আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

‘পোড়াহারা’ বিল লাল গালিচার এক রাজ্য

প্রকাশিত:শনিবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

গাজীপুর শহর থেকে একটু দূরে সবুজ-শ্যামল ছায়ায় ঘেরা একটি গ্রাম নীলের পাড়া। এ গ্রামেই রয়েছে ছোট-বড় অনেক খাল-বিল। এসব বিলে বর্ষা এলেই ভরে যায় শাপলা। সব রঙের শাপলা থাকলেও লাল শাপলা বেশি। বিশেষ করে এই গ্রামের পোড়াহারা বিলে শাপলা ফোটে বেশি। নয়নাভিরাম অপরূপ লাল শাপলার শোভা। দিগন্তজুড়ে যতোদূরে চোখ যায় মনে হয় লাল গালিচার কোনো এক রাজ্য। শাপলার এমন সৌন্দর্যে মুগ্ধ হতে ছুটে আসেন হাজারো প্রকৃতিপ্রেমী ও ভ্রমণপিয়াসী।

রোদ ঝলমলে বিলের জলে প্রভাতে রঙ-বেরঙের শাপলায় মুগ্ধ না হয়ে উপায় নেই। লাল শাপলার রঙিন পোশাক আর সাদা শাপলার দুধরঙা শুভ্রতায় প্রকৃতি এখানে ছড়িয়ে রেখেছে ভিন্ন এক রূপের বাহার। শাপলার বিছানো পাতায় শামুকের চুপিচুপি হেঁটে চলা আর ছোট ছোট মাছের আনাগোনা এনে দেয় ভিন্ন আমেজ।

এই গ্রামের প্রাণেশ চন্দ্র মন্ডল, বিকাশ চন্দ্রসহ অনেকেই বর্ষা মৌসুমে ভোরে ডিঙি নৌকায় বিলগুলো থেকে শাপলা তুলে বিক্রি করে থাকেন। খুব ভোরে সবাই শাপলা তুলতে যান। কেননা রোদের আলোয় শাপলা ফুল চুপসে যায়। ভাওয়াল কলেজের শিক্ষার্থী হারুন-অর-রশিদ বলেন, শাপলার সৌন্দর্য আমাকে সবসময় মুগ্ধ করে। প্রিয় মানুষটির খোঁপায় গুঁজে দিতে ইচ্ছে করে। এখানে ঘুরতে আসি প্রতিবছর। এখানে ঘুরতে এসেই গুনগুনিয়ে গাইতে থাকি তুমি সুতোয় বেঁধেছো শাপলার ফুল, নাকি তোমার মন...

গাজীপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মন্ডল মাধব চন্দ্র বলেন, আমাদের গ্রামটি আসলেই সুন্দর। গ্রামের আনাচকানাচে ফুটে থাকে অসংখ্য লাল শাপলা। শাপলা প্রজাতির মধ্যে প্রায় তিনটি প্রজাতিই এখানে দেখতে পাওয়া যায়। এর মধ্যে লালটাই বেশি মুগ্ধকর। তবে এবার বর্ষার পানি কম হওয়ার শাপলার বংশবৃদ্ধি একটু কম হয়েছে।

গাজীপুর সরকারি মহিলা কলেজ প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী অন্ত্রিলা রাণী মন্ডল অঞ্জনা বলেন, আমাদের গ্রামটি শাপলা ফুলের জন্য পরিচিত। অনেকেই আসেন ঘুরতে, কেউ কেউ এসে ফুল নিয়ে চলে যান। রাতের আঁধারে ফুটে থাকা শাপলা সকালে দেখতে খুবই মায়াবি লাগে। লাল শাপলা আরো মনোমুগ্ধকর।

নিউজ ট্যাগ: পোড়াহারা বিল

আরও খবর



ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ধান শুকানো নিয়ে সংঘর্ষে আহত অর্ধশত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ রাসেল আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

Image

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ধান শুকানোর খলা দখল নিয়ে দুপক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষে আহত হয়েছে পুলিশসহ অন্তত ৫০ জন।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের নারী-পুরুষ ও পুলিশসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গ্রামের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় কাঞ্চন গ্রুপ ও জিয়াউল আমিন গ্রুপের মধ্যে পূর্ব বিরোধ ছিল। এর জের ধরে সকালে কাঞ্চন গ্রুপের মান্নান মিয়ার সঙ্গে জিয়াউল আমিন গ্রুপের রশিদ মিয়ার ধান শুকানোর খলা দখল নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়। এর জের ধরে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এ সময় ৫ পুলিশসহ উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়। আহতদের পার্শ্ববর্তী উপজেলা ভৈরবসহ আশপাশের বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

