আজঃ সোমবার ০৬ মে ২০২৪
শিরোনাম

প্রবৃদ্ধিতে ফিরেছে মার্কিন অর্থনীতি

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ অক্টোবর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) দৃঢ়ভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে মার্কিন অর্থনীতি। টানা দুই প্রান্তিকে সংকোচনের পর প্রবৃদ্ধিতে ফিরেছে দেশটির মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি)। অর্থাৎ এটি ইঙ্গিত দেয় যে, অর্থনীতি মন্দার মধ্যে ছিল না। যদিও ফেডারেল রিজার্ভ আক্রমণাত্মকভাবে সুদের হার বাড়ানোর কারণে অভ্যন্তরীণ চাহিদা দুই বছরের সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ পদক্ষেপ বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতিতে মন্দার ঝুঁকি বাড়িয়েছে।

টরন্টোভিত্তিক আর্থিক পরিষেবা প্রতিষ্ঠান বিএমও ক্যাপিটাল মার্কেটসের একজন জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ সাল গুয়াটিয়েরি বলেন, বাইরে থেকে হয়তো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির একটি সংখ্যা দেখা যাচ্ছে। তবে মার্কিন অর্থনীতির জন্য ভয়াবহ একটি চিত্র অপেক্ষা করছে। অতীত ও ভবিষ্যতে সুদের হার বৃদ্ধির পদক্ষেপের প্রভাব এখনো দেখা দিতে পারে। সব মিলিয়ে আগামী বছরের প্রথমার্ধে মার্কিন অর্থনীতি মন্দায় পড়তে প্রস্তুত বলে মনে হচ্ছে।

জুলাই-সেপ্টেম্বরে মার্কিন জিডিপি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে। এর আগে বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) দশমিক ৬ শতাংশ এবং বছরের প্রথম তিন মাসে দেশটির অর্থনীতি ১ দশমিক ৬ শতাংশ হারে সংকুচিত হয়েছিল। রয়টার্সের জরিপে অর্থনীতিবিদরা পূর্বাভাস দিয়েছিলেন তৃতীয় প্রান্তিকে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ৪ শতাংশ হবে। তৃতীয় প্রান্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি ও রফতানির ব্যবধান তীব্রভাবে সংকুচিত হয়েছে। চাহিদার সঙ্গে সংগতি রেখে পণ্য আমদানি কমিয়ে দেয়ায় বাণিজ্য ঘাটতিও নিম্নমুখী হয়েছে। এ সময়ে দেশটির রফতানিও বেড়েছে। বাণিজ্য ঘাটতি কমার বিষয়টি জিডিপি প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ৭৭ শতাংশীয় পয়েন্ট যুক্ত করেছে। এ হার ১৯৮০ সালের তৃতীয় প্রান্তিকের পর সবচেয়ে বেশি।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক কার্যক্রমে প্রায় ৭০ শতাংশ অবদান রাখা ভোক্তা ব্যয় বছরওয়ারি হিসাবে ১ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়েছে। দ্বিতীয় প্রান্তিকে ২ শতাংশের তুলনায় ভোক্তা ব্যয়ে প্রবৃদ্ধির হার আরো ধীর হয়েছে। সর্বশেষ প্রান্তিকে রফতানি জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে বড় অবদান রেখেছে। এ সময়ে মার্কিন পণ্যের রফতানি গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৪ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়েছে। ২ দশমিক ৪ শতাংশ সরকারি ব্যয় বৃদ্ধিও এক্ষেত্রে সহায়তা করেছে। গত বছরের শুরুর দিকের পর প্রথমবারের মতো সরকারি ব্যয় ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে।

