আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

পৈত্রিক সম্পত্তি রক্ষার্থে সুষ্ঠু তদন্তের দাবী ফরিদগঞ্জের ফরিদের

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ এপ্রিল ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
Image

নিজস্ব প্রতিনিধি

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে পৈত্রিক সম্পতি নিয়ে জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন মর্মে অভিযোগ করেছেন এক ভুক্তভোগী। রাতের অন্ধকারে হুমকি ও প্রকাশ্যে বিরোধের মুখে রয়েছেন তিনি বলে দাবী করেন ভুক্তভোগী।

এ নিয়ে থানা ও বিজ্ঞ আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। সংশ্লিষ্ঠ মহলের কাছে প্রতিকার দাবী করেন উপজেলার ১৫ নং রূপসা ইউনিয়নের রুস্তমপুর গ্রামের ভুক্তভোগী শেখ ফরিদ। ফরিদের বাবা জয়নাল আবদীন ও মাতা ফাতেমা বেগম ১৬৫ নং রুস্তমপুর মৌজায় কয়েকটি দাগের অন্দরে খরিদ সূত্রে প্রায় ৪৮ শতাংশ সম্পত্তির মালিক। প্রায় পাঁচ বছর পূর্বে জয়নাল আবদীন মৃত্যুবরণ করেন। সমূদয় সম্পত্তিতে শেখ ফরিদ, তার ভাই ও মাকে নিয়ে ভোগ দখলে রয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি পার্শ্ববর্তী আবুল কাশেম (৪৫), নুরুল আমিন (৫৮) ও লোকমান আমিন গং শেখ ফরিদ ও তার পরিবার সদস্যদের সঙ্গে বিরোধ করছেন। ওই সম্পত্তিতে ও দাগের অন্দরে কোনো প্রকার মালিকানা না থাকা সত্ত্বেও তারা জমিতে প্রবেশ ও বেআইনি কার্যক্রম করছেন প্রতিপক্ষগণ এর সঙ্গে পৈত্রিক বা মাতৃক সূত্রে আত্মীয়তার বন্ধনও নেই। তা সত্ত্বেও প্রতিপক্ষগণ তার সম্পত্তি তসরুফ করার চেষ্টা করছেন ও নানা সময়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হুমকি ধমকি দিচ্ছেন।

সরেজমিন দেখা যায়, বিরোধপূর্ণ সম্পত্তির একাংশে নিজ মালিকানা দাবী করে সাইনবোর্ড ঝুলিয়েছেন শেখ ফরিদ। এর আগে তিনি জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (নং ১১৯৫, তারিখঃ ২৭-০৩ (২০২০  খ্রি:) ও বিজ্ঞ আদালতে দরখাস্ত মামলা  (নং ১১১৮/২০২১, (১৪৫ ধারা) করেছেন।

শেখ ফরিদ আজকের দর্পণকে বলেন, আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল তাই সংশ্লিষ্ট মহলের কাছে সুবিচার প্রার্থনা করছি।

জানতে চাইলে অভিযুক্ত লোকমান আমিন বলেন, শেখ ফরিদ এর সঙ্গে জমিজমা নিয়ে আদালতে মামলা বিদ্যমান। এর বাইরে তাদের কারও সঙ্গে আমাদের কোনো বিরোধ নেই। এদিকে, সরেজমিন জানা গেছে শেখ ফরিদের জমির ওপর দিয়ে রুস্তমপুর অভিমুখে সরকারী রাস্তা বহমান। অপর দিকে বিএস দাগের অন্দরে সরকারী রাস্তার জমির পরিত্যক্ত অবস্থায় পরে আছে। এ ব্যপারে আইনের যথাযথ প্রতিকার দাবী করেছেন শেখ ফরিদ।


আরও খবর



বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্তির মহাকাব্য : রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ বাঙালির জন্য পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্তির মহাকাব্য বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন। গতকাল ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে বুধবার (৬ মার্চ) দেওয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন রাষ্ট্রপতি।

মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেন, ১৯৭১ সালের এই দিনে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে বজ্রকণ্ঠে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। পুরো বাঙালি জাতি সেদিন মন্ত্রমুগ্ধের মতো অবগাহন করেছিল রাজনীতির মহাকবি বঙ্গবন্ধুর অমর কবিতা। মাত্র ১৮ মিনিটের এই মহাকাব্যে ধ্বনিত হয়েছিল বাঙালি জাতির মুক্তির মহামন্ত্র। বঙ্গবন্ধুর শাণিত ও প্রদীপ্ত উচ্চারণে কেঁপে উঠেছিল পাকিস্তানি স্বৈরশাসকের মসনদ। মূলত ৭ মার্চের ভাষণেই নিপীড়িত-নির্যাতিত বাঙালি জাতি খুঁজে পেয়েছিল শোষণমুক্তির কাঙ্ক্ষিত পথ। তাই ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ বাঙালির জন্য পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্তির মহাকাব্য।

তিনি বলেন, ৭ মার্চ বাঙালি জাতির মুক্তিসংগ্রাম ও স্বাধীনতার ইতিহাসে একটি অবিস্মরণীয় দিন। স্বাধীনতা বাঙালির শ্রেষ্ঠ অর্জন। তবে তা একদিনে অর্জিত হয়নি। মহান ভাষা আন্দোলন থেকে ১৯৭১ এর চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের দীর্ঘ বন্ধুর পথে বঙ্গবন্ধুর অপরিসীম সাহস, সীমাহীন ত্যাগ-তিতিক্ষা, বলিষ্ঠ নেতৃত্ব এবং সঠিক দিকনির্দেশনা জাতিকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে দেয়। ১৯৭০ এর সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলেও পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতা হস্তান্তরে তালবাহানা শুরু করে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১ মার্চ থেকে শুরু হয় অসহযোগ আন্দোলন। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে রেসকোর্স ময়দানে লাখো জনতার উদ্দেশে এক ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদান করেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, অনন্য বাগ্মিতা ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞায় ভাস্বর ওই ভাষণে বাঙালির আবেগ, স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষাকে একসূত্রে গেঁথে বঙ্গবন্ধু বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। ঐতিহাসিক সেই ভাষণের ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেন বাঙালি জাতির বহুকাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা। দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা অর্জন করি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ পৃথিবীর কালজয়ী ভাষণগুলোর অন্যতম। একটি ভাষণ কীভাবে গোটা জাতিকে জাগিয়ে তোলে, স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উৎসাহিত করে, বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণ তার অনন্য উদাহরণ। বাংলার মানুষের সাথে বঙ্গবন্ধুর আত্মার সম্পর্ক ছিল। তাই, তার ভাষণে মূলত মানুষের মনে কথাগুলো ফুটে উঠেছিল। বঙ্গবন্ধুর এই ঐতিহাসিক ভাষণ কেবল আমাদের নয় বিশ্বব্যাপী স্বাধীনতাকামী মানুষের জন্যও প্রেরণার চিরন্তন উৎস হয়ে থাকবে।


আরও খবর



আরব সাগরে নৌকাডুবিতে ১২ জেলে নিহত

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পাকিস্তানের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, আরব সাগরে মাছ ধরার নৌকা ডুবে ১২ জন পাকিস্তানি জেলে নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন আরও ২ জেলে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি আজ ১৩ মার্চ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ১২ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দেশটির নৌবাহিনী এখনও নিখোঁজ দুই জেলের সন্ধান করছে।

এর আগে গত ৫ মার্চ মাছ ধরার নৌকাটি সাগরে ডুবে যায়। এরপর হেলিকপ্টার, জাহাজ এবং স্পিডবোট সহযোগে দক্ষিণ সিন্ধু প্রদেশের জলসীমায় অনুসন্ধান কাজ শুরু করেন উদ্ধারকারী দল।

পাকিস্তান সামরিক বাহিনী এর আগে বলেছিল, প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে ভারতীয় সীমান্তের হাজামরো খাঁড়ির কাছে খোলা সমুদ্রে ৪৫ জন ক্রুসহ নৌকাটি উল্টে যায়।


আরও খবর



আমেরিকায় জাহাজের ধাক্কায় সেতু ভেঙে নিহত ৬

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরেজাহাজের ধাক্কায় সেতু ভেঙে ছয়জন নিহত হয়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন দেশটির কর্মকর্তারা। যদিও তাদের উদ্ধারে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

গতকাল মঙ্গলবার সকালে একটি কার্গো জাহাজের ধাক্কায় গুরুত্বপূর্ণ ওই সেতুটি ভেঙে পড়ে। এতে করে বেশ কয়েকটি গাড়ি পানিতে পড়ে যায়। তখন থেকে ছয়জন ব্যক্তি নিখোঁজ রয়েছেন। কর্মকর্তাদের আশঙ্কা তারা মারা গেছেন।

মেরিল্যান্ডের গভর্নর জানিয়েছেন, ব্রিজের সাথে ধাক্কা লাগার কিছুক্ষণ আগে জাহাজের পাইলটরা মে ডে অর্থাৎ জরুরি বিপদ বার্তা পাঠিয়েছিলেন, যার ফলে কর্তৃপক্ষ অনেক মানুষের জীবন বাঁচাতে পেরেছেন। তিনি বলেন, আমরা নিশ্চিত করে বলতে পারি, জাহাজের নাবিকরা তাদের বিদ্যুৎ সঞ্চালন সমস্যা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিল। 

মোর বলেন ব্রিজের প্রধান দুটি কলামের একটির ধাক্কা খাওয়ার আগে, সিঙ্গাপুর পতাকাবাহী কন্টেইনার জাহাজ ডালির নিজস্ব কোন পাওয়ার ছিল না। নাবিকদের বিপদ বার্তার কারণে পরিবহন কর্মকর্তারা ব্রিজের উপর দিয়ে যাওয়া আন্তঃরাজ্য হাইওয়ে বন্ধ করে দিতে পেরেছিলেন।

গভর্নরের দাবি, তারা সব নায়ক। তারা গত রাতে মানুষের জীবন বাঁচিয়েছেন।


আরও খবর



জিম্মি ২৩ নাবিককে উদ্ধারে লাগতে পারে দীর্ঘ সময়

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এম ভি আব্দুল্লাহ জলদস্যুদের কবলে পড়ে মঙ্গলবার দুপুরে। যা সোমালিয়া উপকূল থেকে প্রায় ৬'শ নটিক্যাল মাইল দূরে আন্তর্জাতিক জলসীমায়। যা অবাক করেছে সাবেক মেরিনারদের। 

নিজের এক অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে সাবেক মেরিনার ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ জিয়াউল হক জানান, সাধারণত নিজেদের সমুদ্র সীমায় ছোট ছোট স্পিডবোটে ব্যবহার করে জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় জলদস্যুরা। তবে আব্দুল্লাহর ক্ষেত্রে ঘটেছে ব্যতিক্রম। দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে আন্তর্জাতিক জলসীমায় এসে ছিনতাই করে এই জাহাজটিকে।

এখন বড় প্রশ্ন জাহাজ ও নাবিকদের মুক্ত করতে কতদিন লাগবে? সাবেক এই মেরিনার বলছেন, সব প্রক্রিয়া শেষ করে নাবিকদের ছাড়া পেতে লাগতে পারে ১ থেকে ৪ মাস পর্যন্ত। কেননা, মুক্তিপণ দাবির পর তা নিয়ে দরকষাকষিসহ নানা প্রক্রিয়া রয়েছে। এর আগে ২০১০ সালে এই কবির গ্রুপেরই জাহাজ জাহান মণি মুক্তি পেতে লেগেছিল ১০০ দিন।

বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফির্সাস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন আনাম চৌধুরী বলেন, নানা প্রক্রিয়া শেষ করে সব নাবিকসহ জাহাজটিকে মুক্ত করতে বেশ সময় লাগতে পারে। এক্ষেত্রে কূটনৈতিক তৎপরতার পাশাপাশি সমঝোতাই মুক্তির মূল উপায়।

সাবেক মেরিনারদের মতে, মুক্তিপণ পাওয়ার সম্ভাবনা দেখলে কোন নাবিকেরই ক্ষতি করে না জলদস্যুরা। তাই, এমভি আবদুল্লাহর ক্ষেত্রেও যেহেতু মালিক প্রতিষ্ঠান সব কিছু করতে আগ্রহী, তাই ২৩ নাবিকসহ জাহাজটি ছাড়িয়ে আনার ব্যাপারে আশাবাদী তারা। 


আরও খবর



ফেনীতে র‍্যাবের হাতে ধরা পড়লো ৯ চাঁদাবাজ

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাজিব মাসুদ, ফেনী

Image

ফেনীতে চাঁদাবাজি করার সময় পৃথক অভিযানে র‍্যাবের হাতে ৯ চাঁদাবাজ ধরা পড়েছে। শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিকেলে জেলার বিভিন্ন সড়কে সিএনজি চালিত অটোরিকশাসহ বিভিন্ন পরিবহন চালকদের কাছ থেকে তারা অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করছিল।

চাঁদাবাজি করার সময় র‍্যাবের হাতে আটক ব্যক্তিরা হলেন - ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার উত্তর যশপুর গ্রামের ওবায়দুল হকের ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম (৪১), বাঁশপাড়া গ্রামের মো. ইব্রাহিমের ছেলে মো. ছলিম (৩৪), আবুল কালামের ছেলে মো. আরাফাত, মাখু মিয়ার ছেলে আলম (৪৫), দক্ষিণ মটুয়া গ্রামের মো. মিয়ার ছেলে মো. আরাফাত (২৩), পশ্চিম ছাগলনাইয়ার আবুল কাশেমের ছেলে মো. আজিম উদ্দিন (২৬), বাঁশপাড়া গ্রামের জাফর আহমেদের ছেলে মো. রেজাউল করিম (৪২), ইব্রাহিম দিপ্তির ছেলে মো. আবুল হাশেম খোকন (৪২), আধাঁর মানিক গ্রামের রহিম উল্লাহর ছেলে মো. শফিক (৪৫) ও আবুল হাশেমের ছেলে মো. আনোয়ার (৪২)।

র‍্যাব-৭ ফেনী ক্যাম্প জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‍্যাব জানতে পারে যে কতিপয় ব্যক্তি ফেনীর বিভিন্ন সড়কে সিএনজি চালিত অটোরিকশাসহ বিভিন্ন পরিবহন চালকদের কাছ থেকে অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করছে। এরপর র‍্যাবের একটি দল শুক্রবার বিকেলে পৃথক অভিযান চালিয়ে চাঁদাবাজির সময় ৯জনকে আটক করে। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশি করে বিভিন্ন গাড়ি থেকে আদায়কৃত চাঁদার নগদ ২২ হাজার ৬০০ টাকা এবং চাঁদা আদায়ের বিপুল পরিমাণ ভুয়া রশিদ বই উদ্ধার করা হয়।

আটককৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তারা পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘ দিন ধরে ফেনীর ছাগলনাইয়া পৌরসভার বিভিন্ন পরিবহন চালকদের ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে জোরপূর্বক চাঁদাবাজি করে আসছিল।

ফেনীস্থ র‍্যাবের কোম্পানি অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম জানান, আটকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ছাগলনাইয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর