আজঃ বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

পঞ্চগড়ে বিলুপ্ত প্রজাতির ঈগল উদ্ধার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
পঞ্চগড় প্রতিনিধি

Image

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে আহত অবস্থায় বিলুপ্ত প্রজাতির একটি ঈগল পাখি উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকাল ১০টায় দেবীগঞ্জ পৌরসভার কামাত পাড়ার একটি কমলা বাগান থেকে আহত অবস্থায় ঈগল পাখিটি উদ্ধার করা হয়। ঈগলটির গায়ের রং বাদামি ও ধূসর এবং ওজন প্রায় তিন থেকে সাড়ে তিন কেজি ওজন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকালে কামাতপাড়ার একটি কমলা বাগান থেকে কৃষ্ণ রায় নামে এক ব্যক্তি আহত অবস্থায় পাখিটি উদ্ধার করেন। পরে পাখিটি উদ্ধারের একটি ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন কৃষ্ণ রায়। বৈদ্যুতিক তারের সংস্পর্শে এসে পাখনা পুড়ে গিয়ে পাখিটি আহত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পাখিটি উদ্ধারকারী কৃষ্ণ রায় বলেন, সকালে ছাগলের পাতা সংগ্রহের জন্য কমলা বাগানে যাই। সেখানে পাখিটি আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি। কয়েকজনকে দেখিয়ে, বাসায় নিয়ে খাবার খেতে দেই পাখিটিকে। পরে বন বিভাগকে ফোন দেওয়া হলে তারা এসে পাখিটি নিয়ে যায়। বনবিভাগের বিট অফিসার নিবারণ চন্দ্র রায় এবং তার সহকারী সোহেল এসে পাখিটি উদ্ধার করে নিয়ে যান।

এ বিষয়ে দেবীগঞ্জ বনবিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আব্দুল কাদের বলেন, বিলুপ্ত প্রজাতির ঈগল পাখিটি আহত অবস্থায় উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছে। চিকিৎসা দিয়ে পাখিটি সুস্থ হলে অবমুক্ত করা হবে। যদি পুরোপুরি সুস্থ না হয় তবে ঠাকুরগাঁও বনবিভাগের বিশেষায়িত উদ্যানে পাঠানো হবে।

নিউজ ট্যাগ: পঞ্চগড়

আরও খবর



তালতলীতে সংবাদ প্রকাশের জেরে ৫ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

বরগুনার তালতলীতে ইউপি সদস্যকে বিবস্ত্র করে মারধরের সংবাদ প্রকাশের জেরে স্থানীয় ৫ সাংবাদিকসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। এই মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ছে বিভিন্ন সাংবাদিক সমাজ।

বৃহস্পতিবার (০৫ সেপ্টম্বর) দুপুরে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন শাহদাত হোসেন। আদালতের বিচারক আরিফুর রহমান মামলাটি আমলে নিয়ে বরগুনা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) কে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

মিথ্যা মামলার আসামিরা হলেন তালতলী প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. খাইরুল ইসলাম, দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার সাংবাদিক মোস্তাফিজ, এশিয়ান টিভির সাংবাদিক মো জলিল, আজকের দর্পণ পত্রিকার সাংবাদিক ও প্রেসক্লাবের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান, মানজমিন পত্রিকার সাংবাদিক মাহমুদুল হাসান ও বিবস্ত্র করে মারধরের শিকার ইউপি সদস্য জামাল খান এবং তার চাচাতো ভাই ফেরদাউস। হামলাকারী শাহদাতের কাছ থেকে একটি মোবাইল ও মারধর করে ৫০ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করার অভিযোগ করা হয়েছে।

