আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

পঁচা মামার ’মালাই চা’, এক কাপের বেশি দেন না!

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৯ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৯ মার্চ ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
Image

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:

নব্বই বছর বয়সেও চা বিক্রি করেন রহিম উদ্দিন ওরফে (পঁচা মামা)। চায়ের নাম মালাই চা, বিশেষত্ব-এক কাপের বেশি চা কাউকে দেন না তিনি। এরকম ব্যতিক্রম দোকানটি রয়েছে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার ফুলবাড়িয়া এলাকার নাবিরবহ গ্রামের লন্ডন বাজার নামক একটি স্থানে। রসনা মেটানো ও বিশেষত্ব মন্ডিত চা পান করতে এখানে প্রতিদিন শত শত মানুষ ভিড় জমান। 

চাকচিক্য বা জাকজমট কোন দোকান নয় এটি। লন্ডন বাজারের চৌরাস্তায় পলিথিনে মোড়ানো ছোট ঝুপড়ি ঘরের মত দোকানটিই পঁচা মামার চায়ের দোকান। সকালে দোকান করেন না তিনি, প্রতিদিন দোকান চলে দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত। তবে, প্রতি সোমবার সপ্তাহে একদিন বন্ধ রাখা হয় দোকানটি। বড় ছসপেনে করে মাটির চুলায় একাধারে ৩ ঘন্টা সময় ধরে প্রতিদিন গরম করা হয় আধা মন খাঁটি গরুর দুধ। চায়ের উপকরণ হিসেবে পুরো কাপ জুড়েই থাকে গরুর দুধ অল্প পরিমানে দেয়া হয় চায়ের লিকার ও চিনি।

পঁচা মামার ৯০ বছরের জীবদ্দশায় ৭০ বছরই কাটিয়েছেন চা বিক্রি করে। ২২ বছর চা বিক্রি করেছেন ওস্তাদের সাথে ঢাকার মহাখালীতে। পরবর্তীতে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় চা বিক্রি শেষে ৮ বছর যাবৎ চলে এসেছেন নিজ গ্রামে। তিনি জানান, আগের ধারণা থেকেই নিজের গ্রামে একই কায়দায় চা বিক্রি শুরু করেন রহিম উদ্দিন।

রহিম উদ্দিন মালাই চা তৈরী শিখেছেন তার ওস্তাদের কাছ থেকে। তার ওস্তাদের নাম মহসিন মুন্সি। উনার বাড়ি রাজধানির মহাখালীতে। ওস্তাদ মহসিন মুন্সি ১৯৯০-১৯৯২ সালের মধ্যে ইন্তেকাল করেছেন।

রহিম উদ্দিন মাত্র ৫০ টাকা আর কয়েকটি চায়ের কাপ পুজি নিয়ে শুরু করেছিলেন এই ব্যবসা। প্রথমে এককাপ চা বিক্রি করতেন ১০ পয়সা। এরপর চারআনা, আটআনা, একটাকা এভাবে বাড়তে বাড়তে এখন বিক্রি করেন ২০ টাকায়। তিনি এখন প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা করে চা বিক্রি করেন। খরচ বাদে প্রতি মাসে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা আয় হয়। তার ইচ্ছা জীবনের শেষ পর্যন্ত চা বিক্রি করে যাবেন। তার পরিবারে ১ মেয়ে ও ১ ছেলে। ছেলের ঘরে দুই নাতি চাকরি করেন। পরিবারের সন্তাদের চা বিক্রি করেই পড়া লেখা করিয়েছেন তিনি।

পঁচা মামার মালাই চা নিয়ে যেমন ইতিবাচক মন্তব্য রয়েছে, চায়ের স্বাদ নিয়ে বর্তমানে তেমনি সোস্যাল দুনিয়ায় কিছু নেতিবাচক মন্তব্যও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অনেকের মন্তব্য আগের মত এখন আর স্বাদ নেই।

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থেকে আসা আশিক খান বলেন, ফেসবুকে দেখে চা খেতে আমরা ১২ জন বাইক নিয়ে এসেছি। চায়ের স্বাদ অসাধারন কিন্তু দুঃখের বিষয় এক কাপের বেশি খেতে পারলাম না।

ফুলবাড়ীয়ার বাসিন্দা সোহেল রানা বলেন, প্রাইভেটকার, মটরসাইকেল ও রিক্সা নিয়ে অনেক দুর-দুরান্ত থেকে এই গ্রামে চা খেতে আসে অনেক মানুষ। নাবিরবহর (লন্ডন বাজার) চায়ের গ্রাম নামেই এখন মানুষ বেশি চিনে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রহিম উদ্দিন পঁচা মামা বলেন,  এক কাপের বেশি চা দেওয়া আমার ওস্তাদের নিষেদ। তিনি আরো বলেন, এক কোটি টাকা দিলেও আমি একাধারে এক কাপের বেশি চা দিব না। এটা আমার ব্যবসার একটি  বৈশিষ্ট্যও।


