আজঃ মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

প্রার্থিতা ফিরে পেতে সুপ্রিম কোর্টে শামীম-শাম্মী-এনামুল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

বাতিল হওয়া প্রার্থিতা ফিরে পেতে ফরিদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শামীম হক ও বরিশাল-৪ আসনের শাম্মী আহমেদ হাইকোর্টে বিফল হওয়ার পর এবার আপিল বিভাগে আবেদন করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগ রয়েছে। অন্যদিকে ঋণখেলাপির অভিযোগে যশোর-৪ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এনামুল হকের রিট খারিজের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় তিন প্রার্থীর রিট খারিজের বিরুদ্ধে আবেদন করা হয়েছে। এদের আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, রিট খারিজের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেছি। এসব বিষয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগ এনে শামীম হকের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে আপিল করেছিলেন ফরিদপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যবসায়ী এ কে আজাদ। শামীম হক নেদারল্যান্ডসের নাগরিক বলে অভিযোগ আনেন তিনি। এরপর শুনানি শেষে ১৫ ডিসেম্বর আপিল মঞ্জুর করে শামীম হকের মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেয় ইসি। তার বিরুদ্ধে রিট করেন শামীম হক। সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. ইকবাল কবির ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তার রিট সরাসরি খারিজ করে দেন।

এছাড়াও বরিশাল-৪ শাম্মী আহমেদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী পঙ্কজ দেবনাথ পরস্পরের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে আপিল করেছিলেন ইসিতে। শাম্মী আহমেদ অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক হলেও তা গোপন করেছেন বলে অভিযোগ ছিল পঙ্কজের। ঢাকার অস্ট্রেলিয়া দূতাবাসের সহায়তায় শাম্মী আহমেদের অস্ট্রেলিয়ার দ্বৈত নাগরিকত্ব সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে জরুরি ভিত্তিতে ১৪ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে পাঠানোর পর ১৫ ডিসেম্বর শাম্মী আহমেদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়।

অন্যদিকে, প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে যশোর-৪ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এনামুলের হকের করা রিট সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. ইকবাল কবির ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এম হারুনুর রশীদ খান।


আরও খবর



সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচীর নববর্ষ উদ্‌যাপন, যা বলল ডিএমপি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলা নববর্ষ উদ্‌যাপনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকার যে নির্দেশনা জারি করেছিল তা উপেক্ষা করে নববর্ষ উদ্‌যাপন করেছে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠান সমাপ্ত করা সংক্রান্ত সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ করা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করার বিষয়টিকে অত্যন্ত অনভিপ্রেত ও বিব্রতকর বলে মন্তব্য করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে ডিএমপি বলেছে, পহেলা বৈশাখ বাংলা ও বাঙালি জাতির প্রাণের উৎসব। সব ধর্মের মানুষের কাছে এটি একটি সর্বজনীন উৎসব। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবারই উৎসব উদ্‌যাপনে থাকে বিশেষ প্রস্তুতি। বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম ধারক ও বাহক যেন এই দিনটি। বিশেষত দিনটি রঙিন হয়ে ওঠে বাঙালি পোশাকে-আশাকে, আয়োজনে এবং আপ্যায়নে। কিন্তু ইতোপূর্বে বিভিন্ন সময়ে বাঙালি সংস্কৃতির ধারক এই পহেলা বৈশাখ উদ্‌যাপনের ওপর উগ্রবাদী আঘাত এসেছে। বারবার চেষ্টা করা হয়েছে সংস্কৃতি যাত্রাকে ব্যাহত করার।

এতে বলা হয়, উগ্রবাদের এই ভয়াল থাবা বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে বিভিন্ন সময়ে আক্রমণ করেছে ,আঘাত করেছে সৃজনশীল ও সংস্কৃতমনা মানুষদের। উগ্রবাদীদের এই নৃশংসতায় প্রাণ দিয়েছেন অনেক কবি, সাহিত্যিক, অধ্যাপক, ব্লগারসহ মুক্তমনা এবং রুচিশীল ব্যক্তিত্ব। সর্বোপরি, জঙ্গি সংগঠনগুলোর টার্গেট হলো বাঙালি সংস্কৃতির অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করে দেশের মধ্যে একটি অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করা যা তাদের কার্যক্রমে স্পষ্টরূপে প্রতীয়মান হয়।