জানা যায়, গত শনিবার ৩১ আগস্ট  উপজেলার নিশান বাড়িয়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জামাল খানের বাড়ির সামনে নিদ্রা স্লুইস খালে একটি চোরাই ইঞ্জিন চালিত স্টিলবডি ট্রলার নোঙর করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। বিষয়টি স্থানীয়রা ইউপি সদস্য জামাল খানকে জানালে তিনি  উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানান। পরে ইঞ্জিন চালিত স্টিলবডি ট্রলারটি ইউপি সদস্যর জিম্মায় রাখার নির্দেশ দেন। এ খবর পেয়ে আবুল কালাম, মিজানুর রহমান, বশির, সাংবাদিক নাইম ও শাহাদাতসহ তারা রাত আনুমানিক ১০ টার দিকে চোরাই ট্রলারটি অনৈতিকভাবে নেওয়ার জন্য টাকার প্রস্তাব দেয়। এতে রাজি না হলে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।

এ সময় ইউপি সদস্য বাধা দিলে আবুল কালাম, মিজানুর রহমান, বশির, সাংবাদিক নাইম ও শাহাদাতসহ ২৫-৩০ লোক এলোপাতাড়ি মারধর ও কুপিয়ে জখম করেন জামাল খানকে। মারধরের একপর্যায়ে ইউপি সদস্যকে বিবস্ত্র করে ভিডিও করা হয়। এ সময় স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যায় হামলাকারীরা। এতে জীবনের ভয়ে চিকিৎসা না নিয়ে বাড়িতে থাকলে পরের দিন দুপুরের দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত আনোয়ার তুমপা ইউপি সদস্য জামাল খানকে উদ্ধার করে হাসপাতাল পাঠায়। এ ঘটনায় ঐ ইউপি সদস্য বাদি হয়ে ১২ জন হামলাকারীদের নাম উল্লেখ করে আদালতে একটি মামলা করেন।

এদিকে মারধরের খবর পেয়ে পরের দিন ১ আগষ্ট দুপুর ১২ টার দিকে ঘটনাস্থলে সংবাদ সংগ্রহ করতে যায় তালতলী প্রেসক্লাবের সদস্যরা। পরে মারধরের সংবাদ প্রকাশ ও হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে একাবাসি মানববন্ধনের নিউজ প্রকাশ উপজেলার একাধিক সাংবাদিকরা। পরর্বতীতে মামলার নিউজ প্রকাশ করার জের ধরে মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে ৫ স্থানীয় সাংবাদিকসহ ঐ ইউপি সদস্যকে আমাসীকে ৭ জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মারধরের অভিযোগ এনে মামলা করেছেন শাহদাত হোসেন নামের এক হামলাকারী।

তালতলী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও যুগান্তরের সাংবাদিক মু আ. মোতালিব বলেন, এই মারধরের ঘটনায় আমিও সংবাদ সংগ্রহে গিয়েছিলাম ও সংবাদ প্রকাশ করেছি। এখানে সাংবাদিকেরা পেশাগত দায়িত্ব পালন করেছেন শুধু। তাছাড়া তারা ঘটনাস্থলেই ছিলো না। তাঁদের নামে মারধরের ঘটনায় মামলা করা হচ্ছে। এটা দুঃখজনক। অবিলম্বে তিনি মামলাটি প্রত্যাহারের দাবি জানান।

এ বিষয় বরগুনা বরগুনা গোয়েন্দা শাখা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.বশির আলম বলেন, এখনো মামলার আদেশ আমরা হাতে পায়নি। আদেশ হাতে পেলে সঠিকভাবে তদন্ত করে সুষ্ঠু প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়া হবে।

নিউজ ট্যাগ: বরগুনা

আরও খবর



রাষ্ট্রপতি কতজনের দণ্ড মওকুফ করেছেন, তালিকা চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৫ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

১৯৯১ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ২০২৪ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে কতজনের কারাদণ্ড মওকুফ, দণ্ড স্থগিত বা হ্রাস করেছেন তার তালিকা প্রকাশ ও প্রদানের জন্য লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিবকে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

আজ রবিবার এ নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. ওমর ফারুক।

নোটিশে বলা হয়েছে, অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এই যে, দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত রাষ্ট্রপতি তার ক্ষমতাবলে বহু ক্রিমিনাল, হত্যা মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত অপরাধীদের ক্ষমা বা তাদের দণ্ড মওকুফের আদেশ দিয়ে আসছেন। রাষ্ট্রপতির মার্জনায় বহু ফাঁসির আসামি ও যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জেল থেকে বেরিয়ে সমাজে আবার মাফিয়া ডন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে।