আরও খবর



পাপুয়া নিউগিনিতে ৬.৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পাপুয়া নিউগিনির উত্তরাঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৭। স্থানীয় সময় রোববার (২৪ মার্চ) প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের এই দেশটির উত্তরাঞ্চলের প্রত্যন্ত অংশে শক্তিশালী এ ভূমিকম্প আঘাত হানে। তবে ভূমিকম্পের জেরে সুনামির কোনো সতর্কতা জারি করা হয়নি। রোববার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার পাপুয়া নিউগিনির উত্তরাঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে ৬ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে বলে জানিয়েছে ভূতাত্ত্বিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্সেস (জিএফজেড)। সংস্থাটি জানিয়েছে, ভূপৃষ্ঠের ৬৫ কিলোমিটার (৪০ মাইল) গভীরতায় আঘাত হনে ভূমিকম্পটি। যদিও ভূমিকম্পটি ভূপৃষ্ঠের ১০ ​​কিলোমিটার গভীরে ছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছিল সংস্থাটি।

অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল আম্বুন্টি থেকে ৩২ কিলোমিটার পূর্ব-উত্তর-পূর্বে। এছাড়া অস্ট্রেলিয়ার আবহাওয়া ব্যুরো জানিয়েছে, এই ভূমিকম্প থেকে অস্ট্রেলিয়ায় সুনামির কোনো আশঙ্কা নেই।

প্রসঙ্গত, পাপুয়া নিউগিনিতে ভূমিকম্পের ঘটনা বেশ সাধারণ। এই দেশটি প্রশান্ত মহাসাগরের রিং অব ফায়ার এ অবস্থিত। এছাড়া টেকটোনিক প্লেটের মধ্যে সংঘর্ষের কারণে ভূমিকম্পের ক্রিয়াকলাপের জন্য এই অঞ্চলটি বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।

নিউজ ট্যাগ: পাপুয়া নিউগিনি

আরও খবর



এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ড: ৫ বছরেও শুরু হয়নি বিচার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ের পাশের ১৭ নম্বর সড়কে ফারুক রূপায়ন (এফআর) টাওয়ার। ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। কেড়ে নেয় ২৬টি প্রাণ। আহত হন ৭১ জন। সেই ঘটনায় মামলা হয়।

ঘটনার প্রায় তিন বছর ৯ মাস পর ২০২২ সালের ২০ ডিসেম্বর মামলাটি তদন্ত শেষে ৮ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি পুলিশের গুলশান জোনাল টিমের পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) সমীর চন্দ্র সূত্রধর। তবে রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান মুকুলের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে অব্যাহতির আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

ওই বছরের ২৭ ডিসেম্বর মামলাটির দিন ধার্য। ওই দিন চার্জশিটটি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরফাতুল রাকিবের আদালতে উপস্থাপন করা হয়। তবে আদালত চার্জশিটটি গ্রহণ না করে মামলাটি পুলিশ বুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন।

ওই দিন আদালত আদেশে বলেন, অগ্নিকাণ্ডে ২৬ জন মানুষ মৃত্যুবরণসহ অসংখ্য মানুষ গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন। তদন্ত কর্মকর্তা এজাহারনামীয় গুরুত্বপূর্ণ আসামিকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতির আবেদন করেছেন। মামলাটি যথাযথ প্রক্রিয়ায় তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন হয়নি বলে আদালতের কাছে প্রতীয়মান হওয়ায় পিবিআইয়ের একজন দক্ষ অফিসার দ্বারা মামলাটি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন।

এরপর পিবিআই মামলার তদন্ত শুরু করে। গত ২২ জানুয়ারি মামলাটি তদন্ত করে আদালতে একই আসামিদের অভিযুক্ত করে ও লিয়াকত আলী খান মুকুলকে অব্যাহতির সুপারিশ করে চার্জশিট জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই এর ঢাকা মেট্রো দক্ষিণের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) রফিকুল ইসলাম।

গত ৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলমের আদালত পিবিআই এর দেওয়া ৮ আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেন।

চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন-এফআর টাওয়ার ভবনের ব্যবস্থাপনা কমিটিতে থাকা এস এম এইচ আই ফারুক, তাজভিরুল ইসলাম, সেলিম উল্লাহ, এ এ মনিরুজ্জামান, সৈয়দ আমিনুর রহমান, মিসেস ওয়ারদা ইকবাল, কাজী মাহমুদুল নবী ও রফিকুল ইসলাম। আসামিদের মধ্যে ফারুক জমির মূল মালিক। বিএনপি নেতা তাজভীরুল ইসলাম ভবন পরিচালনা কমিটির সভাপতি। অন্য ৬ জন ভবন পরিচালনা কমিটির সদস্য।