ডিএমপি বলছে, এদেশে প্রথম জঙ্গি হামলা হয়েছিল ১৯৯৯ সালে, যশোরে উদীচীর অনুষ্ঠানে। পরবর্তীতে ২০০১ সালে রমনা বটমূলে ছায়ানটের অনুষ্ঠানে বোমা হামলা, একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা, যাত্রা প্যান্ডেলে বোমা হামলা, সিনেমা হলে বোমা হামলা, ১৭ আগস্টের সিরিজ বোমা হামলার পর বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় জঙ্গি হামলা হয় গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয়। এ সব হামলায় অনেক মানুষের মূল্যবান জীবনহানি হয়েছে এবং অনেকে পঙ্গু হয়েছেন। হামলা প্রতিরোধ করতে ও জনগণের জীবন বাঁচাতে গিয়ে পুলিশের অনেক সদস্য জীবন দিয়েছেন, আহত হয়েছেন বহুজন।

বিবৃতিতে বলা হয়, বিগত সময়ে ১৯৯৩ সালে (১৪০০ বঙ্গাব্দ) বাংলা শতবর্ষ উদ্‌যাপনে সরকার কর্তৃক বাঙালির এই আয়োজনে বাধাও প্রদান করা হয়েছিল। কিন্তু উগ্রবাদ দমনে বর্তমান সরকারের গৃহীত জিরো টলারেন্স নীতির ভিত্তিতে কার্যকর পদক্ষেপ ও পরিকল্পনা গ্রহণ করায় সারা বিশ্বে বাংলাদেশ আজ রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশে জঙ্গি তৎপরতা রোধে পুলিশ সবসময়ই তৎপর। প্রতিটি অনুষ্ঠানে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে সদা সতর্ক থাকায় পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে কোনো জঙ্গি হামলা বা সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটতে পারে নাই। বর্তমান সরকার সবসময়ে অসাম্প্রদায়িক বাঙালি সংস্কৃতিকে তার নিজস্ব আমেজে উদ্‌দযাপন করার ক্ষেত্রে আন্তরিক ও পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে আসছে।

ডিএমপি বলছে, উদীচীর মতো বিভিন্ন প্রগতিশীল সংগঠনগুলো সারা বছর যে অনুষ্ঠানগুলো আয়োজন করে থাকে তার নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ তথা সরকার নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে ও পেশাদারত্বের সঙ্গে সেগুলো বিবেচনা করে থাকে। পহেলা বৈশাখ উদ্‌যাপনের জন্য বাংলা নববর্ষ ভাতার ব্যবস্থাও করা হয়েছে যাতে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই মিলিত হয়ে আনন্দের সঙ্গে এই অনুষ্ঠান উদ্‌যাপন করতে পারে।

বিবৃতিতে বলা হয়, খুব স্বাভাবিকভাবেই নববর্ষ উদ্‌যাপনে নিরাপত্তা দেওয়া পুলিশের কর্তব্য। পুলিশের এই নিরাপত্তা কার্যক্রমে সব জনগণ সার্বিকভাবে সহযোগিতা করবেন এটাই কাম্য যেন আনন্দের এই অনুষ্ঠান বিষাদে পরিণত না হয়ে যায়।

এতে বলা হয়, নিরাপত্তা বিধানে প্রদত্ত প্রয়োজনীয় নির্দেশনা না মেনে তার বিরোধিতা করে অনুষ্ঠান করা খুবই দুঃখজনক এবং উদীচীর মতো প্রগতিশীল একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের কাছ থেকে যা কখনো কাম্য নয়।

ডিএমপির বিবৃতিতে বলা হয়, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী কর্তৃক সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে অনুষ্ঠান আয়োজন ও সেখানে প্রদত্ত বক্তব্য খুবই হতাশাজনক। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে তাদের এহেন কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই প্রত্যাশিত নয়। অতীতেও ঊদীচীর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সময়ে উগ্রবাদী হামলার ইতিহাস রয়েছে বিধায় উদীচী তাদের নিজেদের ও জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে ভবিষ্যতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্তৃক প্রদত্ত বিভিন্ন নিরাপত্তামূলক নির্দেশনার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবে বলে প্রত্যাশা।