নোটিশে আরও বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি কীভাবে, কোন প্রক্রিয়ায়, কাদের সুপারিশ বা তদবিরে দাগী, ঘৃণিত, কুখ্যাত সাজাপ্রাপ্তদের ক্ষমা করে বা দণ্ড মওকুফ করে দায় মুক্তি দিচ্ছেন তা একজন নাগরিক হিসেবে আমার বা আমাদের জানার অধিকার আছে। রাষ্ট্রপতির ক্ষমা সংক্রান্ত সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদের ক্ষমতার অপব্যবহার বা কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বা রাজনৈতিক কোনোরূপ বল প্রয়োগ আছে কি না তাও ক্ষতিয়ে দেখা দরকার।

নোটিশে বলা হয়, রাষ্ট্রপতির দণ্ড মওকুফের ক্ষমতার উৎস বা কোন আইন দ্বারা তিনি কীভাবে কোনো প্রক্রিয়ায় তা করে থাকেন বা দণ্ড মত্তকুফের মানদণ্ড কী? তা মানুষের জানা দরকার। তাই এখানে ১৯৯১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত যতজনকে রাষ্ট্রপতি দণ্ড মওকুফ করে বা দণ্ড স্থগিত করে কারাগার থেকে মুক্তি দিয়েছেন তাদের নামের তালিকা ও কী প্রক্রিয়ায় তাদের ক্ষমা করা হয়েছে তার বিশদ বর্ণনা নোটিশ প্রাপ্তির ১৫ দিনের মধ্যে আমাকে প্রদান করার জন্য সবিনয় অনুরোধ করছি। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দণ্ড মওকুফ হওয়াদের তালিকা না পেলে উচ্চ আদালতে রিট করা হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।


আরও খবর
দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে পুলিশ কর্মকর্তা কাফি

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




মৌলভীবাজারে গ্রামের পর গ্রাম বন্যার পানির নিচে

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৩ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৩ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

Image

মৌলভীবাজার জেলা জুড়ে সবকটি নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

আজ শুক্রবার বিকাল থেকেই একের পর এক এলাকায় নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ ভাঙার খবর আসে। ৩য় দফা আকস্মিক বন্যায় নাকাল এ জেলার নদী ও হাওর তীরের বাসিন্দারা। নদীর বাঁধ ভেঙে ও উপচে কুলাউড়া, কমলগঞ্জ, রাজনগর, জুড়ী, মৌলভীবাজার সদরসহ সবকটি উপজেলার প্রায় আড়াই শতাধিক গ্রামের অন্তত সাড়ে ৩ লক্ষাধিক মানুষ বন্যাকবলিত হয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়েই কেবলই বাড়ছে বন্যায় দুর্গতদের এই পরিসংখ্যান।

জানাযায়, মনু, ধলাই ও ফানাই নদীর প্রায় ২০টি স্পটে বাঁধ ভেঙে ও উপচে বানের পানি তীরবর্তী গ্রাম এলাকায় প্রবেশ করে দ্রুত সময়েই সবকিছুই তলিয়ে দেয়। এ ছাড়াও চরম ঝুঁকিতে রয়েছে ওই সকল নদীর আরও একাধিক স্পট। মনু নদীর বাঁধ ভাঙনে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন কুলাউড়া, রাজনগর ও  মৌলভীবাজার সদর উপজেলার অধিকাংশ মানুষ। কুশিয়ারা ও জুড়ী নদীর বাঁধ উপচে পানি প্রবেশ করায় তীরবর্তী এলাকার নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দারা পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাদের ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, কৃষি ক্ষেত সবকিছুই গ্রাস করে বানের পানি। এখন সময় যত যাচ্ছে ততই ভয়াবহ হচ্ছে বন্যা পরিস্থিতি।

