আজঃ শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

প্রবাসী আয় কমে যাওয়ার তিন কারণ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গত আগস্টে দেশে আসা প্রবাসী আয় বেশ বড় পরিমাণে কমেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আগস্টে ২১ দশমিক ৫৬ শতাংশ আয় কম এসেছে। সব মিলিয়ে এ মাসে প্রবাসী আয় এসেছে প্রায় ১৬০ কোটি মার্কিন ডলার, গত বছরের একই মাসে যার পরিমাণ ছিল ২০৪ কোটি ডলার। কোনো একক মাসে আয় এত কমে যাওয়ার ঘটনা সম্প্রতি ঘটেনি।

প্রবাসী আয় কমে যাওয়ায় নতুন করে চিন্তায় পড়েছেন ব্যাংকাররা। কারণ, ডলারসংকট নিয়ে এমনিতেই চাপে আছে বাংলাদেশ ব্যাংক, প্রতিনিয়ত কমছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ রিজার্ভ রাখার শর্ত দিয়েছিল। বর্তমানে তার চেয়ে কম রিজার্ভ রয়েছে।

ব্যাংকাররা বলছেন, আগের চেয়ে সম্প্রতি ঋণপত্র খোলা বেড়েছে, ফলে আমদানি দায় মেটাতে ভবিষ্যতে আরও বেশি ডলারের প্রয়োজন হবে। আবার সামনে সরকারি-বেসরকারি ঋণ পরিশোধও বাড়বে। তাই এমন সময়ে প্রবাসী আয় এতটা কমে যাওয়া সবার জন্য উদ্বেগের, আতঙ্কের।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা মনে করেন, বর্তমানে যে পদ্ধতিতে ডলারের দাম বাড়তে না দিয়ে স্থানীয় মুদ্রা টাকাকে শক্তিশালী করে রাখা হয়েছে, তাতে প্রবাসী আয় কমে যাচ্ছে। এই নীতি কোনোভাবেই কার্যকর হচ্ছে না। শীর্ষ কর্মকর্তারা বিষয়টি মানতে চাইছেন না, ফলে রিজার্ভেরও পতন ঠেকানো যাচ্ছে না।

গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত ব্যাংকগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) ও ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) মিলে রপ্তানি, প্রবাসী আয়সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ডলারের দাম নির্ধারণ করে দিচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরামর্শে সংগঠন দুটি প্রায় প্রতি মাসে ডলারের দাম নতুন করে নির্ধারণ করছে। তবে কাজটি করার ক্ষেত্রে বাজারের চাহিদা ও জোগান কতটা বিশ্লেষণ করা হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

চলতি মাস থেকে প্রবাসী আয়ের ক্ষেত্রে ডলারের দাম নির্ধারণ করা হয় ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা। এর আগে প্রবাসী আয়ের ডলার ১০৯ টাকায় বিক্রি করা যেত। কিন্তু খোলাবাজারে নগদ ডলারের দাম ক্রমাগত বাড়ছে, এখন বিদেশি এই মুদ্রা বিক্রি হচ্ছে ১১৭-১১৮ টাকায়।

অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের সাবেক চেয়ারম্যান আনিস এ খান বলেন, আনুষ্ঠানিক মাধ্যমে প্রবাসী আয় বাড়াতে হলে বাজারদর অনুযায়ী ডলারের বিনিময় হার ঠিক করতে হবে। বর্তমানে নির্ধারিত বাজারদরের সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। খোলাবাজার ও নির্ধারণ করা দামের মধ্যে পার্থক্য অনেক বেশি। এই অবস্থা যত দিন চলবে, তত দিন আনুষ্ঠানিক মাধ্যমে আসা প্রবাসী আয় বাড়বে না।

আনিস এ খান আরও বলেন, ডলারের দাম বাজারভিত্তিক বা ভাসমান করে দেওয়া উচিত। আইএমএফও তাদের বিভিন্ন বার্তায় এটা করতে বলেছে। ডলারের দাম ভাসমান করা হলে প্রাথমিকভাবে হয়তো ডলারের দাম বাড়বে, হয়তো ১২০-১৩০ টাকায় চলে যাবে। তবে একপর্যায়ে তা ঠিক হয়ে যাবে।

