আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে একাধিক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ এপ্রিল ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙা ইউনিয়নের উজান ঝগড়ারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশরাফুল আলমের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। পঞ্চম শ্রেণির একাধিক ছাত্রীকে তিনি যৌন হয়রানি করেছেন বলে অভিযোগ দিয়েছেন এক অভিভাবক। সেই অভিযোগ তদন্ত করছে শিক্ষা অফিস। প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা।

এদিকে ঘটনার পর থেকে নিপীড়নের শিকার একাধিক ছাত্রীসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী স্কুল যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে অপসারণের দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকেরা। এ ঘটনায় উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে (ইউইও) মৌখিক অভিযোগ দিয়েছে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি।

ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী বলে, হেড স্যার পানি আনার কথা বলে আমাকে লাইব্রেরির মধ্যে নিয়া গেইছে। নিয়া যায়া গায়ে হাত দিছে। ক্লাসের অনেকের সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটেছে বলেও জানায় সে।

ওই শিক্ষার্থীর নানি নাতনির অভিযোগের বরাত দিয়ে জানান, গত ৪ এপ্রিল দুপুরে উজান ঝগড়ারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশরাফুল আলম পানি আনার কথা বলে নাতনিকে আলাদা কক্ষে ডেকে নেন। ওই শিক্ষার্থী পানি নিয়ে গেলে প্রধান শিক্ষক তার শরীরে হাত দেন এবং অশালীন কথাবার্তা বলেন। এ ঘটনা কাউকে জানাতে নিষেধ করেন। এ সময় কক্ষ থেকে দৌড় দিয়ে বেরিয়ে যায় ওই শিক্ষার্থী। বাড়িতে ফিরে নানিকে ঘটনা জানায়।

ভুক্তভোগীর নানি বলেন, পরে আমি আতাউর চাচাক (বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য আতাউর রহমান) বিষয়টা জানাইছি। অহন আমার নাতনি স্কুলে যাইতে চাইতাছে না। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই শিক্ষার্থীকে অন্য এলাকায় তার বাবার কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

শিক্ষার্থীর অভিভাবকের অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য আতাউর রহমান বলেন, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী প্রধান শিক্ষকের ভয়ে স্কুল যাওয়া থেকে বিরত আছে। ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ কেলেঙ্কারিসহ নানা অভিযোগ রয়েছে উল্লেখ করে স্কুল পরিচালনা কমিটির এ সদস্য বলেন, প্রধান শিক্ষক আশরাফুল আলমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক আশরাফুল আলম বলেন, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ইউইও) এবং সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (এইউইও) স্যার স্কুলে এসেছিলেন। আমি মানসিকভাবে খুব খারাপ অবস্থায় আছি। এরপরই তিনি সংযোগটি কেটে দেন। পরে একাধিকবার চেষ্টা করা হলে তাঁর নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

প্রধান শিক্ষককে স্কুল থেকে বদলির বিষয়ে জানতে চাইলে ইউইও বলেন, বদলি শাস্তি নয়। বদলি হলে অন্য স্কুলে গিয়েও একই কাজ করতে পারেন। এ জন্য তাঁর বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হবে।


আরও খবর



স্বাস্থ্যখাতের করুণ চিত্র : দেশে কমেছে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির ব্যবহার

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
স্বাস্থ্য ডেস্ক

Image

বাংলাদেশের পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) জরিপ অনুযায়ী দেশে মানুষের গড় আয়ুর পাশাপাশি নারীর প্রজনন হার এবং জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির ব্যবহার কমেছে, আর পাশাপাশি বেড়েছে বাল্য বিয়ে এবং শিশু মৃত্যুর হার। একই সঙ্গে এই জরিপে উঠে এসেছে দেশে প্রাপ্তবয়স্ক হয়েও বিয়ে না করা পুরুষের সংখ্যা প্রায় ৩৬ শতাংশ। গত দশ বছরের তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যাচ্ছে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের হার ক্রমান্বয়ে কমেছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পপুলেশন সায়েন্সেসের অধ্যাপক ড. মো. মঈনুল ইসলাম বলছেন, সরকারি এই রিপোর্টে যা উঠে এসেছে তাতে মূলত দেশের স্বাস্থ্য খাতের করুণ চিত্রই প্রতিফলিত হয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশ যে ট্রিপল জিরো কমিটমেন্ট, অর্থাৎ ২০৩০ সালের মধ্যে পরিবার পরিকল্পনার অপূর্ণ চাহিদা (শতভাগ দম্পতিকে পরিবার পরিকল্পনার আওতায় আসা), মাতৃমৃত্যু ও বাল্য বিবাহ-সহ জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা শূন্যতে নামিয়ে আনার যে অঙ্গীকার করেছিল, তার অর্জন দুরূহ হয়ে উঠতে পারে।

প্রসঙ্গত, কেনিয়ার নাইরোবিতে ২০১৯ সালে জনসংখ্যা ও উন্নয়ন সম্মেলনের পঁচিশ বছর পূর্তিতে এই ট্রিপল জিরো অঙ্গীকার করেছিলো বাংলাদেশ। বিবিএস যে জরিপের ফল প্রকাশ করেছে, সেই জরিপটি পরিচালিত হয়েছে ২০২৩ সালে। একই সঙ্গে তারা এই জরিপের সঙ্গে তার আগের বছরের তথ্যও প্রকাশ করেছে। জরিপটি দেশ জুড়ে তিন লাখ আট হাজারেরও বেশি পরিবার ও বিবাহিত নারীদের ওপর পরিচালনা করা হয়েছে।

বিবাহিত দম্পতিদের মধ্যে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের পরিমাণ কমার তথ্য উঠে এসেছে এবারের এই জরিপে। ২০১৫ সালে দেশের দম্পতিদের মধ্যে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের টার্গেট ছিলো ৭২ শতাংশ। এবার বিবিএসের জরিপে এ সংখ্যা হলো ৬২ দশমিক ১ শতাংশ। গত বারের চেয়ে বেশ খানিকটা কমেছে।

ড. মঈনুল ইসলাম বলছেন, তৃণমূল পর্যায়ে এ সেবা পৌঁছানো ও সেবা নেয়া উভয় ক্ষেত্রেই ব্যাপক দুর্বলতা দেখা যাচ্ছে। লোকবলের সংকট, পদ্ধতিগুলো সহজে না পাওয়াসহ নানা কারণে এ বিষয়ে আগের চেয়ে পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।

এছাড়া বিবিএসের তথ্য পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, দেশে আঠার বছর বয়সের আগে ২০২০ সালে বিয়ের সংখ্যা ছিল ৩১ দশমিক ৩ শতাংশ, যা ২০২৩ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ৪১ দশমিক ৬ শতাংশ। পনের বছরের আগে বিয়ের সংখ্যা ২০২৩ সালে ছিল ৮ দশমিক ২ শতাংশ, যা চার বছর আগে অর্থাৎ ২০২০ সালে ছিল ৪ দশমিক ৯ শতাংশ।


আরও খবর



তিন নদীতে অভিযানে কোটি টাকার অবৈধ জাল জব্দ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ মোছাদ্দেক হাওলাদার, বরিশাল প্রতিনিধি

Image

বরিশালের মুলাদী ও বাবুগঞ্জ উপজেলাধীন তিনটি নদীতে অভিযান চালিয়ে প্রায় এক কোটি টাকা মূল্যের অবৈধ জাল জব্দ করা হয়েছে।

বুধবার (২০ মার্চ) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মৎস্য অধিদপ্তরের সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলম।

তিনি জানান, বরিশালের মুলাদী ও বাবুগঞ্জ উপজেলার আড়িয়াল খাঁ, নয়া ভাঙ্গনী, মুলাদী পাতার চর নদীতে মৎস্য অধিদপ্তর, উপজেলা প্রশাসন, থানা পুলিশ ও র‌্যাব ৮-এর সদস্যরা যৌথ অভিযান পরিচালনা করেন।

অভিযানে আটটি পাই জাল, ছয়টি মশারি জাল, ১৬টি চরঘেরা জালসহ ২০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল (যার আনুমানিক মূল্য প্রায় এক কোটি টাকা) জব্দ করে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়েছে।

মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন মুলাদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নিজাম উদ্দিন।

অভিযানে মৎস্য অধিদপ্তর মুলাদীর সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মোহাম্মদ আলম, বাবুগঞ্জের সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার এম এম পারভেজ, র‌্যাব ৮ বরিশালের ডিএডি মো. আজাদুর রহমান, মুলাদী থানার উপ-পরিদর্শক মিঠুন মণ্ডল উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



তীব্র তাপদাহে সুখবর দিল আবহাওয়া অফিস

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলমান তাপদাহে অস্থির জনজীবন। এমন গরম থেকে রেহাই পেতে বৃষ্টির অপেক্ষায় রয়েছেন অনেকেই। এ পরিস্থিতিতে দমকা হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ শুক্রবার (০৫ এপ্রিল ) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খুলনা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ সময় দেশের অন্যান্য জায়গায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, শনিবার (০৬ এপ্রিল ) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।