জুলাই-সেপ্টেম্বরে আবাসন খাতের বিনিয়োগে ধস নেমেছে। এ সময়ে বছরওয়ারি হিসাবে আবাসন বিনিয়োগে ২৬ শতাংশ পতন হয়েছে। এ নিয়ে টানা ষষ্ঠ মাসের প্রান্তিকে আবাসিক বিনিয়োগ সংকুচিত হয়েছে। ফেডারেল রিজার্ভ আক্রমণাত্মকভাবে সুদের হার বাড়ানোর কারণে ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে বন্ধকি ঋণের হার। এ ধরনের অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তায় বিনিয়োগকারীরা সতর্ক অবস্থান অবলম্বন করছেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংক চলতি বছরের এখন পর্যন্ত পাঁচবার সুদের হার বাড়িয়েছে এবং আগামী সপ্তাহে ও ডিসেম্বরে আরো সুদের হার বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছে। ফেডের প্রধান জেরোম পাওয়েল সতর্ক করেছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদের হার বৃদ্ধির পদক্ষেপ উচ্চ বেকারত্ব এবং সম্ভবত একটি মন্দার মতো প্রভাব তৈরি করবে। অর্থনীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠান হাই ফ্রিকোয়েন্সি ইকোনমিকসের প্রধান মার্কিন অর্থনীতিবিদ রুবেলা ফারুকি একটি নোটে লিখেছেন, আগামীর দিকে তাকালে বিশেষ করে ভোগের ক্ষেত্রে ঝুঁকি রয়ে গিয়েছে। কারণ পরিবারগুলো উচ্চমূল্যস্ফীতির চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে এবং কর্মসংস্থানের বাজার ধীর হয়ে যাচ্ছে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, মূল্যস্ফীতি এখনো চার দশকের সর্বোচ্চে থাকায় স্থির মূল্যবৃদ্ধি পরিবারগুলোর ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে। একই সময়ের ক্রমবর্ধমান সুদের হার আবাসন বাজারকে সংকুচিত করছে এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বড় ধরনের বিপর্যয়ের ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ যত দীর্ঘ হবে বিশ্ব অর্থনীতির দৃষ্টিভঙ্গি ততই নেতিবাচক হবে।


আরও খবর



সোমবার ঢাকা আসবেন কাতারের আমির, সই হবে ৬ চুক্তি ও ৫ স্মারক

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

রাষ্ট্রীয় সফরে সোমবার (২২ এপ্রিল) বাংলাদেশ সফরে আসছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন-হামাদ আল থানি। এদিন বিকেলে দুদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে একটি বিশেষ ফ্লাইটে তার ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে। সফরকালে দুই দেশের মধ্যে ছয়টি চুক্তি এবং পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন রাষ্ট্রীয় অতিথি কাতারের আমির শেখ তামিমকে অভ্যর্থনা জানাবেন। পরদিন মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাতারের আমিরকে তার কার্যালয়ে অভ্যর্থনা জানাবেন। এদিন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দুই নেতার বৈঠক হবে এবং এরপর আরও একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

পরে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার চুক্তি সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন এবং যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কাতারের আমির। সেখানে পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর শেষে আমির মঙ্গলবার বিকেলে বঙ্গভবনের উদ্দেশে যাত্রা করবেন এবং রাষ্ট্রপতি তাকে অভ্যর্থনা জানাবেন।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনের দরবার হলে কাতারের আমিরের সম্মানে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদও কাতারের আমিরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।

এছাড়া মঙ্গলবার বিকেলে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির নামে রাজধানীর একটি সড়ক ও একটি পার্কের নামকরণ করা হবে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আওতাধীন মিরপুরের কালশী এলাকায় পার্ক এবং মিরপুর ইসিবি চত্বর থেকে কালশী ফ্লাইওভার পর্যন্ত সড়কের নামফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন কাতারের আমির।

নির্বাচিত ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সদস্যদের সঙ্গে একান্ত একটি বৈঠকও করবেন দেশটির আমির। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় একটি বিশেষ ফ্লাইটে তার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করার কথা রয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানাবেন।

সরকার এক গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে দুই দিনের বাংলাদেশ সফরে কাতারের আমিরকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে ঘোষণা করেছে। তাকে স্বাগত জানাতে সব প্রস্তুতি নিয়েছে বাংলাদেশ। সফর উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতারের আমিরের ছবি দিয়ে ঢাকার কয়েকটি রাস্তা সাজানো হয়েছে।

প্রায় ১৯ বছর পর বন্ধুপ্রতীম দেশ কাতারের শীর্ষ পর্যায়ের কোনো ব্যক্তি ঢাকা সফরে আসছেন। ২০০৫ সালের এপ্রিলে কাতারের তৎকালীন আমির শেখ হামাদ বিন খলিফা আলে সানি বাংলাদেশ সফর করেন।


আরও খবর



পশ্চিমের সাথে সরাসরি সংঘাতের হুঁশিয়ারি রাশিয়ার

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইউক্রেনের জন্য মার্কিন, ব্রিটিশ এবং ফরাসি সামরিক সহায়তা বিশ্বকে বৃহত্তম পারমাণবিক শক্তিধর দেশগুলোর মাঝে সরাসরি সংঘর্ষের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিয়েছে। আর এই সংঘাতের অবসান ঘটতে পারে বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে। সোমবার রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ মস্কোতে এক সম্মেলনে এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

রুশ ও মার্কিন কূটনীতিকদের মতে, ১৯৬২ সালের কিউবান ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের পর ২০২২ সালে ইউক্রেনে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আক্রমণ রাশিয়ার সাথে পশ্চিমের সম্পর্ককে একেবারে তলানিতে নিয়ে গেছে।

মার্কিন আইনপ্রণেতারা ইউক্রেনে বিলিয়ন ডলারের অতিরিক্ত সামরিক সহায়তা বিলে অনুমোদন দেওয়ার দুদিন পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, রাশিয়ার ‘‘কৌশলগত পরাজয়’’ ঘটানোর ধারণা নিয়ে মগ্ন রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটো।

তিনি বলেছেন, ইউক্রেনের প্রতি পশ্চিমাদের সমর্থন রাশিয়াকে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সাথে সরাসরি সামরিক সংঘর্ষের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। রাশিয়ার এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পশ্চিমারা বিপজ্জনকভাবে পারমাণবিক শক্তিধর দেশগুলোর মাঝে সরাসরি সামরিক সংঘর্ষের বিষয়ে উসকানি দিচ্ছে; যা বিপর্যয়কর পরিণতিতে পরিপূর্ণ।

ল্যাভরভ বলেন, বিশেষ উদ্বেগের বিষয় হলো, পশ্চিমা পারমাণবিক শক্তিধর ট্রোইকা। যারা বিভিন্ন ধরনের উস্কানিমূলক পদক্ষেপের প্রধান উদ্যোক্তা। আর ট্রোইকাই অপরাধী কিয়েভের শাসকগোষ্ঠীর মূল পৃষ্ঠপোষক।’’ ট্রোইকা বলতে পশ্চিমা সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেওয়া তিন দেশ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সকে বোঝানো হয়। আমরা তাদের এই ধরনের কার্যক্রমে গুরুতর কৌশলগত ঝুঁকি দেখতে পাই। যার ফলে পারমাণবিক বিপদের মাত্রা বাড়ছে।

ইউক্রেনের সাথে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে রাশিয়া বারবার ক্রমবর্ধমান পারমাণবিক ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়ে আসছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, মস্কোর এই সতর্কতাকে গুরুত্ব সহকারে নিতে হবে। মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, তারা রাশিয়ার পারমাণবিক হুমকিতে কোনও পরিবর্তন দেখতে পায়নি।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পশ্চিমের ক্ষয়িষ্ণু পশ্চিমের সাথে শতাব্দীর পুরোনো যুদ্ধের অংশ হিসাবে ইউক্রেনে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেছেন, ১৯৮৯ সালে বার্লিন প্রাচীর পতনের পর ন্যাটোর বিস্তার রাশিয়ার ঐতিহাসিক প্রভাব বলয় গুঁড়িয়ে দিয়ে মস্কোকে অপমানিত করেছে।

নিউজ ট্যাগ: ভ্লাদিমির পুতিন

আরও খবর



সিলেট থেকে সরাসরি হজ ফ্লাইট শুরু ২২ মে

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিলেট প্রতিনিধি

Image

সিলেট থেকে সরাসরি হজ ফ্লাইট শুরু হচ্ছে ২২ মে। ওই দিন বিকেল সাড়ে ৩ টায় ৪১৯ জন হজযাত্রী নিয়ে বিমানের একটি ফ্লাইট মদিনার উদ্দেশে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যাবে। বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্সের ডিস্ট্রিক ম্যানেজার শাহনেওয়াজ মজুমদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

হজ এজেন্সিস অব বাংলাদেশ (হাব) সিলেট চ্যাপ্টারের সভাপতি ও লতিফ ট্রাভেলসের স্বত্বাধিকারী জহিরুল কবির চৌধুরী শীরু জানান, সিলেটের হজযাত্রীদের দুর্ভোগ বিবেচনায় বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্সের কাছে আমরা সরাসরি হজ ফ্লাইটের দাবি জানিয়ে আসছিলাম। এ ব্যাপারে বিমান কর্তৃপক্ষের কাছে হাব লিখিত আবেদন করে। যার প্রেক্ষিতে বিমান সিলেট থেকে সরাসরি ৫টি ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়। ফলে, সিলেটের দুই হাজারেরও অধিক হজযাত্রীকে ঢাকায় যেতে হচ্ছে না। এতে হজযাত্রীদেরও দুর্ভোগ অনেকাংশে লাঘব হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