দেশে প্রবাসী আয়ের প্রবাহ নিয়ে উদ্বেগ অবশ্য একেবারে নতুন নয়। এই আয় বা রেমিট্যান্স কিছুদিন ধরেই কমছে বা খানিকটা ওঠানামার মধ্যে আছে। তবে ছয় মাসের মধ্যে গত আগস্টেই প্রবাসী আয় এসেছে সবচেয়ে কম। ব্যাংকারদের সঙ্গে কথা বলে প্রবাসী আয় কমে যাওয়ার কয়েকটি কারণ চিহ্নিত করা গেছে।

প্রথমটি হলো, ব্যাংকগুলোতে কী দামে ডলার কেনা ও বেচা হচ্ছে, তা যাচাইয়ের জন্য আগস্ট মাসে বাংলাদেশ ব্যাংকের কয়েকটি পরিদর্শক দল কিছু ব্যাংক পরিদর্শন করেছে। এ কারণে বেশির ভাগ ব্যাংক বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে বেশি দরে প্রবাসী আয় কিনতে পারেনি। দেখা গেছে, যেসব ব্যাংকে পরিদর্শক দল যায়নি, ওই ব্যাংকগুলোর কয়েকটির মাধ্যমে প্রবাসী আয় বেশি এসেছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের কড়াকড়ির কারণে সামগ্রিকভাবে প্রবাসী আয় কম এসেছে।

দ্বিতীয়ত, আগস্ট মাসে ব্যাংকের মাধ্যমে আসা প্রবাসী আয়ে প্রতি ডলারের বিপরীতে সর্বোচ্চ ১০৯ টাকা দেওয়া হয়েছে। এর আড়াই শতাংশ সরকারি প্রণোদনা ধরে হয় সর্বোচ্চ ১১১ টাকা ৭২ পয়সা। তবে বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, এ সময় হুন্ডির মাধ্যমে আসা প্রতি ডলারে ১১৭-১১৮ টাকা দাম পাওয়া গেছে। এই কারণেও আয় কমেছে।

তৃতীয় কারণটি হলো, জুনের শেষে কোরবানি ঈদ ছিল। এরপরের কয়েকটি মাসে এমনিতেই কম অর্থ দেশে পাঠান প্রবাসীরা। কারণ, কোরবানির সময় অনেকেই দেশে আসেন। এরপর বিদেশে ফিরে যেতে দু-তিন মাস সময় লেগে যায়। আবার নতুন অনেক জনশক্তি রপ্তানি হলেও আয় পাঠাতে তাঁরা প্রায় ছয় মাস সময় নেন। কারণ, চাকরি ও কাজ পেতে সময় লাগে। আবার বিদেশে গিয়ে থাকা-খাওয়ার খরচ মেটাতে অনেকে হিমশিম খান। এর ফলে সামগ্রিকভাবে আয় কমে গেছে।

মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, কোনো একক মাসে প্রবাসী আয় এত কমে যাওয়াটা উদ্বেগজনক। কারণ, এখন ডলারের খুবই প্রয়োজন। দেশের আর্থিক হিসাব ঋণাত্মক হয়ে আছে, রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করতে হচ্ছে।

বাজার বিশ্লেষকদের উদ্ধৃত করে সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ডলারের দাম বাজারভিত্তিক করা হলে প্রবাসী আয় বাড়বে। আমার মনে হয়, পরিস্থিতি বিবেচনা করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে।


আরও খবর



যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসতে মরিয়া বিএনপি: কাদের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাদের নেতারা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বিবৃতিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিবৃতির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির বোধগম্য হয় না যে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের কাতারে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করে; জনকল্যাণে পরিকল্পনা গ্রহণ ও কর্মসূচি নির্ধারণ করে। আমরা সর্বদা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি গণবিরোধী রাজনীতি করে আসছে। রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালে তারা জনগণকে শত্রুজ্ঞান করে শাসন-শোষণ ও অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়েছিল। সন্ত্রাস ও উগ্র-জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে সারা দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। আর এখন সাংবিধানিকভাবে বৈধ ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগারের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করে জনগণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাওয়ার অপচেষ্টা করছে।