আরও খবর



বাংলাদেশের স্বপ্ন ভঙ্গ, হোয়াইটওয়াশ এড়ালো জিম্বাবুয়ে

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়েকে বাংলাওয়াশ’ করার দুর্দান্ত সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। তবে শেষ পর্যন্ত সান্ত্বনার জয়ে লজ্জা এড়ালো রোডেশিয়ানরা। এই জয়ে ৪-১ ব্যবধান শেষ হলো বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ।

রবিবার (১২ মে) মিরপুরে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ তুলে বাংলাদেশ। দলের হয়ে ৪৪ বলে সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেন রিয়াদ। জবাবে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৮ দশমিক ৩ ওভারেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় জিম্বাবুয়ে।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দেখেশুনেই এগোতে থাকে সফরকারীদের দুই ওপেনার। তবে সাকিবের ওপর চড়াও হতে গিয়ে নিজের উইকেট বিলিয়ে দেন মারুমানি। এতে ৩৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় রোডেশিয়ানরা। সাকিবের আউট সাইট অফের ডেলিভারিতে তার স্টাম্প ভাঙেন জাকের আলী।

একপর্যায়ে সাকিব, মোস্তাফিজ, রিশাদ-ত্রয়ীতে বেশ চাপে পড়েছিল জিম্বাবুয়ে। ৬ ওভার হাত ঘুরিয়ে মোটে ১৩ রান দেন তারা। তবে পানি পানের বিরতির পর রিশাদের ওপর চড়াও হয়ে ১৬ রান তুলে নেয় সফরকারীরা।

টাইগার বোলারদের সামনে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি তুলে নেন বেনেট। ৩৬ বলে এই মাইলফলক পূর্ণ করেন তিনি। তাকে থামান সাইফউদ্দিন। তার শর্ট বলে তুলে মারতে গিয়ে মিডউইকেটে ধরা পড়েন এই ওপেনার। ফেরার আগে খেলেন ৪৯ বলে ৭০ রানের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস।

এরপর বাকি কাজটা সারেন দলপতি রাজা। তার ৪৬ বলে ৭২ রানের ইনিংসে ৯ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় সফরকারীরা। এই জয়ে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়ালো জিম্বাবুয়ে।

এর আগে, ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনিং জুটিতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। দলীয় ৯ রানেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন দুই ওপেনার সৌম্য (৭) ও তামিম (২)। এরপর ক্রিজে এসে থিতু হতে পারেননি হৃদয়ও। বেনেটের বলে কাট করতে গিয়ে কট বিহাইন্ড হন এই ব্যাটার। এতে ৪ দশমিক ১ ওভারেই ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ৬ ওভারে মাত্র ৩৩ রান তুলতে পারে বাংলাদেশ।

পরপর তিন উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ। তবে শুরুর সেই ধাক্কা সামলে ভিন্ন পথে দলকে এগিয়ে নেন মাহমুদউল্লাহ ও নাজমুল। এই জুটি ইনিংসের অষ্টম ওভারে ৫০ ছাড়ায় বাংলাদেশ।

তবে রিয়াদের সঙ্গে ৬৯ রানের জুটির পর আউট হয়ে যান শান্ত। সুইপ করতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিয়ে ২৮ বলে ৩৬ রানে ফেরেন টাইগার দলপতি।

শান্ত ফিরলেও সাকিবকে সঙ্গে নিয়ে দলীয় রানের গতি বাড়ান রিয়াদ। এই জুটিতে ইনিংসের ১৪তম ওভারে এসে দলীয় ১০০ পেরিয়ে যায় বাংলাদেশ।

তবে ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ১ হাজার রান পূর্ণ করার পর বেশিক্ষণ ক্রিজে স্থায়ী হতে পারেননি সাকিব। মিডউইকেটে দারুণ ডাইভে সাকিবের ক্যাচ নেন ক্যাম্পবেল জুনিয়র। এতে ১৭ বলে ২১ রান করে সাকিবকে ফিরতে হয়।

