বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ খাতকে বিশ্বমানে উন্নয়নের লক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং জেনটিয়াম সলিউশন ও লাইভস্টক সার্ভিস অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার উন্নত প্রযুক্তি বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ খাতে ব্যবহার করার উদ্দেশে এই চুক্তি হয়েছে। এই চুক্তি স্বাক্ষরের পরিপ্রেক্ষিতে এখন এর সম্ভাব্যতা যাচাই করা হবে।
রবিবার (২৩ জুলাই) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এতে স্বাক্ষর করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব ড. নাহিদ রশীদ, জেনটিয়াম সলিউশন প্রাইভেট লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. ইকতেদার হাসান মুরাদ ও লাইভস্টক সার্ভিস অস্ট্রেলিয়ার পরিচালক জন থম্পসন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐকান্তিক ইচ্ছা ও উদ্যোগে ১৯৭৩ সালে গবাদিপশুতে যুগান্তকারী কৃত্রিম প্রজনন প্রযুক্তি প্রবর্তন ও ব্যাপকভাবে সম্প্রসারণের মাধ্যমে গবাদিপশুর জাত উন্নয়ন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির বহুমাত্রিক কার্যক্রম গ্রহণ করার ফলে দেশি গরুর উন্নয়ন ঘটেছে। প্রথমে অস্ট্রেলিয়ান গরু বাংলাদেশে এনে এদেশের গরুর জাত সমৃদ্ধকরণ শুরু হয়।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব বলেন, অস্ট্রেলিয়ার উন্নত প্রযুক্তি কিভাবে বাংলাদেশে ব্যবহার করা যায় তারই উদ্যোগে এই চুক্তি হয়েছে। কারণ, অস্ট্রেলিয়ার লাইভস্টক খাত খুবই উন্নত। অস্ট্রেলিয়ার অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে আমাদের দেশে লাইভস্টক খাত আরও উন্নত করা সম্ভব।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নৃপেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ, তোফাজ্জলে হোসেন, এ. টি.এম. মোস্তফা কামাল, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরচিালক, ডা. মলয় কুমার শূর।
জেনটিয়াম সলিউশনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র উপদেষ্টা কায়কোবাদ হোসেন, উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ বেলায়তে হোসেন, পরিচালন অধিকর্তা ইফতখোর হাসান তারেক, পরিচালক কেভিন প্যাট্রিক হিগিন্স, ব্যবসা উন্নয়ন পরিচালক ড. আরফিুল হক, ব্যবসায়িক সহযোগী আন্তোনিও গিয়াচি, ব্যবসা উন্নয়ন পরার্মশদাতা মোহাম্মদ হোসাইন কেনি এবং লাইভস্টক সার্ভিস অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক জন থম্পসন, জ্যেষ্ঠ পরার্মশদাতা মার্ক লুইস, প্রকল্প পরিচালক ড. বেন মাদিন।