বিএনপি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে সরকারবিরোধী তথাকথিত আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস-সহিংসতার পথ বেছে নেয় বলে দাবি করে কাদের বলেন, বিএনপি ও তার দোসরদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনী সরকারের সুসমৃণ পথচলা এবং দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের মাধ্যমে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। তাদের প্রধান লক্ষ্যবস্তু দেশের জনগণ ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ।

কাদের বলেন, আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, পূর্বের ধারাবাহিকতায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের নামেও তারা অগ্নি সন্ত্রাসের মাধ্যমে নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে। আর দেশের আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী ও মহামান্য আদালত জনগণের নিরাপত্তা ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহণ করলে বিএনপি নেতারা সেটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালায়।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি প্রকৃতপক্ষে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন, সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া তাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত। বিএনপি ক্ষমতায় থেকে নিজেদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনীর পাশাপাশি বাংলা ভাইয়ের মতো দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীর সৃষ্টি করেছিল এবং তাকে রক্ষা করার জন্য বাংলা ভাই মিডিয়ার সৃষ্টি বলে উড়িয়ে দিয়েছিল। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার জনগণের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে বদ্ধপরিকর।

বিবৃতিতে কাদের বলেন, শেখ হাসিনা জগদ্দল পাথরের মতো জেঁকে বসা বিচারহীনতার সংস্কৃতির অর্গল ভেঙে বিচারের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। সন্ত্রাসী বা অপরাধী যে-ই হোক তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। রাজনৈতিক বক্তব্যের আড়ালে সন্ত্রাসীদের রক্ষার অপকৌশল সফল হবে না।

নিউজ ট্যাগ: ওবায়দুল কাদের

আরও খবর
আরও ৬১ নেতাকে শোকজ বিএনপির

বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4




ভারতীয় তিন কোম্পানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইরানের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কে জড়িত থাকায় তিনটি ভারতীয় কোম্পানিসহ এক ডজনেরও বেশি সংস্থা, ব্যক্তি এবং জাহাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, ইরানের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে অবৈধ বাণিজ্য থাকা এবং ড্রোন সরবরাহের কারণে ওই তিনটি কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া ইরানের কাছ থেকে যেসব ড্রোন পেয়েছে তা গোপনে বিক্রিতে সহায়তা করেছে নিষেধাজ্ঞা পাওয়া কোম্পানিগুলো। ইরানের এ বাণিজ্যিক কাজকে সামনে থেকে সমর্থন দিয়েছে ইরানি কোম্পানি সাহারা থান্ডার। এর সঙ্গে জড়িত থাকায় তিনটি ভারতীয় কোম্পানিকে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়।

এ কোম্পানিগুলো হলো জেন শিপিং, পোর্ট ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড এবং সি আর্ট শিপ ম্যানেজমেন্ট (ওপিসি) প্রাইভেট লিমিটেড। সাহারা থান্ডার ইরানি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং আর্মড ফোর্সেস লজিস্টিকসের পক্ষ থেকে চীন, রাশিয়াসহ একাধিক দেশে ইরানি পণ্য বিক্রয় এবং চালান করে থাকে।

চলতি মাসের শুরুতে সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ইরানের কয়েকজন শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা নিহত হন। ওই হামলার জবাবে গত ১৩ এপ্রিল রাতে ইসরাইলকে লক্ষ্য করে তিনশত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। এরপর ইরানের ওপর প্রথম দফায় নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির ড্রোন প্রযুক্তি ও উৎপাদন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও কোম্পানিকে লক্ষ্য করে ১৯ এপ্রিল এই নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়।

মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, গত ১৩ এপ্রিল ইসরাইলে হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে, ইরানের এমন ইউএভি বা ড্রোন উৎপাদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ১৬ ব্যক্তি ও দুটি সংস্থাকে লক্ষ্য করে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।


আরও খবর



রাফায় ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে বৈশ্বিক পদক্ষেপ চায় জাতিসংঘ

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার শেষ নিরাপদস্থল রাফাহ শহরে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল। প্রথমে দেশটির পক্ষ থেকে বলা হয় জিম্মি চুক্তি করলে রাফাহতে হামলা করা হবে না। তবে হামাসের সঙ্গে চুক্তি হোক বা না হোক এখন ইসরায়েল রাফাহতে হামলা চালাবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু।

এই অবস্থায় রাফাহতে হামলার বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। পাশাপাশি রাফাহতে ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।

বার্তা সংস্থা আনাদোলু এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরে সামরিক অভিযানের বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবার্তা দিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। আরও বেসামরিক হতাহতের ঘটনা এবং বাস্তুচ্যুতি রোধে পদক্ষেপ নিতে ইসরায়েলের ওপর প্রভাব’ রয়েছে এমন দেশগুলোর প্রতি মঙ্গলবার আহ্বান জানান তিনি।

গুতেরেস এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, রাফাহতে সামরিক হামলা হলে তা পরিস্থিতি অসহনীয়ভাবে উত্তপ্ত করবে, আরও হাজার হাজার বেসামরিক লোক প্রাণ হারাবে এবং হাজার হাজার মানুষকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করবে।’ পরিস্থিতির গুরুত্বকে তুলে ধরে তিনি জোর দিয়ে বলেন, রাফাহতে সামরিক হামলা শুধুমাত্র গাজার ফিলিস্তিনিদের ওপর ধ্বংসাত্মক প্রভাব ফেলবে’ তা নয়, বরং পুরো অঞ্চল জুড়ে তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাব ফেলবে।

জাতিসংঘের প্রধান গত বছরের ৭ অক্টোবরের পর গাজায় ক্রমবর্ধমান মানবিক পরিস্থিতির ওপর জোর দিয়ে বলেন, গাজায় মানবিক যুদ্ধবিরতি, সমস্ত বন্দিদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি এবং মানবিক সহায়তায় ব্যাপক বৃদ্ধির’ জন্য তিনি ধারাবাহিকভাবে আহ্বান জানালেও তা শোনা হয়নি। তার কথায় গাজার জনগণের স্বার্থে, ইসরায়েলি বন্দি এবং তাদের পরিবারের স্বার্থে এবং এই অঞ্চল ও বিস্তৃত বিশ্বের স্বার্থে আমি ইসরায়েলি সরকার এবং হামাস নেতৃত্বকে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য জোরালোভাবে উৎসাহিত করছি।’

গাজায় গণকবরের বিষয়ে স্বাধীন ও আন্তর্জাতিক তদন্তের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে গুতেরেস বলেন, ফরেনসিক দক্ষতাসহ স্বাধীন আন্তর্জাতিক তদন্তকারীদের এই গণকবরগুলোর জায়গায় অবিলম্বে প্রবেশের অনুমতি দেয়া অপরিহার্য, যাতে সুনির্দিষ্ট কারণ উদঘাটন করা যায় যে, ঠিক কোন অবস্থায় শত শত ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন এবং তাদের কবর দেয়া হয়েছে।’


আরও খবর



কমানোর একদিন পরই বাড়ল সোনার দাম

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সোনার দাম সামান্য কমানোর একদিন পর আবারও বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। ভালো মানের সোনার ভরিতে ৬৩০ টাকা বাড়ানো হয়েছে।

এখন ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৪২৮ টাকা। এর আগে দাম ছিল ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৮ টাকা।

রোববার (২১ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বাজুস জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার দাম বেড়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ বিকেল সাড়ে ৩টা থেকেই নতুন দাম কার্যকর করা হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

এদিকে অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী, বর্তমানে ২২ ক্যারেটে প্রতি ভরি রুপার দাম ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা।


আরও খবর



মিয়ানমারের কারাগার থেকে দেশে ফিরলেন ১৭৩ বাংলাদেশি

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

মিয়ানমারের কারাগারে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগ শেষে ১৭৩ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। গভীর সাগরে অবস্থানরত মিয়ানমার প্রতিরক্ষা বাহিনীর নেভাল শিপ চিন ডুইন’ জাহাজ থেকে এসব বাংলাদেশিদের নিয়ে বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর একটি জাহাজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুর ১টা ২০ মিনিটের দিকে কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া ঘাটে এসে পৌঁছে।