অন্যদিকে ইনিংসের ১৬তম ওভারে এসে ক্যারিয়ারের অষ্টম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ফিফটি তুলে নেন রিয়াদ। তবে ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। মুজারাবানির বলে রাজার হাতে ক্যাচ দিয়ে ১ ছক্কা ও ৬ চারে ৫৪ রানে ফেরেন মিডল-অর্ডার এই ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত জাকের আলীর ১১ বলে ২৪ রানের ক্যামিওতে ১৫৭ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় বাংলাদেশ।


আরও খবর



ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি: আইএইএ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ইরানে সরাসরি হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ভোরে দেশটির ইসফাহানে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এখানে একটি বড় বিমান ঘাঁটির পাশাপাশি রয়েছে পারমাণবিক স্থাপনাও।

তবে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ)। এছাড়া ইসফাহানের কাছে অবস্থিত পারমাণবিক স্থাপনাটি স্বাভাবিক ভাবে’ কাজ করছে বলে জানিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি।

আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা বলেছে, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় কোনো ক্ষতি হয়নি বলে তারা নিশ্চিত করতে পারে।

এক বিবৃতিতে সংস্থাটি বলেছে, আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার প্রধান রাফায়েল গ্রোসি সবার কাছ থেকে সর্বোচ্চ সংযমের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, পারমাণবিক স্থাপনাগুলো কখনোই সামরিক সংঘাতের লক্ষ্য হওয়া উচিত নয়।’

এদিকে ইসফাহানের কাছে পারমাণবিক স্থাপনাটি স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে’ কাজ করছে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় টিভি। ইরানের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন নিউজ নেটওয়ার্ক প্রেস টিভি জানিয়েছে, ইসফাহান শহরের কাছে অবস্থিত ওই পারমাণবিক স্থাপনায় বিস্ফোরণ বা ক্ষয়ক্ষতির কোনো চিহ্ন’ নেই।

প্রেস টিভির এই প্রতিবেদনে পারমাণবিক স্থাপনাটি চিহ্নিত করা হয়নি, তবে ইরানের প্রধান পারমাণবিক কেন্দ্রটি ইসফাহানের উত্তরে নাতাঞ্জ শহরে অবস্থিত। এই শহরটি আবার ইসফাহান প্রদেশের মধ্যে অবস্থিত।

এর আগে ইরানের আধা-সরকারি ফারস নিউজ এজেন্সি জানায়, শুক্রবার ভোরে ইরানের ইসফাহান শহরের উত্তর-পশ্চিমে একটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। ফারস জানিয়েছে, শহরের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে বিস্ফোরণটি ঘটেছে। তবে বিস্ফোরণের সম্ভাব্য কারণ সম্পর্কে কোনও ব্যাখ্যা দেয়নি এই নিউজ এজেন্সি।

ইরানের মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত এই ইসফাহান প্রদেশে একটি বড় বিমান ঘাঁটি, বড় ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন কমপ্লেক্স এবং বেশ কয়েকটি পারমাণবিক স্থাপনা রয়েছে।

এছাড়া ইসফাহানের পারমাণবিক স্থাপনা নিরাপদে’ রয়েছে বলে আগেই জানায় ইরানের আরেক রাষ্ট্রীয় টিভি ও সম্প্রচারকারী আইআরআইবি। নির্ভরযোগ্য সূত্র’কে উদ্ধৃত করে সংস্থাটি বলেছে, ইসফাহানের পারমাণবিক স্থাপনা সম্পূর্ণ নিরাপদ’।

অন্যদিকে ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভির সংবাদদাতা বলেছেন, ইসফাহান শহরও নিরাপদ’ রয়েছে।

নাতাঞ্জ পরমাণু কেন্দ্রটি এর আগেও অবশ্য নাশকতামূলক হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়েছে। ২০২১ সালে একই অবকাঠামোতে একটি নিয়ন্ত্রিত’ বিস্ফোরণের খবরও রিপোর্ট করা হয়েছিল।


আরও খবর



উত্তেজনার মধ্যেই ইরান সফরে উত্তর কোরিয়ার প্রতিনিধি দল

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের গাজাযুদ্ধ এবং ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এর মধ্যেই ইরান সফর করছে উত্তর কোরিয়ার একটি প্রতিনিধি দল।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, উত্তর কোরিয়ার আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশটির একটি প্রতিনিধি দল ইরান সফর করছে।

উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, দেশটির বৈদেশিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিষয়ক মন্ত্রী ইউন জং হোর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ইরান সফরের উদ্দেশ্যে বিমানে করে মঙ্গলবার পিয়ংইয়ং ত্যাগ করে। তবে ওই প্রতিবেদনে এর বেশি কিছু জানানো হয়নি।

পশ্চিমাদের সন্দেহ, উত্তর কোরিয়া এবং ইরান দীর্ঘদিন ধরে পরস্পরকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিতে সহযোগিতা করছে। তাদের ধারণা, এই ধরনের বিধ্বংসী অস্ত্র তৈরিতে প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং তৈরির বিভিন্ন উপাদান পরস্পরের মধ্যে বিনিময় করছে এই দুই দেশ।

ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য ইরান রাশিয়াকে বিপুল সংখ্যক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করেছে বলে গত ফেব্রুয়ারিতে প্রতিবেদনে দাবি করে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।

উত্তর কোরিয়া রাশিয়াকে ক্ষেপণাস্ত্র ও কামান সরবরাহ করেছে বলেও সন্দেহ করা হয়, যদিও উভয় দেশই এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারি তথ্যানুযায়ী, উত্তর কোরীয় মন্ত্রী ইউন জং হো এর আগে সিরিয়ার সাথে তার দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করেছেন। সেই সঙ্গে তিনি রাশিয়ার সাথে উত্তর কোরিয়ার ক্রমবর্ধমান আদান-প্রদানে সক্রিয় ছিলেন। কেসিএনএ’র তথ্যানুযায়ী, চলতি মাসের শুরুতেও মস্কো সফরে একটি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন তিনি।


আরও খবর



কৃষির উন্নয়নে সমবায় পদ্ধতি চালু করলে খাদ্যের অভাব হবে না: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কৃষির উন্নয়নে সমবায় পদ্ধতি চালু করতে পারলে জীবনেও খাদ্যের অভাব হবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শুক্রবার সকালে কৃষক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে গণভবনে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক সময় যারা নুন-ভাতের কথা বা ডাল ভাতের কথা চিন্তাও করতে পারত না, এখন তারা মাছ-মাংস ডিমের কথাও চিন্তা করে। যারা সমালোচনা করছেন তাদের এই বিষয়টিও মাথায় রাখা উচিত।

শেখ হাসিনা বলেন, এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে। নিজেদের খাদ্য নিজেরাই উৎপাদন করব। উদ্বৃত্ত থাকলে অন্যকে সাহায্য করব।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন বীজ উৎপাদন বিএডিসিসহ নানা গবেষণা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেই কৃষি গবেষণায় জোর দেয়। বীজ, মাছ, ধান, সবজিসহ বিভিন্ন ফসল উৎপাদন বাড়িয়ে বিদেশি নির্ভরতা কমিয়ে এনেছে আওয়ামী লীগ সরকার। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে আওয়ামী লীগ দেশের মানুষের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করছে।

সরকারপ্রধান বলেন, সরকার বছরে ২৬ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে। খাদ্য সংরক্ষণ, খাদ্য ব্যবস্থাপনায় কৃষকদের জন্য নতুন নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার। গবেষণার প্রতি গুরুত্ব দেওয়ার পাশাপাশি কৃষকদের প্রতি গুরুত্ব দেওয়ার ফলেই এদেশের কৃষি সমৃদ্ধ হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি কখনোই চায়নি এদেশ খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ হোক, তারা চেয়েছে অন্য দেশ থেকে ভিক্ষা করে দেশ চালাতে। সারাদেশে আটক নেতা কর্মীর সংখ্যা নিয়ে বিএনপির যে দাবি করছে তাতে কারাগারে আটক সব অপরাধীই যেন বিএনপির নেতাকর্মী।


আরও খবর