জেলার হাকালুকি, কাউয়াদীঘি ও হাইল হাওরের তীরবর্তী এলাকারও বন্যা পরিস্থিতি চরম অবনতির দিকে। ৩য় বারের মতো তারাও বন্যায় কবলিত হচ্ছেন। এখন জেলার ৭ উপজেলার বাসিন্দারা কমবেশি বন্যা আক্রান্ত হচ্ছেন। জেলার নদী ও হাওর তীরের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারীরা বুধবার বিকাল থেকেই নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য অন্যত্র ছুটছেন। জেলা শহরের মনু নদী তীরবর্তী এম সাইফুর রহমান সড়ক এলাকায় বাঁধ ভাঙার ঝুঁকি থাকায় মৌলভীবাজার এম সাইফুর রহমান রোড বাটার মোড় হতে পোস্ট অফিস পর্যন্ত  শুক্রবার এবং শনিবার  ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। গভীর রাত পর্যন্ত ব্যবসায়ী নিজেদের মালামাল নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে দেখা যায়। সারা রাত জেগে বালুভর্তি জিওব্যাগ ফেলে প্রতিরক্ষা বাঁধ শক্তিশালী করতে  বেশকিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা নিরলস কাজ করেন। ওই সড়কটিতে যান চলাচল আপাতত বন্ধ রয়েছে। 

মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ০৭ চাঁদনীঘাট ইউনিয়নের ০১ ওয়াড ডেউপাশা আশরাফ মিয়ার বাড়ির সম্মুখে নদীর বাধ বেশ  ঝুকিপূর্ণ রয়েছে এ ছাড়াও মৌলভীবাজার-কুলাউড়া সড়কের কদমহাটা এলাকায় সড়কে পানি উঠে যাওয়ায় যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। মৌলভীবাজার-কমলগঞ্জ সড়কের মাতারকাপন এলাকায়ও সড়কে পানি উঠে যান চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। বন্যার সার্বিক পরিস্থিতিতে জেলা জুড়ে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা বাড়ছেই। প্রতি ঘণ্টায় বাড়ছে নদী ও হাওরের পানি। স্থানীয় বাসিন্দারা অন্যত্র আশ্রয় নিচ্ছেন। নিজেদের খাবার ও নিরাপদ আশ্রয়ের সঙ্গে গৃহপালিত গবাদিপশুদের নিয়েও চরম দুশ্চিন্তায়।

একাধিক আশ্রয়কেন্দ্র ঘুরে এমন দৃশ্যই চোখে পড়ে। কদমহাটা উচ্চ বিদ্যালয় ও  কদমহাট সরকারি প্রাথমিক আশ্রয়কেন্দ্রের মাসুক মিয়া (৬৫), কামাল মিয়া (৪৬), ছফিয়া বেগম (৩৮) ও মো. হাসান মিয়া (৩৬) জানান, গত বুধবার বিকাল থেকেই ওখানে তারা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। সঙ্গে গবাদিপশুও। বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত তারা কোনো ধরনের সহায়তা পাননি। নিজের ও গবাদিপশুগুলোর খাবার নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায়। আশ্রয়কেন্দ্রের সকলেই তাদের এই চরম দুর্দিনে সরকারের পাশাপাশি প্রবাসী ও বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আকুল আহ্বান জানান।

জানা যায়, মনু নদীর (রেলওয়ে ব্রিজ) পানি বিপদসীমার ৭৫ সে. মি. উপর দিয়ে  ও মনু নদীর (চাঁদনী ঘাট) পানি বিপদসীমার ১১৯ সে. মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ধলাই নদীর (রেলওয়ে ব্রিজ) ২৮ সে. মি. উপর দিয়ে, কুশিয়ারা নদীর (শেরপুর) বিপদসীমার ১০ সে. মি. উপর দিয়ে ও জুড়ী নদী বিপদসীমার ১৯৪ সে. মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, এ পর্যন্ত জেলার কুলাউড়ায় ১টি, রাজনগরে ৭টি ও সদর উপজেলায় ৮টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।  অন্যান্য আশ্রয়কেন্দ্রগুলোও প্রস্তুত রয়েছে। এখন পর্যন্ত আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া লোকসংখ্যা ৪৩২৫ জন। ২৫টি মেডিকেল টিম কর্মরত রয়েছে।

ইতোমধ্যে ২৮৫ টন চাল ও ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকা জিআর খাত হতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সরকারি সহায়তা ছাড়াও জেলা জুড়ে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, খেলাফত মজলিসসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা বন্যার্তদের উদ্ধার, আশ্রয়কেন্দ্রে খাদ্য বিতরণসহ সার্বিক সহযোগিতায় মাঠে সক্রিয় রয়েছেন।

নিউজ ট্যাগ: মৌলভীবাজার

আরও খবর



ভারতে পাচারের সময় ২৭৫ কেজি ইলিশ জব্দ

প্রকাশিত:বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সিলেট ব্যাটালিয়নের (৪৮ বিজিবি) অভিযানে ভারতে পাচারের সময় ২৭৫ কেজি বাংলাদেশি ইলিশ মাছ জব্দ করা হয়েছে।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার ঘিলাতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইলিশ মাছ জব্দ করা হয়।

বিজিবি সূত্রে জানা যায়, সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি) আওতাধীন সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার বিওপির ঘিলাতলী নামক সীমান্ত এলাকায় টহলদল একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে ভারতে পাচারের সময় ২৭৫ কেজি বাংলাদেশি ইলিশ মাছ জব্দ করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য সাড়ে ৫লাখ টাকা। চোরাকারবারিরা বিজিবি টহল দলের টের পেয়ে মালামাল ফেলে ছত্রভঙ্গ হয়ে পালিয়ে যায়। ফলে অভিযানে কাউকে আটক করা যায়নি।

সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো.হাফিজুর রহমান পিএসসি বলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধকল্পে বিজিবির আভিযানিক কার্যক্রম ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। জব্দকৃত ২৭৫ কেজি বাংলাদেশি ইলিশ মাছ স্থানীয় কাস্টমস এ জমা করা হবে।


আরও খবর



চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যা, বিক্ষোভে উত্তাল ভারত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৩ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৩ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

কলকাতার এক হাসপাতালে নারী চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় প্রতিবাদে উত্তাল ভারত। বিক্ষোভের পাশাপাশি কর্মবিরতি পালন করছেন দেশটির চিকিৎসকরা। হাসপাতালগুলোতে সীমিত আকারে শুধু জরুরি চিকিৎসা দিচ্ছেন তারা।

সোমবার চিকিৎসকদের সংগঠন দ্য ফেডারেশন অব রেসিডেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন (ফোরডা) হাসপাতালগুলোতে কর্মবিরতির ঘোষণা দেয়। এ সংক্রান্ত একটি চিঠি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডাকেও পাঠিয়েছেন আন্দোলনরত চিকিৎসকরা।

চিঠিতে কর্তব্যরত চিকিৎসকের সম্ভ্রম ও জীবন রক্ষায় ব্যর্থতার জন্য ফোরডা সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষের পদত্যাগ দাবি করা হয়েছে। একইসঙ্গে বিক্ষোভরত চিকিৎসকদের ওপর যেন কোনো ধরনের দমন-পীড়ন চালানো না হয় এবং অপরাধীদের বিচারে যেন দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হয়, সেই দাবিও জানায় সংগঠনটি।

চিকিৎসকদের কর্মবিরতির ফলে কলকাতার বেশিরভাগ হাসপাতালের কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়েছে। অসংখ্য রোগী ও তাদের আত্মীয়স্বজন বিক্ষোভের কারণে বিপাকে পড়েছেন।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি আর জি কর হাসপাতালের চারতলায় দায়িত্ব পালন শেষে বিশ্রাম নেওয়া এক চিকিৎসকের (৩১) মরদেহ পাওয়া যায়। সেদিন থেকেই ওই নারী চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যা করার অভিযোগ তুলেন সহকর্মীরা।


আরও খবর
উত্তর প্রদেশে মাথাবিহীন নারীর লাশ উদ্ধার

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