এর আগে বুধবার বেলা ১১টার দিকে মিয়ানমারের প্রতিনিধিদলটি কক্সবাজার এসে পৌঁছেছেন। প্রতিনিধি দলটি কক্সবাজার পৌঁছার পর পরই ঘাট থেকে গাড়ি যোগে রওয়ানা হয়েছেন বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায়। যেখানে বিজিবির অধীনে রয়েছেন বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয়রত মিয়ানমারের সেনা বাহিনী ও বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ২৮৫ সদস্য। তাদের গ্রহণ করে বৃহস্পতিবার মিয়ানমার ফেরত যাবে প্রতিনিধি দলটি।

বুধবার বেলা ১১টা দিকে নুনিয়ারছড়া আসেন জাতীয় সংসদের হুইপ ও কক্সবাজার ৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল। তিনি বলেন, দুপুরে ১৭৩ বাংলাদেশী ঘাটে এসে পৌঁছতে পারেন। যারা মিয়ানমারের কারাগারে ভিন্ন মেয়াদে সাজা শেষ করে সরকারের প্রচেষ্টায় ফিরছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছেন, ১৭৩ জনের মধ্যে ১২৯ জন কক্সবাজার জেলার, ৩০ জন বান্দরবান জেলার, সাতজন রাঙামাটি জেলার, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, রাজবাড়ী, নরসিংদী ও নীলফামারী জেলার একজন করে। ইতোমধ্যে ফেরত আসাদের অপেক্ষায় ঘাটে ভিড় করছেন স্বজনরা।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহাফুজুল ইসলাম জানিয়েছেন, ফেরত আসাদের বিজিবি গ্রহণ করে পুলিশকে হস্তান্তর করবে। তারপর যাচাই-বাছাই শেষে স্ব স্ব থানার পুলিশের মাধ্যমে মিয়ানমার ফেরত বাংলাদেশিদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্র বলছে, রাখাইন রাজ্যে সংঘাতের কারণে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আসতে বাধ্য হওয়া মিয়ানমারের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ সফররত মিয়ানমার নেভাল শিপ চিন ডুইন’ ১৭৩ বাংলাদেশিদের বহন করে মঙ্গলবারই যাত্রা দিয়েছে। এর মধ্যে ১৪৪ জন কারাগারে পূর্ণ মেয়াদে সাজা ভোগ করেছেন। অপর ২৯ জন মিশনের প্রচেষ্টায় ক্ষমা পেয়ে বাংলাদেশে ফেরত আসছেন।

মূলত এসব বাংলাদেশিদের নিয়ে আসা মিয়ানমারের জাহাজটি বৃহস্পতিবার সকালেই বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয়রত মিয়ানমারের সেনা বাহিনী ও বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ২৮৫ সদস্যকে নিয়ে ফেরত যাবেন।

মিয়ানমারের ২৮৫ সদস্যকে ফেরত নেওয়ার প্রক্রিয়ার জন্যই মিয়ানমারের প্রতিনিধিদলটি নাইক্ষ্যংছড়ি গেছে।

গত বছরের শেষ থেকে রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমার সেনা বাহিনী ও বিজিপির সঙ্গে বিদ্রোহী আরাকান আর্মির গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। আরাকান আর্মির হামলায় গত কয়েক মাসে দেশটির কয়েকটি সরকারি বাহিনীর কয়েক শত সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।

এর মধ্যে ১৯ এপ্রিল এক দিনে নতুন ২৪ জন, ১৬ এপ্রিল ৬৪ জন, ১৪ এপ্রিল ১৪ জন, গত ৩০ মার্চ ৩ জন ও ১ মার্চ ১৭৭ জন বিজিপি ও সেনাসদস্য পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে।

এরও আগে ফেব্রুয়ারির শুরুতে কয়েক দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন আরও ৩৩০ জন। যাদের গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ৩৩০ জনকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।

প্রথম দফায় ফেরতের সময় ঘটনাস্থলে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রবেশ এবং সংশ্লিষ্টরা কথা বললেও এবার তা হচ্ছে না। ফেরত আসা বাংলাদেশিদের গ্রহণ এবং ২৮৫ জনকে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শেষ করে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষে প্রেসব্রিফিং করে বিস্তারিত জানানো হবে।


আরও খবর