প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী টেকনাফ-উখিয়ায় আশ্রয় নেওয়ায় তাদের ভরণপোষণে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রবল চাপ সৃষ্টি হচ্ছে, ক্ষতি হচ্ছে প্রাকৃতিক পরিবেশের
রোহিঙ্গা নাগরিকদের প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টির কার্যকর কৌশল অবলম্বনের জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে আজ সোমবার সকালে এ আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।
এ সময় ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংকটের শুরু থেকে শেখ হাসিনা সরকার বিষয়টির শান্তিপূর্ণ সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা কামনা করে আসছে। কূটনৈতিক তৎপরতাও অব্যাহত রেখেছে। প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী টেকনাফ-উখিয়ায় আশ্রয় নেওয়ায় তাদের ভরণপোষণে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রবল চাপ সৃষ্টি হচ্ছে, ক্ষতি হচ্ছে প্রাকৃতিক পরিবেশের।’
ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অধিক সংখ্যক মানুষ বসবাস করায় সামাজিক পরিবেশ ও ভারসাম্য হুমকির মুখে পড়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মানবিক ও পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিশ্বের দীর্ঘতম বালুকাময় সৈকত ঘিরে পর্যটন শিল্পের ওপরেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।’
সেতুমন্ত্রী জানান, মিয়ানমারের প্রত্যাবাসন বিলম্বিত হওয়ায় সরকার ভাসানচরে অধিকতর সুযোগ-সুবিধা দিয়ে রোহিঙ্গা নাগরিকদের স্থানান্তরের উদ্যোগ নিয়েছে। এমন অবস্থায় যারা এরই মধ্যে ভাসানচরে গেছে, তারা স্বস্তি প্রকাশ করলেও কোনো কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বহুজাতিক গণমাধ্যম রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে জোরপূর্বক স্থানান্তরের কথা প্রচার করছে, যা সত্য নয়।যারা স্বেচ্ছায় যেতে চেয়েছে, কেবল তাদেরই স্থানান্তর করা হচ্ছে। কোনো ধরনের চাপ প্রয়োগ করে নয়।’