আরও খবর



উপজেলা ভোটের প্রথম ধাপের তফসিল ঘোষণা আজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের পূর্ণাঙ্গ তফসিল ঘোষণা করা হবে বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ)। আগামী মে মাসে চার ধাপে এ নির্বাচন হবে বলে আগেই তারিখ ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন। এবার পূর্ণাঙ্গ তফসিল ঘোষণা করা হবে। এর আগে জামানতের অংক বাড়ানোসহ বেশ কিছু ক্ষেত্রে সংশোধনী এনে উপজেলা নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা ২০২৪ জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নতুন বিধিমালা অনুযায়ী, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ১ লাখ টাকা জামানত দিতে হবে, আর ভাইস চেয়ারম্যান পদে জামানত দিতে হবে ৭৫ হাজার টাকা। আগে উভয় পদে জামানত ছিল ১০ হাজার টাকা করে।

এদিকে নতুন বিধিমালায় নির্বাচনী সময়-এর সংজ্ঞাও সংশোধন করা হয়েছে। সংশোধিত নির্বাচনী সময় বলতে তফসিল ঘোষণার পর থেকে ফলের গেজেট প্রকাশের পর ১৫ দিন পর্যন্ত সময়কে বোঝানো হয়েছে। সেই সঙ্গে বিধিমালায় অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের বিধান যুক্ত করা হয়েছে।

সংশোধিত বিধিমালায় নির্বাচনী ব্যয়ে পরিবর্তন এসেছে। আগের আইনে ১ লাখ ভোটারের জন্য প্রার্থী ব্যক্তিগত ও নির্বাচনী ব্যয় করতে পারেন সাড়ে ৫ লাখ টাকা, ১ লাখ থেকে ২ লাখ ভোটারের জন্য ৭ লাখ ৭৫ হাজার টাকা এবং ২ লাখের বেশি ভোটারসংবলিত উপজেলার জন্য ১১ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারেন।

নতুন উপজেলা নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালায় চেয়ারম্যান বা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নির্বাচনী ব্যয় বাবদ অনধিক ২৫ লাখ টাকা এবং মহিলা সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নির্বাচনী ব্যয় বাবদ অনধিক ১ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারবেন।

নতুন নির্বাচনী বিধিমালা অনুযায়ী, মনোনয়নপত্রের সঙ্গে আয়কর রিটার্ন দাখিলের প্রমাণক জমা দিতে হবে এবং উল্লেখ করতে হবে টিআইএন নম্বর। আগের বিধিমালায় নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের একভাগের কম পেলে জামানত বাজেয়াপ্ত হতো। সংশোধিত বিধিমালায় এটি সংশোধন করে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। অর্থাৎ নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশের কম পেলে ওই প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।

আগে ভোটগ্রহণের তিন সপ্তাহ আগে থেকে প্রার্থীরা প্রচারণায় অংশ নিতে পারতেন। এবার তা সংশোধন করে প্রতীক বরাদ্দের দিন থেকে প্রচার শুরুর কথা বলা হয়েছে। প্রচারের আওতায় এবার ডিজিটাল এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমও সন্নিবেশ করা হয়েছে।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার বিধানও শিথিল করেছে ইসি। এতদিন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে হলে ২৫০ ভোটারের সমর্থনসূচক সই মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হতো। এটি এখন একেবারেই তুলে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে কোনো ভোটারদের সমর্থনসূচক সই লাগবে না।

নতুন বিধিমালা অনুযায়ী, প্রার্থীরা সাদাকালোর পাশাপাশি রঙিন পোস্টার ও ব্যানার ব্যবহার করতে পারবেন। এ ছাড়া নির্বাচনের ফল স্থগিত ও পুনরায় ভোটের নির্দেশ দেওয়ার বিষয়ে ইসির ক্ষমতা স্পষ্ট করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, আগামী মে মাসে চার ধাপে ৪৮১ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন করবে ইসি। প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ আগামী ৪ মে, দ্বিতীয় ধাপে ১১ মে, তৃতীয় ধাপে ১৮ মে এবং চতুর্থ ধাপের ভোট হবে ২৫ মে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ইতোমধ্যে জানিয়েছে, তারা এবার স্থানীয় সরকারের কোনো নির্বাচনে দলীয় প্রতীক দেবে না। অন্যদিকে সংসদ নির্বাচন বর্জন করা বিএনপির দলীয়ভাবে স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা কম। ফলে এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হবে মূলত স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে।

