনপি সিন্ডিকেট করতে পারে : কাদের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তারাই (বিএনপি) সিন্ডিকেট করে সরকারকে বিব্রত করা, নির্বাচিত সরকারের যে অগ্রযাত্রা তা বাধাগ্রস্ত করার জন্য সিন্ডিকেট করতে পারে। আমাদের খতিয়ে দেখতে হবে সিন্ডিকেটের সঙ্গে বিএনপির সংযোগ আছে কি না।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ যুব মহিলা লীগ এবং মহিলা আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।

সিন্ডিকেট কারা করে প্রশ্ন রেখে ওবায়দুল কাদের বলেন, এই সরকার জনগণের প্রতিনিধি। শেখ হাসিনার সরকারের সব কর্মকাণ্ড জনস্বার্থকে সমন্বিত করে। এখন রমজান মাসে সরকারকে বিব্রত করার জন্য সিন্ডিকেট থাকতে পারে। এখন আমাদের খতিয়ে দেখতে হবে এসব অপকর্মের সঙ্গে বিএনপির সম্পৃক্ততা আছে কি না।

বিএনপি দেশে-বিদেশে নানা অপচেষ্টা করে সরকার হটাতে যখন ব্যর্থ, আন্দোলনে পারেনি, নির্বাচনেও তারা গণতান্ত্রিক নীতির বাইরে বিরোধিতা করেছে। সবকিছুতেই যখন তাদের ব্যর্থতা, আন্দোলন, নির্বাচনে, এখন একটা রাজনৈতিক দল হিসেবে বিরোধী দল হিসেবেও ব্যর্থতায় পর্যবসিত যখন, তখন অনেক কিছু জড়িয়ে সরকারের বাধাগ্রস্ত করার জন্য অবিরাম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।


আরও খবর



দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ আমাদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বর্তমানে জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণ করাই আমাদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা এখন গুরুত্ব দিয়ে এই কাজটিই করছি।

আজ মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের শেষ দিনের কার্যঅধিবেশনে অংশ নেওয়ার পর সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, জেলা প্রশাসকরা কিছু বিষয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেছেন। ভার্চুয়াল কোর্টের ব্যবস্থা করা যায় কি না, এ বিষয়টিও পর্যালোচনা করে দেখার কথা বলেছেন। বিপজ্জনক আসামিদের আদালতে আনা নেওয়ার ক্ষেত্রে যাতে কোনো সমস্যা না হয় এ বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা সারা দেশে ভার্চুয়াল কোর্টের বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা করবো।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় রেখে জেলা প্রশাসকদের কাজ করার জন্য বলা হয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী জেলা প্রশাসকরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশে থাকবেন বলে আমাদের জানিয়েছেন।


আরও খবর