বিমানের সিলেট অফিস সূত্র আরো জানায়, সিলেট অঞ্চলের হজযাত্রীদের দুর্ভোগের বিষয়টি মাথায় রেখে এবার সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৫টি হজ ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ৫টি ফ্লাইটে ৪১৯ জন করে মোট ২ হাজার ৯৫ হজযাত্রী পরিবহন করা হবে। প্রথম দিনের ফ্লাইট ছাড়া বাকি ফ্লাইটগুলো সিলেট-জেদ্দা রুটে পরিচালিত হবে। এই চারটি ফ্লাইটের শিডিউল হচ্ছে আগামী ১, ৩, ৬ ও ৯ জুন।

এফবিসিসিআই-এর সাবেক পরিচালক ও সিপার এয়ার সার্ভিসের স্বত্বাধিকারী খন্দকার সিপার আহমদ সিলেটবাসীর দাবি পূরণে ৫টি সরাসরি হজ ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়ায় সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান। বিমান কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত ওই ৫টি ফ্লাইট পরিচালনায় কোন ব্যত্যয় না ঘটালে সিলেট অঞ্চলের হজযাত্রীদের আসা-যাওয়া আরো সহজ ও নিরাপদ হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

হাব সিলেট চ্যাপ্টারের সভাপতি জহিরুল কবির চৌধুরী শীরু জানান, গত বছরের তুলনায় প্যাকেজের দাম কমলেও এবার সিলেট অঞ্চলে হজযাত্রী তেমন বাড়েনি। অতিরিক্ত খরচের কারণে হজ করা অনেকের সামর্থ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে। এবার সিলেট অঞ্চলের ৩৫টি ট্রাভেল এজেন্সির হজযাত্রীর নির্ধারিত কোটা পূরণ করতে হিমশিম খেতে হয়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দুতিনটি এজেন্সি মিলে একটির নামে হজের নিবন্ধন চালায়। শেষ পর্যন্ত এবার সিলেট থেকে হজযাত্রীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ২৫১ জনে। এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, করোনা মহামারির কয়েক বছর আগ থেকেই সিলেট অঞ্চলের হজ এজেন্সিগুলো তাদের নির্ধারিত হজযাত্রীর কোটা পূরণ করতে পারছে না। প্রাক নিবন্ধন সংক্রান্ত অসচেতনতাসহ নানা কারণে কমে যায় হজযাত্রীর সংখ্যা।

প্রসঙ্গত, ৯ মে ঢাকা থেকে এ বছরের হজ ফ্লাইট শুরু হচ্ছে। ঢাকা থেকে ওইদিন হজযাত্রীদের নিয়ে প্রথম ফ্লাইট সৌদি আরবের উদ্দেশে রওনা দেবে। এরপর শিডিউল অনুযায়ী পরবর্তী ফ্লাইটগুলো ছাড়া হবে। এ বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালন করতে যাবেন ৮৩ হাজার ২০২ জন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ৪ হাজার ৩০৭ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ৭৮ হাজার ৮৯৫ জন। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ১৬ জুন পালিত হতে পারে হজ।

নিউজ ট্যাগ: সিলেট

আরও খবর



বিরল সূর্যগ্রহণ আজ, খালি চোখে দেখা যাবে যে তিন দেশ থেকে

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বিরল সূর্যগ্রহণের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বিশ্ববাসী। সোমবার (৮ এপ্রিল) এই বিরল সূর্যগ্রহণের দেখা মিলবে। এদিন সূর্যকে চাঁদ পুরোপুরি ঢেকে ফেলবে। আর এ দৃশ্য খালি চোখে যাবে যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো এবং কানাডা থেকে। বিরল এ সূর্যগ্রহণ দেখতে প্রস্তুত এসব দেশের লাখ লাখ মানুষ।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আজ যেভাবে পূর্ণ সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে ২০৪৪ সালের মধ্যে এমনটি আর দেখা যাবে না। স্থানীয় সময় ১১টা ৭ মিনিটে মেক্সিকোর প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলে দেখা যাবে প্রথম সূর্যগ্রহণ। এরপর চাঁদের ছায়া আস্তে আস্তে সরে যাওয়ার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ২৭ মিনিটে দৃশ্যমান হবে সূর্যগ্রহণ।

বিরল এই সূর্যগ্রহণ দেখতে অনেক পর্যটক যুক্তরাষ্ট্রে ভিড় করেছেন। যেসব স্থান থেকে সরাসরি গ্রহণ দেখা যাবে, সেসব জায়গায় ছুটে যাচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। তাই যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে জারি করা হয়েছে সতর্কতা।

এদিকে বিরল এই সূর্যগ্রহণ খালি চোখে দেখা নিয়ে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা। পূর্ণ এই সূর্যগ্রহণ খালি চোখে দেখতে নিষেধ করা হয়েছে। কারণ এক্ষেত্রে চোখের ক্ষতি হতে পারে। এ জন্য বিশেষ ধরনের গ্লাস দিয়ে এটি দেখার আহ্বান জানানো হয়েছে। বিরল এই সূর্যগ্রহণ দেখার জন্য সাধারণ কোনো সানগ্লাস চোখের জন্য নিরাপদ হবে না। এতে চোখ স্থায়ীভাবে অন্ধ হয়ে যেতে পারে। এজন্য বিশেষভাবে তৈরি সানগ্লাস ব্যবহার করে সূর্যগ্রহণ দেখতে হবে।

নাসার তথ্যানুযায়ী বিশ্ববাসী এ বছর আরও একটি সূর্যগ্রহণ দেখার সুযোগ পাওয়া যাবে। চলতি বছরের ২ অক্টোবর দ্বিতীয় সূর্যগ্রহণ হবে। দক্ষিণ আমেরিকা, উত্তর আমেরিকা, অ্যান্টার্কটিকা, প্রশান্ত মহাসাগর, আটলান্টিক মহাসাগর এবং উত্তর আমেরিকা থেকে এর দেখা মিলবে।

নিউজ ট্যাগ: সূর্যগ্রহণ

আরও খবর



৬৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লবণ উৎপাদনের রেকর্ড

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

এবার লবণের উৎপাদন ৬৩ বছরের আগের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। মৌসুম শেষ হওয়ার সপ্তাহ দুয়েক বাকি থাকতেই এখন পর্যন্ত উৎপাদন হয়েছে ২২ লাখ ৩৯ হাজার মেট্রিক টন।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) কক্সবাজার লবণ শিল্পের উন্নয়ন কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক মো. জাফর ইকবাল ভুঁইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সর্বশেষ ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ২২ লাখ ৩২ হাজার ৮৯০ মেট্রিক টন লবণ উৎপাদিত হয়েছিল।

বিসিক সূত্র জানায়, রোববার ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, পটিয়া, কক্সবাজার, খুলনা, ঝালকাঠি ও চাঁদপুর এই আটটি জোনে উৎপাদন হয় ৩৮ হাজার ৯৭০ টন লবণ। গত বছরের একই দিনে উৎপাদন ছিল ৩০ হাজার ৮৯৫ টন। এবার এক লাখ টন লবণ উৎপাদন হওয়ার আশা করছে সংস্থাটি। মে মাসের মাঝামাঝি সময়কে চলতি মৌসুমের শেষ ধরে এই হিসাব করা হয়েছে।

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা লবণ চাষি কল্যাণ সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শফিক মিয়া বলেন, জানুয়ারির অর্ধেক পর্যন্ত লবণ উৎপাদন তেমন হয়নি; কিন্তু এখন বেশি হচ্ছে। কারণ খরা খুব বেশি। আরও ১০ থেকে ১৫ দিন এমন খরা থাকলে লবণ উৎপাদন বাড়বে।

বিসিকের কক্সবাজার লবণ শিল্পের উন্নয়ন কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক মো. জাফর ইকবাল ভুঁইয়া বলেন, মৌসুমজুড়ে দাবদাহ, ৬৮ হাজার ৩৫৭ একর জমির শতভাগে আধুনিক পলিথিন প্রযুক্তিতে চাষাবাদ এবং অতিরিক্ত ১ হাজার ৯৩৩ একরের বেশি জমিতে লবণ চাষের কারণে উৎপাদনে নতুন রেকর্ড হয়েছে।

জানা যায়, দেশের আটটি লবণ জোনে এবার চাষ করেছেন ৪০ হাজার ৬৯৫ জন, যা গত বছরের ৩৯ হাজার ৪৬৭ জনের চেয়ে ১ হাজার ২২৮ জন বেশি। একই সঙ্গে বেড়েছে লবণের আবাদি জমির পরিমাণও। এবার চাষ হয়েছে ৬৮ হাজার ৩৫৭ একর জমিতে, যা গতবারের ৬৬ হাজার ৪২৪ একরের তুলনায় ১ হাজার ৯৩৩ একর বেশি।


আরও খবর