ওই সময় আসামিদের মধ্যে মনিরুজ্জামান, মাহমুদুল নবী, সেলিম উল্লাহ, রফিকুল ইসলাম ও ওয়ারদা ইকবাল পলাতক ছিলেন। আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। পরে আসামিরা বিভিন্ন সময় আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন। বর্তমানে সব আসামি জামিনে আছেন। সর্বশেষ গত ১২ মার্চ মামলার তারিখ ধার্য ছিলো। মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলমের আদালত নথিটি সিএমএম বরাবর পাঠানোর আদেশ দেন। সিএমএম মামলাটি পরবর্তী বিচারের জন্য আদেশ দিবেন। এদিকে লিয়াকত আলী খান মুকুলকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।

নিউজ ট্যাগ: এফআর টাওয়ার

আরও খবর
শিশু হাসপাতালে আগুন নিয়ন্ত্রণে

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪




ফাঁকা হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, হল ছাড়ছেন শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

সিয়াম সাধনার মাস রমজান ধীরে ধীরে শেষ হয়ে আসছে। ঘনিয়ে আসছে খুশির ঈদ। পরিবারের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে এরই মধ্যে ক্যাম্পাস ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা।

দিন যত এগিয়ে আসছে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা শিক্ষার্থীর সংখ্যাও তত বাড়ছে। এতে ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো। ক্যাম্পাসের চিরচেনা কোলাহলেও পড়তে শুরু করেছে ভাটা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঈদের এক সপ্তাহ বাকি থাকতে এরই মধ্যে প্রায় অর্ধেক শিক্ষার্থী ক্যাম্পাস ছেড়েছেন। ক্যাম্পাসে এখন প্রতিদিনই শিক্ষার্থী কমছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও জিয়া হলসহ ছাত্র-ছাত্রীদের আবাসিক হলগুলোর সামনে দাঁড়ালেই এখন ব্যাগ-বস্তা ও বিভিন্ন মালপত্র চোখে পড়ছে। বিশেষত সকাল ও সন্ধ্যা সময় এ দৃশ্যটা বেশি দেখা যাচ্ছে। হলগুলো থেকে বের হওয়া শিক্ষার্থীদের চোখেমুখে দেখা যাচ্ছে গ্রামে ফেরার আনন্দের ঝিলিক। দীর্ঘদিন পর পরিবারের সঙ্গে দেখা হওয়ার উচ্ছ্বাস ঝরে পড়ছে তাদের কথাবার্তায়ও।

বিজয় একাত্তর হলের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সিয়াম কবির বের হয়েছেন ময়মনসিংহের উদ্দেশ্যে। পিঠে ও হাতে ব্যাগ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন হলের গেটে রিকশার অপেক্ষায়। কথা হলে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ক্লাস ও পরীক্ষার কারণে দীর্ঘদিন বাড়ি যাওয়া হয় না। অনেকদিন পর গ্রামে যাচ্ছি। স্বাভাবিকভাবেই খুব ভালো লাগছে। রমজানের শেষ কয়েকটা দিন আব্বা-আম্মার সঙ্গে ইফতার ও সেহরি করবো, এটা ভেবে খুব আনন্দ লাগছে।

শামসুন্নাহার হলের শিক্ষার্থী জান্নাতুল সুলতানা বলেন, বাড়িতে সবাই অনেক অপেক্ষা করে আছে। শেষ সময়ে এখন যেন আর তর সইছে না। কতক্ষণে বাড়ি পৌঁছাবো, নিজের মধ্যে অস্থিরতা কাজ করছে। পড়াশোনার কারণে পরিবার ছেড়ে দিনের পর দিন বাইরে থাকতে হয়। মাঝেমাঝে বাবা-মাকে খুব বেশি মিস করি। একে তো বাড়ি যাচ্ছি, তার ওপর ঈদ- সব আনন্দ যেন মিলেমিশে একাকার। খুব ভালো লাগছে।

তবে শিক্ষার্থীদের এই ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে বাড়ি যাওয়ার আনন্দঘন দৃশ্যের বিপরীতে কিছু বেদনাঘন চিত্রও রয়েছে। কারণ, ঈদের ছুটি শেষ হওয়ার আগেই পরীক্ষা থাকায় অনেক শিক্ষার্থী বাড়ি যাচ্ছেন না। কারও কারও বিসিএস লিখিত পরীক্ষা রয়েছে। তারাও যাচ্ছেন না। যদিও আবাসিক হলগুলোতে এ ধরনের শিক্ষার্থীদের সংখ্যা এখন খুবই নয়।


