পল্লবীর দে-র
অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় টেলি অভিনেত্রীর পরিবারের একাধিক অভিযোগ এবং পুলিশি তদন্ত
ঘিরে দানা বাঁধছে রহস্য। পুলিশ সূত্রে খবর, পল্লবীর লিভ-ইন সঙ্গী সাগ্নিক চক্রবর্তীকে
দফায় দফায় জেরা এবং গরফার আবাসনে তল্লাশি চালিয়ে ইতিমধ্যেই নানা তথ্য হাতে এসেছে। অভিনেত্রীর
ফোন পরীক্ষা করেও মিলেছে বেশ কিছু তথ্য।
মাসখানেক আগে
থেকেই গরফার আবাসনে থাকতে শুরু করেছিলেন পল্লবী ও সাগ্নিক। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ফ্ল্যাট
থেকে উদ্ধার হয়েছে হুক্কা, গাঁজা-সহ নেশার জিনিসপত্র। এ ছাড়াও তদন্তকারীদের সূত্র
জানান, পল্লবীর মোবাইল ফোন পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, শেষ ফোন পরিচারিকাকে করেছিলেন
অভিনেত্রী। যদিও, তাঁদের মধ্যে কী কথোপকথন হয়েছিল, তা বিশদে জানা যায়নি।
পল্লবীর পরিবারের
তরফে আগেই জানা গিয়েছিল, পল্লবীকে ওই পরিচারিকার খোঁজ দিয়েছিলেন তাঁর মাসি সঙ্ঘমিত্রা
ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, উনি (পরিচারিকা) আমায় প্রায়ই বলতেন, ওঁদের (পল্লবী ও সাগ্নিক)
মধ্যে প্রায়ই নানা কারণে ঝামেলা হয়। জিনিস ছোড়াছুড়ি করত ওরা।
অভিনেত্রীর পরিবারের
আরও দাবি, পল্লবীর উপর আর্থিক দিক দিয়ে অনেকটাই নির্ভর করতেন তাঁর লিভ-ইন সঙ্গী সাগ্নিক।
একাধিক বার নিজের প্রয়োজনে পল্লবীর থেকে টাকা নিয়েছেন তিনি। এমনকি, ইদানীং পল্লবীর
সঙ্গে আর্থিক বিষয় নিয়ে মাঝে মধ্যেই অশান্তিও হত তাঁর। এই বিষয়গুলি নজরে রেখে পল্লবীর
বাড়ি থেকে পাওয়া তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে খবর পুলিশ সূত্রে।