ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটায় ভর্তিতে শর্ত শিথিলের দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেছেন কর্মকর্তারা। শনিবার (৫ আগস্ট) সকাল নয়টা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করেন তারা। এর আগে গত ২৬ জুলাই একই দাবিতে কর্মবিরতি করেছিলেন কর্মকর্তারা।
কর্মবিরতি চলাকালে দাবি মানা নাহলে আরও কঠোর কর্মসূচির হুশিয়ারি দেন তারা। এসময় ক্যাম্পাস থেকে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ রুটে শিক্ষক পরিবহনের বাসগুলো আধঘণ্টা দেরিতে ছেড়ে যায়।
আন্দোলনকারী কর্মকর্তারা জানান, ভর্তি পরীক্ষায় ৩০ নম্বর পেলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারেন। পোষ্য কোটার ক্ষেত্রেও একই শর্ত রাখা হয়েছে। তাহলে কোটাধারীদের সুবিধাটা কোথায়? পোষ্য কোটাধারী হাতেগোনা কয়েকজন শিক্ষার্থী ন্যূনতম যোগ্যতায় ভর্তির সুযোগ পেলে আহামরি কোনো ক্ষতি হবে না বলেও দাবি করেন তারা।
কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি এটিএম এমদাদুল আলম বলেন, পেয়ে আসা অধিকার পোষ্য কোটাসহ বিশ্ববিদ্যালয় সকল অনিয়ম, দুর্নীতির বিচার ও আইন সবার জন্য সমান বিবেচনা করে প্রশাসন পরিচালনা করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে উপাচার্য ও কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আসছি। কিন্তু আল্টিমেটলি আমরা কোন ফল পাচ্ছি না। দুর্নীতি ও গতিহীনতার মধ্যদিয়ে প্রশাসন পরিচালিত হচ্ছে। অনেক দুর্নীতির অডিও ফাঁসের পরও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। এতে আমরা সকলে হতবাক হয়েছি। আমরা সকলে একত্র হয়ে সমস্ত কিছুর বিচার চাচ্ছি।
তিনি জানান, প্রশাসনের কাছে অনেকবার স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে, কিন্তু বিষয়টি প্রশাসন আমলে নিচ্ছে না। সুষ্ঠু ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে প্রশাসন চলুক এটাই চাওয়া।