আরও খবর



অসুস্থ খালেদা জিয়া, চার্জ শুনানি পেছালো

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলার চার্জ গঠনের বিষয়ে শুনানির তারিখ আগামী ২৮ মে ধার্য করেছেন আদালত।

রোববার (২৪ মার্চ) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-২ এর বিচারক মো. আক্তারুজ্জামানের আদালতে মামলাটি চার্জ শুনানির দিন ধার্য ছিল। তবে এদিন মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি।

আদালতে তার পক্ষে মাসুদ আহমেদ তালুকদার হাজিরা দেন। অন্য আসামিদের পক্ষে আইনজীবীরা চার্জ শুনানি পেছানোর আবেদন করেন। পরে আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে শুনানির পরবর্তী তারিখ ঠিক করেন। খালেদা জিয়ার আইনজীবী আব্দুল হান্নান ভূঁইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ঠিকাদার নিয়োগে অনিয়ম ও ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সংস্থার সহকারী পরিচালক মো. নাজমুল আলম শাহবাগ থানায় এ মামলা করেন। মামলায় অভিযুক্ত আসামির সংখ্যা ১৩ জন। বিভিন্ন সময় ছয় আসামি মারা যান। বর্তমানে এ মামলায় আসামির সংখ্যা সাত জন।


আরও খবর
পরীমণিকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




সারাহ ইসলামের কিডনি নেওয়া সেই শামীমাও মারা গেলেন

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গত বছরের জানুয়ারি মাসে সারাহ ইসলামের মরণোত্তর অঙ্গদানের মাধ্যমে দেশে প্রথমবারের মতো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট (ব্রেন ডেথ রোগীর অঙ্গ প্রতিস্থাপন) করা হয়। এই কার্যক্রমটি সফল প্রতিস্থাপন দাবি করা হলেও কিডনি নেওয়া দুজনেই কেউই আর বেঁচে রইলো না।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন কিডনি নেওয়া দ্বিতীয় রোগী শামীমা আক্তার (৩৪)। ইউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান দুলাল এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, প্রথমজন ফুসফুসের সংক্রমণে মারা গেছেন। এবার দ্বিতীয়জনও চলে গেলেন। এটি আমাদের জন্য খুবই কষ্টের।

শেষ ছয় মাস আমাদের আওতার বাইরে ছিল শামীমা। সম্প্রতি শামীমার ভাই জানায়, ক্রিয়েটিনিন বেড়েছে, একেবারে শুকিয়ে গেছে শামীমা। পরে তিন সপ্তাহ আবারও বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয় তাকে। শুরুর দিকে কিছুটা উন্নতি হলেও কেন শুকিয়ে যাচ্ছিল সেটি ধরতে পারছিলেন না চিকিৎসকেরা। চার দিন আগে আইসিইউতে নেওয়া হয় তাকে।

মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে এই সার্জন বলেন, তার সি ভাইরাস ও বিরল নিউমোনিয়া ধরা পড়েছিল। সে অনুযায়ী ডায়ালাইসিসও শুরু করেছিলাম আমরা। কিন্তু উন্নতি হয়নি। বাইরের হাসপাতালেও একদিন নেওয়া হয়েছিল, অবস্থার পরিবর্তন না হওয়ায় আবারও আমাদের আইসিইউতে নেওয়া হয়। সেখানেই আজ রাত ৯টার দিকে মারা যান তিনি।

কিডনি প্রতিস্থাপনের সময় নেতৃত্ব দেওয়া এই চিকিৎসক আরও বলেন, হেপাটাইটিস সি পজিটিভ হলে ব্লাড কাজ করে না। এজন্য বিশেষ করে রক্ত লাগে, সেটিও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে আর রেসপন্স করেনি। বাড়িতে থাকার সময়ে অবস্থা খারাপ হলেও সময় মতো আমাদের জানানো হয়নি। অনেকটা অবহেলা ছিল। খারাপ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া যেত। তাহলে হয়তো এই অবস্থা দেখতে হতো না।

এর আগে গত সেপ্টেম্বরে মারা যান সারাহ ইসলামের আরেক কিডনিগ্রহীতা হাসিনা আক্তার। কিডনি ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও বিশিষ্ট কিডনি রোগবিশেষজ্ঞ অধ্যাপক হারুন আর রশিদ সে সময় জানিয়েছিলেন, হাসিনা আক্তারের শরীরে যে কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে, তা ছিল দুর্বল। তাতে দুটি টিউমার ছিল। প্রতিস্থাপনের আগে টিউমার দুটি ফেলে দেওয়া হয়েছিল। তবুও প্রতিস্থাপনের পর থেকে হাসিনা বারবার সংক্রমণে ভুগছিলেন। পরে কিডনি ফাউন্ডেশনে মারা যান তিনি।


আরও খবর
বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস আজ

রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