সরাইল থানার ওসি এমরানুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ কাঁদানো গ্যাসে ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থল থেকে এ পর্যন্ত ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে। গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় একজন এসআইসহ ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।


আরও খবর



লোকচক্ষুর আড়ালে আন্তদেশীয় তৎপরতায় কুকি চিন

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ। মাত্র দুই বছর আগে আত্মপ্রকাশ করা সশস্ত্র এই গোষ্ঠীটি কায়েম করেছে ত্রাসের রাজত্ব। দেশের পার্বত্য অঞ্চলে হঠাৎ মাথাচাড়া দেয়া এই পাহাড়ি সংগঠন এখন যেন এক ত্রাসের নাম।নিজেদের ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে নিয়মিতই আপলোড করে থাকে চোরাগোপ্তা হামলার ছবি-ভিডিও।

শুধু বাংলাদেশের পাহাড়ই নয়; কুকি জনগোষ্ঠীর সশস্ত্র হামলায় বিপর্যস্ত ভারতের মণিপুর রাজ্য। ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা ছাড়াও তারা জড়িয়ে পড়েছে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায়। মিয়ানমারের চিন প্রদেশেও সশস্ত্র তৎপরতা চালিয়ে আসছে, স্থানীয় কুকি-চিন জনগোষ্ঠী।

দুর্গম সীমান্ত আর তিন দেশের জটিল একটি ভৌগলিক সীমায় অবস্থানের সুযোগে, এক দেশে অভিযানের মুখে পড়লে সহজেই আশ্রয় নিচ্ছে অন্য দেশে। যাতে আঞ্চলিক ঝুঁকির মুখে পড়ছে গোটা অঞ্চল। বিশ্লেষকদের আশংকা অদূর ভবিষ্যতে আন্ত:দেশীয় সংগঠনে পরিণত হতে পারে, কেএনএফ। দেশে দেশে খুলতে পারে সশস্ত্র শাখা।

নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর অব. এমদাদুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, ত্রিদেশীয় একটি সম্মেলন এখানে আছে। চীনের একটি স্টেটের অংশ এসে মিশছে ওইদিকের মিজোরাম এবং বান্দরবান দিয়ে। ওখানে নোম্যানস ল্যান্ডের মত একটি এলাকা আছে, যেখানে তারা চাইলেই যোগাযোগ করতে পারে। এটা যদি এখন থেকেই দমন করা না হয় তবে আমাদের সার্বিক নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়তে পারে।

কেএনএফের পেছনে কোনো আন্তর্জাতিক মদদ রয়েছে কি না, প্রশ্ন উঠছে সে বিষয়টি নিয়েও। ভারত, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে বসবাসরত কুকি-চিনরা খ্রিস্ট ধর্ম মেনে চলায়; এ সব অঞ্চল নিয়ে আন্তর্জাতিক শক্তিগুলো কোন দাবার চাল চালছে কি না তা খতিয়ে দেখার পরামর্শ বিশ্লেষকদের। এজন্য বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার কার্যক্রম নজরদারিতে রাখার কথাও বলছেন তারা।

এমদাদুল ইসলাম বলেন, পাহাড়ে বেশ কিছু এনজিও যারা সবসময় এদেরকে মদদ দেয়, উৎসাহ দেয়। এ বিষয়গুলো নজরদারিতে রাখা অবশ্য উচিত।

কেএনএফের তৎপরতা রুখতে সীমান্তে গোয়েন্দা নজরদারি ও তথ্য বিনিময় বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন, এই নিরাপত্তা বিশ্লেষক।

নিউজ ট্যাগ: কুকি চিন

আরও খবর



বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় শুরু মহা-সাংগ্রাই উৎসব

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

বর্ষবরণকে ঘিরে এখন বর্ণিল সাজে পাহাড়ি জনপদ বান্দরবান। পাহাড়ে তিন সম্প্রদায়ের বড় সামাজিক উৎসব সাংগ্রাই। জেলায় বসবাসরত ১২টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সম্প্রদায়ের প্রায় প্রতিটি ঘরে এখন উৎসবমূখর পরিবেশ। এর মধ্যে বৃহত্তর জনগোষ্ঠী মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রাই উৎসব শুরু হয়েছে আজ।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে বান্দরবান শহরের ঐহিত্যবাহী রাজারমাঠ এলাকা থেকে একটি বর্ণাঢ্য মঙ্গলশোভাযাত্রা বের করা হয়। এতে পাহাড়ি সম্প্রদায়গুলোর ঐতিহ্যবাহী পোশাকে শোভাযাত্রায় অংশ নেন মারমা, চাকমা, ম্রো, ত্রিপুরাসহ ১১টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্টি সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষসহ বাঙালিরাও। শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন সাবেক পার্বত্য মন্ত্রী ও ৩০০ নং আসনের সংসদ সদস্য বীর বাহাদুর উশৈসি।

এ সময় তিনি সকলকে বাংলা নববর্ষ ও সাংগ্রাই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, বান্দরবানে সম্প্রীতি, বন্ধুত্ব সব কিছুই আছে। তাই পরিবেশ এর প্রশ্ন তোলার কোনো প্রয়োজন নেই।

শান্তি সম্প্রীতির জন্য প্রধানমন্ত্রীকে বান্দরবানবাসীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি আরও বলেন- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সু-নেতৃত্বের কারণেই আজকে পার্বত্য অঞ্চলে সুখ, সমৃদ্ধি, শান্তি বজায় রয়েছে। আগামীতে সকল দল মতের মানুষ শান্তিতে এগিয়ে যাবে।

পরে বান্দরবান ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটে গিয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ পূজা অনুষ্ঠিত হয়। বয়স্ক পূজার মধ্য দিয়ে সমাজের প্রবীণ ব্যক্তিদের সন্মান জানানো হয়।

আগামীকাল রোববার (১৪ এপ্রিল) বিকেলে সাঙ্গু নদীর তীরে বৌদ্ধমূর্তি স্নান এবং সোম ও মঙ্গলবার স্থানীয় রাজার মাঠে সাংগ্রাইয়ের অন্যতম আকর্ষণ ঐতিহ্যবাহী জলকেলি বা পানি খেলা উৎসবে হাজারো মানুষের সমাগম ঘটবে। পারস্পরিক মৈত্রীর বন্ধন অটুট রাখা এবং পুরাতন বছরের গ্লানি মুছে ফেলাই হচ্ছে এ জলকেলির মূল উদ্দেশ্য।

নানা আয়োজনে চলবে মারমা সম্প্রদায়ের এই সাংগ্রাই উৎসব উদযাপন। ১৬ এপিল সন্ধ্যায় বিহারে বিহারে সমবেত প্রার্থনার মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটবে মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী ৪ দিনের এই সাংগ্রাই উৎসবের।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মো. রায়হান কাজেমী, বান্দরবান পৌর মেয়র মো. শামসুল ইসলাম, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অমল কান্তি দাশ প্রমূখ।


আরও খবর



টেকনাফ থেকে আবারও ৮ জনকে অপহরণ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে আবারও ৮ জনকে অপহরণ করা হয়েছে। বুধবার (২৭ মার্চ) সকালে টেকনাফের হোয়াইক্যং রৈক্ষ্যং বাদিবন্যা পাহাড়ি এলাকায় জঙ্গল কাটতে ও গরু চরাতে গিয়ে তারা অপহৃত হন।

অপহৃতরা হলেন- টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের করাচিপাড়া এলাকার বেলালের দুই ছেলে জুনাইদ (১২) ও মোহাম্মদ নূর (১০), একই এলাকার লেদুর ছেলে শাকিল (১৫), শহর আলীর ছেলে ফরিদ আলম (৩৫), নুরুল ইসলামের ছেলে আকতার (২৫), নাজির হোসেনের ছেলে ইসমাইল প্রকাশ সোনায়া (২৪), রৈক্ষং এলাকার কালা মিয়ার ছেলে ছৈয়দ হোছাইন বাবুল (৩৩) এবং একই এলাকার আকবরের ছেলে ফজল কাদের (৪৫)।

অপহরণ হওয়া শাকিলের বাবা লেদু মিয়া বলেন, প্রতিদিনের মতো আমার ছেলে শাকিল গরু চরাতে যায় হোয়াইক্যং বাদিবন্যা পাহাড়ে। দুপুরে অপহরণকারী আমাকে ফোন করে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। আমি গরিব মানুষ মাটি কেটে সংসার চালাই। টাকা না দিলে ছেলেকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে তারা। আমার ভাই ফরিদ আলমও অপহরণের শিকার। প্রশাসনের কাছে ভাই ও ছেলেকে জীবিত উদ্ধারের দাবি জানাই। 

টেকনাফ মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনি জানান, তিনি মুক্তিপণ দাবি করার বিষয়টি জানেন না।

এর আগে ২১ মার্চ ভোরে হ্নীলার পানখালীর পাহাড়ি এলাকা থেকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি হন পাঁচ কৃষক। পরে মুক্তিপণ দিয়ে ফেরত আসেন তারা। ৯ মার্চ হ্নীলার পূর্ব পানখালী এলাকা থেকে মাদরাসাছাত্র ছোয়াদ বিন আব্দুল্লাহকে (৬) অপহরণ করা হয়। তবে এখনও তাকে উদ্ধার করা যায়নি।

জানা যায়, গত এক বছরে টেকনাফের পাহাড়ি এলাকা থেকে ১০৩ জনকে অপহরণ করা হয়। তাদের মধ্যে ৫২ জন স্থানীয় বাসিন্দা এবং ৫১ জন রোহিঙ্গা।

নিউজ ট্যাগ: টেকনাফ

আরও খবর



নির্বাচনের আগে সরকারের সঙ্গে লাইন দেওয়া ব্যক্তিদের তালিকা আছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নির্বাচনের আগে সরকারের সঙ্গে কতজন লাইন দিয়েছিল সেই তালিকা আছে। শুক্রবার (২২ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচনের আগে যারা সরকারের সঙ্গে লাইন দিয়েছিল, তারা মিডিয়ার সামনে এসে নানান কথা বলা শুরু করেছে। বেশি কথা বললে আপনাদের অনেক কিছু রেকর্ড করা আছে, সবকিছু ফাঁস করে দেব। নির্বাচনের সময় কতজন লাইন দিয়েছিল সেই তালিকাও আমাদের কাছে আছে।

তিনি বিএনপির উদ্দেশ্যে বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে মূলত বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে। যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধচারণ করেছে, তারাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে।

তিনি বলেন, আজকে দেশ যখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে, সমগ্র পৃথিবী যখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করছে, তখনই বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সেই রাজনৈতিক অপশক্তি আবারও দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতিকে ভেস্তে দেওয়ার চেষ্টা করছে। দেশকে পেছনে নিয়ে যাওয়ার জন্য ষড়যন্ত্র করছে। এজন্য বিএনপি টেক ব্যাক বাংলাদেশ বলে স্লোগান দেয়। অর্থাৎ তারা বাংলাদেশকে পেছনে নিয়ে যেতে চাচ্ছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ইউনূসের উদ্দেশ্যে বলেন, বিএনপি দেশের গণতন্ত্রকে বারবার ধ্বংস করতে চেয়েছে। গত নির্বাচনের আগেও তারা  প্রতিহত করার ডাক দিয়েছে। সেই রাজনৈতিক অপশক্তি বিএনপির সঙ্গে কিছু ব্যক্তিবিশেষও যুক্ত হয়েছেন। তিনি দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দরিদ্র দেশ এবং পিছিয়ে পড়া দেশ হিসেবে উপস্থাপন করে পুরস্কার গ্রহণ করেন। দেশে বন্যা হলে তাকে দেখা যায় না। দেশে যখন মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করা হয়, তখন তার কোনো বক্তব্য শোনা যায় না। দেশে যখন কোনো দুর্যোগ হয়, তখন তিনি বিদেশে ব্যস্ত থাকেন পুরস্কার নেওয়ার জন্য। পৃথিবীতে যত ধরনের পুরস্কার আছে, সব জায়গায় তার লবিস্টরা যোগাযোগ করে পুরস্কার নিয়ে আসে। যাকে দেশের কোনো কাজে পাওয়া যায় না, তাকে এ রকম পুরস্কার দেওয়া অত্যন্ত হাস্যকর।

আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, বিএনপি ও জামায়াত নির্বাচনকে ভণ্ডুল করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু তাদের (বিএনপি-জামায়াত) সেই অপচেষ্টা ভেস্তে গেছে। দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও আন্তর্জাতিক মানের উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সে কারণে পৃথিবীর ৮০টি রাষ্ট্রপ্রধান শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও শেখ হাসিনাকে চিঠি লিখে অভিনন্দন জানিয়েছে। পৃথিবীর ৩২টি আন্তর্জাতিক সংস্থা শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে।

সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লায়ন চিত্ত রঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাদাত হোসেন টয়েলের সঞ্চালনলায় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, সাংস্কৃতিক প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান, আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার প্রমুখ।


আরও খবর
বিএনপির আন্দোলন এখনো শেষ হয়নি: রিজভী

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