
রাস্তা থেকে তুলে
নিয়ে গিয়ে এক পোশাককর্মীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন ৪ ব্যক্তি। ধর্ষণ শেষে নির্যাতনের শিকার
নারীকে বিবস্ত্র করে কাপড় ছিড়ে, হাত-পা বেঁধে চালানো হয় নির্যাতন। এরপর মুখে বিষ ঢেলে,
ব্লেড দিয়ে শরীর চিরে পানিতে চুবিয়ে হত্যাচেষ্টা চালানো হয় ওই নারীকে। তখন স্থানীয়
লোকজন ঘটনাটি দেখে ফেললে অভিযুক্তরা ওই নারীকে অচেতন অবস্থায় ফেলে রেখে সেখান থেকে
পালিয়ে যায়।
বর্বর নির্যাতনের
এ ঘটনা ঘটেছে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের বিধাই গ্রামে। দুই দিন ধরে
নির্যাতিত ওই নারী হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন
ওই গ্রামের নাজমুল (৩০), রফিকুল (৫০), শহিদ (৪৫) ও খোকন (৪০)। এ ঘটনার পর থেকে তারা
পলাতক রয়েছেন।
শ্রীপুর থানার
উপ-পরিদর্শক (এসআই) তানসেন চৌধুরী বলেন, ‘জাতীয় জরুরি পরিষেবা
নম্বর-৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে মুমূর্ষু ও বিবস্ত্র অবস্থায় ওই নারীকে উদ্ধার করা হয়। তার
মুখ থেকে বিষের গন্ধ বের হচ্ছিল। শ্রীপুর হাসপাতালে এনে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া
হয়। তখন ওই নারী তার ওপর পাশবিক নির্যাতনের কথা জানান। অবস্থা আশঙ্কাকাজনক হওয়ায় তাকে
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ভিকটিমের ভাই-ভাবি
জানান, ওই নারী পার্শ্ববর্তী ভালুকা উপজেলার স্কয়ার মাস্টারবাড়ি এলাকায় একটি পোশাক
কারখানায় চাকরি করেন। গত সোমবার রাত পৌনে ৭টার দিকে প্রতিবেশী যুবক নাজমুল ওই নারীকে
জৈনা বাজার থেকে অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যান। এরপর বিধাই গ্রামের জনৈক রুস্তম আলীর বাড়ির
পাশে এলে অভিযুক্তরা একটি নির্মাণাধীন বাড়িতে ওই নারীকে নিয়ে যান।
তখন তাকে বিবস্ত্র
করে পরনের কাপড় দিয়ে হাত-পা বেঁধে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে ব্লেড দিয়ে হাত
ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে চিরে দেয়। এরপর ওই নারীর মুখে বিষ ঢেলে, পানিতে চুবিয়ে হত্যাচেষ্টা
চালানো হয়। তখন স্থানীয় কয়েকজন বিষয়টি দেখে ফেললে অভিযুক্তরা ওই নারীকে সেখানে ফেলে
পালিয়ে যান। প্রথমে স্থানীয়রা ওই নারীকে মৃত ভেবে পুলিশে খবর দেয়। এরপর শ্রীপুর থানা
পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
ভিকটিমের ভাই
অভিযোগ করে আরও জানান, একটি মোবাইল চুরির ঘটনার জের ধরে অভিযুক্তরা তার বোনকে তুলে
নিয়ে বর্বর নির্যাতন করেছে। তার বোনের প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। তাকে রক্ত দিতে হচ্ছে।
গত দুই দিন ধরে তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।
শ্রীপুর থানার
পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান আমাদের সময়কে বলেন, ‘নির্যাতনের শিকার
ওই নারীর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ভিকটিমের পক্ষ থেকে অভিযোগ
পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।