তফসিল আজ: উপজেলা নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালায় এই পরিবর্তন আনার মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) এর তফসিল ঘোষণা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ। গতকাল আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার (আজ) কমিশনসভা রয়েছে। ভোটের তারিখ তো আগেই জানানো হয়েছে। প্রথম ধাপের পূর্ণাঙ্গ তফসিল কাল হতে পারে।

অশোক কুমার সংশোধিত নির্বাচন বিধি ও আচরণবিধির বিষয়ে জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার জন্য ভোটারের স্বাক্ষর অনেক সময় দিতে চায় না। তাই অনেকে জাল স্বাক্ষর নেয়। এ কারণে কমিশন এটি তুলে দিতে চেয়েছে। আগের মতো দলীয় প্রার্থী দিতে পারবে, নাও দিতে পারবে। তিনি বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এক শতাংশ ভোটারের সমর্থন লাগে। এটা পরিবর্তন করতে হলে আইন পরিবর্তন করতে হবে। এ জন্য তো সময় দরকার। আর এটা ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে করতে হবে। এটার জন্য সময় আছে।


আরও খবর



জনতা ব্যাংকের ভল্ট থেকে ৫ কোটি টাকা চুরি, তিন কর্মকর্তা আটক

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে জনতা ব্যাংকের তামাই শাখা থেকে ৫ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে শাখা ব্যবস্থাপকসহ তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সাধারণ ডায়েরির (জিডি) প্রেক্ষিতে ওই তিনজনকে (৫৪ ধারায়) আটক করে আদালতে পাঠায় পুলিশ। পরে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

রবিবার (২৪ মার্চ) রাতে তাদের আটক করে আজ সকালে আদালতে পাঠায় পুলিশ। এরপর দুপুরের দিকে আদালত এই নির্দেশ দেন। এছাড়াও বিষয়টি দুদক দেখবে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেলকুচি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিছুর রহমান ও আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান।

অভিযুক্তরা হলেন জনতা ব্যাংক তামাই শাখার ব্যবস্থাপক আল আমিন শেখ (৪২), সহকারী শাখা ব্যবস্থাপক রেজাউল করিম (৩৪) ও ব্যাংক কর্মকর্তা রাশেদুল হাসান (৩৪)।

জনতা ব্যাংক পিএলসি সিরাজগঞ্জ এরিয়া অফিসের উপ মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) নজরুল ইসলামের লিখিত অভিযোগ ও জিডির সূত্রে জানা গেছে, জনতা ব্যাংক তামাই শাখা পরিদর্শনে গিয়ে হিসাবে গরমিল ও সন্দেহ পরিলক্ষিত হলে গত রবিবার তামাই শাখায় উপস্থিত হয়ে লেনদেনের সমস্ত কিছু অডিট শেষে ক্যাশ ভোল্টে ৫ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা হিসেবে গরমিল পাওয়া যায়। এ সময় তামাই জনতা ব্যাংক শাখা ব্যবস্থাপক, সহকারী ব্যবস্থাপক ও অফিসারের কাছে জানতে চাইলে তারা কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি এবং পরে তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকার করেন। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে বেলকুচি থানায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। পরে রাতে পুলিশ তাদের আটক করে আদালতে পাঠায়। যেহেতু বিষয়টি টাকা লেনদেন সংক্রান্ত তাই জিডির কপি দুদকে পাঠানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে বেলকুচি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিছুর রহমান বলেন, আমরা জনতা ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার জিডির প্রেক্ষিতে জনতা ব্যাংকের তিন কর্মকর্তাকে আটক করি। ঘটনাটি অর্থ আত্মসাৎ সম্পর্কিত হওয়ায় এটা দুদক দেখবেন। এরপরও তারা যেহেতু অপরাধ করেছেন তাই তাদেরকে সকালে (৫৪ ধারায়) আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

সিরাজগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, বিষয়টি দুদক দেখবে কিন্তু ধর্তব্য অপরাধ হওয়ায় থানা পুলিশ তাদেরকে ৫৪ ধারায় আদালতে প্রেরণ করেন। আদালত তাদেরকে জেলা হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

দুদকের পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক (ডিডি) মো. খায়রুল হক বলেন, তাদের জিডির কপিটি হাতে এসেছে। এখন পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের অনুমতির জন্য কমিশনে আবেদন পাঠানো হবে। অনুমতি আসার পরে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জনতা ব্যাংক পিএলসি সিরাজগঞ্জ এরিয়া অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার নজরুল ইসলাম জানান, জনতা ব্যাংক ঢাকা অফিসের নির্দেশনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর